আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শারদীয় দুর্গোৎসব: দেবীপক্ষ শুরু কাল, ভোরে মহালয়া

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, আগামীকাল রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরের আলো ফুটে উঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হবে দেবীপক্ষ। মহালয়ার মাধ্যমে ভক্তকূল মর্তে আমন্ত্রণ জানাবে দেবী দুর্গাকে। অনুষ্ঠিত হবে চণ্ডিপাঠ, মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজা। মহালয়া মানেই দুর্গাপূজার দিন গোনা শুরু হয়ে যাওয়া। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়ার মাধ্যমে। 

পুরাণমতে, এদিনই দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ৬ দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়। ১ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত কাল থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমণধ্বনি শুনতে পাবেন। দুর্গাপূজার এই সূচনার দিনটি সারাদেশে বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপন হবে। আগামীকাল ভোরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য মন্দিরেও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোন মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। ফলত অসীম হ্মমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের অধীশ্বর হতে চায়।

ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব ত্রয়ী সন্মিলিত ভাবে মহামায়ার রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করলেন এবং দেবতাদের দশটি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা নয় দিনব্যাপি যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত ও হত্যা করে।

মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে এই মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপুরুষের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয়। মহালয় থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষের ও শেষদিন এটি।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




জাল ভিসায় এয়ারপোর্টে ধরা, দালালের বাড়িতে ছয় যুবক

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ছয় যুবক দালালের খপ্পরে পড়ে ভুয়া ভিসায় শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দরে ধরা খেয়ে সরাসরি দালালের বাড়িতে ছয়দিন অবস্থান করছেন। আর বিদেশ নয়, টাকা ফেরত নিয়ে তাঁরা নিজ বাড়িতে ফিরতে চান। তা না হলে দালালের বাড়িতেই সবাই শরীরে কেরাসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার জিন্দারপুর গ্রামে দালালের বাড়িতে গিয়ে ওই ছয় যুবককে অবস্থান নিতে দেখা যায়। দালালের বাড়িতে অবস্থানরত যুবকরা হলেন- উপজেলার পাঁচগ্রামের আতিকুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াদুদ, আলামিন তালুকদার, মোলামগাড়ীহাটের মেহেদী হাসান ও জিন্দারপুর গ্রামের আবু তাহের।

দালালের বাড়িতে অবস্থানরত যুবক, দালালের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিন্দারপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আদম ব্যবসায়ী সুলতান মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন দেশে লোক পাঠান। এলাকায় তাকে মাবুদ নামে চিনেন। সাড়ে তিন বছর আগে একই এলাকার পাঁচগ্রাম, মোলামগাড়ীহাট ও জিন্দারপুর গ্রায়ের ছয় যুবক একসঙ্গে মালয়েশিয়াতে যাওয়ার জন্য আদম ব্যবসায়ী মাবুদের সঙ্গে ৩৩ লাখ টাকা চুক্তিবদ্ধ হন। ইতিমধ্যে চুক্তির পুরো টাকা তারা পরিশোধও করেছেন।

এরপর থেকেই পার করে দিব, দিচ্ছি বলে সময় কালক্ষেপণ করেন মাবুদ। ছয় মাস আগে মালয়েশিয়া নয়, তাজিকিস্থানে পাঠানোর কথা হয়। তাতেও রাজি হন ওই যুবকরা। অনেক দেরিতে হলেও চলতি বছরের ১৮ মার্চ তাদেরকে বাড়ি থেকে তাজিকিস্থানের উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ২০ মার্চ রাতে একবুক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে টিকিটসহ কাগজপত্র হাতে পেয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হন ওই ছয় যুবক। এয়ারপোর্টে চেকিংয়ে গিয়ে জানতে পারেন ম্যানপাওয়ার, ভিসা, বিএমইটি স্মার্ট কার্ড জালিয়াতি করে তাদের ভুয়া কাগজপত্র দিয়েছেন দালাল মাবুদ। শুধুমাত্র বিমানের টিকেট ছিল আসল। এয়ারপোর্ট থেকেই তাদেরকে ফেরত আসতে হয়। তাই তারা নিজ বাড়িতে না গিয়ে দালাল সুলতান মাহমুদের বাড়িতে অবস্থান করছেন।

অভিযোগ রয়েছে, গত ছয় মাস আগে একই উপজেলার আতাহার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আমিরুল ইসলাম, জিন্দাপুর গ্রামের মোশারফের ছেলে মোহসিন আলী, বেলগড়িয়া গ্রামের ফরিদুলের ছেলে ফয়সাল, মহেশপুর গ্রামের ইউনুসের ছেলে রিমন, পাঁচগ্রামের মৃত মজিদের ছেলে মোস্তফাসহ আরও অনেককেই মালয়েশিয়াতে একই কৌশলে পাঠিয়েছে দালাল মাবুদ। তারা বর্তমানে কাজ না পেয়ে মাবুদের লোকজনদের কাছে বন্দী অবস্থায় মালয়েশিয়াতে জীবনযাপন করছেন।

অবস্থানরত যুবক আতিকুল ইসলাম বলেন, জমি বন্ধক রেখে দালাল মাবুদকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দিয়ে আজ বড় বিপদে পড়েছি। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। ছয় দিন ধরে এ বাড়িতে অবস্থান করছি। পুলিশ নয়, আমরা নিজেরাই এর সমাধান চাই। টাকা না পাওয়া পর্যন্ত এই বাড়ি থেকে যাব না। কপালে যা আছে তা হবেই।

আরেক যুবক আবু তাহের বলেন, মালয়েশিয়াতে যাওয়া হয়নি তাতে কোনও সমস্যা নেই। তাজিকিস্থানে যাওয়ার দিনে কেন ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানো হলো। আমরা আর বিদেশে যাবো না, টাকা ফেরত চাই। তিনি আরও বলেন, মাবুদের সাথে সমাধানের জন্য আমরা বসেছিলাম। কিন্তু ৯৯৯ এ ফোন করলে মাবুদকে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমরাও থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ মাবুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বলেছিল কিন্তু আমরা অভিযোগ করিনি। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এরপর থেকে মাবুদ পলাতক।

দালাল সুলতান মাহমুদ ওরফে মাবুদ বলেন, আমি যে এজেন্সির মাধ্যমে তাদেরকে পাঠাচ্ছি মূলত তারাই এসব ভুয়া কাগজপত্র প্রস্তুত করেছে। তারা যে ভুয়া কাগজপত্র করেছে তার কিছুই জানি না। টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে আমি তাদের নিকটে সময় চেয়েছি। তাদের টাকার ব্যবস্থা করছি। ছয় মাস আগে মালয়েশিয়াতে যাদেরকে পাঠিয়েছেন তারা এখন বন্দি এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ পায়নি, তার হেফাজতেই তারা রয়েছেন। খরচ যা লাগছে তিনিই দিচ্ছেন। কয়েকদিনের মধ্যে তাদেরও ব্যবস্থা হবে।

কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতারিত যুবকদের অভিযোগ দিতে ডাকা হয়েছিল কিন্তু তারা অভিযোগ দিতে নারাজ। মাবুদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



নয় দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম ৯ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় পবিত্র শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আকমল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ সংক্রান্ত যাবতীয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগামী ৬ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ১৪ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং ১৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পূর্বের ন্যায় যথারীতি সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দর আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল মোট ৯ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।


আরও খবর



নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনয়শিল্পী বিদ্যা সিনহা মিমের ব্যস্ততার কোনো শেষ নেই। নাটক সিনেমা নিয়েই ব্যস্ততা তার। তবে এবারের ঈদে তার সিনেমা মুক্তি পায়নি। ঈদের নাটকেও দেখা যায়নি এই অভিনয়শিল্পীর। পরিবারের সঙ্গে রোজার ঈদ কাটিয়ে করেছেন সিঙ্গাপুরে। নতুন সিনেমায় কবে দেখা যাবে তাকে এই নিয়ে মিম ভক্তদের প্রশ্নের শেষ নেই। এবারে মিম নিজেই দিলেন সে জবাব। একটি  সংবাদপত্রের সঙ্গে আসন্ন সিনেমা এবং নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিদ্যা সিনহা মিম।

রায়হান রাফী পরিচালিত পরাণ দিয়ে ২০২২ আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। গত বছর অন্তর্জাল সিনেমায় দেখা মিলেছিল তার। এরপর প্রায় এক বছর পর্দায় দেখা মিলছে না মিমের। জানান পরাণের পর অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি তবে গল্প ভালো না লাগায় আর কথা এগোয়নি। মিমের না করা সিনেমাগুলো অনেকেই করেছেন তবে পরাণে মত আলোচনায় আসেনি। এই নিয়ে জানতে চাইলে মিম বলেন, সিনেমাগুলোতে আমি অভিনয় করলেও ফল একই হতো। হয়তো সংখ্যা বাড়ত, কিন্তু সাফল্য জুটত না। তার চেয়ে বসে ছিলাম, এটাই ভালো হয়েছে।

গতবছর দিগন্তে ফুলের আগুন সিনেমার শুটিং পর্ব শেষ করেছেন মিম। এটি পরিচালনা করছেন ওয়াহিদ তারেক। শহীদজায়া পান্না কায়সারের জীবন অবলম্বনে নির্মাণ হচ্ছে দিগন্তে ফুলের আগুন। এতে পান্না কায়সারের চরিত্রে অভিনয় করছেন বিদ্যা সিনহা মিম। আর এবছরের নতুন সিনেমার খবর জানতে চাইলে মিম বলেন, তিনটি নতুন সিনেমা হাতে নিয়েছি। একটার শুটিং জুন থেকে, বাকি দুটির শুটিং জুলাই-আগস্টে। তিনটি তিনটি পরিচালনা করবেন নামি তিন নির্মাতা। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও দেশের শীর্ষস্থানীয়। তবে এখনই নাম বলতে পারছি না। চুক্তিতে নিষেধ করা আছে।

বিদ্যা সিনহা মিমের বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদের সিনেমার মধ্যে দিয়ে। ২০০৭ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করেছিলেন মিম। তার পরের বছর গুণী নির্মাতা ও কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত আমার আছে জল সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর একের পর এক সিনেমা ও নাটক নিয়ে হাজির হয়েছেন মিম।


আরও খবর
নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বুধবার থাইল্যান্ড যা‌চ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাঁচ দিনের সফরে বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি লেটার অব ইন‌টেন্ট সই‌য়ের সম্ভাবনা র‌য়ে‌ছে।

প্রধানমন্ত্রীর থাইল‌্যান্ড সফর নি‌য়ে আজ (সোমবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ে এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এ তথ‌্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সরকারি সফরে থাক‌বেন। সফরকা‌লে তি‌নি ব‌্যাংক‌কে ইউএন এসকাপের ৮০তম অধিবেশনেও যোগ দেবেন।

হাছান মাহমুদ ব‌লেন, চুক্তিটি হচ্ছে অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত। এ ছাড়া জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক হতে পারে।

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করার জন্য একটি সম্মতিপত্র সই করতে দুই পক্ষ সম্মত হ‌য়ে‌ছে ব‌লেও জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির জন্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষত বিনিয়োগ, পর্যটন, জ্বালানি, স্থল ও সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন প্রভৃতি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পর্যটন খাতের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন, পর্যটন অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ কার্যক্রম ও দক্ষতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সুবিধা অর্জন করতে পারবে। পর্যটন শিল্পে এই সহযোগিতার ফলে উভয় দেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি করা হলে উভয় দেশের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর হবে এবং বিভিন্ন সভা-সেমিনার ও প্রশিক্ষণে সরকারি কর্মকর্তারা সময় মতো যোগদান করতে পারবেন বলে তিনি জানান।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর থেকে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে সংকট। দামও বেড়েছে। এতে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা কেজিতে ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে। সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আমদানিকৃত এসব আলুর মান অনেকটাই খারাপ।

কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা জানান, ভারত অভ্যন্তরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা পচন ধরেছে। আলু আমদানিকারক মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, ঈদের আগে ভারতে আলুর দাম ছিল ২৮-২৯ টাকা। ভারতে কৃষকরা আলু কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করার কারণে সেখানে আলুর সংকট। তাই পূর্বের তুলনায় কেজিতে ৭-৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি না হলে দেশে আলুর দাম ৭০/৮০ টাকা হবে।

হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম আলু আমদানি হয়। ওই দিন ৩৬-৩৮ টাকা দরে আলু কিনে বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। আজ আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকা। তাছাড়া আলুর মানও খারাপ।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থলবন্দরে আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। রমজানে আলু আমদানিতে খরচ পড়তো ২৮-২৯ টাকা। সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানে আলুর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পূর্বের তুলনায় অন্তত ৫-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় আমদানিকৃত আলু ৪২ টাকা। হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) ৪৮ টাকা, এবং দেশীয় আলু ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৭১৭ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আগাম আলু

আরও খবর