অনেক সংগ্রাম রক্ত আর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন সবর্ভোমত্ব দেশ বাংলাদেশ। অবশেষে ডিসেম্বরে বীরের জাতির বিজয় অর্জিত হয়। ১৯৭১ সালের রণাঙ্গনের বিভিষিকাময় ইতিহাসের সেই স্মৃতি আজও কাঁদায়-ভুলতে পারেনি অনেকেই। সেদিনের কথা শুনে আঁতকে ওঠে অনেক। যশোরের শার্শা বেনাপোলের অনেক শহীদের গণকবরের সন্ধানও সংরক্ষিত করা হয়নি আজও।
যশোরের সীমান্ত এলাকা বেনাপোল-শার্শা-কাশিপুরসহ সমগ্র যশোর এলাকায় চলে খুন-ধর্ষণ-অগ্নি -সংযোগ। চলে পুড়িয়ে নৃশংসহ হতাযজ্ঞ। পাক হানাদার বাহিনীর হাতে ব্রাশ ফায়ারে, জ্যান্ত পুতে ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। বেনাপোল শার্শা নাভারন ও বাগআচড়া এলাকার নির্জন স্পটে দেওয়া হয় গণকবর। অনেক কবর সংরক্ষণ করা হলেও অধিকাংশ গণকবর চিহ্নিতসহ সংরক্ষণ করা হয়নি। বিজয়ের এ মাসে এসব গণকবর চিহ্নিত করে সংরক্ষণসহ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মানের দাবী শিক্ষার্থী ব্যাবসায়িসহ স্থানীয়দের।
শিক্ষার্থী আরিফা খাতুন ও প্রভাষক আসাদুজামান আশা ও মরিরুজামান সোনা জানান, দেশ হয়েছে স্বাধীন, আমরা শান্তি, মুক্তি ও শক্তি পেয়েছি। তবে শহীদদের গণকবর সংরক্ষণ না হওয়ায় ব্যাতিত তারা।
বেনাপোল কাগজপুকুর নাভারন ও জামতলাসহ শার্শার কয়েকটা গণকবর সংরক্ষণ ও কাশিপুর পল্লীতে বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদের স্মৃতিসৌধের নির্মান হলেও এখন সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য গণকবর। এসব সংরক্ষণের জোর দাবী জানান শিক্ষক ও দেশপ্রেমী মানুষেরা।
সরকারি বরাদ্ধ পেয়ে কাগজপুকুর, নাভারন, জামতলাও বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদের স্মৃতি সৌধের নির্মান কাজ করা হয়েছে। আরো অনেক গণকবর চিহ্নিত করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সেগুলোকে সংরক্ষণের কাজ চলমান আছে বলে জানান উপজেলা প্রকোশলী এম এ মামুন।