আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫টি ময়ূরসহ দুজন আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাতক্ষীরা থেকে দিলীপ কুমার দেব:ভারতে পাচারের সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী সীমান্ত থেকে ১৫টি ময়ূরের বাচ্চাসহ ২জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বৈকারী সীমান্তের জামতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ময়ূরগুলো উদ্ধারের পর রাতে বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন বলেন, পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্ত এলাকা জামতলা অবস্থান নিলে পুলিশ একটি সাদা মাইক্রো দেখতে পায়। পুলিশ তার পিছু নিয়ে নিকটস্থ একটি আম বাগানে মাইক্রোবাসসহ মিন্টু খাঁ (৩৭) ও অর্ণব দাস (২৪)কে আটক করে। তাদের আটকের পর মাইক্রোবাসটি খুললে বাসের সিটের নিচে একে ১৫টি দুর্লভ ময়ূর পাখির বাচ্চা পাওয়া যায়। আটককৃতরা এই ১৫টি ময়ূর পাখির বাচ্চা ভারতে পাচার করার কথা স্বীকার করেন।

আটক হওয়া ২জন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বাসিন্দা। আটককৃত ১৫টি ময়ূর তাৎক্ষণিকভাবে আদালতের নির্দেশে বন বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হুসেন।

সোমবার বিকালে পুলিশের কাছ থেকে ময়ূরগুলো গ্রহণকালে খুলনা বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সম্মতি ছাড়া ময়ূর সংরক্ষণ ও বেচাকেনার কোনো সুযোগ নেই। আদালতের নির্দেশ পেলে উদ্ধারকৃত ময়ুরগুলো সাফারি পার্কে সংরক্ষণ করা হবে বলে তিনি জানান।

নিউজ ট্যাগ: সাতক্ষীরা ময়ূর

আরও খবর



মহেশপুর সীমান্তে ডলার-রুপিসহ ভারতীয় পুলিশ সদস্য আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ)প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে এক ভারতীয় পুলিশ সদস্যকে আটক করেছে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এ সময় তার কাছ থেকে ডলার ও ভারতীয় রুপি উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত পি.ভি. জন সিলভারাজ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্য পুলিশের সদস্য। তার সঙ্গে পুলিশের পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এছাড়া তামিলনাড়ু রাজ্য পুলিশও তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে।

৫৮বিজিবি ও মহেশপুর থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকালে মাটিলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় ৫৮-বিজিবির হাবিলদার কাওছারের নেতৃত্বে সিলভারাজকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে ১ হাজার ১৫০ ডলার ও ৪ হাজার ৮৭ ভারতীয় রুপিসহ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতর দেওয়া তথ্য মতে, তার বাড়ি ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের ত্রিসিটি জেলার ইকুডু থানার আনগুনগর গ্রামে।

সিলভারাজের ভারতীয় নাগরিক পরিচয়পত্র অনুযায়ী তিনি তামিলনাড়ু পুলিশের একজন সদস্য।

৫৮-বিজিবি অধিনায়ক এইচ এম সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আটক ব্যক্তি তাদের কাছে জানিয়েছেন তিনি থাইল্যান্ডে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশে প্রবশ করেছেন। তার সঙ্গে তামিলনাড়ু পুলিশের একজন সদস্য মর্মে পরিচয়পত্র এবং মোবাইল ফোনে দায়িত্ব পালনকালীন দৃশ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি (তদন্ত) ইসমাইল হোসেন বলেন, মহেশপুর থানায় মুদ্রা পাচারসহ অবৈধ অনুপ্রেবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের মাধ্যমে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর



জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা হাফিজ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গুলশান থানার নাশকতার মামলায় ২১ মাসের সাজা পাওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

রোববার (১০ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে হুইল চেয়ারে করে উপস্থিত হন হাফিজ। আপিল শর্তে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের কাজে বাধা ও ভাঙচুরের অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর এবং মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ তিনজনকে ২১ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন- সাবেক বিএনপি নেতা ও বিএনএমের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ। তবে এ মামলায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করে জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন আলতাফ হোসেন চৌধুরী। তবে মেজর হাফিজ শারীরিক অসুস্থতার জন্য দেশের বাইরে চিকিৎসাধীন থাকায় এতদিন আদালতে উপস্থিত হননি।


আরও খবর



পেঁয়াজ-ডিমের দাম কমলেও বেড়েছে আলুর

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রমজানের শুরুতে কাঁচাবাজারের তেজিভাব এখন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। ১০ রোজার পর এখন কেনাকাটায় সামান্য স্বস্তি মিলছে সাধারণ মানুষের।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাক-সবজি, পেঁয়াজ, ডিমের দাম কমতির দিকে। তবে দাম বেড়েছে আলুর।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে কমেছে ফার্মের মুরগি ডিমের দামও। তবে গত সপ্তাহে বেড়ে যাওয়া চাল এবং বেশ আগে থেকে বাড়তি ডাল, তেল-চিনিসহ অন্যান্য পণ্যগুলোর দাম এখনও চড়া।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরুতে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এখন ১ কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। শসার কেজি রোজার শুরুতে ছিল ১০০ টাকারও উপরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে।

একইভাবে লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙা, করলার মতো সবজিগুলোর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন রামপুরা বাজারের সবজি বিক্রেতা আবু হোসেন। তিনি বলেন, এখন আর চড়া ভাব থাকবে না। দিন যত যাবে ঢাকার মানুষ কমতে থাকবে (ঈদে গ্রামে যাবে)। শাক-সবজির দামও কমতি থাকবে।

এদিকে, পেঁয়াজের বাজার গত এক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী। এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। একই পেঁয়াজের দাম এখন প্রায় অর্ধেক বা কাছাকাছি চলে এসেছে। বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। যদিও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পেঁয়াজের দাম এখনও বেশি। গত বছরের এ সময় পেঁয়াজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতি মুনাফার আশায় অনেকেই পেঁয়াজ মজুত করেছিল। কিন্তু ভারত থেকে পেঁয়াজ আসবে এমন খবর বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।

তবে বিপরীত চিত্র রয়েছে আলুর বাজারে। সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার মতো। তবে এক মাসের ব্যবধানে বেড়েছে আরও বেশি, ১২ থেকে ১৫ টাকা। কারণ মাস খানেক আগে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছিল আলুর দর। প্রতি কেজি নেমেছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকায়। কিন্তু কিছুটা বেড়ে গত সপ্তাহে আলু বিক্রি হয়েছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এখন দাম আরও বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

অন্যদিকে, বাজারে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ২৩০ টাকায় প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হলেও এখন হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা দরে। এছাড়া ফার্মের ডিমের ডজন কেনা যাচ্ছে ১২০ টাকা দরে। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে প্রতি ডজন ডিমের দর ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানে ডিমের চাহিদা কমে যায়। যে কারণে ঢাকার বাজারে দ্রুত কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম। গত তিন দিনের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা কমেছে। কোনো কোনো বাজারে এর চেয়েও বেশি কমেছে। ফলে বড় বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম নেমেছে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়।


আরও খবর



সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি, বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার লাউখোলা বাজার থেকে চরধুপুড়িয়া সংযোগ সড়কের মাঝে ৭টি বিদ্যুতের খুটির কারণে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ও এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।

রাতের অন্ধকারে প্রতিনিয়ত পথচারী ও যানবাহন প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। তাই পল্লী বিদ্যুতের ঐ খুটিগুলো দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

জেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর ১১ নভেম্বর উদ্বোধন হয়েছে লাউখোলা বাজার থেকে চরধুপুড়িয়া এলাকায় যাওয়ার নতুন সেতু। ঐ সেতুটি সহ একই নদীর উপর নির্মাণ করা আরও একটি সেতু মিলে একটি প্যাকেজে এর নির্মাণ ব্যয়ের বাজেট ছিল ২৩ কোটি টাকা। কাজটি সম্পন্ন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হা-মীম ইন্টারন্যাশনাল।

সেতু ব্যবহার করে চলাচলকারী কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, এসব খুঁটির কারণে আমাদের স্কুল ও মাদ্রাসায় যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে এবং এখান দিয়ে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে মাঝে মাঝেই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সুলতান মাদবর আজকের দর্পণকে বলেন, রাতের বেলা ওই খুটির সাথে ধাক্কা লেগে অনেকেই হাত-পা ভেঙ্গে আহত হয়েছে। আমি নিজেও একদিন রাতে খুঁটির সাথে ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত পেয়েছি। খুঁটিগুলোতে সড়ক বাতি না থাকায় রাতের বেলায় যেকোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী লাল খা নামের এক ব্যক্তি আজকের দর্পণকে বলেন, এখানে সেতুটি হওয়ায় দু-পাশের মানুষের ভোগান্তি যেমন কমেছে কিন্তু সেতুর দুইপাশে সড়কের মাঝে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় এখন মৃত্যু কূপে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুতের তারগুলো ঝুলে অনেক নিচে চলে আসায় বড় ধরণের দুর্ঘটনার সম্ভাবনা অনেক বেশী আছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ এই সড়কটিতে প্রতিনিয়ত শত শত যানবাহন চলাচল করলেও এ সমস্যা সমাধানে কারো কোন উদ্যোগ নেই। সমস্যার সমাধান করতে পারেন এমন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারও কোনো মাথা ব্যথা নেই। কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও কোন কাজ হয়নি।

এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্তৃপক্ষ একজন আরেকজনের উপর দায় চাপাচ্ছেন। কেউ মানতে রাজি নয় সড়কটির এই ভয়ঙ্কর পরিণতিতে তাদের গাফিলতি আছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইমন মোল্লা আজকের দর্পণকে বলেন, বিদ্যুৎ অফিসে আমরা মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। তারা চাইলে কাজটি জরুরী হিসেবে সম্পন্ন করতে পারত। কিন্তু তারা আমাদের কাছে যে পরিমাণ অর্থ দাবী করেন তা দিয়ে আমরা সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়কের শাখা সুন্দরভাবে প্রস্তুত করেছি।

পরে ঐ সেতু নির্মাণে ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, আমার কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য নেই। পেতে হলে জেলা দপ্তরে যোগাযোগ করতে হবে।

শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোঃ আলতাপ হোসেন আজকের দর্পণকে বলেন, সড়কের কাজ করার আগে বা পরে এলজিইডি কিংবা ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে খুঁটি সরাতে হবে এমন কোন লিখিত আবেদন পাইনি। তাই এবিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখবো।

বিষয়টি নিয়ে জেলা সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, এই তথ্য দিয়ে কি হবে? আর এটি অনেক পুরনো ফাইল, খুঁজতে সময় লাগবে। আপনি উপজেলা অফিসে যোগাযোগ করেন। ওখানে আছে।

প্রতিবেদক : শাওন বেপারী, জাজিরা শরীয়তপুর

নিউজ ট্যাগ: জাজিরা

আরও খবর



গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩০ জন দগ্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর কালিয়াকৈরে একটি টিনসেড বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ অন্তত ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। গুরুতর দগ্ধ এসব রোগীদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৩ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কালিয়াকৈর টপস্টার নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা মনোয়ারা বেগম জানান, টপস্টার এলাকায় টিনসেড বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। দুই পাশে সারি করে লম্বা আকৃতির টিনসেড বাড়ি সেখানে। সেখানে ছোট ছোট ঘরে আলাদা আলাদা পরিবার থাকে। একেকজন একেক পেশার। সেখানকার একটি ঘরের ভাড়াটিয়া শফিক নামে একজন বিকেলে রান্নার জন্য গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। এরপর সেটি সংযোগ দেওয়ার সময় সেখান থেকে লিক হয়ে প্রচুর গ্যাস বের হতে থাকলে তিনি সিলিন্ডারটি ঘরের সামনে ফেলে দেন। আর পাশেই মাটির চুলায় রান্না করছিলেন আরেক পরিবার। তখন সেখান থেকে আগুনের সংস্পর্ষে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে আশপাশে থাকা নারী, শিশুসহ বহু মানুষ দগ্ধ হন।

বার্ন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানান, সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।


আরও খবর