আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সাতক্ষীরায় গাছে গাছে শোভা ছড়াচ্ছে আমের স্বর্ণালি মুকুল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাতক্ষীরা থেকে দিলীপ কুমার দেব,

পৌষের কন কনে শীতে সাতক্ষীরা অঞ্চলের গাছে গাছে প্রস্ফুটিত হতে শুরু করেছে আমের মুকুল। ফাল্গুগুনের আগেই শোভিত হতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের আগাম জাতের আমের বাগান। গাছে গাছে শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালি মুকুল। তাই বাগানে বাগানে বাড়তি পরিচর্যা শুরু করেছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।

কৃষি বিভাগ বলছে, এবার তীব্র শীতের প্রকোপ থাকার পরও আমের মুকুল এসেছে। তাদের ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ এলাকায় কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে। ফাল্গুগুনের শুরুতেই এবার শতভাগ গাছে প্রস্ফুটিত হবে মুকুল। ততে গোপাল ভোগ গাছে মুকুল আসায় বেশ খুশি চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ভরা শীতে গাছে মুকুল আসা তেমন ভালো নয়। কারণ আগেভাগে আসা মুকুল ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ফলে শঙ্কা রয়েছে আমের ফলন কমে যাওয়ার। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে, এসব মুকুলেও ভাল আম হবে। তবে নিয়ম মেনে মাঘের শেষদিকে যেসব গাছে মুকুল আসে, তাতে ভাল ফলন হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সাতক্ষীরা শহরের বাগানবাড়ি,কেুকরালি,ইেটাগাছা আবাসিক এলাকায় আম গাছে মুকুল আসতে শুরু হয়েছে। সোনারাঙা সেই মুকুলের সৌরভ ছড়াচ্ছে বাতাসে। মুকুল আসা শুরু হওয়ায় বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্থ হয়ে পড়েছেন বাগানের মালিক ও লিজ নেওয়া ব্যবসায়ীরা। আমচাষি ও বাগান মালিকরা জানান, সাতক্ষীরা অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে শীতের তীব্রতা বিরাজ করলেও আগাম জাতের সব গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পৌষের মাঝামাঝিতেই গাছে মুকুল আসাতে শুরু করেছে।

সাতক্ষীরা অঞ্চলে ৩৫ থেকে ৪০ জাতের আম চাষ হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গোপালভোগ, হিমসাগার, কৃষাণভোগ, মল্লিকা, লক্ষণা, আমরূপালি, দুধসর, দুধকলম, বিন্দাবনী, আরজান, রানীপসন, সিঁন্দুরী। সংশৃষ্টরা জানায়, ডিসেম্বরের শেষদিক থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় অবধি বারোমাসি বা লোকাল জাতের আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়। তবে এবার জানুয়ারির শুরুতেই মুকুল আসা শুরু হয়েছে। শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা ও ঘন কুয়াশার কারণে গাছের মুকুল নষ্ট হতে পারে।

ফলন ও কদর ভালো হওয়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠছে নতুন নতুন আমবাগান। ফলে দিনে দিনে এ অঞ্চলে আমচাষ বেড়েই চলেছে। শ্রমিক দিয়ে সারা বছর পরিচর্যা করা হয় আমবাগান। এতে বহু লোকের কর্মসংস্থানও হচ্ছে। বিনিয়োগ করা হচ্ছে বিপুল অংকের টাকা। এদিকে, গাছে গাছে মুকুলের সমারোহে আমবাগান হাতবদল হতে শুরু করেছে। আমের মুকুল বেশি হওয়ায় এবার বেশি দামে বাগান বিক্রি হচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রমের ব্যবসায়ীরা এরই মধ্যে সাতক্ষীরার বাগানগুলো কিনতে (এক মৌসুমের জন্য) শুরু করেছেন। সাতক্ষীরার আমের চাহিদা বিদেশে বেড়ে যাওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার ব্যবসায়ীরা বেশি আসছেন।

স্থানীয় আমচাষিরা জানান, মুকুলের ওপর ভিত্তি করেই বাগান কেনাবেচা হয়ে থাকে। এজন্য আমগাছ পরিচর্যার সঙ্গে সঙ্গে মুকুল রক্ষায় বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহারে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।সাতক্ষীরাঃ পৌষের কন কনে শীতে সাতক্ষীরা অঞ্চলের গাছে গাছে প্রস্ফুটিত হতে শুরু করেছে আমের মুকুল। ফাল্গুগুনের আগেই শোভিত হতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের আগাম জাতের আমের বাগান। গাছে গাছে শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালি মুকুল। তাই বাগানে বাগানে বাড়তি পরিচর্যা শুরু করেছেন এ অঞ্চলের চাষিরা।

কৃষি বিভাগ বলছে, এবার তীব্র শীতের প্রকোপ থাকার পরও আমের মুকুল এসেছে। তাদের ভাষ্য, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অপেক্ষাকৃত উষ্ণ এলাকায় কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুলের দেখা মিলেছে। ফাল্গুগুনের শুরুতেই এবার শতভাগ গাছে প্রস্ফুটিত হবে মুকুল। ততে গোপাল ভোগ গাছে মুকুল আসায় বেশ খুশি চাষিরা। তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ভরা শীতে গাছে মুকুল আসা তেমন ভালো নয়। কারণ আগেভাগে আসা মুকুল ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ফলে শঙ্কা রয়েছে আমের ফলন কমে যাওয়ার। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে, এসব মুকুলেও ভাল আম হবে। তবে নিয়ম মেনে মাঘের শেষদিকে যেসব গাছে মুকুল আসে, তাতে ভাল ফলন হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে।


আরও খবর



টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ। যেখানে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লংকান অধিনায়ক কুসল মেন্ডিস।

আজ শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলবে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে।

এ ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে লংকান শিবিরে একটি পরিবর্তন হয়েছে। মহেশ থিকশানার বদলে একাদশে এসেছেন দুনিথ ওয়েলালাগে।

এর আগে বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ৬ উইকেটে জিতে নেয়। এই জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় তারা।

বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মাহমুদউল্লাহ ও তানজিম হাসান।

শ্রীলংকা একাদশ: কুসল মেন্ডিস (অধিনায়ক), পাথুম নিসাঙ্কা, আভিশকা ফার্নান্দো, সাদিরা সামারাউইক্রামা, চারিথ আসালাঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, প্রামোদ মাদুশান, লাহিরু কুমারা, দিলশান মাদুশানকা।


আরও খবর



সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেওয়া মানুষটাকেই ভুলতে পারছেন না ফারিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ছোট পর্দার পরিচিত মুখ শবনম ফারিয়া। আগের মতো অভিনয়ে নিয়মিত নন এই অভিনেত্রী। মাঝেমধ্যে ওয়েব কনটেন্টে দেখা যায় তাকে। তবে এই অভিনেত্রী বেশ সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কাজের পাশাপাশি ব্যক্তিগত নানা বিষয় প্রায়ই শেয়ার করেন এই মাধ্যমে।

তারই ধারাবাহিকতায় এবার অভিনেত্রী লিখলেন, যেই মানুষটা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ইনজাস্টিস করেছে আমার সঙ্গে। আমি ভাবতাম, তাকে ভুলে যাওয়া সবচেয়ে সহজ! কিন্তু কি জানি এক অদ্ভুত কারণে, সেই মানুষটাকেই চেষ্টা করেও ভুলা যাচ্ছে না! দুনিয়ার সব লজিক, সব ডিবেট এই এক জায়গায় ভুল প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে!

তবে কথাগুলো কাকে ইঙ্গিত করে ফারিয়া লিখেছেন, তা স্পষ্ট করেননি। কারও কারও ধারণা- সাবেক স্বামী হারুনুর রশীদ অপুকে উদ্দেশ্য করে পোস্টটি দিয়েছেন তিনি।

ফারিয়ার পোস্টের মন্তব্যে একজন লিখেছেন, ক্ষতটা এত বেশি গভীরে যে চাইলেও দাগ মুছবে না। তাই ভুলতেও পারবে না।’

উত্তরে অভিনেত্রী লিখেছেন, আপু, না অত বেশি না! অল্প সময়ের ক্ষত, ঠিক না হইলেও এইটা নিয়ে জীবন পার করে দেওয়া যাবে! আরও বেশি সময় থাকলে পার করাটাও কঠিন হয়ে যেত!

এদিকে, কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে শবনম ফারিয়া অভিনীত ওয়েব সিরিজ মোবারকনামা’। যেখানে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। পর্দায় এই জুটির রসায়ন দর্শকমহলে বেশ প্রশংসিত।


আরও খবর



ইভ্যালির রাসেল-শামীমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চেক প্রতারণার পৃথক তিন মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার (০৪ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালত এ আদেশ দেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এসব মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। আসামিরা হাজির না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর আগে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়। ওইদিন আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রাসেলের জামিন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন আদালতে হাজির হননি।

এদিকে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মাদ রাসেল গত রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার কার্যক্রমে অংশ নেন।

সেখানে তিনি বলেন, ইভ্যালির কাছে প্রত্যেক পাওনাদারের দেনা পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে যারা অভিযোগ করেছেন অথবা যারা অভিযোগ করেননি সবাইকেই তালিকা অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হবে।


আরও খবর



গাজায় প্রথমবার বিমান থেকে ত্রাণ ফেলল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো বিমান থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা ফেলেছে। তিনটি সামরিক বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি খাবার ফেলা হয়েছে। জর্ডানের বিমানবাহিনীর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, এমন আরো সহায়তা তারা পাঠাবে গাজায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ১১২ জন নিহত হলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সহায়তার কাজে দ্রুতগতি আনবেন। সেদিন ইসরায়েলি হামলায় আরো ৭৬০ জন আহত হয় বলে জানায় হামাস।

বিমান থেকে এই সহায়তা এমন সময় দেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, গাজার ছয় সপ্তাহের একটা যুদ্ধবিরতি আনার সব রকম প্রস্তুতি চলমান। বাইডেন প্রশাসনের এই কর্তা শনিবার জানান, ইসরায়েল একটা নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রায় অনেকটা গ্রহণ করেছে।

নাম পরিচয় প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কর্তকর্তা বলেন, গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি আজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে, যদি হামাস নির্দিষ্ট কিছু যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়...যেগুলো হলো অসুস্থ, আহত, বয়স্ক ও নারী বন্দী।’

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার সি-১৩০ পরিবহন বিমান আকাশ থেকে ৩৮ হাজারের বেশি খাবার ফেলেছে গাজার উপকূলীয় অঞ্চলে। এতে আরো বলা হয়, এই সহায়তাগুলো গাজায় আরো বেশি সাহায্য আনার একটা প্রক্রিয়া, যার সঙ্গে যোগ হবে সড়ক পথে ও অন্যান্য পথে সহায়তা আনা।’

এর আগে অন্যান্য দেশ, যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিসর ও জর্ডান আকাশ থেকে গাজায় সহায়তা ফেলেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এমনটা প্রথমবার করলো।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃহস্পতিবারের হৃদয়বিদারক ঘটনা গাজার মানবেতর পরিস্থিতির থেকে বের হয়ে আসতে এখানে আরো বেশি মানবিক সহায়তার পৌঁছানোর বিষয়টি সামনে এনেছে।’

তবে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, এভাবে আকাশ থেকে সহায়তা ফেলা ত্রাণ বিতরণের একটি অকার্যকর উপায়। গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত মেধাত তাহের সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ত্রাণ সহায়তার এই পদ্ধতি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তিনি বলেন, এটা কি একটা স্কুলের জন্য যথেষ্ট হবে? ১০ হাজার লোক কি এতে চলতে পারবে? এভাবে প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলার চেয়ে বরং সীমান্ত দিয়ে সহায়তা আসা ভালো।’

শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা আরো বেশি মানুষ, যাদের সহায়তার দরকার সেখানে পৌঁছানোর জন্য বেশি করে ট্রাক ঢুকতে দেয় ও নতুন পথ খুলে দেয়।’

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সোমবার ওয়াশিংটনে যুদ্ধকালীন ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজের সঙ্গে দেখা করবেন যুদ্ধবিরতি ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে আলোচনায়।

বৃহস্পতিবার গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে এক ত্রাণের বহর ঘিরে ভিড় করলে সেখানে ১১২ জন হত্যা করা হয় এবং ৭৬০ জনেরও বেশি আহত হয়। গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমের দিকে উপকূলের রাস্তা আল-রাশিদ স্ট্রিট, যা সাম্প্রতিক সময়ে ত্রাণ বিতরণের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছিল, সেখানেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

হামাস বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, সেখানে সতর্কতার জন্য শুধু ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয় এবং মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়।

গাজা সাব অফিসে হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) বিষয়ক জাতিসংঘের সমন্বয়ক গিওর্গিওস পেত্রোপোলস বিবিসিকে বলেন, তিনি ও তার দল আল-শিফা হাসপাতালে গিয়ে প্রচুর গুলিবিদ্ধ মানুষ দেখতে পেয়েছেন।

এদিকে হামাস বলছে, ইসরায়েলি বোমার আঘাতে শনিবারও দক্ষিণ গাজার রাফাহ শিবিরে ১১ জন মারা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস এই হামলাকে জঘন্য’ বলে নিন্দা করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, তারা সেখানে ইসলামিক জিহাদের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একটা সুপরিকল্পিত ও নির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, উত্তর গাজায় একটা দুর্ভিক্ষ অতি অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠছে, সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে খুবই সামান্য সহায়তা যাচ্ছে এবং সেখানে প্রায় তিন লাখ মানুষের ভাগ্যে খুব সামান্যই খাবার ও বিশুদ্ধ পানি জুটছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীদের হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত ও ২৫৩ জনকে বন্দি করে নেওয়ার পর গাজায় এক তীব্র মাত্রার আকাশ ও স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ৩০ হাজারের ওপর মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যার মধ্যে ২১ হাজারই নারী ও শিশু। এর বাইরেও এখনো প্রায় সাত হাজার মানুষ নিখোঁজ এবং ৭০ হাজারের ওপর আহত হয়েছে।


আরও খবর



কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো মেজরের বাঁশির ফু-তে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করায় বিএনপির বড়াই করার কিছু নেই। কারণ জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বেতনভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার করেছি। ৫৩ বছরের মধ্যে ২৯টা বছর এই জাতির দুর্ভাগ্যের বছর। এ দেশের মানুষ ছিল শোষিত বঞ্চিত। সেই জাতিকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে, মুক্তিযুদ্ধ করে, স্বাধীনতার বিজয় এনে দেওয়া একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানকারীর জন্য সম্ভব।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন পাকিস্তানি সেনাদের পক্ষে চট্টগ্রামে মুক্তিকামী বাঙালির ওপর গুলি চালিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বিরোধিতা করে বিএনপি নেতারা চাদর পোড়ায়। তাহলে বিএনপি নেতাদের বাসায় স্ত্রীদের যে শাড়িগুলো রয়েছে সেগুলো কেন পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে না।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে পাল্টা প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা যদি পালিয়ে যায় তাহলে যুদ্ধটা করেছিল কে? সরকার গঠন এবং সেক্টর গঠন করে দায়িত্ব দিয়েছিল কে? আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে জিয়াউর রহমান ছিল বেতনভুক্ত কর্মচারী।


আরও খবর