আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সাতক্ষীরায় লকডাউনে কর্মহীন মানুষ, বাড়ছে চুরি ছিনতাই

প্রকাশিত:শনিবার ২৬ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৬ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সাতক্ষীরা থেকে দিলীপ কুমার দেব

সাতক্ষীরা জেলায় ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে অব্যাহত লকডাউনের কারণে প্রতি রাতে চুরি ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যাহত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নতুন করে মাদকাশক্ত হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এসব অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করছেন এলাকার মানুষ।

জানা গেছে, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী, ব্রক্ষ্মরাজপুর ও ধুলিহর ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে প্রায় দণন সপ্তাহ ধরে চোরেরা বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। এসব মালামালের মধ্যে রয়েছে, নিজস্ব খাবার জন্য রাখা ধান, মটর, মটর চালিত ভ্যান, বাই সাইকেল, মাছসহ এমনকি চোরেরা কবুতর চুরি করছে। চোরেরা চুরির সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বল করছে। গত শুক্রবার ব্রক্ষ্মরাজপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা  মোঃ আব্দুস সোবহান সরদারের বাড়িতে চেতনা নাশক দ্রব্য স্প্রে করে বাড়ির সবাইকে অজ্ঞান করে বাড়ির সব মালামাল নিয়ে গেছে।

একইভাবে ব্রক্ষ্মরাজপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান (হবির) বাড়িতে, ব্রক্ষ্মরাজপুর বড়খামার গ্রামের মোঃ আবদুল্লা মুহুরির বাড়ি  থেকে সকল মালামাল চুরি হয়েছে। ব্রক্ষ্মরাজপুর গ্রামের মোঃ আব্দূল ওহিদের বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি হয়েছে।

ব্রক্ষ্মরাজপুর দহাখোলা মোঃ ইনছাফ আলীর মাছের ঘেরে বিশ দিয়ে মাছ চুরি হয়েছে। একই এলাকার মোঃ রনির বাড়ি থেকে ইজি বাইকের ব্যাটারি চুরি হয়েছে। ধুলিহর ইউনিয়নের মোঃ আরশাদ আলীর বাড়ি থেকে ৬ বস্তা ধান, মোঃ লিটন মিস্ত্রীর বাড়ি থেকে মটর, মোঃ ইমরানের বাড়ি থেকে এক জোড়া কবুতর, মিন্টুর বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি হয়েছে।

চোরেরা মসজিদুল আকসা মসজিদের মটর চুরি করেছে। ফিংড়ী ইউনিয়নের বালিথা গ্রামের যবুলীগ নেতা মোঃ আব্দুর রাজাকের বাড়ি থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান চুরি ও বালিথা আলমগীরের বাড়ি থেকে বাই সাইকেল চুরি হয়েছে। এই তিন ইউনিয়নের মানুষ এখন রাত হলেই চুরি ও ছিনতাই আতংকে ভুগছেন।

এলাকার সচেতন মানুষদের ধারণা, পেশাদার চোর ছাড়াও জেলায় ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে অব্যাহত লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষ ও স্কুল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নতুন করে মাদকাশক্ত হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে এসব চুরির সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মি. তন্ময় জানান, সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ চিহ্নিত চোর ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত ও গ্রাম পুলিশদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



বিএসএমএমইউর ১২০ শিক্ষককে সনদ প্রদান

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) টিচিং মেথডোলজি বিষয়ক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১২০ জন শিক্ষককে সনদ প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ র্মাচ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের মেডিকেল এডুকেশন ডিভিশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হাতে এসব সনদ তুলে দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের মেডিকেল এডুকেশন ডিভিশন বিভিন্ন সময়ে ৪টি ব্যাচে ১২০ জন কর্মরত শিক্ষককে টিচিং মেথডোলজি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আরও দক্ষ করে তোলা।

সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পাল।

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর



প্রকৌশল গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) প্রকৌশল গুচ্ছের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ/লেভেল-১ এর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

আজ রোববার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল ও সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মো. মহি উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্যদের সমন্বয় সভার অনুমোদনক্রমে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি ও সদস্যসচিব এ ফলাফল ঘোষণা করেন। গত ৩ মার্চ প্রকৌশল গুচ্ছের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় সম্মিলিতভাবে (ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) গ্রুপে মেধাক্রম ১-১১৪৬২ পর্যন্ত এবং (স্থাপত্য বিভাগ) গ্রুপে মেধাক্রম ১-৭৬০ পর্যন্ত মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়।

আগামী ২৮ এপ্রিল (রোববার) সকাল ৯.৩০ মি. থেকে বিকেল ৩.৩০ মি. পর্যন্ত স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। এতে প্রথম পর্যায়ে গ্রুপে ১-৩৫০০ পর্যন্ত এবং গ্রুপে  ১-১২০ পর্যন্ত ভর্তিইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য নিরীক্ষা কমিটির কাছে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এ ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ক্ষেত্রে গ্রুপে ১-১৮ পর্যন্ত ও গ্রুপে ১-২ পর্যন্ত, গ্রুপে ১-২ পর্যন্ত বান্দরবান জেলার অধিবাসীদের জন্য গ্রুপে ১-২ পর্যন্ত ১ম পর্যায়ের মেধাক্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

ভর্তিইচ্ছুক মেধাস্থান প্রাপ্ত প্রার্থীদের ২১ এপ্রিল (রোববার) সকাল ৯টা থেকে লিংকে প্রবেশ করে Online Choice Form-এর প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের পছন্দক্রম প্রদান করতে হবে। Online Choice Form-এ প্রদানকৃত তথ্য ও পছন্দক্রম ২৭ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ৯টার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রার্থী প্রয়োজনে পরিবর্তন করতে পারবে এবং উক্ত সময় পর ভর্তির জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের Online Choice Form লক হয়ে যাবে।

এরপর আর কোনো তথ্য বা পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে না। পূরণকৃত ফরমের (প্রিন্ট) এক কপি ভর্তির সময়ে সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম চুয়েট, কুয়েট এবং রুয়েট কেন্দ্রসমূহে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থী যে কেন্দ্র থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে উক্ত কেন্দ্রেই উপস্থিত হয়ে ভর্তির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।

১ম পর্যায়ে উল্লিখিত মেধাক্রম, তারিখ ও সময়সূচি অনুযায়ী ভর্তিইচ্ছুক প্রার্থীদের ভর্তির জন্য নিরীক্ষা কমিটির কাছে উপস্থিত হবে। উক্ত দিনই নিরীক্ষা কমিটি দ্বারা প্রার্থীদের সনদপত্র যাচাইপূর্বক জমাদানের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পরের দিন ২৯ এপ্রিল সকালে ঘোষিত প্রার্থীদের প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগ দেখে কেবল ভর্তি কমিটির অনুমোদনকৃত স্বাস্থ্য পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের ভর্তির জন্য নির্ধারিত ১৮,৫০০ /= (আঠারো হাজার পাঁচ শ) টাকা ফি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশিত ব্যাংকে অথবা অনলাইনে বিকেল ৩টার মধ্যে জমা দিতে হবে।

ভর্তির জন্য সংরক্ষিত আসনসহ চুয়েটে ৯৩১টি, কুয়েটে ১ হাজার ৬৫টি এবং রুয়েটে ১ হাজার ২৩৫টি সর্বমোট ৩ হাজার ২৩১টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে চুয়েটে ১২টি বিভাগে ভর্তির জন্য নিয়মিত ৯২০ আসনের পাশাপাশি ১১টি উপজাতি কোটাসহ মোট ৯৩১টি আসন রয়েছে।

চুয়েটের বিভাগসমূহ হচ্ছে-সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, স্থাপত্য বিভাগ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, ম্যাটেরিয়ালস অ্যান্ড ম্যাটালার্জিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নে তদন্তের নামে আর ছাড় নয় : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে তদন্তের নামে আর কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ কমিটি করে তদন্ত হোক আর না হোক, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি-নিপীড়ন নিয়ে উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়ন নিরোধে কমিটি করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা আছেও। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্কুল-কলেজে কারও বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়ানোর অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়। সেখানে তদন্ত চলছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে।

এরপর তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের তদন্ত কমিটি তদন্ত করুক বা না করুক, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে এখন থেকে আর কোনো বাধা বা অজুহাত চলবে না।

ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অধিবেশন শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা ডিসিদের জানিয়েছি, দক্ষতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। ডিসিরা সবাই বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সৃষ্টি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ পাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। শিক্ষায় সরকারের এমন বিনিয়োগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে বড় সফলতা আসবে বলেও তারা মতামত দিয়েছেন।

অধিবেশন ও ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।


আরও খবর



বাপ-দাদার শেখানো পেশায় যাদের জীবন জীবিকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

এক সময় মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, ঘটি, মটকা, সরা, চারি, কাসা, কলস, ব্যাংক, প্রদীপ, পুতুল, কলকি, দেবদেবীর মূর্তি ও ঝাঝরের বিকল্প ছিল না তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিক, মেলামাইন, স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি নানা রকম আধুনিক সামগ্রী। তাই বর্তমানে বাজারে চাহিদা কম থাকায় এবং কাঁচামালের চড়ামূল্য ও পুঁজির অভাবে টিকতে না পাড়ায় সংকটে পড়েছে পাবনার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পীরা।

মৃৎশিল্পীরা জানান, বর্তমান মানুষের ব্যবহারিক জীবনে মৃৎশিল্পের তেমন কোন আর ভূমিকা নেই। প্রযুক্তি বিকাশের এ যুগে এই শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধিত না হওয়ায় বর্তমানে এই পেশায় টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে কালের আবর্তে বাপ-দাদার পেশা হারিয়ে যেতে চললেও এখনোও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাবনা চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌড়িপুর পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পীরা।

সরেজমিনে গৌড়িপুর পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই মাটির হাঁড়ি পাতিল তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছে কুমাররা, কেউ বা ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন সামগ্রী তৈরীতে, কেউ বা করছেন রং এভাবেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মব্যস্ততা।

পালপাড়ায় গিয়ে কথা হয় মায়া রাণীর সাথে তিনি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মাটির তৈজসপত্র তৈরী করে আসছেন তিনি। আগে মাটির সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর তেমন কোন চাহিদা নেই, তাই শীত মৌসুমে পিঠাপুলির সামগ্রী তৈরী করেই কোনোমতে চলছে তার সংসার।

এমনিতেই ব্যবসা চলে কম তার উপরে নেই রাস্তাঘাট তাই গৌড়িপুর পালপাড়া থেকে নিমাইচড়া বাজার পর্যন্ত পাকা সড়কের দাবি জানান তিনি।

মৃৎপাত্র পোড়ানোর সময় কথা হয় দুলাল পালের সাথে কথা হইলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে বাপ-দাদার শেখানো পেশায় কাজ করছেন। আগের দিনে বাজারে মৃৎপাত্রের প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন অনেকটাই কম। অন্য কোন কাজ না জানায় এই পেশাই আঁকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

দুলাল পাল আরও বলেন, পেশাগত প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণ পাননা তারা। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা মনে করেন, ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচাতে সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন।

কথা হয় বিকাশ পাল, সম্বল পাল, দরদী পাল ও সুবর্ণা পালের সঙ্গে, তারা এই প্রতিবেদককে জানান, এক সময়ে এই গ্রামে মৃৎশিল্পের রমরমা ব্যবসা ছিল। আগে গৌড়িপুর গ্রামে প্রায় ১১০টি ঘর মৃৎশিল্পের কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ পালরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখন ১০-১৫ টি ঘরে প্রায় ৩০-৩৫ জন পাল এই কাজের সাথে জড়িত বলে জানান তারা।

তারা আরও জানান, মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সরকারি কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা প্রণোদনা কোন দিন পেয়েছেন কি না তা তাদের জানা নেই। তারা বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও মৃৎশিল্পীদের শিল্প জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যদি আধুনিক করে গড়ে তোলা যায় তা হলেই কেবল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

কথা হয় গোপাল চন্দ্রপালের সঙ্গে তিনি বলেন, আগের দিনে মৃৎশিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন এঁটেল মাটি, রঙ, যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি ছিল সহজলভ্য। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। তারা জানান, পূর্বে যেখানে বিনামূল্যে মাটি সংগ্রহ করা যেত বর্তমানে সেই মাটি ১০-১২ হাজার টাকায় কিনতে হয়। আগে খড় কিনতে তাদের কোন টাকা পয়সা লাগতো না, এখন সেই এক বুঝা খড় ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাদের।

গোপালচন্দ্র পাল বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের হাতে তেমন কোন কাজ না থাকায় সে সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকেন তারা। তবে অনেক সময় মাটি কিনতে আইনি জটিলতায় পড়তে হয় তাদের।

বাড়ির উঠোনে পাত্রগুলোতে রং করতে দেখা যায় উজ্জ্বল কুমার পালকে, তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সাধারণত মৃৎপাত্রগুলো কুমার পরিবারের নারী-পুরুষ উভয়ে মিলেমিশে তৈরি করে থাকেন। এই তৈরিকৃত সামগ্রী বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কিনেন। অনেকে আবার বাড়ি বাড়ি ফেরি করেও বিক্রি করেন। বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় কুমারদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ যায়। সে সময় কুমাররা সারা বছর কাজ করার জন্য এঁটেল মাটিসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহে নেমে পড়েন। শুধু পাবনা নয়, গোটা দেশে এ পেশায় নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কারও যেন কোন মাথাব্যথাই নেই।

বাড়ির উঠোনে মাটির পাত্র তৈরি করছেন অনিতা পাল ও প্রার্থনা পাল তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগের দিনে তাদের ব্যবসা অনেক ভালো চলতো বর্তমানে মানুষ প্লাস্টিক, এ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করায় এখন কম চলে। তারা বলেন, আগে কলসিসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরী করলেও বর্তমানে তা ব্যবহার কম হওয়ায় এখন শুধু ঝাঁঝর, কাসা, হাঁড়ি পাতিল তৈরী করে থাকেন তারা। 

এবিষয়ে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভিন সুলতানা মুক্তি বলেন, তারা কখনও আমার কাছে কোন দাবি নিয়ে আসেনি। আমি আমার এলাকার অনেক সড়কের কাজ করেছি, তাদের সড়কের বিষয়েও কাজ করার চেষ্টা করবো এবং আমি সবসময় তাদের পাশে থাকবো।


আরও খবর



বগুড়ায় প্রায় ৬০ মেট্রিক টন মধু আহরণের লক্ষ্য

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া প্রতিনিধি

Image

বগুড়ায় চলতি মৌসুমে প্রায় তিন কোটি টাকার ৬২ মেট্রিকটন মধু উৎপাদন হয়েছে। তবে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল আড়াই কোটি টাকা মূলের ৬০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) বগুড়া বেসরকারিভাবে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চলতি রবি মৌসুমে সরিষা থেকে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করেছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা গেছে, বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারিভাবে মধু উৎপাদনের লক্ষ্য থাকলেও কয়েক বছর তা বন্ধ আছে। এরপরেও বিসিক বগুড়া নানাভাবে মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোক্তদের সহযোগিতা করে আসছে।

এরমধ্যে অন্যতম হলো সরিষা থেকে সংগৃহীত মধু। এছাড়া লিচু ও কালোজিরা থেকেও মধু সংগ্রহ করবেন মৌমাছি প্রতিপালনকারী উদ্যোক্তরা।

বিসিক সূত্রে আরও জানা গেছে, সরিষা ফুলে উৎপাদিত মধুর কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, লিচুর মধু ৫০০ এবং কালোজিরা থেকে উৎপাদিত মধু বিক্রি হয় প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি মধুর গড় দাম ৪শ টাকা ধরলে বগুড়ায় এ মৌসুমে উৎপাদিত মধুর মূল্য দাঁড়ায় দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া সূত্র বলছে, গত বছর রবি শস্য চাষ মৌসুমে সরিষার ফুল থেকে সাড়ে ১৭ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন হয়। আর চলতি মৌসুমে প্রায় এক কোটি টাকার ৩০ মেট্রিকটন মধু উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

মোট ১৪২ জন উদ্যোক্ততা বগুড়ার মাঠে থাকা সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহে তাদের প্রতিপালিত মৌমাছি নিয়ে কাজ করছেন।

মধু উৎপাদনকারী উদ্যোক্তরা বলছেন, সরিষা চাষ মৌসুমে প্রতিটি বাক্স থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। তবে সেক্ষেত্রে আবহাওয়া রৌদ্রোজ্জ্বল থাকতে হয়। আগাম ও নাবী সরিষা চাষের ফলে প্রায় তিন মাস শুধু সরিষার ফুল থেকে সর্বাধিক পরিমাণ মধু সংগ্রহ হয়। সরিষার পর বরই, আম, লিচুর ফুল থেকেও মধু সংগ্রহ হয়।

শীতকালে কালোজিরা, জ্যৈষ্ঠ মাসে তিল ও বাদাম ফুল থেকে শেষ মধু সংগ্রহ করা হয়। ৫০টি মৌবাক্স থেকে প্রায় ১১০ কেজি মধু সংগ্রহ হয়। মধু সংগ্রহ করতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। বছরের প্রায় ছমাস মধু সংগ্রহ করা গেলেও আষাঢ় থেকে অগ্রহায়ণ এই ছমাস মৌমাছিকে বিকল্প খাবার দিতে হয়।

দুই ভাগ চিনি ও এক ভাগ পানি মিশিয়ে সিরাপ তৈরি করে মৌমাছির বিকল্প খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। ফাউল ব্রুড রোগ মৌমাছির একটি মারাত্মক ব্যাধি। এছাড়াও আরও কিছু সংক্রামক রোগ ও উপদ্রবের কারণে মৌচাক নষ্ট হয়ে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-সহকারি পরিচালক ফরিদুর রহমান বলেন, সরিষার জমি থেকে মধু সংগ্রহ করতে জেলায় ১৪২ জন উদ্যোক্তা কাজ করছেন। গত বছর সাড়ে ১৭ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহ হলেও এবার ৩০ মেট্রিকটন মধু সংগ্রহের লক্ষ্য রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মৌমাছি সরিষার ফুল থেকে মধু সংগ্রহের ফলে ফলনও বাড়ে।

বিসিক জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম মাহফুজুর রহমান বলেন, মধু উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিসিক বগুড়া জেলা কার্যালয় নানাভাবে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করছে। বিশেষ করে বাজারজাতকরণে বিসিকর খাঁটি মানের নিশ্চিয়তা ও বিভিন্ন মেলাতে স্টল বরাদ্দে ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়াও মধু চাষে মৌমাছি প্রতিপালন ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে মধু উৎপাদনে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থাকলেও বর্তমানে তা বন্ধ আছে। তবে খুব দ্রুতই নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে আবারও সরকারিভাবে মধু উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর