আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সাতক্ষীরায় ট্রাকের ধাক্কায় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

Image

সাতক্ষীরার বিনেরপোতায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। রোববার রাত ৮টার দিকে সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা ব্রীজের পশ্চিম পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, পাটকেলঘাটা ডাকবাংলোর তত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলামের ছেলে আকাশ হোসেন (১৭) ও পাটকেলঘাটা কালিবাড়ি এলাকার নিমাই সরকারের ছেলে অংকুশ সরকার (১৭)। তারা দুজনই পাটকেলঘাটা বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের ছাত্র। তারা রোববারের পরীক্ষায়ও অংশ নিয়েছিল।

আরও পড়ুন>> সাতক্ষীরায় বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন

পাটকেলঘাটা হারুণ-অর-রশিদ কলেজের শিক্ষক নাজমুল হক জানান, আকাশ ও অংকুশ সন্ধ্যার দিকে পালসার মোটরসাইকেল নিয়ে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বিনেরপোতা ব্রীজ পার হয়ে অল্প একটু যেতেই বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় তারা। আকাশ মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল বলে জানা গেছে।

সাতক্ষীরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শিমুল রানা জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে কিশোর দুছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। মোটরসাইকেলটি ট্রাকের ধাক্কায় চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। ট্রাকটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে গেছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের জন্য করা নিরাপত্তা আইন বাতিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য প্রণীত জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯বাতিল করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এ আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজকের বৈঠকের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ বাতিলের প্রস্তাব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ১৫ মে উক্ত আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়। কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে।

এতে বলা হয়, বর্তমানে সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে বলে এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই আইনটি রহিতকল্পে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়।


আরও খবর



ঢামেকে চিকিৎসকদের উপর হামলা, গাইবান্ধায় গ্রেফতার সঞ্জয় পাল

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত সঞ্জয় পাল জয়কে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেলে হামলায় জড়িত থাকা সঞ্জয় পাল জয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

ঢামেকে চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার ছিল দিনভর উত্তেজনা। হামলাকারীদের গ্রেফতার-বিচার, নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করাসহ চার দফা দাবিতে গতকাল রোববার সকাল থেকে কমপ্লিট শাটডাউন (কর্মবিরতি) পালন করেন দেশের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

চিকিৎসক ও রোগীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়। ঢাকা মেডিকেলের অফিস সহায়ক আমির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

পরে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে কর্মবিরতি স্থগিত করে প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কাজে ফেরেন চিকিৎসকেরা। আজ সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন তারা।

দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিউবিটি) শিক্ষক শাহরিয়ার অর্ণবসহ চারজনের নাম আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অপর তিন আসামি হলেন- সঞ্জয় পাল জয়, সিহাব তুর্জ ও সাইমি নাজ শয়ন। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরইমধ্যে মামলায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতারের খবর এল।


আরও খবর



চট্টগ্রাম নগরীর ৪৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে চসিক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

টানাবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধ্বসের কারণে সৃষ্ট দূর্যোগে নগরীর ৪৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। আশ্রয়কেন্দ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের মধ্যে বিতরণের জন্য ৬ হাজার প্যাকেট খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। দুর্যোগের কারণে চসিকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটিসহ সব ধরণের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জনসাধারণের যানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে চালু করা হয়েছে জরুরী কন্ট্রোল রুম। দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত এ কন্ট্রোল রুম ২৪ ঘন্টা জনগনের সেবায় কাজ করবে। কন্ট্রোল রুমের নাম্বর ০২৩৩৩৩৬৩০৭৩৯।

বৃহস্পতিবার চসিক ভবনের কনফারেন্স রুমে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্ত্বে এক জরুরি সভায় অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধ্বস থেকে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে চসিকের প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম মহোদয় কুইক রেসপন্স টিম গঠনসহ বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুসারে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের জন্য ৭টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা জনগণকে দ্রুত নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া এবং তাদেরকে ত্রাণ সামগ্রী, প্রয়োজনীয় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে ৭টি টিম কাজ করছে। এছাড়া এম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় ঔষুধ মজুদ সহ ৩টি জরুরী মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি চসিকের ৫৪টি হেলথ কমপ্লেক্স নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ জনসাধারনের জন্য ৬ হাজার প্যাকেট খিচুড়ি, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন, জরুরী ঔষধ, এম্বুলেন্সসহ পর্যাপ্ত যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেখানে জরুরী কুইক রেসপন্স টিম উদ্ধার কাজ সহ যাবতীয় সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে নাগরিকদের সরে যেতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় চসিকের কর্মীরা দুর্যোগপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে মাইকিং শুরু করেছে।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



ভারতে বিক্ষোভ দমনে স্কুল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে বিক্ষোভ যেন থামছেই না। সম্প্রতি কলকাতায় এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দেশজুড়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে। এরই মধ্যেই নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে মুম্বাইয়ের কাছের বলদাপুর শহরে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মুম্বাইয়ের বলদাপুর শহরে চার বছর বয়সি দুই শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে বুধবার (২১ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনের মতো শহরটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ সেখানকার সব স্কুল ও ইন্টারনেট-সেবা বন্ধ করে দিয়েছে।

বলদাপুরের ডিসিপি সুধাকর পাথারে বলেছেন, বিক্ষোভ এবং পরবর্তী সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে শহরে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।

দুই শিশু শিক্ষার্থীকে হয়রানির অভিযোগে ইতোমধ্যে স্কুলের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ ও তিনজন স্টাফকে বরখাস্ত করেছে।

অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বলদাপুর রেলওয়ে স্টেশনে কয়েক ঘণ্টা রেললাইন অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয় পুলিশ লাঠিপেটা করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ করলে অন্তত ১৭ জন পুলিশ এবং আটজন রেল পুলিশ আহত হন।

পরে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে শহরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, চার বছর বয়সী ওই দুই শিশু বলদাপুর শহরের সামনের সারির একটি প্রাক-প্রাথমিক স্কুলে পড়ে। ওই স্কুলে ছেলে-মেয়ে সবাই একসঙ্গে পড়ে।

অভিযোগে বলা হয়, চলতি মাসের ১২ ও ১৩ তারিখ অক্ষয় সিন্ধে নামের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী ওই দুই শিশুকে যৌন হয়রানি করেন। মেয়েদের শৌচাগারে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে তেমন নারী তত্ত্বাবধায়কও ছিলেন না। অভিযুক্তকে গত ১ আগস্ট চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।

এই দুই শিশুর একজন বাড়িতে গিয়ে তার মা-বাবার কাছে স্পর্শকাতর জায়গায় ব্যথা ও তার সঙ্গে কী হয়েছে, তা খুলে বলে। ওই অভিভাবক অবাক হন, যখন তারা জানতে পারেন একই অভিজ্ঞতা আরেক শিশুরও হয়েছে। এ নিয়ে ১৬ আগস্ট রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় স্কুলের অধ্যক্ষ ও তিনজন স্টাফকে বরখাস্ত করেছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে আসছে।

মহরাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, মামলার বিচার হবে দ্রুত বিচার আদালতে। এছাড়া চলমান বিক্ষোভকে রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন তিনি।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতজুড়ে আউটডোর সেবা বন্ধ রাখার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ভারতজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএএম)।

কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। এর মধ্যেই দেশজুড়ে আউটডোরে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে দেশটির চিকিৎসক সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএএম)। দেশটির সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এই কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।

পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল থেকে জরুরি সেবা চালু থাকলেও বন্ধ আউটডোর সেবা।

আইএএমর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকরা হাসপাতালের আউটডোরে শনিবার সকাল থেকে বসতে পারবেন না। বেসরকারি হাসপাতাল বা চেম্বারের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কর্মবিরোধী পালন করতে হবে।

তাছাড়া সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে। সেগুলো মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সুরক্ষিত করতে হবে হাসপাতালের নিরাপত্তা। হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন করতে হবে নিরাপত্তা কর্মী, বসাতে হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালকে সেফ জোন হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।

আইএএম সদস্য ডা. কুশল ভৌমিক বলেন, আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পরে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে আমরা আউটডোর সেবা বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছি। তবে জরুরি সেবা চালু আছে। শনিবার থেকে রোববার (১৮ আগষ্ট) পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে। আশা করছি, রাজ্যের মানুষ আমাদের পাশে থাকবে।

কলকাতার পার্শ্ববর্তী শহরাঞ্চল পানিহাটির সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক এসএন ভট্টাচার্য বলেছেন, আমাদের হাসপাতালে জরুরি ও ইনডোর সেবা চালু রয়েছে। অতিরিক্ত চিকিৎসকও দেওয়া হয়েছে। তবে আউটডোরে কোনো চিকিৎসক বসেননি। এখন পর্যন্ত রোগীদের থেকে কোনো অভিযোগও পাইনি।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪