আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সাভারে আবাসিক এলাকায় রাইস মিল: বিপর্যস্ত জনজীবন ও পরিবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সরকারি নীতিমালা অনুসারে অটো রাইস মিল করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, ট্রেড লাইসেন্স, শিল্প সনদ, ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স, ফুড লাইসেন্স এবং চকিদারি খাজনা রশিদ প্রদান করে অটোরাইস মিল স্থাপন করার কথা এবং আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা ব্যতিরেকে অটো রাইস মিল স্থাপন করার নির্দেশনা রয়েছে।

কিন্তু শিল্পাঞ্চল ও জনবহুল সাভারে উপজেলায় বেশিরভাগ রাইস মিল গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকায়। শুধু তাই নয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশেও কিছু কিছু প্রভাবশালী ব্যাবসায়ীরা গড়ে তুলেছেন অটো রাইস মিল। এতে ধোঁয়া, ছাই ও শব্দদূষণে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জনজীবন। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেই সাথে মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।

সাভার-আশুলিয়ার এ সকল রাইস মিলের কারো কারো পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র থাকলেও নিবন্ধন নেই খাদ্য অধিদপ্তরের।

একটি অটো রাইস মিল কারখানায় প্রিলি ক্লিনার, প্যাডি ক্লিনার, বয়লার, ড্রায়ার পেডি হাস্কার, পেডি সেপারেটর, রোটারি শিফটার, লেন্থ গ্রেডার, কালার সার্টার, ডিস্টোনার, থিকনেস গ্রেডার, হোয়াইটনার, সিল্কি পলিশার যন্ত্রপাতি গুলো যথাযথভাবে থাকতে হয়। কিন্তু অধিকাংশ অটো রাইস মিলে এ সকল যন্ত্রপাতি নাই, কারো কারো থাকলেও খরচ বেড়ে যাওয়ার ভয়ে সেগুলোর সঠিক ব্যবহার করছে না তারা। যার ফলে এসকল রাইস মিলের উৎপাদিত চাউলের মান যেমন ঠিক থাকছে না, অন্যদিকে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে খুব সহজেই।

যেমন সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি আনাইল বাড়ি এলাকায় মেসার্স ভান্ডারী অটো রাইস মিলের খাদ্য অধিদপ্তর লাইসেন্সের তালিকায় নাম থাকলেও একই ইউনিয়নের ঘনকপাড়া এলাকার সোনালী অটো রাইস মিলের নাম পাওয়া যায়নি ঐ তালিকায়। এছাড়া এই ইউনিয়নের তিনটি রাইস মিল সহ সাভার উপজেলায় অবস্থিত বেশিরভাগ রাইস মিল আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে, এবং বেশিরভাগই রয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির বাহিরে।

শিমুলিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা তুহিন জানান মেসার্স ভান্ডারী অটো রাইস মিল কারখানাটি আবাসিক এলাকার ব্যস্ততম চলাচলের  রাস্তা ঘেঁষে স্থাপিত। তাদের ধান গমের গাড়ি যখন আসে ঘন্টার পর ঘন্টা ওই রাস্তায় জ্যাম পড়ে থাকে। এতে জরুরি মুহূর্তে একটি রিক্সা নিয়েও পারাপার হওয়ার জায়গা থাকে না। ধোঁয়া এবং ছাইয়ের ভোগান্তি তো আছেই। যখন তাদের ধোঁয়া ছাড়া শুরু করে আশেপাশে পাঁচ মিনিট দাঁড়ানো সম্ভব হয় না। তাছাড়া রাইস মিলটির দুই আড়াইশো গজের মধ্যে রয়েছে একটি স্কুল।

এ বিষয়ে জানতে ভান্ডারি রাইস মিলের মালিক ইব্রাহিমের মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এছাড়াও শিমুলিয়া গোয়ালবাড়ি বাজার হুমায়ূন কবির মালিকানাধীন রোহিজ সরকার রাইস মিল খাদ্য অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত হলেও কার্যক্রম পরিচালনা করতে নেই কোন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, বয়লার ব্যবস্থা ও ধোঁয়া ও ছাই সরানোর  স্লাইক্লোন প্রযুক্তি।

রোহিজ রাইস মিল মালিক হুমায়ুন কবিরের নাম্বারে ফোন করলে তার ভাই জাহাঙ্গীর আজকের দর্পণ কে বলেন, 'আমাদের রাইস মিলের তেমন কোন কার্যক্রম এখন আর নেই। তবে শুধু গৃহস্থদের ধান ভাঙ্গানো ও ছাঁটাই এর কাজ করে থাকি'। খাদ্য অধিদপ্তরে তালিকাভুক্ত হওয়ায়, ধান ও খাদ্যজাত পণ্য গুদামজাত ও সরকারের কাছে খাদ্যশস্য বিক্রি বা গ্রহণ করছেন কিনা জানতে চাইলে,  তিনি তা অস্বীকার করেন।

অটো রাইস মিল অনুমোদনের আগে ধোঁয়া ও ছাই নিষ্কাশনে স্লাইক্লোন প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ মিল মালিকরা তা করেননি। যদিও কেউ কেউ এই প্রযুক্তি স্থাপন করেছে, কিন্তু বিদ্যুৎ বিল ও খরচ বাঁচাতে তা বন্ধ রাখছেন বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। এতে ধান ক্রাশিংয়ের সময় ধোয়া ও ছাই আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করছে।

ধোঁয়া ও ছাই অপসারণের স্লাইক্লোন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে, সাভারের গনকপাড়ায় অবস্থিত সোনালী অটো রাইস মিলের মালিক জসিম উদ্দীন বলেন, ধোঁয়া ও ছাই অপসারণের স্লাইক্লোন প্রযুক্তি কি, এ সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নেই, আমি কখনো এর নাম শুনিনি, আমারটা ফুল অটো রাইস মিল সেমিঅটো না ভাই। আর ধোঁয়া সামান্য বাহিরে যায় তাও অনেক উপরদিয়ে। ধোঁয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কেউ আমার কাছে কখনো অভিযোগ করেনি।

সাভার উপজেলার নয়ার হাট আমগাছি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা শরিফ উদ্দিন বলেন, আমরা যে অসুবিধায় আছি তা দেখার কেউ নাই। মিতালি অটো রাইস মিল থেকে নদীর পাশ দিয়ে যেভাবে ছাই যায় এতে করে মানুষের অনেক সমস্যা হয়, এগুলো ধরা উচিত, সে অটো রাইস মিল করেছে আবাসিক এলাকায়, তার মিলের পাশে আমার জায়গা আছে, আমি যে বাড়ি করব তার কোন উপায় নাই। রাইস মিলের ধোঁয়া আসে রাইস মিলের ছাই আসে। পরিবেশ অধিদপ্তরে আমরা অনেকবার জানাইছি অভিযোগ করছি তারা কি  করে বুঝিনা। ছাই এবং ধুলাবালি উড়ে আইসা কি একটা অবস্থা। গ্রামের মানুষ থাকাই যায় না এদের কারণে।

নয়ারহাট আমগাছিয়া শাহ-ই আলম মালিকানাধীন মেসার্স মিতালী রাইস মিল এর ম্যানেজার তারা মিয়া বলেন, আমাদের রাইস মিল পুরোপুরি অটো রাইস মিল আমাদের সব ধরনের প্রযুক্তি আছে, এবং সবগুলো আমরা সঠিক মত ব্যবহার করছি, সবকিছু একদম কমপ্লিট আমাদের কোন কাগজের ফাঁকফোকর নাই। প্রতিমাসে খাদ্য অধিদপ্তরের ফরম করে জমা দিয়ে দিই সাভারে।

আবাসিক এলাকায় রাইস মিল হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এগুলো হলো মানুষের ভুল ধারণা, ধামরাইতে পৌরসভার ভিতরে অটো রাইস মিল আছে আমাদেরটা তো নদীর পাড়ে, অনেক কিছু কিছু মানুষ আছে তারা এসব অভিযোগ করে। আমাদের এখানে আসলে বুঝতে পারবেন। এটা তো একটু স্বাভাবিক, মনে করেন দেশে আমি বাস করি, আমার পক্ষে ১০ জন থাকে ভালো বলে, ৫ জন খারাপ বলবেই এই ধরনের।

খাদ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের চাউল সংগ্রহ ও নিয়ন্ত্রণ আদেশ প্রজ্ঞাপন ২০০৮ এ ৪ এর ১ এ বলা হয়েছে, ধান ছাটাই করন ও এ সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারের নিকট হইতে লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিরেকে কোন ব্যক্তি শক্তিচালিত যন্ত্রপাতি দ্বারা ধান ছাটাই করণ, ধান ও চাউল ক্রয় বিক্রয় এবং চাউলজাত দ্রব্যাদি প্রস্তুতকরণ ও বিক্রয় সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না।

রাইস মিলগুলোর চাউল এর মান ঠিক রাখতে যেহেতু প্রজ্ঞাপনের ৫ এর ৪নং এ বলা হয়েছে প্রত্যেক লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তি তাহার চাউল কলে মজুদ সংগৃহীত ছাটাইকৃত বিলিকৃত এবং অবশিষ্ট ধান ও চাউল সম্পর্কে প্রতি ১৫ দিন অন্তর একটি প্রতিবেদন ফরম এবং চাউল কলের জন্য মজুদকৃত ধান ও চাউলের পরিমাণ ও গুদামের অবস্থান সম্পর্কে ঘোষণাপত্র ফরম, সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি কমিশনারের নিকট দাখিল করিবেন। সে  ক্ষেত্রে অধিকাংশ রাইস মিলের খাদ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স না থাকায়, তাদের ছাঁটাইকৃত ও বাজারজাত চালের মান সম্পর্কে যাচাই করার কোন সুযোগ থাকছে না।

২০১৮ সাল পর্যন্ত খাদ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্যে, সাভার উপজেলায় মাত্র ১২টি রাইস মিলের লাইসেন্স তালিকায় নাম পাওয়া যায়। খোঁজ নিয়ে দেখা যার অধিকাংশই অনেক দিন আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এছাড়া নতুন যারা ব্যবসা শুরু করেছেন তাদের তালিকা হয়নি অনেকেরই।

খাদ্য অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা আঞ্চলিক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান আজকের দর্পণ কে বলেন, 'সাভারে ১২ টি অটো রাইস মিল তালিকা ভুক্ত রয়েছে। তালিকা বহির্ভূত অটো রাইস মিল থাকতেই পারে, যারা অটো রাইস মিল ময়দা মিল করবে তাদেরকে আমরা ছাড়পত্র দিব। তবে তালিকাভুক্ত হতেই হবে এটা কোন জরুরী না। যদি কেউ আমাদের তালিকাভুক্ত হতে চায় তখন আমরা তাদের সবকিছু চেক করে দেখি মানোন্নয়ন ঠিক আছে কিনা। যদি তালিকাভুক্ত হয় তখন ময়দা তৈরি চাউল তৈরি করার ক্ষেত্রে গম ও ধান সরকারি রেটে নিতে পারবে, এবং চাল উৎপাদন করে আবার বিক্রি করতে পারবে। মান ঠিক রাখার জন্য আমি শিওর না, যেহেতু আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। আমাদের নির্দেশনা দিলে আমরা শুধু গিয়ে পরিদর্শন করি দেখি, আমাদের ক্রাইটেরিয়ার ভিতরে আছে কিনা'।

এ বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক  জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তিনি ফোনে রিসিভ করেননি।

আশুলিয়া উন্নয়ন ফোরামের সেক্রেটারি ব্যারিস্টার বাকের হোসেন মৃধা বলেন, আশুলিয়া একটি জনবহুল শিল্পাঞ্চল এলাকা, এই আবাসিক এলাকায় অটো রাইস মিল থাকাটা অবশ্যই পরিবেশবিরোধী ও সাধারন মানুষের স্বাস্থ্য বিরোধী। যেহেতু কর্তৃপক্ষ আবাসিক এলাকার এই রাইস মিল গুলোর তদারকি ঠিকমতো করতে পারছে না, তাই এটা অতি দ্রুত বন্ধ হওয়া উচিত। এটা যদি নিউজ হয় আমরা কোর্টে রিট করব। অনেক মিল মালিকদের পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তারা রাইস মিলগুলো পরিচালনা করছে, এটা বন্ধ হওয়া উচিত। পরিবেশ অধিদপ্তরের এ বিষয়ে আরো তদারকি করা উচিত বলে আমি মনে করি। যেন আমাদের আবাসিক এলাকায় সাধারণ জনগণ ও পরিবেশের ক্ষতি সাধন না হয়। এ ব্যাপারে আমররা আশুলিয়া বাসীর স্বার্থে প্রয়োজনে কোর্টে রিট করব'।

পরিবেশে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (ঢাকা অঞ্চল) মুক্তাদির হাসান জানান, এ এলাকা(সাভার) আমি দেখিনা। আমিত বিভাগে কাজ করি। ওখানে অন্য কর্মকর্তা রয়েছেন। তার সাথে যোগাযোগ করেন।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদারের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

পরিবেশে অধিদফতরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-পরিচালক বেগম শাহানাজ রহমান আজকের দর্পণ কে বলেন, পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে এই বিষয়টি জানিয়ে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা হবে। আবাসিক এলাকায় রাইস মিল চালানোর ক্ষেত্রে যদি আমাদের ছাড়পত্র থেকে থাকে, তাহলে হয়তো চেয়ারম্যান সাটিফিকেট আশেপাশের মানুষের নো অবজেকশন ছিল এরকম অনেক গুলো বিষয় দেখেই তাদের ছাড়পত্র দিছে। অভিযোগের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয় চেক করা হবে।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




চরফ্যাশনে দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

ভোলার চরফ্যাশনে কেক কাটা ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে তরুণ প্রজন্মের জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ পত্রিকার ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে চরফ্যাশন সদর জেলা পরিষদ মার্কেটে অবস্থিত আজকের দর্পণ পত্রিকার অফিস কার্যালয়ে এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

দৈনিক আজকের দর্পনের চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি মামুন হোসাইনর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পত্রিকাটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে বক্তব্য রাখেন চরফ্যাশন প্রেসক্লাব সদস্য ও দৈনিক দেশ রূপান্তর প্রতিনিধি জিল্লুর রহমান তুহিন, বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি, অনলাইন পোর্টাল সময়ের খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক ইয়াছিন আরাফাত, নির্বাহী সদস্য ও দৈনিক যুগান্তরের প্রতিনিধি এম আমির হোসেন, আজকের রূপান্তরের নির্বাহী সম্পাদক শরিফুল আলম সোয়েব, বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন চরফ্যাশন উপজেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি নোমান সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি মিজান নয়ন, সহসভাপতি ও দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধি জামাল মোল্লা, সহ সভাপতি ও দৈনিক কালের কন্ঠ প্রতিনিধি কামরুল সিকদার, যুগ্ম সম্পাদক ও দৈনিক মানব জমিন প্রতিনিধি শাহাবুদ্দিন সিকদার, দৈনিক যায়যায়দিন প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ও  দৈনিক জনতা প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান নাজমুল প্রমুখ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আলোকিত বরিশাল প্রতিনিধি নাফিস পাটোয়ারী, সংবাদ সারাবেলা প্রতিনিধি হাসান লিটন, ঢাকা প্রতিদিন প্রতিনিধি কামরুজ্জামান শাহীন , স্বদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি সজিব শাহরিয়ার, নবচেতনা প্রতিনিধি ইসরাফিল নাইম। আজকের রূপান্তরের সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি সোহাগ হাওলাদারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি মামুন হোসাইন 'আজকের দর্পণ' পত্রিকার জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনাসহ আজকের দর্পণ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা পিরোজপুর-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং পত্রিকাটির সম্পাদক এস.এম নূরে আলম সিদ্দিকীর সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করেন।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সবার জন্য আমার জীবনের দরজা খুলে দেওয়া যাক: সেলেনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

তাঁকে ইনস্টাগ্রামের রানি বলাই যায়। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেলেনা গোমেজের অনুসারীসংখ্যা ৪২ কোটি ৯০ লাখের বেশি। ইনস্টাগ্রামে অন্য কোনো নারীর এত অনুসারী নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত বিপুলসংখ্যক অনুসারী নিয়ে এই গায়িকা-অভিনেত্রী কী ভাবেন? সংগীতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়েইবা তাঁর প্রতিক্রিয়া কী?

মঙ্গলবার ইউনিভার্সেল মিউজিক গ্রুপ ও থ্রাইব গ্লোবাল মিউজিক অ্যান্ড হেলথ কনফারেন্সে হাজির হয়ে এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন সেলেনা। তাঁর বক্তব্য নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হলিউড রিপোর্টার।

এটা আমার জন্য অনেক চাপের, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপুলসংখ্যক অনুসারী নিয়ে বলেন সেলেনা। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তরুণেরা নানা বিষয়ে আমার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেন। নারীদের কেউ হয়তো বিচ্ছেদ নিয়ে বলেন, কেউ বলেন কেমোথেরাপির অভিজ্ঞতা নিয়ে। আমি সব সময় তাঁদের উৎসাহকে স্বাগত জানাই। তবে এটা অনেক বড় দায়িত্ব, একটু চাপেরও বটে।

গানের সঙ্গে ইদানীং অভিনয়েও নিয়মিত, প্রযোজনাও করছেন। নিজে দীর্ঘ সময় মানসিক অবসাদে ভুগেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রায়ই বলতে শোনা যায় সেলেনাকে। এ বিষয়ে কি বই লেখার ইচ্ছা আছে? না। আমি ততটা জ্ঞানী নই। মনে হয় না, এটা আমি করব (বই লেখা)। তবে কে জানে, একদিন হয়তো আগ্রহী হতেও পারি। তবে এখন অবশ্যই নয়, বলেন তিনি।

বছর কয়েক আগে সেলেনা গোমেজের জীবন নিয়ে নির্মিত হয় তথ্যচিত্র মাই মাইন্ড অ্যান্ড মি। অ্যাপল টিভি প্লাসে প্রচারিত সেই তথ্যচিত্রে নিজের শারীরিক, মানসিক অসুস্থতা, জাস্টিন বিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে নানা প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছিলেন।

সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন ওই তথ্যচিত্র প্রসঙ্গেও, আইডিয়াটা শোনার পর মনে হয়েছিল, এটা (তথ্যচিত্র) আমার বিপক্ষে যাবে। অনেক দিন তাই সংশয়ে ছিলাম। একদিন মনে হলো, সবার জন্য আমার জীবনের দরজা খুলে দেওয়া যাক। যখন মুক্তি পেল, তখন মনে হয়েছিল, ঘাড় থেকে বড় একটা বোঝা নেমে গেল। মুক্তির আগপর্যন্ত চাপ অনুভব করছিলাম। আমি নিজে হয়তো তথ্যচিত্রটি আর দেখব না, তবে শেষ পর্যন্ত যে এটা করতে রাজি হয়েছি, সে জন্য গর্বিত।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে হলিউডে। এ প্রসঙ্গে সেলেনা বলেন, আমার মনে হয় না, আমার কোনো সহকর্মী এটিকে স্বাগত জানাবেন। এটা আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়। তবে এটাও মনে হয়, এআই কখনো মানুষের জায়গা নিতে পারবে না।

সেলেনা মূলত গানের মানুষ হলেও অনেক দিন ধরেই গান থেকে দূরে। তাঁর ভক্তদের জন্য সুখবর, শিগগিরই মুক্তি পাবে তাঁর নতুন সিঙ্গেল। এ ছাড়া আসবে অ্যালবামের ঘোষণাও। আগামী মাসে বড় একটি কার্যক্রমও শুরু করতে যাচ্ছেন সেলেনা। তাঁর অলাভজনক সংস্থা রেয়ার ইমপ্যাক্ট ফান্ড প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান। এই গালা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হবে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে।

নিউজ ট্যাগ: সেলেনা গোমেজ

আরও খবর
রণবীরের জন্মদিনে স্মৃতিকাতর আলিয়া

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জয়ের জন্মদিনে বীরের শুভেচ্ছা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে : এডিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ২০২৪ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০২৩ অর্থবছরে এই প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ০ শতাংশ। গতকাল বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত সর্বশেষ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি এবং ইউরো এলাকায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের কারণে ভালো রপ্তানি প্রবৃদ্ধি উন্নতিকে প্রতিফলিত হবে। মুদ্রাস্ফীতি ২০২৩-এ ৯ দশমিক ০ শতাংশ থেকে ২০২৪-এ ৬ দশমিক ৬ শতাংশে হ্রাস পাওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি হিসেবে ঘাটতি কিছুটা সংকুচিত হয়ে ২০২৩-এর জিডিপি-এর ০ দশমিক ৭ ভাগ থেকে ২০২৪-এ জিডিপি-এর ০ দশমিক ৫ ভাগ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে কম হলে রপ্তানি প্রবৃদ্ধির আরও অবনতি অনুমেয় এই প্রবৃদ্ধিও অর্জনে প্রধান ঝুঁকি।

আরও পড়ুন>> অতীতের ভুল এড়িয়ে সম্মিলিত শিক্ষা নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

এ সম্পর্কে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বলেন, সরকার বাহ্যিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবেলায় তুলনামূলক ভালোভাবে পরিচালনা করছে, একইসঙ্গে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সমালোচনামূলক সংস্কারের অগ্রগতি করছে। এই মূল কাঠামোগত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে- জনসাধারণের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করা, দেশীয় সম্পদের সুসম বন্টন বৃদ্ধি করা, সরবরাহের উন্নতি করা এবং আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করা, যা বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং মধ্যমেয়াদে উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, তেলের মূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতি অভ্যন্তরীণ নবায়নযোগ্য জ্বালানী সরবরাহ সম্প্রসারণ এবং দেশের জলবায়ু পরিবর্তন লক্ষ্য অর্জনের জন্য সংস্কারগুলোকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি ভালো প্রণোদনা প্রদান করে। এডিবির ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের তথ্যে বলা হয়েছে, মাঝারি মূল্যস্ফীতি এবং রেমিট্যান্সের বৃদ্ধি ব্যক্তিগত খরচ পুনরুজ্জীবিত করতে অবদান রাখবে। এছাড়া, বেশ কয়েকটি বড় সরকারি অবকাঠামো প্রকল্পের সমাপ্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াবে। তবে, দেশের মুদ্রানীতি কাঠামোর উন্নতির পর প্রাথমিক উচ্চ সুদের হারের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ হ্রাস পেতে পারে। বৈশ্বিক অ-জ্বালানি পণ্যের দামের কিছুটা পতন, প্রত্যাশিত উচ্চতর কৃষি উৎপাদন এবং নতুন কাঠামোর অধীনে আর্থিক নীতির প্রাথমিক কঠোরকরণ এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। 

আরও পড়ুন>> ৪০তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে ৩৬৫৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে আছে এডিবি। বাংলাদেশের জনগণের জন্য অবকাঠামো, জনসেবা এবং সামাজিক উন্নয়নের জন্য সহঅর্থায়নসহ ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ ও অনুদান সরবরাহ করেছে। বাংলাদেশে এডিবির বর্তমান সার্বভৌম পোর্টফোলিওতে প্রায় ১৩ দশমিক ০ বিলিয়ন মূল্যের ৫৩টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এডিবি চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে একটি সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্থিতিস্থাপক এবং টেকসই এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 


আরও খবর



৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের নয়টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই সে সকল এলাকার নদীবন্দরগুলোতে তোলা হয়েছে এক নম্বর সংকেত।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, ঢাকা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সোমবারের (১১ সেপ্টেম্বর) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।


আরও খবর
গাজীপুরের বায়ু সবচেয়ে দূষিত

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এর আগে, ভোর ৪টায় আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করছে। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। 

আরও পড়ুন>> মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৭ ইউনিট

তিনি বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে প্রথম ইউনিট পৌঁছায়। এরপর মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, কল্যাণপুর ও হেডঅফিস থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে ১৭টি ইউনিট কাজ করছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনের তীব্রতাও বাড়তে দেখা গেছে। আগুনের প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি এবং হতাহতের খবরও পাওয়া যায়নি।


আরও খবর
তিন দিনের ছুটিতে ঢাকার রাস্তা ফাঁকা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩