সাভারে বালু ভরাটের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড কমিশনার ও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের পাঁচজন গুরুতর আহত।
এ ঘটনায় কমিশনারের পক্ষে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে সাভার মডেল থানায়।
সোমবার(১২ জুন) সকালে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন। এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে, সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার সুগন্ধা হাউজিং সোসাইটি এলাকায়, সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আহমেদের অনুসারী ও সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক(৩৫) এর অনুসারীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কাউন্সিলর এর অনুসারীদের মধ্যে আহতরা হলেন, সাভার পৌরসভার বক্তারপুর পোড়াবাড়ি এলাকার নূরু মিয়ার ছেলে মো. সুজন মিয়া (৩৫), কাঞ্চনপুর এলাকার অলি মিয়ার ছেলে মিনারুল (১৮) , বেদে পাড়া এলাকার আরশ আলীর মেয়ে নাসিমা (৩০) ও ছালাম মিয়া (৩৮) ।
এর মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি অনুসারী, আহত নজরুল ইসলাম (৩৬) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানায় ছাত্রলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান।
এ ঘটনায়, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক(৩৫), সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন টিপু (৩০), নজরুল(৩৬), আল আমিন (৩২), আরিফ (২৪), শামীম(২৭) ও শিমুল(৩০) সহ অজ্ঞাত ৩০ জনকে অভিযুক্ত করে, কাউন্সিলর এর অনুসারী মো. সুজন মিয়া বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন>> তীব্র তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎপাদিত পশু নিয়ে শঙ্কা
অভিযোগে বলা হয়েছে, সাভার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার সুগন্ধা হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার দিয়েবালু ভরাট করে আসছিল সুজন মিয়া, জুয়েল ও রায়হান। সম্প্রতি তাদের কাছে সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান ও তার অনুসারীরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় রবিবার রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে আতিকুর রহমান, টিপু, নজরুল, আল আমিন, আরিফ, শামীম, শিমুলসহ ২৫/৩০ জন বালু ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেয়। সংবাদ পেয়ে সুজন ঘটনাস্থলে আসলে, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিকসহ তার সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় সুজন মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে আতিকের সমর্থকরা। এতে রাত১০টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিক ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজানের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকে। পরে পুলিশ আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ বিষয়ে সাভার পৌরসভার কাউন্সিলর রমজান বলেন, 'সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় নারীসহ ৪ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক বলেন, 'নিজেদের মধ্যে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আগামীকালকের মধ্যেই বিষয়টির সমাধান করা হবে। এছাড়াও দুই পক্ষকে থামাতে গিয়ে নজরুল আহত হয়েছে, প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে এখন বাসায় আছে'।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা পিপিএম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।