আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বন্ধুর জন্মদিনে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার পোশাক শ্রমিক

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাভারে বন্ধুর জন্মদিনের আমন্ত্রণে গিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ছয় জনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

রবিবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের সাভার মডেল থানা থেকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতে তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেন, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে বন্ধুর জন্মিদন পালনে যান তিনি। আসামিরা এসে তার বন্ধুদের মারধর করে সেখান থেকে বের করে দেয়। ওই নারীকে আটকে রাখে আসামিরা। পরে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) আব্দুল্লা বিশ্বাস বলেন, গ্রেপ্তার চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

নিউজ ট্যাগ: সাভার

আরও খবর



লাদাখকে কেন্দ্র করে ফের প্রকট চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ছয় দশক পর ফের তীব্র হয়েছে ফের চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা। চীনের ঘনিষ্ট মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক করিডর ঘিরে দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের ঝুঁকি দেখছেন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিরোধপূর্ণ পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে আগামী ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে যেকোনো সময় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে পারমাণবিক শক্তিধর এই দু'দেশ। সংবাদমাধ্যম দ্য ইউরোএশিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্লেষকদের দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের আশঙ্কার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। তিনি বলেছেন, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর চীন এখন এ ব্যাপারে সতর্ক যে, নতুন ভারতকে সহজে পরাজিত করা সম্ভব নয় এবং তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের আগে তারা কোনো সংঘাতের ঝুঁকি নেবে না।

ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৬২ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই যুদ্ধে ভারত শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়। সম্প্রতি সীমান্ত উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে চীনের সরকারি গণমাধ্যম বারবার ওই যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের তরফে বলা হচ্ছে, ১৯৬২'র অবস্থা থেকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে তারা।

এর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে চীনা সেনাদের হামলায় বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এতে চীন-ভারত সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। ওই সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সীমান্ত অবস্থান সংঘর্ষের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে বহু বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনো তা পুরোপুরি পুরোনো অবস্থায় ফেরানো যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তার সামরিক ব্যয় বাড়িয়েই চলেছে। চলতি বছর (২০২৪) প্রতিরক্ষা ব্যয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। তাইওয়ানে আক্রমণ করে দেশটিকে চীনা মূল ভূখণ্ডের সাথে একীভূত করার লক্ষ্যে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।

চলতি সপ্তাহে (৫ মার্চ) প্রকাশিত চীন সরকারের এক কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে এমনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে চীন বলেছে, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং বাইরের হস্তক্ষেপ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে।

তাইওয়ানকে চীনের সাথে একীভূত করার ব্যাপারে বহুদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পূণঃএকত্রীকরণ বলে একটা শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে আসছিল চীন। নতুন প্রতিবেদনে তা সরিয়ে জোরপূর্বক একত্রীকরণ শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চীন পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে দৃঢ় থাকবে।

চীনের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যেই লন্ডনভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট (আরইউএসআই) একটি মন্তব্য কলাম প্রকাশ করেছে। ওয়ার ক্লাইডস ওভার দ্য ইন্ডিয়ান হোরাইজন শীর্ষক ওই কলামে লেখক ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল রিস্ক অ্যানালিটিকসর প্রেসিডেন্ট সমীর টাটা একটি ভয় উদ্রেককারী ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধ সম্ভবত ২০২৫ ও ২০৩০-এর মধ্যে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পূর্ব লাদাখে সংঘটিত হবে। লেখক দাবি করেছেন, বেইজিং পূর্ব লাদাখকে (যেটি ভারতের অন্তর্গত) জ্বালানি সুরক্ষার লেন্সের মাধ্যমে দেখে যা চীন-ভারতকে অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে।

বিষয়টির ব্যাখা করে লেখক বলেছেন, পূর্ব লাদাখ হলো একমাত্র পথ যেখান থেকে কোনো শত্রুশক্তি চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ শিনজিয়াংয়ে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস কাশগরে আক্রমণ ও দখল করতে পারে।

চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো একটি পরিকল্পিত স্থল-ভিত্তিক পাইপলাইন যা ইরানের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোকে কাশগরের সাথে সংযুক্ত করেছে এবং পাকিস্তান ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) মধ্যদিয়ে গেছে।

ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে এই যুক্তির সাথে একমত পোষণ করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে পূর্ব লাদাখ ও কারাকোরাম পাস চীনের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের অংশ। কারণ এগুলো তাদের সিপিইসি প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ইউরোএশিয়ান টাইমসকে জেনারেল নারাভানে বলেন, কিন্তু যদি চীনারা মনে করে যে আমরা সিপিইসি বা পাকিস্তান-অধিকৃত-কাশ্মীর বা তিব্বতে তাদের বিচ্ছিন্ন করার অবস্থানে আছি, তবে এটি ১৯৬২ সালের (ভারত ও চীনের মধ্যে প্রথম যুদ্ধের বছর) পর একটি বড় পরিবর্তন।

নিউজ ট্যাগ: চীন-ভারত লাদাখ

আরও খবর



রোজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসে গাজা ও সুদানে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদ চেম্বারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

গতকাল সোমবার তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এই মাসে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা শান্তি, পুনর্মিলন ও সংহতির মূল্যবোধ উদযাপন করেন এবং এই বার্তা ছড়িয়ে দেন। তারপরও গাজায় হত্যা, বোমা হামলা ও রক্তপাত অব্যাহত রয়েছে।

অ্যান্তোনিও গুতেরেস আরও বলেন, আজ আমার জোরালো আহ্বান হলো রমজানের চেতনাকে সম্মান জানান এবং জীবন রক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহে সব ধরনের বাধা প্রত্যাহার করুন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে তার দায়িত্বে থাকার বছরগুলোতে নজিরবিহীন। তবে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ আসছে, তা যদি আদৌ কাজে আসে!

অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার হুমকি গাজার জনগণকে নরকের আরও গভীর বৃত্তে ফেলে দিতে পারে।

এদিন রমজানে সুদানেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষুধা, বিভীষিকা ও অবর্ণনীয় কষ্টের মুখোমুখি সুদানের জনগণের স্বার্থে সেখানে লড়াই অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গাজায়, সুদানে এবং অন্যনায় জায়গায় এখন শান্তির সময়। আমি সর্বত্র রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সম্প্রদায়ের নেতাদের এই পবিত্র সময়কে সহানুভূতি, কর্ম ও শান্তির সময় হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করার আহ্বান জানাই।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত নস্যাৎ হয়েছে: আমু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছিলো। তবে কোন ষড়যন্ত্রই তাকে দেশপ্রেম থেকে বিচলিত করতে পারেনি। দেশকে স্বাধীন করে দেশের মানুষকে, তিনি পরাধীনের শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন। ঠিক তেমনি তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও একইভাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত এবং ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। সবকিছুই পিছনে ফেলে দৃঢ় প্রত্যয়ে দেশকে উচ্চতার শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। এভাবেই তিনি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত মোকাবেলা করে সুষ্ঠভাবে, ভোটারদের স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতিতে অংশীদারিত্ব ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেন।

রবিবার (৩ মার্চ) বিকেল ৫টায় শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে ঝালকাঠি জেলা পরিষদ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি এসব কথা বলেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়াম্যান খান আরিফুর রহমান, সহ-সভাপতি ও নলছিটি উপজেলা চেয়াম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান শামসুল ইকরাম পিরু।

সংবর্ধিত আমির হোসেন আমু আরও বলেন, দেশের ভোট ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছেন জিয়াউর রহমান। প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলেও হ্যাঁ-না ভোটের নামে ব্যালট পেপারে সিল মেরে মানুষের ভোটাধিকার লঙ্ঘন করেছেন। সেই জিয়াউর রহমান সৃষ্ট বিএনপি তত্ত্বাবধায়কের হাস্যকর দাবি করছে।

এই নেতা আরও বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছিলো। জনগণই আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। সেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে। কারো ভয়ভীতিতে নয়, এই দেশ পরিচালিত হচ্ছে সংবিধান অনুযায়ী। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা এ দেশের পবিত্র সংবিধানকে ক্ষতবিক্ষত করেছে, জাতীয় চার মূলনীতিকে ভূলুন্ঠিত করে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা, দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার বিষয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান জ্যেষ্ঠ নেতা এমপি আমির হোসেন আমু। অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের অর্থায়নে নতুন নিমৃত মুক্তমঞ্চ ফিতা কেটে উদ্ধোধন করেন প্রধান অতিথি।


আরও খবর



হুমকির মুখে মিয়ানমার জান্তা সরকারের অস্তিত্ব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা সরকার ইতোমধ্যে অস্তিত্বগত হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা জান্তার দুঃস্বপ্নের শাসনের অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে পারে। বুধবার (২০ মার্চ) মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, জান্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা, সেইসাথে দলত্যাগ, আত্মসমর্পণ এবং নিয়োগের চ্যালেঞ্জগুলো সেনা সংখ্যা হ্রাসের দিকে পরিচালিত করেছে। বিষয়টি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর জন্য অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, যারা মিয়ানমারে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য জান্তার সাথে বাজি ধরেছে তারা হেরে যাওয়ার বাজি রেখেছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসে সামরিক জান্তা। এরপর থেকে দেশটির আঞ্চলিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো জান্তার ওপর হামলা শুরু করে। সম্প্রতি কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় যেতে বাধ্য হয়েছে সামরিক বাহিনী।

অ্যান্ড্রুজ বলেন, জান্তা দেশের সহিংসতা, অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক অবনতি এবং অনাচারের প্রধান চালক।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো- আর্থিক প্রবাহের উপর বিধিনিষেধ এবং সামরিক ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ- জান্তার কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে।

জাতিসংঘের এই দূত সিঙ্গাপুরের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর মিয়ানমারের কাছে সামরিক ব্যবহারের জন্য সরঞ্জাম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে এবং গত বছর এই ধরনের বিক্রি ৮৩ শতাংশ কমেছে।


আরও খবর



বাংলাদেশ সফরে আসছেন সৌদি যুবরাজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ বাংলাদেশে সরকারি সফরে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে তিনি ঢাকায় আসছেন। তবে দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যুবরাজের সফর দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আল-দুহাইলান বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে যুবরাজের বাংলাদেশ সফরের ঘোষণা দিয়েছেন। সৌদি দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসা ইউসেফ বলেন, সফরের সময় প্রধান আলোচনার বিষয় থাকবে দুই দেশের সাধারণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়। যুবরাজের সফরের মধ্য দিয়ে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ও গুরুত্ব পাবে।

এ কূটনীতিক জানান, সৌদি আরব বাংলাদেশে ১২০ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে। সৌদি কোম্পানি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল চলতি বছরের এপ্রিলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বে টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু করবে।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের ৩২টি স্থানে অসহায় মানুষের মধ্যে মোট ১৫ হাজার ৫০০ ঝুড়ি খাদ্যসামগ্রী বিতরণের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। প্রতি ঝুড়িতে ২৪ কেজি বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী থাকছে। এগুলো কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের মধ্যেও বিতরণ করা হচ্ছে।

সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশনায় সংহতির প্রতীক হিসেবে অসহায় মানুষদের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ এসা আল-দুহাইলান বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশের প্রায় ২৮ লাখ মানুষ কর্মরত রয়েছেন। তারা সৌদি ও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।


আরও খবর