আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সাভারে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের টিএমআর প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে, কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রুন স্থানান্তর প্রযুক্তি বাস্তবায়ন প্রকল্পের আওতায় টোটাল মিক্সড রেশন (টিএমআর) এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল দশটায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি মহোদয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে, নবনির্মিত টিএমআর এর ভিত্তিপ্রস্থ ও ফিতা কেটে শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এমপি ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ডঃ নাহিদ রশিদ।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি মহোদয় টিএমআর প্ল্যান্টের যন্ত্র আনুষ্ঠানিক ভাবে সুইচ চেপে চালু করেন এবং খাদ্য উৎপাদন কর্মকাণ্ড ও প্ল্যান্ট ঘুরে পরিদর্শন করেন।

টোটাল মিক্সড রেশন বা টিএমআর এর মাধ্যমে গবাদি পশুর জন্য স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত আশ ও দানাদার জাতীয় খাদ্য আনুপাতিক হারে মিশ্রণ করে পশুর খাদ্য উৎপাদন করা হয়। টিএমআর প্লান্টে সম্পূর্ণ অটোমেটিক পদ্ধতিতে খর ও দানাদার খাদ্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পশু খাদ্য উৎপাদন করা হবে। উৎপাদিত গো খাদ্য নরমাল গো খাদ্যের তুলনায় শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ পর্যন্ত বেশি সুস্বাদু ও সুপাচ্য হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এই প্রথম দেশের প্রান্তিক খামার মালিকদের গো খাদ্যের সমস্যার কথা মাথায় রেখে, সরকার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে, জার্মান প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই গো খাদ্য তৈরি কারখানা টিএমআর প্লান্টের স্থাপন করেছেন।

উদ্বোধন কার্যক্রম শেষে প্রধান অতিথি মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় শ ম রেজাউল করি বলেন, 'বাংলাদেশে একটি অভূতপূর্ব বিপ্লব সাধিত হয়েছে আজ। এত বেশি প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কল্পনাও করা যায়নি। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও বেসরকারি উদ্যোগ সহ সবাই মিলে এটা আমরা করেছি। প্রাণীর জন্য পুষ্টিকর খাদ্য চাহিদা সবচেয়ে লক্ষণীয়, বিদেশ থেকে সকল খাবার আমদানি করতে গেলে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে আবার অনেক ক্ষেত্রে এ জাতীয় খাবার আনতে গিয়েও আন্তর্জাতিকভাবে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। যার ফলে আমাদের এই সেক্টরে অনেক ক্ষতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের সরকার চিন্তা করেছে দেশের অভ্যন্তরে কি করে প্রাণীদের পরিপূর্ণ গো খাদ্য তৈরি করা যায়। সেই লক্ষ্যেই জার্মানি মিশনারিজ ও তাদের প্রযুক্তি নিয়ে আমরা শুরু করলাম। আমাদের বিশ্বাস আমাদের বিদেশ নির্ভর হতে হবে না। প্রাণীর জন্য যত পুষ্টিগুণ সম্ভবত ও সকল প্রকার খাবার দরকার তার সূচনা হলো আজ বাংলাদেশে। কেন্দ্র হতে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেব ফলে প্রাণী সম্পদের যে গুণগত উন্নয়ন তা বৃদ্ধি পাবে'।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহাবুবুল হক, বিএলআরআই মহাপরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, এআইইটি প্রকল্পের পরিচালক ডা. মোঃ জসিম উদ্দিন।

আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠানের সভাপতি, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোঃ এমদাদুল হকের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ও দোয়ার মাধ্য দিয়ে টোটাল মিক্সট রেশন বা টিএমআর প্ল্যান্ট এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সম্পন্ন করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সাভার

আরও খবর



টিকিট কালোবাজারি বন্ধে জিরো টলারেন্স : রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেন, টিকিট কালোবাজারির প্রতি আমাদের জিরো টলারেন্স। আমরা ইতোমধ্যে টিকিট কালোবাজারির কয়েকটি সিন্ডিকেটকে ধরেছি। জনগণকে বলব আপনারা কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট কাটবেন না। কালোবাজারিরা দেশটাকে ধ্বংস করতে চাই, রেলকে ধ্বংস করতে চাই।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের রেলগেট এলাকায় শহীদ স্মৃতি চত্বরে শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি রেলের টিকিটটা কালোবাজারি মুক্ত রাখতে। আসন্ন ঈদটা এবার যাত্রীদের ভালোই কাটবে। তারা নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবে। আজকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। পাকিস্তানি হানাদার ও একাত্তরের ঘাতক দালালরা ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তারই সুযোগ্য কন্যা দেশকে শক্ত হাতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্য ছিল দেশটাকে ধ্বংস করার। তারা ফরিদপুরের রেল ও রাজবাড়ীর ভাটিয়াপাড়ার রেল বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসার পর শুধু রেল নয় সর্বক্ষেত্রে উন্নতির শিকড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এই উন্নতি তো সবার পছন্দ না। অনেকেই ষড়যন্ত্র করে এই উন্নতিকে পিছিয়ে দিতে চাই, স্থবির করে দিতে চাই।

মন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় কথা জনগণ উন্নয়ন চাই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন চান। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা সম্ভব। আজকের স্বাধীনতার এই দিনে আমাদের শপথ হবে, আমরা দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাকে সহযোগিতা করবো।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সহ-সভাপতি রেজাউল হক রেজা, ফকরুজ্জামান মুকুট, সালমা চৌধুরী রুমাসহ জেলা আওয়ামী ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি: কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি। দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেনা ছাউনিতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সূচনা লগ্ন থেকেই বিএনপি অত্যাচার- নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারের পথ রুদ্ধ করে রাজনীতি করে আসছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মুখে গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বেমানান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একুশে আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নির্বিচারে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের যারা হত্যা করেছিল; যাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গি গোষ্ঠী ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলা চালিয়েছিল, যারা দশ ট্রাক অস্ত্র আমদানি করেছিল, যারা অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সেই খুনিদের দল যখন জননিরাপত্তা নিয়ে কথা বলে তখন জনগণ আরও ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে কাউকে গ্রেপ্তার করে হয়রানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিএনপির যে সকল সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা অগ্নিসন্ত্রাস এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগণের উপর হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করাটা কোনোভাবেই হয়রানিমূলক হতে পারে না। সন্ত্রাসীদের আইন ও বিচারের মুখোমুখি করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও কর্তব্য।


আরও খবর



যখনই যেটার দরকার পুলিশকে সেই ভূমিকা পালন করতে হবে : শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে কেউ যেন পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে না পারে সে ব্যাপারে অবিচল থাকতে হবে। কেউ যেন রাজনীতির নামে, সন্ত্রাসের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে না পারে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে। জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে। পুলিশকে যখনই যেটার দরকার সেই ভূমিকা পালন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আমাদের শান্তি শৃঙ্খলা, জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি। প্রতিবার ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ২০০৯ সালের সরকার গঠনের পর থেকে আমরা সরকারে আছি, একটা স্থিতিশীল পরিবেশ, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের বাংলাদেশ, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

তিনি আরো বলেন, আমরা এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে সক্ষম হয়েছি। ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চলছে, বাংলাদেশ তার তীব্র প্রতিবাদ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতা যত বাড়ছে আবার অপরাধও কিন্তু ভিন্ন ভিন্নভাবে হচ্ছে। নতুন নতুন মাত্রায় অপরাধ দেখা দিচ্ছে। সেগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পুলিশ বাহিনী যেন প্রস্তুত থাকে। এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট যত্নবান এবং নজর দিচ্ছি। কারণ, অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে মোকাবিলা করার পদ্ধতিটা যদি না চলে তাহলে কিন্তু যথাযথভাবে সেটা (মোকাবিলা) করা যায় না। 

আরও পড়ুন>> দেশ ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে তৎপর বিএনপি: কাদের

তিনি বলেন, যেকোনো কর্মস্থলে নারী, পুরুষ, শিশু যারাই থাকুক তাদের আপনজন বিবেচনা করে দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের সেবা করবেন এটাই সবাই চায়।

পুলিশ জনগণের বন্ধু মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন মানুষের বন্ধু হিসেবে কাজ করছে। আজকাল মানুষ আর আগের মতো ভয় না, এখন তারা আস্থা ফিরে পেয়েছে, পুলিশকে নিজের বন্ধু এবং আস্থার জায়গা হিসেবে সাধারণ মানুষ বিবেচনা করে। মানুষের এই বিশ্বাস এবং আস্থাটা অর্জন করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, এই যে আগুন দেওয়া, পুলিশকে মারা, পুলিশকে আগুনের মধ্যে ফেলে দেওয়া, এই যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, এ মামলাগুলো কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতা, মামলাগুলো যথাযথভাবে চলে না। আমি মনে করি, যারা এ ধরনের অপরাধ করে তাদের মামলা এবং সাজাটা যদি দ্রুত হয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে আর সাহস পাবে না।

দেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে আজকে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে কেউ আর ওই তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নিজের একটা স্থান করে নিতে পেরেছে। এখন সবাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখে।

তিনি বলেন, এটাকে ধরে রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য আমাদের যেকোনো কাজ বা প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে যেকোনো অপরাধ মোকাবিলা এবং সাজা নিশ্চিতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করা সবার কর্তব্য। কাজেই সেভাবে আপনারা সবাই কাজ করে যাবেন। 

আরও পড়ুন>> হট্টোগোলের মধ্যেই শপথ নিলেন পাকিস্তানের নতুন এমপিরা

ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর যে হামলা এবং গণহত্যা চলছে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি প্রতিটি জায়গায় এর প্রতিবাদ করেছি। এভাবে ফিলিস্তিনি শিশু নারীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার এবং গণহত্যা, শুধু তাই না তাদের খাদ্য, চিকিৎসা, হাসপাতাল সবকিছুর ওপর আক্রমণ করে। এমনকি যেখানে ত্রাণ বিতরণ করা হয় সেখানেও আক্রমণ করা হচ্ছে। এর থেকে জঘন্য ও মানবতাবিরোধী কাজ আর হতে পারে না। এর প্রভাবটা সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে পড়ছে। আমাদের ওপরেও সেই ধাক্কাটা আসছে। যদিও আমাদের চেষ্টা হচ্ছে কীভাবে আমরা এটা মোকাবিলা করব।


আরও খবর



রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী তিন দিন ধরে চলবে এই ভোটগ্রহণ। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবারের নির্বাচনেও প্রার্থী হয়েছেন। দেশের সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে ইউক্রেন এই নির্বাচনকে প্রহসন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের ভোট কেন্দ্রগুলোতে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় পর্যায়ক্রমে সারাদেশে ভোট কেন্দ্র খোলা হবে। আগামী রবিবার শুক্রবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত তিন দিন ধরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে জয়ী হলে পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি এবং সেক্ষেত্রে তার ক্ষমতার মেয়াদ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়বে।

সেই সঙ্গে রাশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডটিও তার হয়ে যাবে। বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকার রেকর্ডের মালিক জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। সাবেক সোভিয়েত আমলে দু’জনেই ২৪ বছর করে ক্ষমতায় ছিলেন। ৭১ বছর বয়সী পুতিন যদি ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন, তাহলে তার ক্ষমতার মোট মেয়াদকাল পৌঁছাবে ৩০ বছরে।

এবারের নির্বাচনে পুতিনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেশ কয়েজন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন- ডানপন্থি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিআর) প্রধান লিওনিড স্লুটস্কি, কমিউনিস্ট প্রার্থী নিকোলে খারিতোনভ এবং উদার মধ্যপন্থি নিউ পিপলের প্রতিনিধিত্বকারী ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ।

তবে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর অভিযানের বিরোধিতা করার কারণে দুই রুশ প্রার্থীকে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা হলেন- বরিস নাদেজদিন এবং ইয়েকাতেরিনা দান্তসোভা।

এদিকে নির্বাচনে সব ভোটারকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই ফলাফল আগামী বছরগুলোতে দেশের উন্নয়নকে বাস্তবে রূপ দেবে।’

পুতিন আরও বলেছেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা প্রয়োজন। প্রতিটি ভোট মূল্যবান এবং তাৎপর্যপূর্ণ। দেশের ক্ষমতার একমাত্র উৎস হল জনগণ, যেমনটি রাশিয়ান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’


আরও খবর



গরুর মাংসসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিলো সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ২৯টি কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এই মূল্য অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে এতে জানানো হয়েছে।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, খুচরা পর্যায়ে কেজিতে মুগ ডালের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৫ টাকা ৪১ পয়সা, মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা, ছোলা (আমদানিকৃত) ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা, মসুর ডাল (উন্নত) ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা, মসুর ডাল (মোটা) ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা, খেসারি ডাল ৯২ টাকা ৬১ পয়সা, পাঙাস (চাষের মাছ) ১৮০ টাকা ৮৭ পয়সা, কাতল (চাষ) ৩৫৩ টাকা ৫৯ পয়সা, গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা, খাসির মাংস এক হাজার ৩ টাকা ৫৬ পয়সা।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা, সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১০ টাকা ৪৯ পয়সা, দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা, দেশি রসুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৮১ পয়সা, আমদানি করা আদা প্রতি কেজি ১৮০ টাকা ২০ পয়সা, শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৩২৭ টাকা ৩৪ পয়সা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা ২০ পয়সা, বাঁধাকপি কেজিপ্রতি ২৮ টাকা ৩০ পয়সা, ফুলকপি কেজিপ্রতি ২৯ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া কেজিপ্রতি বেগুন ৪৯ টাকা ৭৫ পয়সা, শিম ৪৮ টাকা, আলু ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা, টমেটো ৪০ টাকা ২০ পয়সা, মিষ্টি কুমড়া ২৩ টাকা ৩৮ পয়সা, জাহিদি খেজুর ১৮৫ টাকা ৭ পয়সা, চিড়া (মোটা) ৬০ টাকা, প্রতি হালি সাগর কলা ২৯ টাকা ৭৮ পয়সা ও বেসন ১২১ টাকা ৩০ পয়সা।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪