আজঃ শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সবার জন্য আমার জীবনের দরজা খুলে দেওয়া যাক: সেলেনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

তাঁকে ইনস্টাগ্রামের রানি বলাই যায়। জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেলেনা গোমেজের অনুসারীসংখ্যা ৪২ কোটি ৯০ লাখের বেশি। ইনস্টাগ্রামে অন্য কোনো নারীর এত অনুসারী নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত বিপুলসংখ্যক অনুসারী নিয়ে এই গায়িকা-অভিনেত্রী কী ভাবেন? সংগীতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়েইবা তাঁর প্রতিক্রিয়া কী?

মঙ্গলবার ইউনিভার্সেল মিউজিক গ্রুপ ও থ্রাইব গ্লোবাল মিউজিক অ্যান্ড হেলথ কনফারেন্সে হাজির হয়ে এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন সেলেনা। তাঁর বক্তব্য নিয়ে দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম হলিউড রিপোর্টার।

এটা আমার জন্য অনেক চাপের, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিপুলসংখ্যক অনুসারী নিয়ে বলেন সেলেনা। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তরুণেরা নানা বিষয়ে আমার সঙ্গে খোলামেলা আলাপ করেন। নারীদের কেউ হয়তো বিচ্ছেদ নিয়ে বলেন, কেউ বলেন কেমোথেরাপির অভিজ্ঞতা নিয়ে। আমি সব সময় তাঁদের উৎসাহকে স্বাগত জানাই। তবে এটা অনেক বড় দায়িত্ব, একটু চাপেরও বটে।

গানের সঙ্গে ইদানীং অভিনয়েও নিয়মিত, প্রযোজনাও করছেন। নিজে দীর্ঘ সময় মানসিক অবসাদে ভুগেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও প্রায়ই বলতে শোনা যায় সেলেনাকে। এ বিষয়ে কি বই লেখার ইচ্ছা আছে? না। আমি ততটা জ্ঞানী নই। মনে হয় না, এটা আমি করব (বই লেখা)। তবে কে জানে, একদিন হয়তো আগ্রহী হতেও পারি। তবে এখন অবশ্যই নয়, বলেন তিনি।

বছর কয়েক আগে সেলেনা গোমেজের জীবন নিয়ে নির্মিত হয় তথ্যচিত্র মাই মাইন্ড অ্যান্ড মি। অ্যাপল টিভি প্লাসে প্রচারিত সেই তথ্যচিত্রে নিজের শারীরিক, মানসিক অসুস্থতা, জাস্টিন বিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া থেকে শুরু করে নানা প্রসঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছিলেন।

সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন ওই তথ্যচিত্র প্রসঙ্গেও, আইডিয়াটা শোনার পর মনে হয়েছিল, এটা (তথ্যচিত্র) আমার বিপক্ষে যাবে। অনেক দিন তাই সংশয়ে ছিলাম। একদিন মনে হলো, সবার জন্য আমার জীবনের দরজা খুলে দেওয়া যাক। যখন মুক্তি পেল, তখন মনে হয়েছিল, ঘাড় থেকে বড় একটা বোঝা নেমে গেল। মুক্তির আগপর্যন্ত চাপ অনুভব করছিলাম। আমি নিজে হয়তো তথ্যচিত্রটি আর দেখব না, তবে শেষ পর্যন্ত যে এটা করতে রাজি হয়েছি, সে জন্য গর্বিত।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে হলিউডে। এ প্রসঙ্গে সেলেনা বলেন, আমার মনে হয় না, আমার কোনো সহকর্মী এটিকে স্বাগত জানাবেন। এটা আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়। তবে এটাও মনে হয়, এআই কখনো মানুষের জায়গা নিতে পারবে না।

সেলেনা মূলত গানের মানুষ হলেও অনেক দিন ধরেই গান থেকে দূরে। তাঁর ভক্তদের জন্য সুখবর, শিগগিরই মুক্তি পাবে তাঁর নতুন সিঙ্গেল। এ ছাড়া আসবে অ্যালবামের ঘোষণাও। আগামী মাসে বড় একটি কার্যক্রমও শুরু করতে যাচ্ছেন সেলেনা। তাঁর অলাভজনক সংস্থা রেয়ার ইমপ্যাক্ট ফান্ড প্রথমবারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠান। এই গালা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয় করা হবে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে।

নিউজ ট্যাগ: সেলেনা গোমেজ

আরও খবর
ভিন্ন রকম ছয় গল্পে বাণী কাপুর

শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

হিন্দি সিনেমায় জয়া আহসানের অভিষেক

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




দেশব্যাপী ‘পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৩’ উদযাপন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও দেশব্যাপী পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন করা হচ্ছে। এই উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হল, মিন্টু রোড, ঢাকায় এক বর্ণাঢ্য আলোচনা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেবা ও প্রচার সপ্তাহের এবারের প্রতিপাদ্য-  নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার

আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) জনাব সাহান আরা বানু, এনডিসি। সেসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক, এমপি।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মহাপরিচালক নিপোর্ট,  মহাপরিচালক নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, মহাপরিচালক (গ্রেড-১) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মহাপরিচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর, উপপরিচালকসহ আমন্ত্রিত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ, উন্নয়ন সহযোগী, সংস্থার প্রতিনিধিগণ, গণমাধ্যম প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক , এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে তাঁর বক্তব্যে রাখেন। তিনি পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষ্যে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা পৌঁছে দিতে এবং সেবাকেন্দ্র থেকে ২৪/৭  স্বাভাবিক প্রসবসেবা দিতে প্রতিটি উপজেলার একটি করে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের মডেল কেন্দ্রগুলোকে সঠিকভাবে কার্যকর করার আহ্বান জানান।

সভাপতি স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সম্মানিত সচিব জনাব মোঃ আজিজুর রহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে তথা মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধে সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৩ ব্যপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। সবাইকে সেবা ও প্রচার সপ্তাহ সফলভাবে উদযাপন করার আহ্বান জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

উক্ত উদ্বোধনী ও আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২২-২৩ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঠিকভাবে পরিচালনা ও আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন- জনাব আবদুল লতিফ মোল্লা, পরিচালক (আইইএম), পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর।


আরও খবর



গাজায় প্রতি দশ মিনিটে এক শিশু নিহত : ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে গড়ে এক শিশু নিহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচ-এর এক প্রতিনিধি মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এই পরিস্থিতিকে মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার সময় বলে অভিহিত করেছেন।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ডব্লিউএইচও প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্ন জেনেভায় জাতিসংঘের একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, আমরা প্রায় ১৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার কথা বলছি, যার ৬০ শতাংশেরও বেশি নারী ও শিশু। আরও ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। গাজায় গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে এক শিশু নিহত হয়। আমি মনে করি এই অর্থে আমরা মানবতার সবচেয়ে অন্ধকার সময়ের কাছাকাছি বাস করছি।

এসময় তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি দরকার।

তিনি বলেছিলেন, গাজায় হাসপাতালে ৩ হাজার ৫০০ শয্যা কমে এখন দেড় হাজারের নিচে নেমেছে। সেখানে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের শয্যার আর কোনও ক্ষতি বহন করার অবস্থায় নেই অঞ্চলটি।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে এক সপ্তাহের মানবিক বিরতির শেষে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) গাজা উপত্যকায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণে হামাসের আকস্মিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে গাজায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অতর্কি এ হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৪২ হাজারের বেশি মানুষ।

ইসরায়েলি সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০০ জনে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে ৫ টাকায় স্মার্ট বাসে স্কুলে যেতে পারবেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

স্মার্ট জেলা উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জ-২০২৩ এর আওতায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্মার্ট স্কুল বাস নামক উদ্ভাবনী উদ্যোগ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্ভোদনকৃত ১০টি স্কুল বাসে বিভিন্ন প্রযুক্তি সুবিধা প্রদান করে স্মার্ট স্কুল বাস হিসাবে আগামী ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে। নগরের যেকোন প্রান্ত থেকে আপাতত মাত্র পাঁচ টাকায় স্মার্ট স্কুল বাসে স্কুলে যেতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে স্মার্ট স্কুল বাস উদ্যোগটির অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু লক্ষ্যে অংশীজন সভায় সবার সম্মতিতে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। যদিও স্মার্ট স্কুল বাস মনিটরিং কমিটির সদস্যরা বাসে যুগোপযোগী সেবার মান বড়ানোর জন্যে ভাড়া বাড়ানোর মতামত দেন। সেপ্রেক্ষিতে এবছর ৫ টাকা ও আগামী বছর ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এসময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, স্মার্ট স্কুল বাস উদ্ভাবনী উদ্যোগটির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৮০ লাখ টাকা উপহার দিয়েছেন, এটা বাস কেনার জন্য না। এ উদ্যোগটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য।

তিনি আরও বলেন, স্মার্ট স্কুল বাস চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে অসহনীয় যানজট, অভিভাবকদের ভোগান্তি, অধিক যাতায়াত খরচ, জ্বালানি অপচয়, সড়ক দুর্ঘটনা, অনিরাপদ স্কুল যাত্রাসহ অভিভাবকদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হওয়ার মতো সমস্যার সমাধান হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে ১০টি সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি দোতলা বাস নগরের বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে স্মার্ট স্কুল বাস অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে।

অংশীজন সভায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও লেখক আবুল মোমেন বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যখন রাস্তায় বের হয় তখন অভিভাবকরা উৎকণ্ঠায় থাকেন। ছেলে-মেয়েরা ঠিকমতো স্কুলে পৌঁছেছে কি-না, সে টেনশনে থাকতে হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের স্মার্ট স্কুল বাস উদ্যোগটির কারণে এখন সে উৎকণ্ঠা আর টেনশন থাকবে না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদের আসতে হবে না। স্কুলের সামনে তাদের বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে না। স্মার্ট স্কুল বাসে নিরাপদে শিক্ষার্থীদের স্কুলে নিয়ে আসবে স্কুল ছুটি হয়ে নিরাপদে পৌঁছে দিবে। ব্যক্তিগত গাড়ির কারণে স্কুলের সামনে প্রতিনিয়তই আমরা যানজটের মুখোমুখি হচ্ছি। সেটিও কমে আসবে।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল আলীম বলেন, সময় বাঁচানো, টাকা কম ও গতিশীল জীবন পরিচালনা করতে স্মার্ট স্কুল বাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে। স্মার্ট স্কুল বাস যখন নিরাপদ ও খরচ কম তখন অভিভাবকরা এ বাসে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে উদ্বুদ্ধ হবে।

এসময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ মোস্তফা স্মার্ট স্কুল বাসের বেশ কিছু আইডিয়া শেয়ার করেন।  নগরের পতেঙ্গা, হালি শহর ও বন্দর এলাকায় আরও ১০ টি স্কুল বাস চলাচলের দাবি জানান স্মার্ট স্কুল বাস মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক মিনহাজুল ইসলাম। অংশীজন সভায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাদি উর রহিম ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।


আরও খবর



সারাদেশে বৈধ প্রার্থী ১৯৮৫ জন, অবৈধ ৭৩১ : ইসি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ১৯৮৫ জন প্রার্থী বৈধ ও ৭৩১ জন প্রার্থী অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এ তথ্য জানান।

এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বাতিল করা মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ লক্ষ্যে ইসিতে ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি আলাদা আলাদা বুথ করেছে সংস্থাটি।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি হবে ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

ইসি সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো যে কয়টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তা হলো; আওয়ামী লীগ ২৯৮টি (পাঁচটি আসনে দুটি করে মনোনয়ন জমা দেয় দলটি), জাতীয় পার্টি ২৮৬টি (১৮টি আসনে দুইটি করে দলীয় মনোনয়ন জমা দিয়েছে দলটি), তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, জাসদ ৯১টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, জাকের পার্টি ২১৮টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ৩৯টি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি ৩৩টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৩৪টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ৩৭টি, গণফ্রন্ট ২৫টি, গণফোরাম ৯টি ও জমিয়তে ইসলাম বাংলাদেশ ১টি।

আরও রয়েছে, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ১৪২টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ২টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ১৩টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ৪৭টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২০টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল ০৬টি, গণতন্ত্রী পার্টি ১২টি, বাংলাদেশ ন্যশনাল আওয়ামী পার্টি ৬টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ ১৪টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল ১টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১৩টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১৮টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ১টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বিএমএল ৫টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফ ৫৫টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বিএনএম ৪৯টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭৪৭ জন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি।


আরও খবর



বিশ্বমানের চলচ্চিত্র তৈরির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সিনেমা যাতে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি অর্জন করতে পারে সেজন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক মান বজায় রেখে মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক এবং প্রযুক্তিবিদদের উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা উচিত যাতে আমাদের সিনেমা বিশ্ব মানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। জাতির পিতার ছোট কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র যাতে নির্মাণ হয় সেই পদক্ষেপ আপনারা নেবেন, সেটাই আমি চাই। এ সময় তাঁর সরকার বিশ্বমানের আধুনিক এফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই, আমাদের চলচ্চিত্র দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হোক। তিনি এই বিষয়টিতেও নজর দেওয়ার জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী, কলা-কুশলী সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কেননা মানুষের জীবনে যেহেতু স্বচ্ছলতা এসেছে এবং তারা বিনোদনের দিকেও ঝুঁকছে কাজেই তাদের জন্য বিনোদনের ক্ষেত্রটাও আপনারা তৈরী করে দিতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের যারা চলচ্চিত্র অঙ্গনের ভাইবোনেরা এখানে আছেন, বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন তাদেরকে আমি বলবো আপনারা একটু নজর দিলে সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে যে ভাল ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় ইতোমধ্যেই আপনারা প্রমাণ করেছেন। ইদানিং কালে নির্মিত অনেক চলচ্চিত্রই মান সম্পন্ন এবং পারিবারিক বিনোদন ধর্মী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন-২০২৩ তাঁর সরকার পাশ করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে আইনের বলে চলচ্চিত্র শিল্পে মাননির্নয়ের ব্যবস্থাও সন্নিবেশিত হবে। আমরা চাই না যে আমাদের দেশে অশ্লিল চলচ্চিত্র বা পাইরেসি চলুক।

তিনি বলেন, আমাদের সকলেরই যে মেধা আছে সেই মেধা কাজে লাগিয়ে ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায়। সে ব্যবস্থাটা যাতে হয় সেটাই আমরা চাই।

এ সময় ফিল্ম আর্কাইভ ভবন এবং ১৬ তলা আধুনিক তথ্য ভবন নির্মাণসহ সরকারের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপও তুলে ধরেন এবং প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, সরকার যে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করে দিয়েছে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বিষয়টিতে যাতে মন দেন।

তিনি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে এজন্য তাঁর সরকার প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেবে বলে জানান।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২ তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পি রোজিনা অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এরআগে গত ৩১ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২৭টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অনেক ত্যাগের ফসল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই অর্জন। আমাদের অনেক শিল্পী কলা-কুশলীরাও তখন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, একটি দেশের সমাজকে চলচ্চিত্র অনেক বেশি সচেতন করতে পারে। আনন্দ দিতে পারে আবার সংস্কারও করতে পারে। ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারে। প্রেরণা দিতে পারে মানুষকে। জাতি গঠনে ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

তাঁর সরকার ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিতরণ ও প্রদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাজকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়, যাতে, এটা শিল্প হিসেবেই গড়ে ওঠে এবং অন্যান্য শিল্প যে সুযোগ-সুবিধা পায় এটিও সেগুলো পেতে পারে। আর জাতীয় শিল্প নীতির আওতায় চলচ্চিত্র শিল্প ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। সরকার সময়ের সাথে তাল মেলাতে চলচ্চিত্র সংসদ নিবন্ধন আইন-২০১১ এবং জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭, এবং যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭-ও প্রণয়ন করেছে।

একদা গ্রাম বাংলায় একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত সিনেমা শিল্প প্রদর্শনের হলগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি হল মালিকদের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করে সিনেমা হলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় ১ হাজার কোটি টাকার তহবিলও গঠন করে দিয়েছে। জেলা পর্যায়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণেরও পদক্ষেপ ও গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, সিনেমা শিল্প যেন মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে এবং মানুষ যাতে বিনোদনের সুযোগ পায় সেজন্য তাঁর সরকারের এই পদক্ষেপ কেননা দেশের মানুষের আয় বেড়েছে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। কাজেই এই বিনোদনের ক্ষেত্রটাও যেন আরো প্রসারিত হয় সেদিকেই তাঁর সরকার বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই এদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের গোড়াপত্তন ১৯৫৬ সালে যখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন তখন। সেকথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ব পাকিস্তান ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (ইপিএফডিসি) বিল, যা বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ অস্থায়ী আইনসভায় উত্থাপন করেছিলেন এবং একই বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে নির্মিত মুজিব বায়োপিক মুজিব: একটি জাতির রূপকার নির্মাণে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানান। ছবিটি সারাদেশে এবং ভারতে বাংলা ও হিন্দি উভয় ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এবং ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।

শেখ হাসিনা এর নির্মাতা বিখ্যাত ভারতীয় পরিচালক শ্যাম বেনেগালসহ সিনেমায় সংশ্লিষ্ট অভিনয় শিল্পি-কলা কুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে  আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা জাতির পিতার জীবনী মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস। কেউ বাঁশির ফুঁ দিল আর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল এমনটা হয়নি। এর পেছনে রয়েছে ২৩ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস।

তিনি এ সময় এই বায়োপিকসহ জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এবং পরবর্তী সময়ে জাতির পিতাকে নিয়ে নির্মিত বিভিন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রামাণ্য চিত্র এবং এনিমেশেন ফিল্ম বা শিল্পকর্মের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা পরে দর্শক সারিতে বসে চলচ্চিত্র শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।


আরও খবর