আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

শবে কদরের ফজিলত ও আমল

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদাপূর্ণ রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

কদর শব্দের অর্থ পরিমাণ নির্ধারণ ও হুকুম। যেহেতু এ রাতে সৃষ্টিকুলের ভাগ্যলিপিতে নির্ধারিত অংশের যেটুকু এ রমজান থেকে পরবর্তী রমজান পর্যন্ত বাস্তবায়নযোগ্য, তা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আদিষ্ট ফেরেশতাদের কাছে স্থানান্তর করা হয়। তাই এ রাতের নামকরণ করা হয় লাইলাতুল কদর। এছাড়াও লাইলাতুল কদর এর ব্যাপারে তাফসিরবিদরা বেশ কয়েকটি ব্যাখ্যা উল্লেখ করেছেন।

কদর শব্দের আরেকটি অর্থ হলো সম্মান ও মাহাত্ম্য। আবু বকর ওয়াররাক (রহ.) বলেন, এই রাতের নাম কদরের রাত এ জন্য বলা হয়েছে যে, এ সৌভাগ্যমণ্ডিত রাতে মাহাত্ম্যপূর্ণ কিতাব আল কোরআন মর্যাদাশীল ফেরেশতা জিবরাঈল (আ.) সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার মানুষ মহানবী (সা.)-এর কাছে নিয়ে আসেন।

শবে কদরের আমল:

শবে কদরের নির্দিষ্ট কোনো আমল নেই। তবে অত্যধিক ইবাদত-বন্দেগি, জিকির-আজকার ও দোয়া-মুনাজাত করা চাই। যাতে এ রাতের সৌভাগ্য অর্জিত হয়। তাই এ রাতের ফজিলত লাভে সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেকের কর্তব্য। বেশি ইবাদত-বন্দেগি করা কোনো কারণে সম্ভব না হলে অন্তত এশা ও ফজরের নামাজ যদি জামাতের সঙ্গে আদায় করা যায়, তবুও সারারাত নামাজ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে।

আরো পড়ুন : সদকাতুল ফিতরের গুরুত্ব ও ফজিলত

বিশেষ করে এই দিন মাগরিব ও এশার নামাজ মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করা উচিত। তাহলে হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী শবে কদরের ফজিলত লাভ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ে, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৬)

শবে কদরের দোয়া:

উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- হে আল্লাহর রাসুল, আমি যদি জানতে পারি যে, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর তাহলে তখন কোন দোয়া পড়বো? তখন তিনি বললেন, তুমি বলো

اللَّهمَّ إنَّك عفُوٌّ كريمٌ تُحِبُّ العفْوَ، فاعْفُ عنِّي

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম; তুহিব্বুল আফওয়া, ফাফু আন্নি।

অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি মহানুভব ক্ষমাশীল। আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫১৩)

শবে কদরে আরও যে আমল করতে পারেন

দুই ব্যক্তি বা পরিবারের মধ্যকার ঝগড়াবিবাদ মিটিয়ে দেওয়া শবেকদরের অন্যতম ইবাদত। উবাদা ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল (সা.) লাইলাতুল ক্দর এর ব্যাপারে খবর দিতে বের হলেন। এ সময় দু্ইজন মুসলমান ঝগড়া করছিলেন। তখন নবী কারিম (সা.) বললেন, আমি আপনাদের লাইলাতুল কদর এর ব্যাপারে অবহিত করতে বের হয়েছিলাম। কিন্তু অমুক অমুক ব্যক্তি বিবাদে লিপ্ত হওয়ায় তা (সেই জ্ঞান) উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, উঠিয়ে নেওয়াটা আপনাদের জন্য বেশি ভালো হয়েছে। আপনারা সপ্তম (২৭ তম), নবম (২৯ তম) এবং পঞ্চম (২৫ তম) তারিখে এর সন্ধান করুন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯)

কদর রাতের ফজিলত:

মহাগ্রন্থ আল কুরআন নাযিল হওয়ার কারণে অন্যসব মাসের চেয়ে রমজান মাস বেশি ফজিলত ও বরকতময় হয়েছে। আর রমজানের রাতগুলোর মধ্যে কোরআন নাযিলের রাত লাইলাতুল ক্বদর সবচেয়ে তাৎপর্যমণ্ডিত একটি রাত।

এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি একে নাযিল করেছি কদরের রাতে। তুমি কি জান ক্বদরের রাত কি? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সূরা: কদর, আয়াত: ১-৩)। 

এ আয়াতের ব্যাখায় মুফাসসিরকুল শিরোমণি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম। (তানবিরুল মিকবাস মিন তাফসিরে ইবনে আব্বাসঃ ৬৫৪ পৃষ্ঠা)।

তাবেয়ি মুজাহিদ (র.) বলেন, এর ভাবার্থ হলো, এ রাতের ইবাদত, তেলাওয়াত, দরুদ কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম।

মুফাসসিররা এমনই ব্যাখ্যা করেছেন। আর এটিই সঠিক ব্যাখ্যা। (ইবনে কাসির: ১৮ খণ্ড, ২২৩ পৃষ্ঠা)।

আরও পড়ুন : কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম যারবিচার করা হবে

শবে কদরের আমল:

সুতরাং লাইলাতুল কদর পেলে এ আমল ও দোয়া রাত অতিবাহিত করা জরুরি। তা হলো-

১. নফল নামাজ পড়া।

২. মসজিদে ঢুকেই ২ রাকাত (দুখুলিল মাসজিদ) নামাজ পড়া।

৩. দুই দুই রাকাত করে (মাগরিবের পর ৬ রাকাত) আউওয়াবিনের নামাজ পড়া।

৪. রাতে তারাবির নামাজ পড়া।

৫. শেষ রাতে সাহরির আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া।

৬. সম্ভব হলে সালাতুত তাসবিহ পড়া।

৬. সম্ভব হলে তাওবার নামাজ পড়া।

৭. সম্ভব হলে সালাতুল হাজাত পড়া।

৮. সম্ভব হলে সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ বেশি বেশি পড়া।

৯. কুরআন তেলাওয়াত করা। সুরা কদর, সুরা দুখান, সুরা মুয্যাম্মিল, সুরা মুদ্দাসির, সুরা ইয়াসিন, সুরা ত্বহা, সুরা আর-রাহমান, সুরা ওয়াকিয়া, সুরা মুলক, সুরা কুরাইশ এবং ৪ কুল পড়া।

১০. দরূদ শরিফ পড়া।

১১. তাওবাহ-ইসতেগফার পড়া। সাইয়্যেদুল ইসতেগফার পড়া।

১১. জিকির-আজকার করা।

১২. কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত দোয়াপড়া।

১৩. পরিবার পরিজন, বাবা-মা ও মৃতদের জন্য দোয়া করা, কবর জেয়ারত করা।

১৪. বেশি বেশি দান-সদকা করা।

 

নিউজ ট্যাগ: শবে কদরের ফজিলত

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




হাইকোর্টে ফের জামিন আবেদন করলেন মিন্নি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে আবারও জামিন আবেদন করেছেন। রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত বছরের ৮ মে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় আসলেও পরে আর শুনানি হয়নি।

গত বছরের ১১ জানুয়ারি বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির জামিন আবেদন শুনতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। বিচারপতি শেখ হাসান আরিক ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন আবেদনটি শুনতে অপারগতা জানান।

২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান মিন্নিসহ ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ৬ আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার দণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ৪ জনকে খালাস দেওয়া হয়।

পরে নিয়ম অনুসারে একই বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। পাশাপাশি ৬ অক্টোবর মিন্নিসহ অন্য আসামিরা আপিল করেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী, আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বী আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজোয়ান আলী খাঁন হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। খালাস পান, মো. মুসা (পলাতক), রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন।

২০১৯ সালের ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডের ক্যালিক্স একাডেমির সামনে স্ত্রী মিন্নির সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর সহযোগীরা। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত মারা যান।

এরপর রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ডকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ/ছয়জনের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় প্রথমে মিন্নিকে প্রধান সাক্ষী করেছিলেন নিহত রিফাতের বাবা। পরে ২ জুলাই ভোরে জেলা সদরের বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রধান আসামি নয়ন বন্ড (২৫) নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ২০ দিন পর ওই বছরের ১৬ জুলাই মিন্নিকে তার বাবার বাসা থেকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে মনে হওয়ায় ওইদিন রাতেই মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

একই বছরের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট মিন্নিকে জামিন দেন। ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন রয়েছেন। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক শেষে ৩০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণা করা হয়।

অপরদিকে বিচার শেষে ২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনের বিষয়ে রায় ঘোষণা করেন বরগুনা জেলা নারী ও শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। রায়ে ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড, চারজনকে পাঁচ বছর এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। বাকি তিনজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।


আরও খবর



সুন্দর বাচ্চার মা হতে চান নোরা ফাতেহি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ক্যারিয়ারের লম্বা সময়ে একাধিক মানুষের সঙ্গে নাম জড়ালেও কোনো সিরিয়াস সম্পর্কে দেখা যায়নি বলিউডের বেলি ডান্স কুইন হিসেবে বর্তমানে পরিচিত নোরা ফাতেহিকে।

২০১৪ সালে রোর: টাইগার্স অফ দ্য সুন্দরবনস দিয়ে তার অভিনয়ে ডেবিউ। এরপর বেশিরভাগ ছবিতেই কাজ করেন আইটেম ডান্সার হিসেবে। মাঝে ভূজ: দ্য় প্রাইড অফ ইন্ডিয়া, স্ট্রিট ডান্সারে তাকে অভিনেয় করতে দেখা গিয়েছিল। এছাড়াও নোরাকে দেখা যায় একাধিক রিয়েলিটি শোতে বিচারকের আসনে।

অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী হিসেবে সফল হলেও, বিয়ে করতে চান তিনি। কানেক্ট এফএম কানাডার সঙ্গে একটি সাক্ষাতকারের সময় নোরা তার সঙ্গী পছন্দের সময় কোন জিনিসে গুরুত্ব দেন, তা বিশদভাবে বর্ণনা করেছেন।

অভিনেত্রী বলেন, আমি এমন একজন মানুষকে খুঁজছি যে ঈশ্বরকে ভয় করে এবং যার লালন-পালন খুব ভালো হয়েছে। এর পরে অর্থ এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা আসে

নোরা নিজের কথায় আরও যোগ করেন, আমার এমন একজন দরকার যে ভিতর থেকে সত্যিই ভালো, কারণ বর্তমানে চারপাশে খারাপ লোকের সংখ্যাই বেশি। যারা সুবিধাবাদী এবং আপনাকে ব্যবহার করে। মিথ্যাবাদীও আছে। কিছু লোক বছরের পর বছর আপনার সঙ্গে থাকবে এবং কিন্তু আপনাকে চাইবে না। তারা আপনার টাকা, আপনার জনপ্রিয়তা বা আপনার নেটওয়ার্ক চাইবে। চারপাশে সত্যিই অদ্ভুত মানুষ আছে। ভালো মনের কাউকে পেলে আমি খুশি হব।

নোরা জানান, পাঁচ বছর আগে থেকে তার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল উচ্চতা এবং চেহারার মতো শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ওপর নজর দিয়ে নিজের জন্য জীবনসঙ্গী খোঁজা। গত কয়েক বছরের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা তার ভাবনাচিন্তা বদলেছে। তাকে তার অগ্রাধিকার পুনর্বিবেচনা করতে প্ররোচিত করেছে।

এই সাক্ষাৎকারে দেখতে সুন্দর কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা প্রশ্ন করা হলে, নোরার থেকে জবাব আসে, এত কিছুর পরে আসলে সুন্দর চেহারা আসে। আমি বলতে চাইছি, আমার ভালো জেনেটিক্স দরকার কারণ আমি সুন্দর বাচ্চা পেতে চাই।

নোরা অভিনেতা অঙ্গদ বেদী এবং কোরিওগ্রাফার টেরেন্স লুইসের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন বলে শোনা যেত একসময়।মাঝে আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছিল নোরার। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তার লিঙ্কআপ পেয়ে একাধিকবার জেরা করে ইডি।

নিউজ ট্যাগ: নোরা ফাতেহি

আরও খবর



ঈদের দিন কেমন থাকবে আবহাওয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাঁদ দেখার সাপেক্ষে বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী বৃহস্পতিবার। ওই দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় থাকলেও দুপুরের দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। ওই দিন দেশের কোনো কোনো স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে। এছাড়া আগামী দুদিন (বুধ-বৃহস্পতি) বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে, যেহেতু কালবৈশাখীর সময় তাই যেকোনো সময় পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছেন, ঈদের দিন (বৃহস্পতিবার) বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকবে। এদিন আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে। মঙ্গল ও বুধবার তাপমাত্রা বাড়বে, ঈদের দিনও সেটা অব্যাহত থাকবে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া অন্যান্য জায়গায় আকাশ আংশিক মেঘলা এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দুই-চারটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আর এক থেকে দুটি তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে, সে সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রিতে উঠতে পারে। সেই সঙ্গে থাকবে কালবৈশাখীর দাপট। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অথবা ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।


আরও খবর



ঢাকাসহ দেশের ৪ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের চারটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। আগের দিন রবিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার ঢাকার তাপমাত্রাও আগের দিনের তুলনায় কমেছে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে জনজীবনের অস্বস্তি বাড়ছে।


আরও খবর



তাপপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া দফতরের দুঃসংবাদ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ বৈশাখের প্রথমদিন। অন্যদিনের চেয়ে আজকের তাপমাত্রা একটু বেশি থাকবে, সঙ্গী হবে অস্বস্তি এসব আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। এমন পূর্বাভাসের মধ্যে সকালে কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের তেজ বাড়তে থাকে। এরইমধ্যে তাপপ্রবাহের বিস্তার ঘটতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) দেয়া পূর্বাভাসে বলা হয়- পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

এ অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর নীলফামারি ও নেত্রোকোনা জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাবে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) একই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতি থাকলেও মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিরও শঙ্কা রয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ অন্যান্য এলাকায় অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর