আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

সবজির দাম সামান্য কমেছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০২ জুন 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আজ শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মিরপুর, যাত্রবাড়ী, শনির আখড়াসহ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।

কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছিল ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। এ তালিকায় রয়েছে পটল, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, পেঁপে, ঝিঙে, চিচিঙ্গা। তবে করলা, বরবটি, কচুর লতি ও টমেটো এখনও ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। সজনে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে।

অপরদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে তেল, চিনি, আটা-ময়দার দামও একই জায়গায় রয়েছে। তবে, সম্প্রতি এগুলো বেড়ে এখন স্থিতিশীলতায় রয়েছে।

আরও পড়ুন>> রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের

মুরগি ও ডিমের বাজারে দেখা গেছে, টানা কয়েক সপ্তাহ থেকে দাম বাড়ছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। বাজারে ৫০ টাকা হালিতে মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির মাংস ২২০ থেকে ২৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে দেখা গেছে, ইলিশ-চিংড়ির পাশাপাশি দেশি পদের (উন্মুক্ত জলাশয়ের) মাছগুলোর দাম বেড়েছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। চাষের পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া থেকে শুরু করে দেশি প্রজাতির সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতি কেজি পাঙ্গাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়। অন্যদিকে তেলাপিয়া মাছের কেজি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা।

বাগদা চিংড়ি ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৯৫০ টাকা ও নদীর চিংড়ি এক হাজার ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ টাকা কেজি, ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি। মাঝারি রকমের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ টাকা। আর দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা কেজি পর্যন্ত। এছাড়া রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, কাতল মাছে ৩০০ টাকা, দেশি পুঁটি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি এবং বাইলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা কেজি দরে।

গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত। ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজি।

নিউজ ট্যাগ: সবজির দাম

আরও খবর
হজ প্যাকেজের খরচ কমল

শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24




ঈদে বাড়ি ফেরার পথে বাস চাপায় শ্যালক–দুলাভাই নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার বাস চাপায় ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তাঁরা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। গতকাল মঙ্গলবার রাতে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার হাইওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নিহতরা হলেনউজিরপুরের গুঠিয়া ইউনিয়নের পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের হাবুল সরদারের ছেলে উজ্জ্বল সরদার (২৭) ও তাঁর শ্যালক বাকেরগঞ্জ উপজেলার গুয়াখোলা এলাকার জালাল হাওলাদারের ছেলে দিন ইসলাম (১৮)।

গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো গোলাম রসুল মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বরিশাল থেকে ঢাকাগামী চেয়ারম্যান পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস রাত সাড়ে ৯টার ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত পৌনে ১১টার দিকে গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ইল্লা বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা উজিরপুরগামী একটি মোটরসাইকেল চাপা দেন।

এতে ঘটনাস্থলেই উজ্জ্বল সরদার ও তাঁর শ্যালক দিন ইসলাম নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। ঈদের ছুটিতে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

চেয়ারম্যান পরিবহন বাসটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া করে গৌরনদীর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বাসটি জব্দ করে পুলিশ। তবে চালক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আজ বুধবার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

 


আরও খবর



অপহরণে জড়িত থাকলে আমার স্বজনরাও ছাড় পাবে না: পলক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নাটোর সিংড়া উপজেলার অপহৃত ও নির্যাতনের শিকার চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন।

অপহৃত ও নির্যাতনে জড়িতদের প্রসঙ্গে পলক বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। এখানে মন্ত্রীর আত্মীয় স্বজন বলে কেউ ছাড় পাবে না।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে রামেক হাসপাতালে দেখতে যান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে হামলায় জড়িতদের বিচারের আশ্বাস দেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

গত সোমবার বিকেলে নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে মারধর করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায় প্রতিমন্ত্রী পলকের শ্যালক সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবিব রুবেলের অনুসারীরা। পরে সিংড়ার সাঐল গ্রামের নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতির দিকে।

এ ঘটনায় তার বড় ভাই মজিবর রহমান বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করার পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

দেলোয়ার হোসেনের ভাই এমদাদুল হক বলেন, আমার ভাইয়ের অবস্থা এখন কিছুটা ভালো, কথা বলতে পারছে। তবে তার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ। চোখ মেলতে পারছে না। চোখে ঝাপসা দেখছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মন্ত্রী আমার ভাইকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। এখন দেখা যাক মন্ত্রী কি করেন?


আরও খবর



যেখানে বেগুনের কেজি এক টাকা!

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

রংপুরের পীরগাছায় বেগুন এক টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। তাই তোলার খরচ না ওঠায় ক্ষেতেই পঁচে যাচ্ছে কষ্টের ওই ফসল।

তবে কৃষক নেতারা জানান, রাজধানীতে বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা হলেও মধ্যসত্বভোগীর লোভের কারণেই নিঃস্ব হচ্ছেন চাষিরা। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনার দাবি করেন তারা।

রংপুরের পীরগাছার কৃষক আশরাফুল ইসলাম জানান, ২০ শতক জমিতে তিনি চাষ করেছেন বেগুন। এতে খরচ হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। শুরুতে কিছুটা দাম থাকায় ৪০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে এখন ক্রেতা না থাকায় খেতেই নষ্ট হচ্ছে কষ্টের ফসল। বেগুন বাজারে নিয়ে গেলে ১০০ টাকা বস্তা অথবা এক টাকা কেজি দাম বলে। তাই এখন ক্ষেতেই বেগুন থাকছে। মাঝে মাঝে কিছু বেগুন তুলে গরুকে খাওয়াই নিজে খাই।

গ্রামটির অন্য চাষিরাও বলে একই কথা। তারা জানান, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে এক টাকায়। ক্ষেত থেকে তোলার খরচ না ওঠায় গবাদি পশুকে খাওয়াচ্ছেন ওই সবজি।

এ বিষয়ে রংপুর জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, প্রান্তিক গরিব কৃষক যখন উৎপাদন করেন; তবে সরাসরি তারা বাজারে বিক্রি করতে পারেন না। প্রতিটি শহরে কৃষকের বাজার ব্যবস্থা যদি প্রতিষ্ঠা করা যায়। তাহলে একদিকে ভোক্তারা যেমন লাভবান হবেন; তেমনি কৃষকরাও লাভবান হবেন।

কৃষক সংগঠনের নেতারা বলেন, রাজধানীতে বেগুনের কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা হলেও মধ্যসত্বভোগীর লোভের কারণে মাঠের কৃষক পাচ্ছেন মাত্র এক টাকা। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা না থাকায় নিঃস্ব হচ্ছেন চাষিরা।

ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না করলে চাষিরা উৎপাদনে আগ্রহ হারাবেন বলেও মনে করছেন কৃষক নেতারা।


আরও খবর



ঈদের আনন্দ মাটি, আগুনে পুড়ে ছাই ৩০ দোকান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

ঈদের নামাজ চলাকালে শরীয়তপুরের একটি বাজারে আগুন লেগে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝির ঘাট বাজারে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সকালে বাজারের ইউনুস খানের মুদির দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। মুদির দোকানটির আশেপাশে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের কয়েকটি দোকান থাকায় দ্রুত আগুন অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঈদের সকালে এমন ভয়াবহ আগুনে ব্যবসায়ীদের ঈদ আনন্দ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সালমান ফারসী বলেন, আমার দোকানে মুদি মালামাল ও ভোজ্য তেলের পাশাপাশি কাঁচা মালসহ অন্তত ১৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সকালে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনি আমার দোকানে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই আমার সারাজীবনের পুঁজি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে আমার।

ঈদের সকালের এই আগুনে রাসেল মাতবরের ৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার চারটি দোকান ছিল, যা ভাড়া দিয়ে আমি আয় করে থাকি। ঈদের দিন এমন ক্ষতি হয়ে যাবে ভাবতেও পারিনি। ঈদের আনন্দ পুড়ে শেষ হয়ে গেছে আমার।

মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারটি পদ্মা নদীর কাছাকাছি এলাকায়। আগুনের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ঈদের সকালে এমন আগুনে ব্যবসায়ীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর শংকর বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাজারের ২৮ থেকে ৩০টি দোকান পুড়ে গেছে।


আরও খবর



জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে, তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নম্বর কক্ষে রাত ১১টার পর পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন। এ পতাকাই পরবর্তীতে ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।

১৯৭০ সালের সাত জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের এক সামরিক কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অংশ গ্রহণের কথা ছিল। এই জন্য ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী, মতান্তরে ফেব্রুয়ারি ১৫ বাহিনী’ গঠন করা হয়। ছাত্র নেতারা এই বাহিনীর একটি পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার পরিবর্তে শিবনারায়ন দাশের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৭২ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার শিবনারায়ন দাসের নকশা করা পতাকার মধ্যে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ, রঙ, ও তার ব্যাখ্যা সংবলিত একটি প্রতিবেদন দিতে বলে পটূয়া কামরুল হাসানকে। কামরুল হাসান দ্বারা পরিমার্জিত রূপটিই বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।


আরও খবর