আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সচল পল্লবী স্টেশন, প্রথম দিনে যাত্রীর চাপ নেই

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে মেট্রোরেল চালু হয়েছে গত ২৯ ডিসেম্বর। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বুধবার (২৫ জানুয়ারি) চালু হলো পল্লবী স্টেশন। এর মাধ্যমে মিরপুরবাসীর অপেক্ষার প্রহর শেষ হলেও প্রথমদিনে দেখা যায়নি যাত্রীর চাপ।

সকালে সরেজমিন পল্লবী স্টেশন ঘুরে যাত্রীদের ভিড় বা চাপ লক্ষ্য করা যায়নি। ভিড় না থাকায় যারা মেট্রোরেলে চড়তে এসেছেন তারা খুব সহজেই টিকিট কেটে ট্রেনে চড়েছেন। যাত্রীদের ভাষ্য, মানুষের উচ্ছ্বাস আগারগাঁও স্টেশন চালু হওয়ার সময়ই ছিলো। তাই পল্লবী স্টেশন ঘিরে তেমন ভিড় নেই।

যাত্রী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মেট্রোরেল প্রথম যেদিন চালু হয়, সেদিন চড়ার বা দেখার খুব আগ্রহ ছিলো। ধীরে ধীরে এখন সেটা কমে গেছে। তাই হয়তো তেমন একটা যাত্রী দেখা যাচ্ছে না।

আরেক যাত্রী আহমেদ ফারুক বলেন, প্রথমদিকে মানুষ আসতো মেট্রোরেলে ঘুরতে। আগারগাঁও বা উত্তরা স্টেশন চালু হওয়ার পর দর্শনার্থীর সংখ্যাই ছিলো বেশি। আমরা এখন যারা চড়ছি তারা বেশিরভাগ অফিসগামী যাত্রী। দর্শনার্থীর সংখ্যা কম বলেই যাত্রীর চাপ কম।

এ বিষয়ে পল্লবী স্টেশনের জেনারেল ম্যানেজার ইফতেখার হোসেন বলেন, জনগণের দাবি ছিলো স্টেশনগুলো চালু করার জন্য।আমরা একে একে সবগুলো স্টেশনই চালু করবো। আজ প্রথম দিন বিধায় যাত্রী কিছুটা কম, আশা করছি সামনের দিনে যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে।

নিউজ ট্যাগ: মেট্রোরেল

আরও খবর



দলের প্রার্থী কতজন জানেন না বিএনএম মহাসচিব শাহজাহান

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী কতজন, তা নিশ্চিত নন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মহাসচিব মো. শাহজাহান। কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই দলের কতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাও নিশ্চিত করতে পারেনি দলটি। বিএনএম দাবি করেছে, বিএনপির ১৭ জন সাবেক সংসদ সদস্য তাদের হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। যদিও দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।

আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনএমের মহাসচিব মো. শাহজাহান। দলের প্রার্থী সংখ্যা নিয়ে তৈরি হওয়া অস্পষ্টতা দূর করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু দলটির পক্ষ থেকে তাদের প্রার্থীদের বিষয়টি স্পষ্ট করতে পারেনি। বরং সংবাদ সম্মেলনে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করতে থাকেন দলের মহাসচিব। একসময় দলের প্রার্থী কারা ও কতজন, তা নিয়ে নিজেই তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।

বিএনএমের মহাসচিব শাহজাহান বলেন, ৪৭৮টি ফরম বিক্রি করলেও মাত্র ৮২ জনকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন পাওয়ার পরে এলাকায় যেতে দেরি হয়েছে অনেকের। অনেকে কাগজপত্র গোছাতে পারেননি। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ব্যাংকের যে সার্ভারে ট্রেজারি চালান দিতে হয়, সেটাতে তিন ঘণ্টায় ঢোকা যায়নি। কয়েকজন এ বিষয়ে রিট করবেন।

গত ৩০ নভেম্বর ছিল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। ইসির হিসাব অনুযায়ী, বিভিন্ন আসনে বিএনএমের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৪৯ জন। তবে দলের কতজন প্রার্থী, এ বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেননি দলের মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইসির কাছ থেকে তালিকা পাইনি। আমরা ইসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তালিকা চাইব।

সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে বিএনএমের মহাসচিব দাবি করেন, তাঁদের দলের প্রার্থী সংখ্যা আসলে ১০২। ৮২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি ২০ জন হিডেন (লুকানো) প্রার্থী। এই ২০ জনের সবাই সাবেক সংসদ সদস্য বলে তিনি দাবি করেন।

এরপর বিএনএম কীভাবে সরকার গঠন করতে পারবে, সেটারও একটি হিসাব তুলে ধরেন দলের মহাসচিব শাহজাহান। তিনি বলেন, বরাবরই বলেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সরকার গঠন করতে পারব। ৮২ জন প্রার্থী, এর সঙ্গে ২০ জন হিডেন। এই ১০২টি আসন পেলে কোয়ালিশন করলে আমরাই সরকার গঠন করব। সেটা না হলে প্রথমবারের মতো বিরোধী দলে যাব।

শাহজাহান বলেন, আমরা বলেছিলাম ২০ জন সাবেক সংসদ সদস্য যোগ দেবেন। তবে ২৫ থেকে ৩০ জন পেয়েছি। এর মধ্যে ২০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমাদের দলের হয়ে সংসদে যাবেন।

বিএনএমের মহাসচিব শাহজাহান দাবি করেন, যে ২০ জন হিডেন সাবেক সংসদ সদস্য তাঁদের দলের হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন, তাঁদের মধ্যে ১৭ জন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। ১ জন জাপা ও ২ জন স্বতন্ত্র ছিলেন।

তখন একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নির্বাচনে আছেন পাঁচজন। এর জবাবে বিএনএমের মহাসচিব বলেন, আমরা এই ১৭ জনকে মনোনয়ন দিয়েছি। দাখিল না করলে আমরা কী করতে পারব?

বিএনপি থেকে কতজন সাবেক সংসদ সদস্য বিএনএমে যোগ দিয়েছেন ও প্রার্থী হয়েছেনএমন প্রশ্নের জবাবে একেকবার একেক তথ্য দেন বিএনএমের মহাসচিব। প্রথমে তিনি বলেন, দলের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ৯ জন। খানিক পরেই বলেন, বিএনপি থেকে এসেছেন ৭ জন। সব দল মিলিয়ে ১০ জন সাবেক সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন।

একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনাদের দলীয় মনোনয়নের তালিকায় সাবেক সংসদ সদস্য আছেন ছয়জন। এর জবাবে শাহজাহান বলেন, ছয়জন না। সাতজন আছেন। এরপর তিনি নিজেই দলের প্রার্থী তালিকায় থাকা সংসদ সদস্যদের সংখ্যা গুনতে শুরু করেন। ছয়জন গোনার পরে বলেন, তালিকার শেষে আরেকজন আছে। তখন সাংবাদিকেরা আরেকজনের নাম জানতে চান। জবাবে বিএনএমের মহাসচিব বলেন, আরেকজনের নাম আমরা পরে আপনাদের পাঠিয়ে দেব।

দেশের রাজনীতিতে কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বিএনএম থেকে সাবেক সংসদ সদস্যসহ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনেকেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন, এমন আলোচনা ছিল। দলটির পক্ষ থেকেও নানা চমকের কথা বলা হয়েছিল। নানা কথা বলে দলের নেতারা আলোচনার জন্ম দিলেও শেষ পর্যন্ত সাড়া ফেলার মতো কিছু ঘটাতে পারেনি।


আরও খবর
আচরণবিধি লঙ্ঘনে শামীম ওসমানকে শোকজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




লক্ষ্মীপুরে সেফটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা-নাতির মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় পরিত্যক্ত একটি সেফটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা ও নাতির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামের মাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- দাদা সফি উল্যাহ (৮০) এবং নাতি মো. ওমর (৩)।

স্বজনরা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া গ্রামের মাদার বাড়ির পেছনে থাকা পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাংকে পড়ে দাদা ও নাতির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই পারিবারে শোক নেমে এসেছে।

পুলিশ জানায়, হাঁটার সময় অসাবধানতা বসত ঘরের পেছনে থাকা সেফটিক ট্যাংকে দাদা এবং নাতি পড়ে যায়। ওই ট্যাংকে পানি জমা ছিল। এতে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, দাদা ও নাতি সেফটিক ট্যাংকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। এটি দুর্ঘটনা। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



অবরোধ সফল করতে সন্ত্রাসী সংগঠনের কৌশল নিয়েছে বিএনপি : জয়

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশব্যাপী চলমান অবরোধ কর্মসূচির সফল করতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি'র সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো কৌশল গ্রহণ করার কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

নিজের ফেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি পোস্টে বিএনপির অফিসিয়াল পেজকে মেনশন করে জয় লেখেন, এদের কর্মকাণ্ড ঠিক যেন একটা সন্ত্রাসী সংগঠনের মতো। তাদের চলমান অবরোধ সফল করতে পিকেটার @bdbnp78-এর ছাত্র সংগঠন পুলিশের ভ্যানে ককটেল নিক্ষেপ করেছে।

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, কয়েকদিন আগে এই দলের হিংস্র ক্যাডাররা একজন পুলিশ অফিসারকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এবং কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আগুন দিয়েছে। এই ঘটনায় ১০০ জনেরও বেশি পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন।

পুলিশ সদস্যের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে স্বাগত জানিয়ে, বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা সমাবেশ সফল হয়েছে বলে প্রকাশ্যে যে দাবি করেছেন সেটাকে সহিংসতা ও খুনিদের মহিমান্বিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখেছেন জয়।

এছাড়া বিএনপি-জামায়াত ক্যাডারদের অতীত কর্মকাণ্ডের কথা স্মরণ করে জয় লেখেন, ২০১৩ এবং ২০১৫ সালে ৮ মাস ধরে বিএনপি-জামায়াত এই ধরনের অবরোধ ডেকে ৯০ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিলো।

এদিকে শনিবার (৪ নভেম্বর) এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে তাদের আন্দোলনের নামে সহিংসতা এবং মানুষ হত্যার বিষয়ে সতর্ক করে এগুলো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এই ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড কীভাবে বন্ধ করতে হয় সরকারের তা জানা আছে।

ঢাকাবাসীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আগুন দিয়ে পোড়াবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। দরকার হলে তাদের ধরে ওই আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে। যে হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই হাত আগুনে পুড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই তাদের শিক্ষা হবে।

রাজধানীতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে সারা দেশে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হয় ২ নভেম্বর। হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্সসহ যাত্রীবাহী বেশ কিছু যাত্রীবাস ও পণ্যবাহী গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও আগুন দেয় অবরোধকারীরা।

এরপর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সারা দেশে দোয়া মাহফিল করে বিএনপি। শনিবার বিরতি দিয়ে রবি ও সোমবার (৫ ও ৬ নভেম্বর) দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ পালন করছে দলটি। এতে গত দুই দিনে রাজধানী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, চট্টগ্রাম, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গাড়ি ভাঙচুর এবং আগুন, পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা ধরনের নাশকতার খবর পাওয়া গেছে।


আরও খবর
ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ২

শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3




সাভারে ফের শ্রমিক অসন্তোষ পুলিশের সতর্ক অবস্থান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে শ্রমিকদের জন্য ঘোষণাকৃত ১২ হাজার ৫ শত টাকা মজুরি প্রত্যাখ্যান করে রাস্তায় বেরিয়ে আসে বেশ কিছু শ্রমিক। এ সময়ে শ্রমিক পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান করলেও ঘটেনি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা। এ ঘটনায় বেশ কিছু পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া, ছয়তলা এলাকার এএম ডিজাইন লিমিটেড ও এনভয় কারখানার শ্রমিকরা নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি বয়কট করে, কাজ ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে।  এতে দেখা দেয় শ্রমিক অসন্তোষ। পরে জামগড়া বেরণ ও নরসিংহপুর এলাকার কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়। এসময় পুলিশের সাথে শ্রমিকদের মুখোমুখি অবস্থান নিলেও কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, শ্রমিকরা সকালে ভালোভাবেই কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলো। তবে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বেরণ এলাকার এ. এম ডিজাইন ও এনভয় গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বেরিয়ে আসে। এরপর আশপাশ সেতারা ও স্টারলিংকটালিগসহ বেশ কিছু কারখানার শ্রমিকরা বেরিয়ে আসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানান, আজ আমরা সকালে কারখানায় এসেছিলাম। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করলে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বাসায় ফিরে আসি।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ ১ এর পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম জানান, সকালে শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণ হবে কাজে যোগ দিয়েছিল। পরে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা শ্রমিকরা বেরিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করে। পরে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই এলাকার প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি কারখানায় আজ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সাভার

আরও খবর



হাসপাতাল গেটে অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করল ইসরায়েল, নিহত ১৫

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালের গেটে অ্যাম্বুলেন্সে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৫ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে শনিবার সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে গাজায় অ্যাম্বুলেন্সে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি-হামাসের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করছিল। তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

অন্য একটি ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার দক্ষিণে কোস্টাল রোডে ১৪ শিশু মারা গেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছে। 

আরও পড়ুন>> নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত ১২৮

এদিকে বিদুৎ না থাকায় মৃত্যুপুরী হওয়ার পথে রয়েছে ফিলিস্তিনের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতাল। হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. ঘাসান আবু-সিত্তাহ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

ডা. ঘাসান বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে। যদি ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ভেন্টিলেটর না চলে, গুরুতর আহত রোগীদের যদি অপারেশন না করা যায়, যদি ডায়ালিসিস মেশিন চালু না থাকে- তাহলে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে এখানে এসে মরা ছাড়া রোগীদের সামনে আর কোনো বিকল্প থাকবে না।

তিনি বলেন, আল শিফা বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছেছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে এই হাসপাতাল মৃত্যুপুরীতে রূপ নেবে।


আরও খবর
যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩