চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে ডিএনএ টেস্ট করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় নিহতদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু করেছে সংস্থাটির ফরেনসিক বিভাগ। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে নির্ধারিত বুথে এসব নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। সকাল থেকেই সেখানে ভিড় করছেন নিহতদের স্বজনরা।
নমুনা সংগ্রহে
নেতৃত্বে দিচ্ছেন চট্টগ্রাম সিআইডির এডিশনাল এসপি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, যেসব স্বজন দুর্ঘটনায় নিখোঁজ আছে দাবি করছে তাদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হচ্ছে। নমুনা
সংগ্রহ করা হচ্ছে নিখোঁজের বাবা-মা, ভাই-বোন, কিংবা সন্তানদের মধ্যে যে কোনও দুজনের
নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি সেসব লাশের নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে
দেখা হবে।
ডিএনএ সংগ্রহকারীরা
জানিয়েছেন, ডিএনএ রিপোর্ট পেতে সময় লাগব এক মাস কিংবা আরও বেশি।
এর আগে, শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে
সীতাকুণ্ডের ওই ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ১০টায় বিস্ফোরণে কেঁপে
ওঠে পুরো ডিপো এলাকা। ভয়াবহ আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে আমদানি-রফতানির বিভিন্ন মালামালবাহী
কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে সেগুলোতেও বিস্ফোরণ ঘটে। দ্রুত
চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় হতাহত হয়েছে বেশি। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল
কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের
২৯টির বেশি ইউনিট কাজ করেছে।
এদিকে আগুন
নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। রবিবার (৫ জুন)
রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ডিপোতে
বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯। এরমধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১২
কর্মী রয়েছেন।