চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ। হতাহতদের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী রক্তদাতাসহ স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, এবি(+) এবি(-) ও(-) রক্তের
সংকট বেশি। সেই সঙ্গে রক্তের জন্যে স্থানীয় নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান সিভিল
সার্জন। এ পরস্থিতিতে চট্টগ্রামে অবস্থানরত সব চিকিৎসকদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসার
জন্যেও আহ্বান জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন
লাগার পর একের পর এক কন্টেইনার বিস্ফোরিত হয়েছে। বিস্ফোরণে ভেঙেছে আশপাশের বাড়ি-ঘরের
জানালার কাঁচ। বিস্ফোরণে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে বলে জানা গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে কেমিকেল কন্টেইনার থেকে
আগুণের সূত্রপাত হতে পারে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট।
র্যাব-৭ এর প্রধান মো. ইউসুফ জানান, ডিপোর ভিতর যারা আটকে পড়াদের বের করতে আমরা চেষ্টা করেছি। অনেক মানুষকে আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। রাত ১২টার পর থেকে হাসপাতালে একের পর এক গুরুতর আহতরা আসতে থাকেন বলে জানান তিনি।
চমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে
রাত সাড়ে তিনটা পর্যন্ত আসা রোগীদের কোনো এন্ট্রি করা হয়নি। তবে দুইশর বেশি রোগী সেখানে
এসেছেন। পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও রোগীদের নেওয়া হয়েছে।