শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে মানানসই পোশাক হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেউ শাল-চাদর, আবার কেউ টুপি ব্যবহার করে থাকেন। কেউ কেউ আবার ছক বাঁধা কোনো নিয়ম নয়, শরীর গরম রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে ফ্যাশনেও। এ কারণে শীতের পোশাকে ভিন্নতা রেখে নিজেকে সময়ের সঙ্গে মিল রাখাই উত্তম।
এবার তাহলে শীতে পোশাক কেমন হবে জেনে নেয়া যাক।
ফটোগ্রাফার্স জ্যাকেট: যারা পেশাদারভাবে ছবি তোলেন তাদের ক্যামেরার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ হাতের কাছে রাখতে হয়। এ জন্য এই ধরনের জ্যাকেট রয়েছে। এই জ্যাকেটের সামনের দিকে ছোট ছোট অনেকগুলো পকেট থাকে। তবে এখন শুধু সাংবাদিকরা নয়, সাধারণ মানুষও ব্যবহার করেন এমন জ্যাকেট। আপনারও যদি হাতের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিস রাখতে হয় তাহলে এই হাতাকাটা জ্যাকেট নিতে পারেন। দেখতেও সুন্দর লাগবে, শীতও নিবারণ হবে।
ফুলস্লিভ টি-শার্ট: শহরে তুলনামূলক শীত কম। তবে একদমই যে শীত নেই এমনটা নয়। শহরে শীত হালকা হওয়ায় ভারি জ্যাকেটের প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে ক্যাজুয়াল সাজ পছন্দ হলে সুতি, উল, নিট কাপড়ের তৈরি ফুলস্লিভ টি-শার্ট কিংবা হাইশোল্ডার জিপার টি-শার্ট পরতে পারেন। এ জাতীয় পোশাক স্বাচ্ছন্দ্যে দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা যায়।
হুডি: হুডি শুধু তরুণরাই নয়, সব ধরনের মানুষই এখন হুডি পরেন। ছেলেদের ফুলস্লিভ হুডি টি-শার্ট, হুডি শার্ট, হুডি জ্যাকেট, হুডি সোয়েটার, স্লিভলেস হুডি, ব্যাটম্যান হুডি, ব্রকলাইন হুডিও পরতে পারেন। এখন বিভিন্ন নকশার বৈচিত্র্যে হুডি পাওয়া যায় বাজারে। এসব হুডিতে ফ্লোরাল প্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পশুপাখির ছবি, কিংবা বিভিন্ন ডুডলও দেখা যায়। বন্ধের দিনে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় এসব হুডিতে শীত নিবারণ করতে পারেন।
বিয়ে বাড়ির পোশাক: শীতে আত্মীয়-স্বজনের অনেকেরই বিয়ে হয়। শীতকে আবার বিয়ের মৌসুমও বলা হয়। এই সময় চারপাশে বিয়ের ধুম পড়ে। কিন্তু বিয়েতে গেলে তো বিয়ের সাজেই সাজতে হবে নিজেকে। এই সময় কমপ্লিট স্যুট, পাঞ্জাবি-পাজামার সঙ্গে কুর্তি কিংবা শাল-চাদরে মেলে ধরতে পারেন নিজেকে। এতে যেমন শীত দূরে থাকবে, তেমনি বিয়েতেও বেশ মজায় থাকতে পারবেন।