প্রকৃতিতে হালকা
ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। জাঁকিয়ে না বসলেও ঠান্ডা যে রয়েছে, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ
নেই। প্রকৃতির ঠান্ডা ভাবের সঙ্গে শুরু হয়েছে মৃদু শরীর খারাপ। অনেকেরই সর্দি-কাশি
দেখা দিচ্ছে। সর্দি-কাশি হলে শিশুরা খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়। অরুচির সমস্যায় ভোগে। অনেকে
ঝিমিয়ে থাকে, খিটখিট হয়ে পড়ে। এ কারণে শীত মোকাবিলায় তাদের ইমিউনিটি বাড়ানো দরকার।
এজন্য তাদের বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
ফল ও সবজি: লেবু, স্ট্রবেরি, টমেটো, ব্রকলিতে থাকে ভিটামিন সি। তাই এ জাতীয় খাবার শিশুদের আরও
বেশি করে খাওয়ানো দরকার। এগুলি শরীর চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি শরীর তাডাতাড়ি
সারিয়ে তুলতে কাজে লাগে।
পর্যাপ্ত বিশ্রাম: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কম ঘুমান, তাদের সর্দি-কাশির সমস্যা বেশি হয়। অস্ট্রেলিয়ার
শিশুদের ঘুমের ব্যাপারে এক নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে। সেখানে বলা আছে, শিশুদের ১১ থেকে
১৪ ঘণ্টা ঘুমানো দরকার। ৫ থেকে ১৩ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের জন্য ৯-১১ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন।
বাইরে খেলতে
নিয়ে যান: ঠান্ডার মধ্যে শিশুদের বাইরে খেলতে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনতে অদ্ভুত লাগলেও
এটা কাজের। কারণ খেলাধুলা মানে শিশু-কিশোরদের ব্যায়াম। এতে শরীর-মন ভালো থাকবে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার
ওপর জোর দিন: কী করে পরিষ্কার থাকতে হয়, সে
ব্য়াপারে শিশুদের জানান। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে ইমিউন সিস্টেমের ওপর চাপ কম পড়ে।
তাদেরকে ভালো করে হাত ধোওয়ার গুরুত্ব বোঝান। বিশেষ করে যখন বাইরে থেকে আসবে তখন এটা
বেশি জরুরি বলে তাদেরকে বোঝাতে হবে। ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখুন। ঘরে কোনও ময়লা ফেলবেন
না।
গরম কাপড় ভাল
করে পরান: ঠান্ডা বাতাস শরীরে লাগলে তাড়াতাড়ি অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ছোটদের
সবসময় জ্যাকেট, টুপি, মোজা পরিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন। গরম কাপড় ঠিক করে পরার দরকার
রয়েছে। তবে বেশি জামাকাপড় পরার হাত থেকেও বাঁচতে হবে। শিশুদের ত্বক মোলায়েম হয়। তাই
তাদের সুতির কাপড় পরালে ভালো।