আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

শেখ হাসিনা: বিশ্ব নেতৃত্বে এক অনবদ্য অনুপ্রেরণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
শ ম রেজাউল করিম

Image

বর্তমান বিশ্বে সৎ, সাহসী, দৃঢ়চেতা, আত্মবিশ্বাসী, পরিশ্রমী ও অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা কে? এমন প্রশ্নের উত্তর খোঁজা বোধ করি আজ আর কোনো জটিল বিষয় নয়। সম্ভবত এর বিকল্প কোনো উত্তরও নেই। এ প্রশ্নের একমাত্র উত্তর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্ত ও আদর্শের সুযোগ্য উত্তরসূরি, একটানা তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই অকাট্য স্বীকারোক্তি আজ শুধু বাংলাদেশিদেরই নয় বরং বিশ্ব নেতৃত্বই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রতিনিয়ত অভিহিত করছেন প্রশংসাসূচক নানা অভিধায়। একনিষ্ঠ দেশপ্রেমের আভিজাত্যে, রাজনৈতিক সৌকর্যে, রাষ্ট্র পরিচালনার মুন্সিয়ানায়, বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলার দূরদর্শিতায়, মানবিক ঔদার্যে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন বারবার। তিনি একজন সফল রাষ্ট্র নায়ক, একজন সফল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক বিশ্ব নেতা।

গত ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর তাঁর অর্জনে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যগাথার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন বিশ্বের প্রভাবশালী দেশের সরকার প্রধান এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা প্রধানরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিকাল নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে বিশ্বে অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে সে কথাগুলোও বিশ্ব নেতারা স্মরণ করেছেন অকপটে। বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সফরটি অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা অভিমত দিয়েছেন।

সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন, আপনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি এও বলেছেন, আমি আপনাকে অনেক বছর ধরে অনুসরণ করছি। আপনি একজন সফল অর্থনৈতিক নেতা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটাও বলেছেন, তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী তাঁর (শেখ হাসিনা) বড় ভক্ত। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁর মেয়েরা শেখ হাসিনার মতো মহান নেতা হবেন এই কামনা করেছেন এবং এও বলেছেন, আপনি আমার দুই মেয়ের জন্য মহান অনুপ্রেরণা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, ভূমিহীন ও গৃহহীন বাংলাদেশের জনগণকে সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে তাঁর গৌরবময় ভূমিকার প্রশংসা করেন। করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে ৬ শতাংশের অধিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার কথা উল্লেখ করে ঋষি সুনাক আরো বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য।

আরও পড়ুন >> শেখ হাসিনা ও ঋষি সুনাকের প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক

তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বর্ণনা করেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে যেমন অনুপ্রেরণা বলছেন, ২০২১ সালের ২২ মার্চ বাংলাদেশ সফরে এসে নেপালের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছিলেন, আপনি বিশ্বের দারুণ এক অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা। আমি আপনার অনুরাগী।

অপরদিকে বিশ্বের অন্যতম ক্যারিশমাটিক নেতা শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক জাপান সফর দুই দেশের সম্পর্ক আরো উচ্চপর্যায়ে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি করেছে। জেগেছে নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনাও। বাংলাদেশে জাপানের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগসহ এই সফরে হওয়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক দুই দেশের অংশীদারিত্বে নবযুগের সূচনা করতে যাচ্ছে। অতীতের যে কোনো সফরের চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফর বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

৩০ বিলিয়ন ইয়েনের বাজেট সহায়তা ছাড়াও কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তাসহ আটটি সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর হয়েছে জাপান সরকারের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত পনেরো বছরের ধারাবাহিক শাসনামলে জাপানি বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নশীল দেশ এবং একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

জাপান সফর শেষে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের বিশেষ আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন। ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঋণ নিয়ে ভিত্তিহীন ও কথিত অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের বড় ধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। আত্মমর্যাদার প্রশ্নে দৃঢ়চেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়। সৎ, সাহসী ও আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করেন পদ্মা সেতু।

এ যেন বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক। একইসাথে বাংলাদেশের সাথে করা অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ। তাই বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতুর ছবি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টেকে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়ার ছবিটি ভিন্ন মাত্রা পায়। রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে দেখা যায় বাংলাদেশের মাথা না নোয়ানোর প্রতীক বনে যাওয়া এ ছবিটি। তবে বাংলাদেশকে দেওয়া বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তার অঙ্গীকার এ বছর ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি। এখন বিশ্বব্যাংক মনে করে পৃথিবীর অনেক দেশই দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজনের বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে পারে।

অতিসম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এবং বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও করপোরেট সেক্রেটারি মার্সি টেমবন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নকেও অনুকরণীয় বলে অভিবাদন জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের এই দুই শীর্ষ কর্তা। তারা উভয়েই নিজ টুইট বার্তায় বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যের গল্প তুলে ধরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি টুইট করেছেন। নিজের টুইট বার্তায় টেমবন লিখেছেন, বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই বিশ্বের অন্যতম সেরা উন্নয়নমূলক দেশ হিসেবে সাফল্যের গল্প তৈরি করেছে। দেশটির অনেক ভালো উদাহরণ রয়েছে, যা ব্যাপকভাবে অনুকরণ করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন>> নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে কমনওয়েলথের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস তার টুইটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে প্রদর্শনী উদ্বোধনের ছবি টুইট করে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ও বাংলাদেশের সাথে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অংশীদারিত্বের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করতে পেরে আনন্দিত। দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে বাংলাদেশের উদ্ভাবনী পদ্ধতি থেকে অনেক দেশ শিক্ষা নিতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরকালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, সকল বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন। বাংলাদেশ বিশ্বে একটি রোল মডেল। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছে। হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব কোভিড-১৯-এর পরও বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রেখেছে। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সুসংযোগ স্থাপন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

বিশ্ব নেতৃত্ব যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়নের প্রশংসা করছেন সে বিষয়ে আরেকটি উদাহরণ না দিলেই নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছরের মাইলফলক পালন উপলক্ষ্যে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লিখেছিলেন, বর্তমানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে বাংলাদেশিদের কর্মশক্তি, উর্বর মস্তিষ্ক ও উদ্ভাবন অবশিষ্ট বিশ্বের কাছে একটি মডেল হিসেবে কাজ করে।

ওই চিঠিতে তিনি আরো লেখেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের অংশীদারিত্ব আগামী ৫০ বছর এবং তার পরও বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে একই চিঠিতে বাইডেন লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে সহমর্মিতা ও মহানুভবতা প্রকাশের উদাহরণ তৈরি করেছেন।

একজন দূরদর্শী রাজনীতিক শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কোথায় পৌঁছে দিয়েছেন তা পাকিস্তানের সাথে তুলনা করলে সহজেই অনুমান করা যায়। পকিস্তানের বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনীতির নানা সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে। বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ এখন অনেক দেশের কাছে অনুকরণীয়।

মাথাপিছু আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। পাঁচ বছর আগেই মাথাপিছু আয়ে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। রপ্তানি আয় পাকিস্তানের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি। রিজার্ভ পৌনে ছয় গুণ বেশি। পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতিও বাংলাদেশের কয়েকগুণ। পাকিস্তান এখন বাংলাদেশ হতে চায়। এটিই ক্যারিশম্যাটিক লিডার শেখ হাসিনার অনবদ্য সাফল্য।

স্বাধীনতার পর ৫২ বছরের পথচলায় গত একযুগে বাংলাদেশ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। এ সময়ে দেশ পরিচালনা করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী রাষ্ট্রপরিচালনায় বাংলাদেশ আজ বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে রোল মডেল। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ একটি, যার মাথাপিছু জিডিপি তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীর চেয়ে অনেক বেশি।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৯ বিলিয়ন থেকে ৪৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়েছে ৭৩ বছরে এবং সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন, দারিদ্র্য হ্রাস, উন্নত স্বাস্থ্য, শিক্ষা-নারীর ক্ষমতায়ন, দুর্যোগ প্রশমনসহ আর্থ-সামাজিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে যে ধরনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে এবং বিভিন্নভাবে এই অঞ্চলে বাংলাদেশ একটা শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বিশ্ব নেতৃত্বের আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে।

২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর অত্যন্ত গুরুত্ববহ। এ সফর থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুপ্রেরণাদায়ী, অনুসরণীয় বিশ্ব নেতা হিসেবে নতুন করে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পেয়েছেন, আলোচিত হয়েছেন। একইসাথে বাংলাদেশে এবং বিশ্বপরিমন্ডলে তাঁর অনিবার্যতা প্রমাণিত হয়েছে আরেকবার।

লেখক: মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

সূত্র: জাগো নিউজ


আরও খবর



বিস্ফোরক মামলায় বিএনপি নেতার আইনজীবী জেলা আ.লীগের সা. সম্পাদক

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

Image

পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বিস্ফোরক মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী হয়ে আদালতে লড়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কানাই লাল বিশ্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পান্না। 

সোমবার (১ এপ্রিল) জেলা দায়রা জজ মো. রফিকুল ইসলামের আদালতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মিজানুর রহমান দুলালসহ ১৯ নেতা-কর্মী জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।

এ সময় আসামিপক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের ওই দুই নেতাসহ আট আইনজীবী ছিলেন। বিস্ফোরক মামলার আসামিদের পক্ষে তারা কাজ করায় জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে।

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শ.ম হায়দার আলী জানান, ওই সময় তিনি আদালতেই উপস্থিত ছিলেন। তার সামনেই তারা (কানাই লাল বিশ্বাস ও শহিদুল ইসলাম পান্না) কাজ করেছেন।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মামলার প্রধান আসামি মিজানুর রহমান দুলাল বলেন, আমাদের মামলায় প্রধান আইনজীবী হিসেবে জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা অ্যাড. আবু কালাম আকন এবং তাদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাস ও প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পান্নাসহ আট আইনজীবী ছিলেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেন মিজানুর রহমান দুলালসহ অন্য আসামিরা।

জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. কবির হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ৯০ জনকে নামীয় এবং ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

তার আগে ৭ নভেম্বর বিকেলে অভিযুক্তরা ওই এলাকার একটি পাকা রাস্তার ওপর বসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের আট নেতা-কর্মীকে মারধরসহ তাদের সঙ্গে থাকা টাকা ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।


আরও খবর



ঈদুল ফিতরে যেভাবে মিলবে টানা ১০ দিনের ছুটি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সরকারি কর্মচারী এবারের ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে দুই দিনের ছুটি নিলেই তার টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সুযোগ কাজে লাগাতে অনেকেই ২ দিনের ছুটির আবেদনও প্রস্তুত করছেন। সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সরকারি ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুসারে ৫ ও ৬ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল পবিত্র শবে কদরের সরকারি ছুটি। সে ক্ষেত্রে ৮ ও ৯ এপ্রিল দুই দিনের ছুটি নিলেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগের সুযোগ রয়েছে। কারণ ১০, ১১ এবং ১২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি। আবার ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ। অর্থাৎ, মাত্র দুই দিনের ছুটি নিলেই একসঙ্গে ১০ দিন ছুটি কাটাতে পারবেন কর্মচারীরা।

আবার যদি রোজা ২৯টি হয় তাহলে ৯, ১০ এবং ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি থাকবে। সেক্ষেত্রে ৮ এপ্রিল মাত্র ১ দিনের ছুটি নিলেই টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। কারণ ১২ এবং ১৩ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পর দিন ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার নির্বাহী আদেশে ছুটির ফাইল উঠার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ। কারণ সরকারি ছুটির পরিমাণ অনেক বেশি।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দুই দিনের আগাম ছুটির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন জমা দেবেন। অনেকে আবার ঈদের ছুটিতে বিদেশ সফর করবেন। তবে সেক্ষেত্রে অধিকাংশ উচ্চপর্যায়ের কর্মচারী চিকিৎসা সেবা নিতে বিদেশ সফরের আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।


আরও খবর



নড়িয়ায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
Image

নড়িয়া(শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ইউপি সদস্য ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকার জনসাধারণ।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কেদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ধর্ষণে অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন লস্কর এবং বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক সঞ্জয় মজুমদারসহ তাদের সহযোগী অন্যান্য শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য গত ২৪ মার্চ বিদ্যালয় ছুটির পরে অষ্টম শ্রেণির ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীকে লাইব্রেরিতে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য লিটন লস্কর এবং বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন শিক্ষক সঞ্জয় মজুমদার।

এই ঘটনার পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ: গনি ও অন্যান্য শিক্ষকরা বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর গলায় ছুড়ি ধরে তাকে হত্যার হুমকি দেয়।

পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার আশংকাজনক অবস্থায় তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরদিন ইউপি সদস্য লিটন লস্কর ও শিক্ষক সঞ্জয় মজুমদারকে প্রধান আসামী করে বিদ্যালয়ের আরও ৪জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভুগি শিক্ষার্থীর মা। অভিযোগের পরপরই ইউপি সদস্য লিটন লস্করকে গ্রেফতার করে নড়িয়া থানা পুলিশ।


আরও খবর



বিবিএসের জরিপ : বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু অপরিবর্তিত

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

গত ২০২২ সালের তুলনায় দেশের মানুষের গড় আয়ু বাড়েনি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মানুষের গড় আয়ু স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। ২০২২ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৭২.৩ বছর। যা ২০২৩ সালেও একই অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২৩ এর প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন- পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস ডিজি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।

মো. আলমগীর হোসেন জানান, ২০২৩ সালে জন্মের সময় প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল অপরিবর্তিত রয়েছে। গত বছর এ হার ছিল ৭২.৩ বছর, যা এই বছরও অপরিবর্তিত রয়েছে। জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১.৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১.৪০ শতাংশ। এছাড়া, দেশে নির্ভরশীলতার অনুপাত ৫৩.৭ শতাংশ। পুরুষদের প্রথম বিবাহের গড় বয়স ২৪.২ বছর এবং নারীদের ১৮.৪ বছর। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় অভ্যন্তরীণ স্থানান্তরের ক্ষেত্রে পল্লিতে আগমনের হার ২০.৪ এবং শহরে আগমনের হার ৪৩.৪। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অভিগমন প্রতি হাজারে ৬.৬১ জন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮.৭৮ জন। আগমন/বহিরাগমন প্রতি হাজারে ২.৯৭ থেকে কমে হয়েছে ২.৩৭ জন।

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে প্রতি বর্গকিলোমিটারে এক হাজার ১৭১ জন জনসংখ্যা বসবাস করে। প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল জন্মহার ১৯.৪ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১৯.৮ শতাংশ। স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের হার ২০২২ সালে ৫৮.৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৪৯.৩ শতাংশ এবং অস্ত্রোপচার পদ্ধতিতে প্রসবের হার ২০২২ সালে ৪১.৪ শতাংশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৫০.৭ শতাংশ।

এছাড়া, প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬.১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ৫.৮ শতাংশ। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন। মৃত্যুর শীর্ষ দশ কারণের প্রথম কারণ, হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর হার ১.০২ শতাংশ এবং দ্বিতীয় কারণ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যুর হার ০.৬৪ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩.৩%) তুলনায় কিছুটা কমে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২.১ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬.৬২%) তুলনায় কমে ২০২৩ সালে ১৫.৫৭ শতাংশ হয়েছে।

খানার আকার ২০২২ সালের ন্যায় ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে, যা ৪.২ জন। তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ১৭.৪ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮.৯ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষ খানাপ্রধান ২০২২ সালে ছিল ৮২.৬ শতাংশ, যা ২০২৩-এ কমে হয়েছে ৮১.১ শতাংশ। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ সুবিধাভোগীর জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৭.৫৩ শতাংশে।

এছাড়া, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই; এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালে ছিল ৪০.৬৭ শতাংশ, যা ২০২৩ সালে ৩৯.৮৮ শতাংশ হয়েছে। ৫ বছরের বেশি বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯.৯ শতাংশ। তবে, ১৫ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ। ২০২৩ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ৫০.১ শতাংশ।


আরও খবর



পদ্মা সেতু দেখে মুগ্ধ ভুটানের রাজা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক পদ্মা সেতু পরিদর্শনে গিয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ৯টার পর মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুতে উঠে নান্দনিক এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং এ নির্মাণ প্রকল্প দেখে মুগ্ধ হন তিনি।

এরপর নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে ভুটানের রাজার। আর বিকেল ৪টায় তিনি রাজধানীতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান ভুটানের রাজা খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

সফরের শুরুর দিন ভুটানের রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এরপর গতকাল (মঙ্গলবার) ভোর ৫টা ৫৬ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাদের সঙ্গে উপস্থিত থেকে ভুটানের রাজাও শ্রদ্ধা জানান। পরে বিকেল সোয়া ৫টায় (মঙ্গলবার) স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে সস্ত্রীক বঙ্গভবনে যান ভুটানের রাজা।

নিউজ ট্যাগ: জিগমে খেসার

আরও খবর