প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে
শুরু হয়েছে।
নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বাণিজ্যি
সম্পর্ক জোরদার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা সমস্যাসহ পারস্পরিক
স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং চলমান
কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে এই সফরটিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
বলে মনে করা হচ্ছে। উভয় দেশ এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সহযোগিতা জোরদারের বিষয় নিয়েও আলোচনা
করবে।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর, ঢাকা ও টোকিও
কৃষি, মেট্রো রেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধাসম্পদ,
প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সমঝোতা
স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
আরও পড়ুন: জাপানের সম্রাটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ
উভয় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের
মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
এর আগে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে পৌঁছালে জাপানি প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান এবং
তাঁকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখানে জাপানের
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রবেশপথে গার্ড অব অনারও পরিদর্শন করেন। এসময় দুই দেশের
জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শেষে যৌথ বিবৃতি প্রদান
করা হয়।
কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক,
পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর
বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও
খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং তথ্য
ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা সেখানে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর
বাসভবনে তাঁর সম্মানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দিবেন
বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী জাপানে তাঁর চারদিনের রাষ্ট্রীয়
সফরের দ্বিতীয় দিনের সূচনায় বেশ কিছু অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। তিনি ইম্পেরিয়াল প্যালেসে
জাপানের স¤্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাত এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি,
বাংলাদেশ-জাপান কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের চেয়ারম্যান, জাইকা
প্রেসিডেন্ট, জেট্রো চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদীয় লীগের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে
যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাইকা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
এর আগে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গতকাল
(২৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিও’র হানেদা আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে জাপান লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং
স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর আগে
২০১৯ সালে শেষবার সফর করার তিন বছর পর জাপান সফরে গেলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ২৫ এপ্রিল সকাল ৭ টা ৫৬ মিনিটে (বাংলাদেশ
সময়) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।