ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জোহানেসবার্গের স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যায় হোটেল হিলটন সেন্ডটনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ও ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম অ্যান্ড নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে অংশ নেন। বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চীন ও বাংলাদেশের সরকার প্রধানের এই বৈঠককে বেশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দীর্ঘ চার বছর পর তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হলো।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে পশ্চিমাদের অব্যাহত চাপের মধ্যে এ দুই নেতার বৈঠক একটি বার্তা দেবে বলেই বিশ্লেষকদের ধারণা। বিশ্ব অর্থনীতির এক-চতুর্থাংশের নিয়ন্ত্রণকারী পাঁচ দেশের জোট ব্রিকসের সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার জোহানেসবার্গে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার তিনি ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগে (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ এবং ব্রিকস প্লাস ডায়লগ) নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হিসেবে বক্তব্য দেবেন। বুধবার সকালে জোহানেসবার্গের রেডিসন ব্লু হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট’ এ বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করে। পরে আফ্রিকার দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ এনভয় কনফারেন্সে’ অংশ নেন তিনি। ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি সভাতেও যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। চার দিনের সফর শেষে ২৭ আগস্ট সকালে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।