আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শেখ হাসিনাকে যতবার হত্যা চেষ্টা করা হয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ মে 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
তাছনিম আদনান

Image

১৯৭৫র ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার হলেও বিদেশে অবস্থান করার কারণে সে রাতে বেঁচে যান দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

তারপর চাইলেও দেশে ফিরতে পারেননি। যে দেশের জন্য একটি পরিবার জীবন দিল সেই পরিবারের সদস্যদেরই দেশে ফিরতে দেয়া হলো না। জার্মানি থেকে ভারত এসে আশ্রয় নেন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে। ছয় বছর পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তাঁরা।

এদিকে পঁচাত্তরের ঘাতকেরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্পর্শ করতে না পারা বুলেট পিছু নেয়। দেশে ফেরার পর বাবার মতো তাঁকেও হত্যার চেষ্টা হয়েছে একের পর এক।

আরও পড়ুন>> শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পিন্টু গ্রেপ্তার

১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার পর থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। সে বছরই তার ওপর হামলা চালায় বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের সংগঠন ফ্রিডম পার্টির সন্ত্রাসীরা।

১৯৮৮ সালে লালদীঘি দিয়ে শুরু:

লালদীঘি ময়দানে ৮-দলীয় জোটের সমাবেশে যোগ দিতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে যাওয়ার পথে ট্রাক-মিছিলে সশস্ত্র হামলার শিকার হন শেখ হাসিনা। এতে সাতজন নিহত হন। পরদিন জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গুলি করেছিল পুলিশ ও বিডিআর।

১৯৮৯ সালে ধানমন্ডিতে বাসায় হামলা:

আবারও বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুক-রশিদের ফ্রিডম পার্টির সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা। শেখ হাসিনা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে আছেন নিশ্চিত হয়ে রাত ১২টার দিকে ৭-৮ মিনিট ধরে গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি।

১৯৯১ সালে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পথে গুলি:

গ্রিনরোডে একটি কেন্দ্রে ভোটের পরিস্থিতি দেখতে যান শেখ হাসিনা। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই ২০-২৫ রাউন্ড গুলি ও বোমাবর্ষণ করা হয়। দৈনিক ইত্তেফাকে লেখা হয়, বিএনপির ওয়াহিদের নেতৃত্বে দলটির কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছিল।

১৯৯৪ সালে ট্রেনমার্চে পাবনায় হামলা:

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলি করা হয়। অসংখ্য গুলি লাগে তার বগিতে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে অক্ষত থাকেন শেখ হাসিনা।এই ঘটনায় সে সময় ঈশ্বরদী থানায় মামলা হয়। এতে ১৩০ থেকে ১৩৫ জনকে আসামি করা হয়। প্রায় ২৪ বছর পর গত বছরের ৩ জুলাই মামলাটির রায় ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন>> শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ২১ বছর পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

১৯৯৫ সালে রাসেল স্কয়ারে সমাবেশে হামলা:

১৯৯৫ সালের ৭ মার্চ শেখ রাসেল স্কয়ারে সমাবেশে ভাষণ দেয়ার সময় শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হয়। সশস্ত্র ওই হামলা থেকে বাঁচাতে নেতাকর্মীরা তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় করা মামলাটি যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে হামলা:

১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্মরণে বক্তৃতা করছিলেন। এসময় হঠাৎ করে একটি মাইক্রোবাস থেকে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। এই মামলটিও বিচারাধীন আছে বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

১৯৯৯ সালে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা:

১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই ইন্টার এশিয়া টিভির মালিক শোয়েব চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পুত্রকন্যাসহ ৩১ জনকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণার ই-মেইল পাঠায়। পরবর্তীতে শেখ হাসিনাকে হত্যা, গণতন্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং বিদ্বেষ সৃষ্টির লক্ষ্যে ই-মেইল প্রেরণের অভিযোগে শোয়েব চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় ৭৬ কেজি বোমা:

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ করার কথা ছিল। ওই সমাবেশের প্যান্ডেল তৈরির সময়ে সন্ত্রাসীরা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার জন্য দুটি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখে। সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা ২০০০ সালের ২০ জুলাই ওই কলেজের পাশ থেকে ৭৬ কেজি ও একই সালের ২৩ জুলাই হেলিপ্যাডের কাছ থেকে ৪০ কেজি ওজনের দুটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করে।

২০০১ সালে খুলনার রূপসায় বোমা:

খুলনার রূপসা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে হুজি-বি। তিনদিন আগে সেতুর কাছাকাছি রূপসা নদী থেকে দুটি ইঞ্জিনের নৌকা থেকে ১৫ জঙ্গি ধরা পড়লে সেটি আর সফল হয়নি।

২০০১ সালে সিলেটে হামলার আগে বিস্ফোরণ:

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সিলেটে নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনাকে হুজি-বি বোমা ফাটিয়ে মারার পরিকল্পনা করে। সভাস্থলের ৫০০ গজ দূরে একটি বাড়িতে বোমা বিস্ফোরিত হয়ে জঙ্গিদের দুজন নিহত হলে সেই চক্রান্ত ভেস্তে যায়।

২০০২ সালে নওগাঁর বিএমসি কলেজে হামলা:

২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তৎকালীন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা হয়। এই ঘটনার জন্য তখন আওয়ামী লীগ বিএনপির যুব সংগঠন যুবদলকে দায়ী করেছিল। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এর তদন্ত আর আগায়নি।

২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পথ আটকে হামলা:

২০০২ সালের ২৬ আগস্ট কলারোয়ার হিজলদীতে মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার রহমানের স্ত্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৩০ আগস্ট বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা খুলনা সফরের সময় এ খবর পেয়ে তাকে দেখতে সাতক্ষীরা যান। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হয়। বিভিন্ন পত্রপত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন জোটের এমপির প্রত্যক্ষ মদতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসীরা।

২০০৪ সালে বরিশালের গৌরনদীতে হামলা:

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলেই ওই বছরের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে ওই হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, লুটতরাজের ঘটনায় প্রকৃত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না করে উল্টো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের আসামি করে মামলা করে পুলিশ। পরে ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। কিন্তু প্রকৃত হামলাকারীরা পার পেয়ে যায়।

রক্তাক্ত ২১ আগস্ট:

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান।

২০০৭ সালে বিষ মিশিয়ে হত্যাচেষ্টা:

২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে। জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাব-জেলে তাকে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়।

শ্রীলংকার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে চুক্তি:

২০১১ সালে শ্রীলংকার একটি সন্ত্রাসবাদী দলের সাথে বাংলাদেশের শত্রু রাষ্ট্র পাকিস্তান এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চুক্তি করে। এজন্য অগ্রিম টাকাও দেয়া হয়। শ্রীলংকার সেই সন্ত্রাসবাদী দলের আততায়ীদের টিম গাড়ি করে কলকাতা বিমানবন্দরে যাবার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে ভেস্তে যায় শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনাটি।

সক্রিয় আছে বঙ্গবন্ধুর খুনিরাও:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লে. ক. শরিফুল হক ডালিম এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ জন অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত সদস্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য সামরিক অভ্যুত্থানের চক্রান্ত করে, যা উইকিলিকসের সৌদি আরবের এক গোপন বার্তায় প্রকাশ পায়। হংকংয়ে বসবাসরত এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ইসরাক আহমেদ এ পরিকল্পনায় অর্থায়ন করেন বলে গোপন বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।

মানববোমায় হত্যার পরিকল্পনা:

২০১৪ সালের শেষদিকে প্রশিক্ষিত নারী জঙ্গিদের মাধ্যমে মানববোমায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ১৫০ জন নারী ও ১৫০ জন যুবককে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। এদের নেতৃত্বে রয়েছে ১৩ জঙ্গি দম্পতি। তবে প্রশিক্ষণরত অবস্থায়ই পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে ওই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায়।

হামলার চেষ্টায় ছিল জেএমবিও:

২০১৫ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে কারওয়ানবাজার এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্যরা। কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণও ঘটায় তারা।

সাম্প্রতিক সময় রাজশাহী পুঠিয়ার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেন রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। এ সময় তিনি বলেন, আর ২৭ দফা বা ১০ দফা নয়। শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে। অর্থাৎ এটি পরিষ্কার যে একাত্তরের পরাজিত শক্তি এবং তাদের দোসররা এখনো শেখ হাসিনা টার্গেট করে রেখেছেন এবং তাকে হত্যা চেষ্টা সুযোগ খুঁজছেন। তারই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ শেখ হাসিনা হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা।


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান। সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগন অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


আরও খবর



ইসরায়েল, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েল, ইউক্রেন ও তাইওয়ানকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে বহুল আলোচিত সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের বিল পাস হয়েছে।

গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোটাভুটির পর এসব বিলে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের মধ্যে এমন সব সহায়তা বিল পাসে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিরোধী রিপাবলিকান পার্টির নেতারা। 

ইউক্রেনের জন্য পাস হওয়া বিলটিতে দেশটিকে ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলের জন্য পাস হওয়া বিলটিতে দেশটিকে ২ হাজার ৬০৪ কোটি ডলারের সহায়তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে জো বাইডেন প্রশাসন। ভোটাভুটিতে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩১১টি আর বিপক্ষে ১১২ ভোট। খবর রয়টার্স। চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে বিলটি উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হবে। এর পর লাগবে প্রেসিডেন্টের সায়।

এই বিল দুটি নিয়ে নানা মহলে আলোচনাসমালোচনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সহায়তা প্রস্তাব নিয়ে চাপের মধ্য ছিলেন। এখন প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাসের ঘটনায় বাইডেনের বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকদের অনেকে।

বিল দুটি বাস্তবায়নে এখন মার্কিন সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। শিগগিরই তা সিনেটে তোলা হবে। সেখানে বিল দুটি পাস করার জন্য সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। এর পরই জো বাইডেন বিলে সই করবেন। এর ফলে তা আইনে পরিণত হবে। তখন ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিতে বাইডেন প্রশাসনের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যা মামলা: ১০৭ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৭ বারের মতো পিছিয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এদিন ঠিক করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



আজ পহেলা বৈশাখ, বর্ণিল উৎসবে মাতোয়ারা সারাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ পহেলা বৈশাখ। পুরোনোকে বিদায় দিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সব সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে পহেলা বৈশাখ। মনের ভেতরের সব ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা জোগায়।

পহেলা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেয়া হয় বাংলা নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ।

দিবসটিকে ঘিরে আজ বর্ণিল উৎসবে মাতবে সারাদেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানী ও দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ মঙ্গল শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। ছায়ানট রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।

এছাড়া বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত এবং এসো হে বৈশাখ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য, মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো একে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

এদিকে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হবে। একসময় নববর্ষ উদযাপিত হতো আর্তব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির। কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই সন।

অতীতে বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এই অনুষ্ঠান আজও উদযাপিত হয়।

মূলত, ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলা বর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। তবে এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে। পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে। এসময় ঢাকায় নাগরিক পর্যায়ে ছায়ানটের উদ্যোগে সীমিত আকারে বর্ষবরণ শুরু হয়।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপদাহে অস্থির জনজীবন। এমন গরম থেকে রেহাই পেতে বৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকেই। এ পরিস্থিতিতে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ শুক্রবার (০৫ এপ্রিল ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শনিবার (০৬ এপ্রিল ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর
ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪