আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

সেনাবাহিনীর আশ্রয়ে থাকা ব্যক্তিদের তথ্য দিল আইএসপিআর

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেনানিবাসের অভ্যন্তরে প্রাণ রক্ষার্থে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয় বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, গত ৫ আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এ সময় প্রাণনাশের আশঙ্কায় কতিপয় রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিবিধ নাগরিকরা সেনানিবাসে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ, জীবন রক্ষা ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে জীবন বিপন্ন ২৪ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ২৮ জন পুলিশ অফিসার, ৪৮৭ জন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাসহ বিবিধ ১২ জন ও ৫১ জন পরিবার-পরিজনসহ (স্ত্রী ও শিশু) সর্বমোট ৬২৬ জনকে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় প্রদান করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পরিস্থিতির উন্নতি সাপেক্ষে ৬১৫ জন স্ব-উদ্যোগে সেনানিবাস ত্যাগ করে। আশ্রয় প্রদানকৃত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে থেকে এ পর্যন্ত ৪ জনকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ/মামলার ভিত্তিতে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে আশ্রয়প্রাপ্ত ৩ জন তাদের পরিবারের ৪ জন সদস্যসহ মোট ৭ জন সেনানিবাসে অবস্থান করছে। এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সব তথ্যাদি প্রদান করা হয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ক্ষেত্রে, গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে ধৈর্যশীল ও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শন করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে। দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা জনসাধারণের পাশে আছে এবং থাকবেও বিজ্ঞপিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের জন্য করা নিরাপত্তা আইন বাতিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য প্রণীত জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯বাতিল করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠকে এ আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আজকের বৈঠকের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ বাতিলের প্রস্তাব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন-২০০৯ (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ১৫ মে উক্ত আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়। কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে।

এতে বলা হয়, বর্তমানে সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রয়েছে বলে এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই আইনটি রহিতকল্পে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করা হয়।


আরও খবর



প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে নতুন মহাপরিচালক আবু সাঈদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. আবু সাঈদকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নাফিউল হাসানকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব পদে বদলি করে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।


আরও খবর



অভ্যুত্থানে বিএনপির ১১৭ ও জামায়াতের ৮৭ নেতাকর্মী নিহত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যান। এই আন্দোলনে বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের অন্তত ১১৭ নেতাকর্মী এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৮৭ নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া অন্যান্য কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীও জীবন দিয়েছেন শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন উৎখাতে। অভ্যুত্থানকে রাজনৈতিক রূপ না দিতে হতাহত নেতাকর্মীর তালিকা গোপন রাখার কৌশল নিয়েছে দলগুলো। অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা আন্দোলনের সূত্রপাতকারী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বিরোধে না জড়াতেই এ কৌশল বলে জানা গেছে।

জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে জানা যায়, এসব দলগুলোর সূত্রে নিহত নেতাকর্মীর বড় অংশের পরিচয় পাওয়া গেছে। বিএনপি সূত্র নিশ্চিত করেছে, ছাত্রদলের ৩৪, যুবদলের ৩৫, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৯, শ্রমিক দলের ১৪, কৃষক দলের ৪, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ৬, দক্ষিণ বিএনপির ১২, মৎস্যজীবী দলের ২, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের এক নেতাকর্মীর প্রাণহানির তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। বহু নেতাকর্মী চিকিৎসাধীন থাকায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, শিবিরের নিহত নেতাকর্মীর সংখ্যা অন্তত ৫৩। জামায়াতের ৩৪ জনের প্রাণ গেছে। তীব্র আন্দোলনের প্রথম দিন গত ১৬ জুলাই শিবিরের দুই নেতা নিহত হন। ১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ হওয়ার পর ৪ ও ৫ আগস্ট জামায়াত-শিবিরের ৬০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। যদিও দলটি কেউ এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানায়নি।

বিএনপি এবং দলটির অঙ্গসংগঠনের নিহত নেতাকর্মীর বেশির ভাগের প্রাণ গেছে ৪ ও ৫ আগস্ট। যদিও সংখ্যা নিরূপণ করতে পারেনি দলটি। নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের ৯ নেতাকর্মীর জীবন গেছে এই আন্দোলনে।

গণমাধ্যমের হিসাবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৬২৩ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৬৫০। সরকারি হাসপাতালগুলো ৪০৮ জনের লাশ পাওয়ার তথ্য জানিয়েছে। সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছিলেন, নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়াতে পারে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে গত ১ জুলাই আন্দোলনের সূত্রপাত করেন ছাত্ররা। আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র আখ্যা দিলেও প্রথম দিকে দল দুটির সরাসরি অংশগ্রহণ ছিল না বলে গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গত ১৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্দোলনকারীদের রাজাকারের সন্তান আখ্যা দিয়েছেন অভিযোগে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এতে বিক্ষোভ হলে পরের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ।

১৬ জুলাই শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত। সেদিন নিহত হন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াসিম আকরাম। একই দিনে নিহত দুই শিবির নেতার একজন চট্টগ্রামের এমইএস কলেজের বিবিএ প্রথম বর্ষের ছাত্র এবং মহানগর উত্তর শিবিরের সাথি ফয়সাল আহমেদ শান্ত। ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ আলীসহ ছয়জন নিহত হয়েছিলেন।

গণমাধ্যমের হিসাবে ১৮ থেকে ২১ জুলাই এই চার দিনে পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের নির্বিচার গুলিতে ২১২ জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৬ হাজার। যাদের বড় অংশ ছিলেন গুলিবিদ্ধ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হিসাবে ওই সময়ে ২৬৮ জনের প্রাণ গিয়েছিল। আহত অনেকে পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২১ জুলাই নিহতদের বড় অংশই ছিলেন শিক্ষার্থী, শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষ। সেই সময় প্রাণ হারানোদের ছয়জন বিএনপির এবং পাঁচজন জামায়াতের বলে জানা গিয়েছিল।

দল দুটির সূত্র জানিয়েছে, এত প্রাণহানি এবং শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে ঢালাও ধরপাকড়ে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টি হলে সর্বাত্মকভাবে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয় বিএনপি ও জামায়াত।

বিএনপির নেতারা জানান, নৈতিক সমর্থন থাকলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া নিয়ে শীর্ষ নেতাদের মতপার্থক্য ছিল। তবে দলের নির্দেশনা ছাড়াই সারাদেশে নেতাকর্মী-সমর্থকরা নিজেরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে আন্দোলনে অংশ নেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল ছাত্ররা। এতে স্বৈরাচারের দমনপীড়নে সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছিল। দেশ রক্ষার এ আন্দোলনে বিএনপির তরুণ, যুবকরা দেশপ্রেমে ঝাঁপিয়ে পড়েন। বহু নেতাকর্মী নিহত এবং অসংখ্য আহত হয়েছেন।

জামায়াতের এক নেতা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নিলে ৩১ জুলাই সারাদেশকে ৯ ভাগে ভাগ করে পরিকল্পিত আন্দোলন শুরু হয়। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, তখন আর পিছু হটার পথ ছিল না। যে যার জায়গা থেকে খাবার, জনবল, যানবাহন ও চিকিৎসা দিয়ে সহায়তা করেছেন।

জানা গেছে, জেলা, মহানগর ও উপজেলায় হতাহতের তালিকা চেয়েছে বিএনপি। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানান, সারাদেশে ৩৪ নেতাকর্মী নিহতের পাশাপাশি দেড় সহস্রাধিক আহত হয়েছেন। অনেকে এখনও মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন। কেউ অন্ধ হয়েছেন, কেউ হারিয়েছেন হাত-পা।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, মাগুরা জেলা ছাত্রদল সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি, মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভা শাখার সদস্য সচিব মানিক মিয়া শারিক, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ ওয়াসিম আকরাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদল যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান রাসেল, যশোর ছাত্রদল নেতা সাকিবুল হাসান মাহি, তানভীর রাইহান আলিফ ও ইউসুফ আলী, মুন্সীগঞ্জ ছাত্রদল নেতা ফরিদ শেখ, রাজবাড়ী ছাত্রদল নেতা সাগর আহমেদ, হবিগঞ্জ পৌর ছাত্রদল নেতা রিপন চন্দ্র শীল, গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রদল প্রচার সম্পাদক ইসমাইল হোসেন রাব্বি, সূত্রাপুর থানা ছাত্রদল নেতা শাওন, জামালপুর সদরের ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলার সদর পৌর ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ সুমন, ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার ছাত্রদল নেতা সামিম হাওলাদার, ভাটারা থানা ছাত্রদল নেতা মনির হোসেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা ইরফান ভূঁইয়া, ইমতিয়াজ আহমেদ, শেরপুর সদর ৬ নম্বর পাকুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব প্রমুখ।

যুবদলের নেতাকর্মীরা জানান, নিহত ৩৫ নেতাকর্মীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের সবাই পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের গুলি কিংবা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। ঢাকা মহানগর যুবদলের হাফিজুর রহমান, মোসলেহউদ্দিন, ওবায়দুল, সজীব, মহিনউদ্দিন, শাহনেওয়াজ, নবীন তালুকদার, ওয়াসিম শেখ, সাঈদ খান, নাদিম, শামীম হাওলাদার, মহিউদ্দিন বয়াতি, ওমর ফারুক, শিহাবউদ্দিন, মোসলেমউদ্দিন, আরিফ, রিয়াজ, মোসলেমউদ্দিন মিলন, মেরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসাইন, ইমন হাজী, নারায়ণগঞ্জে মুহাম্মদ পারভেজ, মহানগর যুবদল নেতা সাজন, কুমিল্লা দক্ষিণ যুবদল নেতা মোহাম্মদ মাসুম, গাজীপুর মহানগরে নুর আলম, রাজশাহীতে আজিজুল হক নিহত হয়েছেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের বিমানবন্দর থানার কর্মী শাহরিয়ার হোসেন আবির ও যুবায়ের হোসেন, দক্ষিণখান থানার ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কর্মী মোহাম্মদ সাগর, ভাটারা থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মনির হোসেন, রূপনগর থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ব্লক ইউনিট সভাপতি মিরাজ, ভাটারা থানার যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন, ঠাকুরগাঁও পৌর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঠাকুরগাঁও সদরের রহিমানপুর ইউনিয়নে শাহান পারভেজ, কুমিল্লা উত্তর জেলা দেবিদ্বার পৌর যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ নিহত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মো. জাহাঙ্গীর, জালাল উদ্দিন, মনির হোসেন, মহানগর উত্তরের আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন, মোহাম্মদ আসিফ, মনির হোসেন, মোহাম্মদ সোহাগ, মোহাম্মদ রাজন, পাওয়ার গ্রিড করপোরেশন বাংলাদেশ-পিজিসিবি শ্রমিক দলের মোহাম্মদ রাকিব, নরসিংদী শ্রমিক দল নেতা জাহাঙ্গীর আলম ও হৃদয় হাওলাদার, ফরিদপুর শ্রমিক দল নেতা শামছু মোল্লা এবং হবিগঞ্জে মোস্তাক মিয়া নিহত হয়েছেন।

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের ডেমরা থানা যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ শরীফ, বাড্ডা থানার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মোহাম্মদ সুমন, তেজগাঁও থানার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুর ইসলাম,  উত্তরা পূর্ব থানার নেতা জাহিদুল ইসলাম সাগরের প্রাণ গেছে। মৎস্যজীবী দলের যাত্রাবাড়ী থানা যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হৃদয়, গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি রুবেল মিয়া ছাড়াও জাসাসের উত্তরা পূর্ব থানার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জসিমউদ্দিনের নাম রয়েছে নিহতের তালিকায়।

শিবির সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরের শাকিল পারভেজ, ঢাকা মহানগর উত্তরের আবদুল্লাহ আল তাহির ও মুহাম্মদ রায়হান, মহানগর পশ্চিমের মাহফুজ হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একরাম হোসেন কাউসার ও মুহাম্মদ এলেম, মডেল ইনস্টিটিউটের মুহাম্মদ নাসির ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুহাম্মদ আদিল ও সাইয়্যেদ মুনতাসির রহমান, নারায়ণগঞ্জের মুহাম্মদ ইরফান ভূঁইয়া, ভোলা শহরের নাহিদ হাসান, লক্ষ্মীপুর শহরের কাউছার হোসেন বিজয়, সাদ আল আফনান ও ওসমান পাটওয়ারী, পাবনা শহরের জাহিদ হাসান, নাটোর জেলার মিকদাদ হোসেন খান আকিব, ফেনী শহরের ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, ঢাকা জেলা উত্তরের মুহাম্মদ মারুফ হোসাইন ও রিফাত হোসাইন, রাজশাহী মহানগরের আলী রায়হান, গাজীপুর মহানগরের সামিউ আমান, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের মুনতাসির রহমান আলিফ, মাহবুব হাসান মাছুম প্রমুখ। তারা সংগঠনটির কর্মী থেকে সদস্য পর্যায়ের দায়িত্বে ছিলেন। জামায়াতের নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন মোতাকিম বিল্লাহ, আব্দুল্লাহ কবির, কবির হোসেন, মোহাম্মদ তাহমিদ প্রমুখ।


আরও খবর



জামালপুরে পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

অতিরিক্ত অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জামালপুর পৌর শহরের ইদিলপুর মৌজার ডাকপাড়া এলাকায় হাজী খুশিদা রহমানের পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই ভুক্তভোগী পরিবার।

বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রেসক্লাব জামালপুর মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জামালপুর পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার মৃত এসএম তৈহাজী খুশিদা রহমান ও তার ছেলে এস এম মোরশেদ আলম সংবাদ সম্মেলনে জমি দখলের অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.মিজানুর রহমান রংপুর রেঞ্জের দায়িত্ব পালন করছেন ও তিনি মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের গুজামানিকা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হাজী খুশিদা রহমান বলেন, আমার স্বামী এস এম তৈয়বুর রহমান ও তার ছোট ভাই আব্দুল জব্বার ডাকপাড়া এলাকায় ১৬৮ শতাংশ জমি আরওআর রেকর্ডীয় মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করেন। সেই জমি বিআরএস রেকর্ডে কিছু অংশ তাদের অপর এক ভাইয়ের নামে রেকর্ড হয়। পরে আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করা হয়। সেই জমি দুই ভাই পূর্ণাঙ্গ মালিকানা পান। পরে রাস্তা ও গ্যাসের লাইনের জন্য সরকারীভাবে ৬১ শতাংশ জমি অধিগ্রহন করা হয়। ওই পুলিশ কর্মকর্তার শশুড় একক স্বাক্ষরে সেই অধিগ্রহনের টাকা উত্তোলন করেন। সেই হিসাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তার শ্বশুরের ২৩ শতাংশ জমি অবশিষ্ট থাকে। এর কিছুদিন পরে তিনি মারা যান। আর তার ছেলে সন্তান না থাকায় অবশিষ্ট ২৩ শতাংশ জমি মৃত আব্দুল জব্বারের মেয়ে ডিআইজি মো.মিজানুর রহমানের স্ত্রী নাসরিন দেবা সুমি, ভাই, ভাতিজা ও বোনেরা ওয়ারিশ হয়। কিন্তু ওই পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ২০১৬ সালে স্বামীর দাপটে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তাদের জমিসহ আমাদের ৮৪ শতাংশ জমি ও দোকানপাট জোর পূর্বক দখল করেন।

খুশিদা রহমানের ছেলে এস এম মোরশেদ আলম বলেন, ডিআইজি মিজানুর রহমান পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় তার নির্দেশে পুলিশ সাথে নিয়ে জমি দখল করে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের থানায় তুলে নিয়ে যায়। হামলা-মামলার হুমকি দেন, অপমান-অপদস্ত ও গালি গালাজ করেন। আমাদের দেখলেই ভয়ভীতি দেখান। সেই সময়ের আওয়ামী লীগের নেতারা ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এতোদিন ভয়ে আমরা কিছু করতে পারিনি। এখন সরকার পতনের পরও আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। জীবনের ভয়ে আছি। পুলিশ কর্মকর্তার হাত আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, আমি যতদিন যাবত সদর থানায় আছি। এ সময়ের মধ্যে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগে যদি ঘটে থাকে, আর কেউ অভিযোগ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাগ্রহন করবো।

এ প্রসঙ্গে রংপুর রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.মিজানুর রহমান বলেন, এটা আমার শ্বশুড়ের পৈত্রিক সম্পত্তি। তারা যে অভিযোগ করেছে সেটা অবান্তর। আপনারা খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে পারেন। 

নিউজ ট্যাগ: জামালপুর

আরও খবর
১৬ জেলায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর বাড্ডায় হৃদয় আহম্মেদ (১৬) নামে এক কিশোর হত্যার অভিযোগের মামলায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগরওয়ালকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. সাদেক আসামিকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত ৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে দিলীপ কুমার আগরওয়ালকে আটক করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তার গুলশানের অফিস ঘিরে রাখেন র‌্যাব সদস্যরা। পরে ওই অফিসে অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা।

সোনা ও হীরা চোরাচালানের অভিযোগে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড এবং এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের অনুসন্ধান শুরুর পরই সেখানে অভিযান চালায় র‌্যাব।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে বাড্ডা থানাধীন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিতে নিহত হন হৃদয়। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শাহাদাত হোসেন খান নামে এক ব্যক্তি।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪