সম্প্রতি সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছে, সে বিষয়ে এবার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কখনো কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। গতকাল সোমবার (২৭ জুন) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা এ কথা বলেছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফ স্থলবন্দরে আজ থেকে পাঁচ দিনের ছুটি
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের
মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ তুলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ
নিতে চায় এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিক্রি
করতে চান।
এ বিষয়ে ম্যাথিউ বলেন, ‘আমি শুধু একটা কথাই বলব যে, এটা সঠিক নয়। আমরা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করি এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে আমরা কখনোই কোনো ধরনের আলোচনা করিনি। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে আমরা গুরুত্ব দিই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ
এর আগে গত ২১ জুন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। কারও কাছে এ দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। এখন যদি বলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ কারও কাছে লিজ দেব, তাহলে ক্ষমতা থাকার কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আমার দ্বারা সেটা হবে না।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা কী চায়।
আমি যদি এখন সেন্টমার্টিন দিয়ে দিই, তাহলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারি। আমি জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধুর কন্যা। এটা আমার হাত দিয়ে হবে না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ২০০১
সালে ক্ষমতায় আসতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার
সুযোগ দেব না।