রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে সব ধরনের অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহা কোনো ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শুক্রবার বিকেলে অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার পরিচালক ও উপ-পরিচালক মাঈনুল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে মজুত গ্যাসে চলবে ১০ বছর: জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
মাহবুবা রহমান আঁখির চিকিৎসাজনিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক গঠিত পরিদর্শন টিমের পরিদর্শন পরবর্তী নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ডা. সংযুক্তা সাহা পরবর্তী লিখিত অনুমোদন ছাড়া সেন্ট্রাল হাসপাপাতালে কোন বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে পারবেন না।
২. আই. সি. ইউ ও জরুরি সেবার মান সন্তোষজনক না হওয়ার অপারেশন থিয়েটারের কার্যক্রম পরবর্তী নিদেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
৩. মাহবুবা রহমান আঁখির পরিবরের নিট হইতে গৃহীত চিকিৎসা বাবদ সকল খরচ এবং চিকিৎসাজনিত জটিলতার যাবতীয় খরচ সেন্ট্রাল হাসপাাল পক্ষকেই বহন করতে হবে।
৪. বর্ণিত রোগীর চিবিৎসায় জড়িত সকল চিকিৎসকের এবং চিকিৎসা সংক্রান্তি যাতীয় কাগজপত্র বিএমডিসি তে পাঠাতে হবে। বিএমডিসি হতে চিকিৎসকের নিবন্ধন বিষয়ক সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে তদানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
৫. ভুক্তভোগী কোন ক্ষতিপূরণ দাবি করলে বিদ্যমান আইনি প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে হবে।
৬. আদালতে চলমান মামলায় অভিযুক্ত ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনার যাবতীয় খরচ সেন্ট্রাল হাসপাপাতালকে বহন করতে হবে।
৭. অভিযোগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্রাদি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্দেশনার আলেঅকে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সুখবর পেলেন বিএসএমএমইউ’র নন-রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা
‘উপরোক্ত নির্দেশনাসমূহ ১৬ জুন ২০২৩ তারিখে জারি করা হবে এবং কার্যকর হবে। এর কোন ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে নবজাতকের মৃত্যু এবং মা মৃত্যুঝুঁকিতে পড়ার ঘটনায় দুই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তারা হলেন, ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা।