শেরপুর প্রতিনিধি:
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হযরত আলী ও যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মাসুদ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ১০ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে পৌরশহরের ডিসিগেইট মোড়ে এ সংঘর্ষ হয়।
জেলা বিএনপির সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে হযরত আলী ও শফিকুল ইসলাম মাসুদ গ্রুপের মধ্যে দলীয় কোন্দল চলে আসতেছিলো। এরই অংশ হিসেবে আজ দুপুরে দ্রব্যমূল্য উধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারক লিপি দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন। পরে আরেকটি গ্রুপ প্রবেশ করার সাথে সাথেই হাতাহাতি শুরু হয় সমর্থকদের মাঝে। পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় হাতাহাতি বন্ধ হলে তারপর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ এর হাতে স্মারক লিপি প্রদান করেন নেতৃবৃন্দরা। স্মারকলিপি প্রদান শেষ করে যাওয়ার পথে দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশের পরিস্থিতি টের পেয়ে সমর্থকরা দৌড়ে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী জানান, ইতিপূর্বে মাসুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এর ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার নেতাকর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চলানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক শফিকুল ইসলাম মাসুদ জানান, সামনের সাড়িতে দাড়ানেকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
এ ঘটনায় শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল জানান, আমরা এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাবো। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মনসুর আহমেদ জানান, শেরপুর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান শেষ করে বিএনপির নেতৃবৃন্দ চলে যাওয়ার পথে ডিসি গেইটের রাস্তায় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মাঝে বাকবিতণ্ড শুরু হয়। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে উভয় গ্রুপের লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।