আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

শেরপুরে ধানের মাঠে বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরে ২০২১ সালে প্রথম জাতীয় পতাকার আদলে ধানের মাঠ গড়েছিলো ঝিনাইগাতীর শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি ধানশাইল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

তবে তিনি শুধু জাতীয় পতাকা তৈরি করেই থেমে থাকেননি। এবার ধানের মাঠে বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ গড়ে তুলেছেন। জেলাজুড়ে আলোড়ন তৈরি হওয়ায় সকলে ভিড় করছে এসব দেখতে।

লাল রঙের ধান গাছ হয় না। তবে ঘন বেগুনি রঙের একধরনের গাছ আছে। আর এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। নিজের ফসলের মাঠে সবুজ ও বেগুনি ধানের চারা দিয়ে তৈরি করেছেন এসব।  তার এই উদ্যোগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর বেগুনি রঙের ধানের আবাদ প্রথম শুরু হয় গাইবান্ধায়। এ ধানের নাম পার্পল লিফ রাইস। এই ধানগাছের পাতা ও কাণ্ডা রং বেগুনি। এর চালের রংও বেগুনি। তাই কৃষকদের কাছে এখন পর্যন্ত এ ধানের পরিচিতি বেগুনি রঙের ধান বা রঙিন ধান।

চারদিকে বিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেতের মধ্যে বেগুনি রঙের এই ধানগাছ দেখে থমকে যায় পথচারীরা। অনেকেই এ সৌন্দর্যের ছবি তোলে। কেউ কেউ তোলে সেলফিও।

সেলফি তুলতে শেরপুর শহর থেকে আসা রাহাত বলেন, আমি এ দৃশ্যটি আগে কখনো দেখিনি। আমার এটি প্রথমবার দেখে খুব ভালো লাগছে। তাই একটা সেলফি তুলছি। আমরা শুনেছি তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর জন্য একাজটা করেছেন। যিনি একাজটা করেছেন সত্যিই তিনি সকলের কাছে প্রশংসার দাবীদার। শ্রীবরদীর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিন রাস্তার পাশ দিয়ে যাবার সময় একবার হলেও দেখে যাই। আমার কাছে খুবি ভালো লাগে। আর এই দৃশ্য তেরি করে এলাকারও একটা সুনাম হয়েছে তার।

বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে শুনে শেরপুর শহর থেকে আসা হাসানুল বান্না সিফাত বলেন, আমি বন্ধুদের কাছেই শুনা মাত্রই চলে এসেছি এ দৃশ্য দেখতে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো দেখতে।

নলকুড়ার এলাকার কৃষক কবির মিয়া বলেন, নূর আলম স্যার যেমন কইরা ধান গাছ নাগাইছে। দেখতে যেন আমাগোর দেশের জাতীয় পতাকার মতন। আগামীতে আমিও চাষ করমু ইনশা আল্লাহ।’

প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ইউটিউবে গতবছর পার্পল লিফ রাইস’ ধানের চাষ দেখার পর এই ধান চাষের আগ্রহ জাগে আমার। গতবছর শালচূড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নানের মাধ্যমে স্থানীয় আদিবাসী এক কৃষকের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করি। পরে পরীক্ষামূলকভাবে ১০ শতাংশ (২কাঠা) জমিতে ধান রোপণ করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ধানও খুব ভালো হয় সেসময়। তাই এবারও দুই জমিতে পৃথকভাবে মোট ৫০ শতাংশ (দশ কাঠা) জায়গায় ধান রোপণ করি। এর মাঝে বেগুনি ধানের বীজও রোপণ করি।’

‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে আমি আমার ধান ক্ষেতকে জাতীয় পতাকা ও বাংলাদেশের মানচিত্র’র আকৃতিতে রুপান্তর করতে দুই জাতের ধান রোপণ করেছি। পাশাপাশি দুইজমিতে বেগুনি ও সবুজ ধান দিয়ে তা তৈরি করেছি। আমার দেশের প্রতি ভালোবাসা ফুটিয়ে তুলতে এসব করছি। সামনের বছর আরোও বড় আকারে করবো।

অনেক কৃষক এই ধান চাষ করতে আমার কাছে বীজ চেয়েছে। আর এসব দৃশ্য দেখার জন্য মানুষ প্রতিদিনই আসছেন আমার ক্ষেতে, দেখছেন ধান ক্ষেত, তুলছেন ছবি।

ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলায় এ ধানের চাষ আগের বছর প্রথম হয়েছিলো। এই ধানের পুষ্টিমান বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ চালের ভাত খেতেও সুস্বাদু। ধানের চারা দিয়ে এ সুন্দর দৃশ্য তৈরি করায় উৎসুক মানুষ ক্ষেত দেখতে আসেন। আমিও পরিদর্শন করে দেখেছি ক্ষেতটিতে ধানের চারা দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ করায় অনেক সুন্দর হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মুহিত কুমার দে জানান, শেরপুরে জেলায় কিছু জায়গায় আগে থেকেই বেগুনি ধান চাষ হচ্ছে। তবে এবার গতবারের তুলনায় একটু বেশি চাষ হয়েছে। এই ধান ডায়াবেটিস রোগীদের বেশ উপকারী। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এ ধানের আবাদ বৃদ্ধির চিন্তা করা হচ্ছে।’‘ধান ক্ষেতের মধ্যে বেগুনি ধানের চারার আদলে বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও স্মৃতিসৌধ তৈরি করে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। যারা বেগুনি ধানের আবাদ করেছেন আমরা তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। প্রাকৃতিক কোনো সমস্যা না হলে এবার শেরপুরে এধানের বাম্পার ফলন হবে আশা করি।’


আরও খবর



সরকারি খালে ড্রেজার বসিয়ে রমরমা ব্যবসা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

Image

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ‌ প্রকল্পের সেচ খালে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছে একটি মহল। উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ডি৪ খালের লুধুয়া, নান্দুরকান্দি, সাহবাজকান্দি অংশের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে এমন কার্যক্রম চালিয়ে আসছে মহলটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সাহবাজকান্দি এলাকার ডি ৪ খালের অংশে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। জানতে চাইলে রসুলপুর গ্রামের রতন মিরের ছেলে রাকিব মির ঘটনাস্থলে এসে তিনি নিজে বালু উত্তোলন করছেন জানিয়ে সংবাদকর্মীদের হুমকি ধামকি প্রদান করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে তাৎক্ষণিক মতলব উত্তর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরানকে মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিজান পরিচালনা করছি। তবে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়া ব্যতিত কোন উপায় নেই।

বিষয়টি সম্পর্কে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত পাল জানান, জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা চিঠি দিয়েছি। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এদিকে চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক একরামুল সিদ্দিক বলেন, মতলব উত্তর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা একি চাকমাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিচ্ছি।

সূত্র জানায় গত ২ সপ্তাহে প্রায় ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা সমপরিমাণ মূল্যের মাটি উত্তোলন করেছে চক্রটি। এদিকে গত কয়েক বছরে প্রায় অর্ধ কোটি ঘনফুটের ও বেশি মাটি এই সেচ খাল থেকে উত্তোলন করেছে চক্রের অন্য সদস্যরা। ড্রেজার স্থাপনের আশেপাশে থাকা বসতঘরের শিক্ষার্থী, মধ্যবয়স্ক, বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন ড্রেজারের বিকট শব্দে শিশু ও বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। অনিদ্রায় মধ্যবয়স্ক সহ বয়স্কদের বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ।

অবৈধ মাটি উত্তোলন বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার মতলব উত্তর উপজেলার সভাপতি আবু সাইফ বলেন, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট‌ করা আইন বহির্ভূত, প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি। এদিকে খাল সংলগ্ন কৃষি জমি ভাঙ্গনের ফলে কৃষিখাতে মারাত্মক ক্ষতির আশংকা করে ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ শাকিল বলেন,‌ কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশ রয়েছে তা একটি মহল ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে।

কুচক্রী মহলের এমন কার্যক্রম শিঘ্রই বন্ধ না হলে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পুরো পরিকল্পনা ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করেন তিনি।

এদিকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪ ও ৫ ধারায় বর্ণিত বালু ও মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধান অমান্য করলে কমপক্ষে ২ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও এ আইনে ব্যবহৃত ড্রেজার, বালু বা মাটি সহ যানবাহন ও যন্ত্রপাতি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে বলে উল্লেখ আছে।


আরও খবর



ইরানের হামলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হলো ইসরায়েলের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের নজিরবিহীন হামলায় অনেকটাই কুপোকাত ইসরায়েল। দেশটির এখন পর্যন্ত কী পরমিাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে নতুন একটি বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ দাবি করেছে, ইরানের বিপুলসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তারা প্রতিহত করেছে। রোববার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আইডিএফ জানায়, শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইরানের সংখ্যাগরিষ্ঠ হামলা প্রতিহত করেছে তারা। ইসরায়েলি ভূখণ্ড অতিক্রম করার আগেই এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সঙ্গে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অ্যারো ব্যবহার করে তারা হামলা প্রতিহত করেছে বলেও দাবি করে ইসরায়েলের এই বাহিনী।

তবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি ঘাঁটিতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এতে সামান্য অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে এই বাহিনী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরে।

অ্যারো প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধীরগতির ড্রোনের বদলে উচ্চতায় থাকা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরাস্ত করতে পারে। এটির নকশাই এভাবে তৈরি। গাজা যুদ্ধের শুরুতে ইয়েমেন থেকে উৎক্ষেপণ করা হুতিদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ব্যবহার করে ইসরায়েল।

আইডিএফের মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরানের হামলায় একজন আহত হওয়ার খবর জেনেছেন তারা। তিনি বলেন, ইরানের বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে আঘাত হানার পরে একটি সামরিক ঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ঘাঁটিতে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তা জানানো হয়নি।

হামলায় কে আহত হয়েছেন, তা নিয়ে হাগারি বিস্তারিত কিছু জানাননি। তবে এর আগে ইসরায়েলের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্যারামেডিক সাত বছরের এক মেয়েকে চিকিৎসা দিয়েছে। আরাদ অঞ্চলে বেদুইন অধ্যুষিত এলাকায় গোলার আঘাতে মেয়েটি আহত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিবিসিকে জানিয়েছে, দেশটির ভেতরে চলাচলে কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। টাইমস অব ইসরায়েলে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, নাগরিকদের আর আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকতে হবে না। তবে জমায়েত ও সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম এবং স্কুলে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।


আরও খবর



ফের ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে বাতাসের কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু শহরটিতে দুয়েকদিন বৃষ্টি বিদায় নিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

 তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৪৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের শহর দিল্লির স্কোর ১৯৫। আর ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর, ১৬৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার স্কোর ১৬৮।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



ঈদে সংবাদপত্রেও মিলতে পারে টানা ৬ দিনের ছুটি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবারের ঈদুল ফিতরে টানা ৬ দিনের ছুটি পেতে পারেন। বিষয়টি নিয়ে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) আলোচনা চলছে।

নোয়াবের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে একদিনের ব্যবধানে পহেলা বৈশাখ পড়েছে। তাই মাঝে ১৩ এপ্রিল বিশেষ ছুটি দেওয়া যায় কি না তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।

সাধারণত সংবাদপত্র কর্মচারীরা সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে ছুটি ভোগ করেন। সেই হিসেবে এবার ঈদে সরকারি ছুটি ১০ থেকে ১২ এপ্রিল। তবে, ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে সরকারি ছুটি একদিন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। সেটি হলে ৯ এপ্রিল থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে ১২ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ১৩ এপ্রিল সংবাদপত্রে অফিস খোলা থাকলেও ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখের ছুটি। এ অবস্থায় নোয়াব যদি ১৩ এপ্রিল ছুটি ঘোষণা করে তাহলে ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৬ দিন ছুটি পাবেন সংবাদকর্মীরা।

এদিকে, এবার সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ১০ দিন ঈদে ছুটি পেতে পারেন। অর্থাৎ সরকারি ক্যালেন্ডারে ঈদের ছুটি ধরা হয়েছে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার ও ১৪ এপ্রিল নববর্ষের ছুটি।

এ ছাড়া ঈদের আগে ৫ ও ৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ও ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি। ফলে ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি পেলে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ১০ দিন পাবেন। এরমধ্য ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ৯ এপ্রিল ছুটি রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।


আরও খবর



অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবান থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার  দিকে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ ই বেঙ্গলের দোপানিছড়াপাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা যায়, টহল দল কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে। এ সময় আট জনকে আটকের পাশাপাশি নয়টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, দুইটি মোবাইল ফোন এবং দুইটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে হামলা, টাকা লুটের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় আসে কেএনএ। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ যৌথ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।


আরও খবর