আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে জামালপুরের কেন্দুয়া কালিবাড়ি ইয়াছিনপাড়া জামে মসজিদের ইমাম সুলতান মাহমুদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে অপর মাদ্রাসা শিক্ষক সিফাত আহমেদ গাঢাকা দিয়েছে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর সাথে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার হরিনধরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ও জামালপুর কেন্দুয়া কালিবাড়ী ইয়াছিন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম এবং স্থানীয় কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক সুলতান মাহমুদের ৫/৬ মাস আগে মোবাইলে ফেইসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সুলতান মাহমুদের দুই স্ত্রী ও চার সন্তান থাকার পরও নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে প্রায় দুইমাস আগে ওই শিক্ষার্থীর সাথে দেখা করে। তার সরলতার সুযোগ নিয়ে শেরপুর শহরের নওহাটা মহল্লার এক বাসায় নিয়ে প্রথমবার ধর্ষণ করে এবং তা ভিডিও ধারণ করে। পরে এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত ৩১ জুলাই আবারো ওই শিক্ষার্থীকে ওই একই বাসায় নিয়ে যায়। এবং তার বন্ধু শেরপুর পৌর নওহাটা মিজবাওল উল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক সিফাত আহমেদের সহযোগিতায় ধর্ষণ করে।

একইভাবে ওই ছাত্রীকে আবারো ৩ জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় একই বাসায় নিয়ে আসলে স্থানীয় লোকজন সুলতান মাহমুদকে আটক করে পুলিশে দেয়। পালিয়ে যায় সিফাত আহমেদ। পরে এ ঘটনায় ৪ আগস্ট রোববার শেরপুর সদর থানায় সুলতান মাহমুদ ও সিফাত আহমেদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

নিউজ ট্যাগ: শেরপুর ধর্ষণ

আরও খবর



চাকরি বহালের দাবিতে অবস্থান, আইজিপিসহ অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক তকমায় বা ঠুনকো অভিযোগে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা সব সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি ফিরে পেতে পুলিশ সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পুলিশ সদস্যরা। ফলে ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গত ১৫ বছরের বিভিন্ন সময়ে চাকরি হারানো হাজারো পুলিশ সদস্য রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তারা স্লোগান দে এক দফা, এক দাবি, নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরত দেওয়া।

বিকেল থেকে পুলিশ সদর দফতরের সামনের সড়কের দুই লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান করলেও দেখা মেলেনি পুলিশ প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা কনস্টেবল ফরহাদ বিশ্বাস বলেন, ২০২১ সালে বগুড়া জেলায় আমাকে ডোপ টেস্টের নামে চাকরিচ্যুত করা হয়। আদালতে মামলা করি। আদালত থেকে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আমাকে যোগদান করতে দেননি।

তিনি বলেন, এ রকম হাজারো পুলিশ সদস্য হাহাকার নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের দাবি একটাই নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরত দেওয়া।

আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা জানান, বিগত সময়ে বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তারা যদি চাকরি ফিরে পান তাহলে আমরা কেন পাব না। বিশেষ করে বিভাগীয় মামলা ও আদালতের আশ্রয় নিয়ে তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় যারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, তাদের কী দোষ! তাদের তো চাকরি বহালে কোনো বাধা থাকার কথা না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের তাবেদার আইজিপি শহীদুল হক, বেনজির, আব্দুল্লাহ আল-মামুনরা চাকরি ফিরিয়ে দেননি।

পুলিশ কনস্টেবল মঞ্জুরুল হক বলেন, এসপিবিএনে থাকতে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তখন করোনাকাল। বাবা ও মা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আমি বাড়ি যেতে চাইলে ছুটি মঞ্জুর করেনি। বাধ্য হয়ে আমি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছুটি ছাড়াই বাড়ি যাই। ফিরে আসার পর আমাকে সাসপেন্ড করা হয়। বিনা ছুটিতে কেন বাড়ি গেলাম, সেজন্য পরে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরি করি পরিবারের জন্য। বিপদে যদি সেই পরিবারের পাশে থাকতে না দেয় বাহিনী সেটা তো অন্যায্য। আমি চাকরি ফেরত চাই।


আরও খবর
বিতর্কিত প্রায় আট শ পুলিশ সদস্য পলাতক

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বিএনপি নেতাদের তদারকিতে সরানো হলো এস আলমের ১৪ বিলাসবহুল গাড়ি

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম নগরের একটি ওয়্যারহাউস থেকে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের ব্যবহৃত ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের তদারকিতে এসব গাড়ি সরানো হয়েছে। গাড়িগুলোতে কী ছিল তা জানা যায়নি। অনেকের ধারণা, এসব গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা ছিল। তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের নামে এস আলম গ্রুপের টাকা লুটপাট নিয়ে সমালোচনা চলছে। এমন সময় গ্রুপটির ত্রাণকর্তার ভূমিকায় বিএনপি নেতাদের দেখে চট্টগ্রামে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনাটি ২৯ আগস্ট দিবাগত রাতে। ওইসময় চালকদের একটি টিম কালুরঘাট শিল্প এলাকার মীর গ্রুপের মালিকানাধীন ওয়্যারহাউসে আসেন। তাদের ব্যাকআপ দিতে কয়েকটি গাড়ি সেখানে পৌঁছায়। গাড়িগুলো থেকে নামেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, পটিয়া উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ হোসেন নয়ন। একটি গাড়ি থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের চালক মনসুর। সেই গাড়ির ভেতরে আবু সুফিয়ান বসে ছিলেন বলে ধারণা প্রত্যক্ষদর্শীদের।

বিএনপি নেতাদের উপস্থিতি ও তদারকিতে একে একে বের করা হয় বিলাসবহুল ১৪টি গাড়ি। এর আগে গাড়িগুলো ছিল চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকায়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেখান থেকে কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকায় এস আলমের মালিকানাধীন একটি ওয়্যারহাউসে গাড়িগুলো রাখা হয়েছিল।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও মীর গ্রুপের মালিক আবদুস সালাম সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাই। আবার আবদুস সালাম সম্পর্কে সাইফুল আলম মাসুদের বেয়াই।

ঘটনার বিষয়ে বিএনপি নেতা এনামুল হক বলেন, সালাম ভাইয়ের কাছ থেকে বিএনপির লোক চাঁদা দাবি করেছে শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে সুফিয়ান ভাইও ছিল। গাড়িগুলোর মালিক কে আমি জানি না। আমি শুধু সালাম ভাইকে সহযোগিতার জন্য গিয়েছিলাম। এস আলমের মাসুদ ও সালাম ভাই আত্মীয়। আত্মীয়তার খাতিরে যদি সালাম ভাইয়ের ওয়্যারহাউজে এস আলমের গাড়ি থাকলে দোষ দেখছি না।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ঘটনা কী আমি জানি না। বিএনপির লোকজন চাঁদা দাবি করছে শুনে আমি এনামের সঙ্গে মীর গ্রুপের আবদুস সালামের একটি কারখানায় গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে আমরা সেটা মিটমাট করে দিয়ে চলে আসি।

এর আগে গত ২৮ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এস আলম গ্রুপের জ‌মি ও সম্পদ না কেনার পরামর্শ দেন। এদিন তিনি জানান, এস আলম গ্রুপ এবং তা‌দের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক-লেনদেন ও ঋণ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন প্রতিষ্ঠানটি নামে-বেনামে থাকা বি‌ভিন্ন জ‌মি ও সম্পদ বি‌ক্রি করার চেষ্টা করছে। এগুলো ঠেকাতে আইনি প্রক্রিয়া দরকার।

ড. মনসুর বলেন, এস আলম বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যিনি পরিকল্পিতভাবে ব্যাংক লুট করেছেন। এভাবে পৃথিবীতে কেউ ব্যাংক ডাকাতি করেছে কি না জানা নেই। এখন এস আলমের নামেবেনামে থাকা সম্পদ বিক্রি করে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। তাই এ মুহূর্তে এস আলমের সম্পদ যেন কেউ না কেনেন।


আরও খবর



চসিক মেয়রের দায়িত্বে বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁর স্থলে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলামকে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা যায়। একই প্রজ্ঞাপনে চট্টগ্রামসহ মোট ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রদেরকেও অপসারণ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ২৫ক এর উপধারা (১) প্রয়োগ করে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিভাগীয় কশিনারকে চসিকের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ২৫ (ক) এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী মেয়রের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে তিনি ওই দায়িত্ব পালন করবেন এবং বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা পাবেন। এছাড়া, অন্য কোনো আর্থিক বা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।


আরও খবর



৬ ব্যাংক থেকে ৯৫ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে এস আলম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রথমে শেয়ার কিনে পরিচালনা পর্ষদ দখল। তারপর নতুন-পুরাতন কোম্পানি দেখিয়ে ঋণের পর ঋণ। এভাবেই হাজার হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে নিয়েছে এস আলম গ্রুপ। বলা হচ্ছে, ঋণের নামে ব্যাংক লুটের নতুন কৌশল আবিষ্কার করেছিল তারা। নিয়ম-নীতি ভেঙে ছয়টি ব্যাংক থেকে এস আলম সংশ্লিষ্টরা বের করে নিয়েছেন ৯৫ হাজার কোটি টাকা। এসব অপকর্মে গ্রুপটির সহযাত্রী ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তারা।

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য বলছে, ৯৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এক ইসলামী ব্যাংক থেকেই ৭৫ হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়েছে এস আলম ও তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলো।

এক সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে নন-এসি বাস সার্ভিসের জন্য পরিচিত গ্রুপটি সরকারি জনতা ব্যাংক থেকেও নিয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি। এছাড়া সোশ্যাল ইসলামী, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ইসলামী ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকসহ নিয়ন্ত্রণে রাখা ব্যাংকগুলো থেকেও কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ বা বেনামে সরিয়েছে এস আলম।

ব্যাংক থেকে তারা কীভাবে বের করলেন এসব টাকা? বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর পর্ষদে নিজের লোক বসিয়েছেন আগে। পরে তারাই পথ বের করে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, বোর্ডকে দিয়ে ঋণ পাশ করিয়েছে। এগুলো একটাও তো বৈধ না। বোর্ডে যেহেতু সব এস আলমের লোকজন ছিল, সুতরাং ওরা বোর্ড থেকে পাশ করিয়ে বৈধভাবে নিয়ে গেছে। তারা আইনগতভাবে দেখাবে, বৈধভাবে পাশ করিয়েছে। কিন্তু বোর্ডে তো সব ওদেরই লোক।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সমস্ত নীতিমালা উপেক্ষা করে নিজেরাই প্রভাবিত করে ঋণ দিচ্ছে। এইটা করে পুকুর চুরির মতো ব্যবস্থা করেছে।

এস আলম সরাসরি নিজেদের নামে ঋণ নেয়ার পাশাপাশি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও নিয়েছে। তাতেও থামেনি, তৈরি করে ছায়া কোম্পানি। আর বেশিরভাগ কর্মকাণ্ডই হয়েছে নিয়ম লঙ্ঘন করে। অনিয়মের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া এই বিপুল অঙ্কের টাকা ফেরত পাবার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, তারা আসলে যেগুলো করেছেন, এর উদ্দেশ্যটা তো ঠিক না। ওরা যে টাকা বের করে নিছে, সবগুলো এনপিএল, তা ফেরত না আসলে কী হবে? ফান্ড তো ঘুরে আসবে না। মূলধনের ওপর চাপ পড়বে। লাভের ওপর চাপ পড়বে। সমস্ত দিক থেকে চাপের মুখে পড়া হবে।

প্রশ্ন হচ্ছে, এত অনিয়ম-লুটপাট কি শুধু এস আলম আর তাদের পুতুল পর্ষদ দিয়েই সম্ভব ছিল? জবাবে বিশ্লেষকরা বলছেন, মোটেই না। জেনে-বুঝেও উদ্যোগ নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। উল্টো সহযোগিতা করেছেন সাবেক দুই গভর্নরসহ কয়েকজন কর্মকর্তা।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকে লুটপাট হচ্ছে, নিয়ন্ত্রকরা কোথায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোথায়, কী করেছে তারা? কেউ তো থামানোর জন্য কিছু করে নাই। তারা কোনো পদক্ষেপ নেই, সহযোগিতা করেছে।

ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, এসব বিষয় কারও না কারো তো দেখার কথা ছিল, কেউ যদি বন্ধ করার চেষ্টা করতো, তাহলে তাকে বলা হতো, আপনি চেষ্টা করেছেন, কিন্তু পারেননি। সেটা তো করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক, বরং তাদের সুবিধা দেয়ার জন্য যেভাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক সেভাবে সেভাবে সাকুর্লার দিছে।

সঠিক হিসাব বের হলে এস আলমের নামি-বেনামি ঋণের পরিমাণ আরও বেশি হবে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা। আর জালিয়াতির পথ এখন বন্ধ করে দেয়ায় সামনে আসবে হাজার হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ।

নিউজ ট্যাগ: এস আলম গ্রুপ

আরও খবর
বিতর্কিত প্রায় আট শ পুলিশ সদস্য পলাতক

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




‘বাংলাদেশ পরিস্থিতি’ বিশ্লেষণ করতে বললেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে বলেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই সঙ্গে ভারতের শান্তি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলেছেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) লখনৌতে জয়েন্ট কমান্ডারস কনফারেন্সে দেওয়া ভাষণে রাজনাথ সিং বলেন, বাংলাদেশ, চীনসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করুন। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে ভারত কী ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে, তার একটা ধারণা নিয়ে অপ্রত্যাশিত যে কোনো কিছু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন।

ভাষণে যৌথ সামরিক দৃষ্টিভঙ্গি বিকশিত করার তাৎপর্য তুলে ধরে উসকানি মোকাবিলায় সমন্বিত, দ্রুত ও কার্যকরী প্রতিক্রিয়া দেখানোর ওপর জোর দেন ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যুদ্ধসহ ভারত যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে, তার জন্যও প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেন তিনি।

রাজনাথ সিং বলেন, বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও, ভারত এক বিরল শান্তি উপভোগ করছে ও দেশ শান্তিপূর্ণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। তবে ভারত-চীন সীমান্ত ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে যা হচ্ছে, তা এই অঞ্চলের শান্তি-স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের চারপাশে যা যা ঘটছে সেগুলোর ওপর নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি দেশের জাতীয় নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী করতে হবে।


আরও খবর
জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪