শেরপুরে নিখোঁজের
৫ দিন পর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মা রোকসানা বেগম (২৮) ও ছেলে জুনায়েদ হাসান রাফিদের
(১১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্বামী মাশেকসহ (৩৮) তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার
(৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের শিংপাড়া মহল্লা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা
জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের মধ্যবয়ড়া গ্রামের মো.
জালাল উদ্দিনের ছেলে অটোরিকশাচালক মাশেকের সঙ্গে বিয়ে হয় শেরপুর শহরের খরমপুর টিক্কাপাড়া
মহল্লার মো. সুরুজ মিয়ার মেয়ে রোকসানার। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই সন্তান জন্ম নেয়।
এদিকে মাশেক মাদক
সেবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় রোকসানার সঙ্গে কলহ লেগেই থাকত। রোকসানা শহরের মাধবপুর এলাকার
ফ্যামিলি নার্সিং হোমে কাজ করে সংসার খরচ জোগাড় করতেন। পাশাপাশি স্বামীকে সহযোগিতা
করে আসছিলেন। এরপরও স্বামী মাশেক প্রায়ই রোকসানাকে মারধর করতেন। এ নিয়ে রোকসানা মাশেকের
বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করলেও পরবর্তীতে উভয় পরিবার মীমাংসা করে
দেন। পরে বেশ কিছুদিন ধরে তারা শিংপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। এ বাসা থেকে গত
শনিবার রাতে নিখোঁজ হন রোকসানা ও তার ছেলে রাফিদ। এ ঘটনায় রোকসানার বড় বোন সুফিয়া বেগম
বাদী হয়ে বুধবার রাতে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে
শিংপাড়া মহল্লার ভাড়া বাসার সেপটিক ট্যাংকি থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মা-ছেলের মরদেহ
উদ্ধার করে পুলিশ। পরে রোকসানার স্বামী মাশেকসহ তার মা ও বোনকে আটক করা হয়।
শেরপুর সদর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের
জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক
কলহের জের ধরেই মা-ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুমের উদ্দেশ্যে সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেওয়া
হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন,
এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।ইতিমধ্যে নিহতের স্বামী মাশেককে
আটক করা হয়েছে।