আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শেরপুরের হত্যামামলা থেকে বাঁচতে সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডজন খানিক মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুর সদর উপজেলার চাঞ্চল্যকর শ্রীমত হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে নিতে এবং হত্যামামলা থেকে বাঁচতে হত্যামামলার আসামী ও তাদের আত্মীয় স্বজন দিয়ে একেরপর এক মিথ্যা মামলা দায়ের অব্যহত রেখেছে। শ্রীমত হত্যামামলার বাদী উকিল মিয়া, স্বাক্ষী শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন, সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকির ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের আসামী করে এ পর্যন্ত ১২টি মিথ্যা, হয়রানিমূলক ও ভিত্তিহীন মামলা কোর্টে দাখিল করেছে বলে শ্রীমত হত্যা মামলার বাদী অভিযোগ করেছেন।

মামলা সূত্রে জানাযায়, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের হেরুয়া বালুরঘাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান মডেল একাডেমী নামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় বালুরঘাট মডেল স্কুলের পরিচালক রেজাউল করিম সাদাসহ একটি উশৃংখল গ্রুপ। তারা শুরু থেকেই স্কুলটি প্রতিষ্ঠায় নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। এক পর্যায়ে তারা একাধিক বৈঠক করে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। বিগত ২০ ফেব্রুয়ারী বিকেলে আতিউর রহমান মডেল একাডেমীর সংস্কার কাজ দেখে বালুরঘাট গ্রামের বাড়িতে গেলে রেজাউল করিম সাদা, আক্রাম হোসেন আঙ্গুর তার ভাই কাশেম ও জামান মেম্বারের নেতৃত্বে চারদিক থেকে হামলা চালায় ও ভাংচুর এবং লুটপাট করে। এ সময় সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ইতিমধ্যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে অন্তত ১২জনকে আহত করে সন্ত্রাসী ওই গ্রুপটি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান সাংবাদিক মেরাজ। সাংবাদিক মেরাজের চাচা শ্রীমত আলী (৫৫) আহত হয়ে প্রথমে শেরপুর জেলা হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর থেকেই পৌনে দুই মাস ওই গ্রামে সার্বক্ষনিক পুলিশ মোতায়েন থাকে। ফলে ওখানে আর কোন প্রকার ঘটনাই ঘটেনি। পরবর্তীতে শেরপুর সদর থানার পুলিশ দীর্ঘ তদন্তশেষে আদালতে রেজাউল করিম সাদা, আক্রাম হোসেন আঙ্গুর, কাশেম, ও জামান মেম্বারসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। 

কিন্তু আসামীপক্ষ এ হত্যাকান্ড ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বাঁচতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আসামীদের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্য দিয়ে একেরপর এক মিথ্যা অভিযোগ আদালতে দাখিল করেই চলেছে। এ পর্যন্ত ১২টি হয়রানিমূলক ও মিথ্যা এজাহার তারা দাখিল করেছে। আসামীদের বাড়িঘরের মালামাল নিজেরাই সরিয়ে রেখে হত্যা মামলার বাদী উকিল মিয়া, স্বাক্ষী ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক মো: মেরাজ উদ্দিন, তার ছেলে নিউজ বাংলা২৪ ডটকম ও আজকের দর্পনের জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকিরসহ হত্যা মামলার অন্যান্য স্বাক্ষী এবং আত্মীয় স্বজন, গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ দায়ের করা হয়।

অপরদিকে গত ১মার্চ ৮০ বছরের বৃদ্ধ সাজ উদ্দিন মামুন শারিরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দুই মেয়ে তাকে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩মার্চ রাতে মারা যায় অসুস্থ মামুন। এ ঘটনায়ও তারা স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে চালানোর জন্য চেষ্টা করে। পরে এ বিষয়ে থানা পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরী করে মৃত মামুনের লাশ ময়নাতদন্ত করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও তার শরীরে কোথাও আঘাতের চিহ্ন পায়নি ময়নাতদন্ত করা ৩ সদস্যের ডাক্তারের টিম। অসুস্থতা জনিত কারণেই তার মৃত্যু বলে ময়না তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আসামীরা আদালত থেকে সাময়িক জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে প্রথমে শ্রীমত হত্যা মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয় এবং পরে ওই মামুনের স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যা বলে শ্রীমত হত্যা মামলার অন্যতম আসামী ফারুক মিয়া আদালতে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন, তার ছেলে সাংবাদিক শাহরিয়ার শাকিরসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অভিযোগ দায়ের করে। এ বিষয়টি শেরপুর সদর থানা পুলিশ তদন্ত করছে। এসব মামলার মধ্যে ৩টি সি আইডিতে, ৪টি পিবিআইয়ে ও ৪টি সদর থানায় তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে।

এদিকে আসামীরা জামিনে বের হয়ে শ্রীমত হত্যা মামলার বাদী, স্বাক্ষী ও তার আত্মীয়স্বজনদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। মিথ্যা মামলা, লুটপাট করাসহ নানা হুমকি দেয়ায় তারা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে থানায় একাধিক জিডিও করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মেরাজ উদ্দিন জানান, ঘটনার পর থেকে আমি এবং আমার ছেলে শাহরিয়ার শাকির একদিনও গ্রামের বাড়িতে যায়নি। অথচ আমাকে এবং আমার ছেলের বিরুদ্ধেও মিথ্যা সাজানো ও কাল্পনিক মামলা দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় হাসপাতালে ভর্তি রোগী, ঢাকায় কোম্পানীতে চাকুরীজীবি ও অবস্থানরত আমার আত্মীয়স্বজন, স্থানীয় মসজিদ মাদ্রাসার সভাপতিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রতিবন্ধীদেরও মামলায় বিবাদী করা হয়েছে। এ গুলো শুধু মাত্র হত্যামামলা থেকে বাচাঁর জন্যই করা হচ্ছে।

হত্যা মামলার বাদী উকিল মিয়া জানান, আমাকে প্রায়ই হুমকি দিচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আসামী জামান মিয়ার অবৈধ ও সুদের লগ্নি করা কোটি কোটি টাকা আছে, প্রধান আসামী সাদা ও তার ভাগ্নেদের অনেক টাকা আছে। টাকার জোরে আমাদেরকে ঠিক করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে শেরপুর জেরা হাসপাতালের আরএমও ডা: খায়রুল কবির সুমন জানান, আমরা একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করে সাজ উদ্দিনের ময়না তদন্ত করা হয়েছে। তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বা আঘাত জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়নি।   

এ ব্যাপারে শেরপুরের পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী বলেন, আমরা সব কিছু জানি। আমরা ন্যায় ও সঠিক ব্যবস্থাই গ্রহণ করবো।


আরও খবর



খলিলসহ তিন ব্যবসায়ীর পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি সম্ভব নয়: ভোক্তার ডিজি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল, নয়ন ও উজ্জ্বল এতদিন লোকসান দিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করেছেন। গরুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাংসের দামও বেড়ে গেছে। তাদের পক্ষে কম দামে আর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়। এ পরিস্থিতিতে তারা কি করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।

রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ব্যক্তি পর্যায়ে সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ভোক্তার ডিজি বলেন, মূলত গরুর দাম বেশি হওয়ার কারণে মাংসের দাম বেড়ে গেছে। গত বছরের শেষদিকে খলিলের উদ্যোগে দেশের বাজারে কমতে শুরু করে গরুর মাংসের দাম। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশন এক মাসের জন্য ৬৫০ টাকা দাম বেঁধে দেয়ার পর চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি থেকে আবারও বাড়তে শুরু করে মাংসের দাম।

এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, রমজানের পর খলিল-নয়নদের দোকানে উপচেপড়া ভিড় ছিল। মাংস কিনতে ঢাকার বাইরে থেকে মানুষ এসেছে তাদের দোকানে। সেখানে পুলিশ পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছিল। এর আগে খলিলকে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল। রাজশাহীতে কম দামে মাংস বিক্রি করায় একজনকে খুন করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, মূলত খলিল-নয়নরা এতদিন লোকসান দিয়ে মাংস বিক্রি করেছেন। এখন বাজারে গরুর দাম বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে তারা কী করবেন, এটি সম্পূর্ণ তাদের সিদ্ধান্ত।

অন্যদিকে, সংবাদ সম্মেলনে খলিল জানান, আমি এখন থেকে সকাল ৭টায় দোকান খুলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মাংস বিক্রি করবো। আগামী ২০ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন ২০টা করে গরু বিক্রি করা হবে। আগে প্রতিদিন ৪০টি বিক্রি করলেও, এখন আর সেটি সম্ভব নয়। লাভ-লোকসান বুঝি না ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করবো।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে উপনির্বাচন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরই ২ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মো. হৃদয় ভূঁইয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই যুবকের চাচাতো ভাই ফারুক ভূঁইয়া (৩৫)। নিহত হৃদয় ওই এলাকার আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনের নাম জানা গেছে।

তারা হলেন দুধঘাটা গ্রামের ওমর ফারুক ভূঁইয়া, মো. আপন, সাখাওয়াত, মফিজুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, মো. রাশেদ ও রিপন। তাদের মধ্যে ওমর ফারুক ভূঁইয়াকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক খবিরউদ্দিন, কনস্টেবল মঞ্জু মিয়া, জুয়েল রানা, আবদুস সালাম, কবির হোসেন, নূর মোহাম্মদ ও আল আমিন। তারা সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার এসআই পঙ্কজ সরকার জানান, নির্বাচন পরবর্তীতে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বছরের ২০ মে পিরোজপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মুজিবুর রহমান মারা যান। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুধঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গণনায় আবদুল আজিজ সরকার মোরগ প্রতীকে ৯২৯ ভোট এবং কায়সার আহম্মেদ তালা প্রতীকে ৮১১ ভোট পান। কিন্তু কায়সার আহম্মেদ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আবার ভোট গণনার দাবি জানান। পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবারও ভোট গণনা করলে তালা প্রতীকের প্রার্থী আগের ভোটের সঙ্গে আরও এক ভোট বেশি পান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এ নিয়ে কায়সারের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তিনি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে তৃতীয় দফায় ভোট গণনার দাবি জানান। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ দিকে কায়সারের সমর্থকেরা বিষয়টি জানতে পেরে লাঠিসোঁটা নিয়ে ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে কেন্দ্র ছাড়তে বাধা দেন। একপর্যায়ে পুলিশ ও দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই হৃদয় নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তার শরীরের সামনের অংশে বেশ কয়েকটি ছররা গুলি লেগেছে। ফারুক ভূঁইয়া নামে আরও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে তাকে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।


আরও খবর



জবির হোস্টেল ছেড়েও রেহাই পাননি অবন্তিকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালমন্দ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়েছিলেন আত্মহত্যা করা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।

কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এজাহারে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে থাকা শুরু করলে অবন্তিকার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করে। এরপরই গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান।

গতকাল শনিবার রাতে তাহমিনা বেগমের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে।

এজাহারে তাহমিনা বেগম উল্লেখ করেছেন, ফাইরুজ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।

কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাঁকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।


আরও খবর



শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় বরখাস্ত সেই শিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বুধবার (০৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়ায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সময় বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা পাবেন তিনি। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।


আরও খবর



২২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, মার্চের ২২ দিনে ১৪১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৮ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ১৫ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১২০ কোটি ৪৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, মার্চের ১৬ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছে ৩৯ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ৯ থেকে ১৫ মার্চ দেশে এসেছে ৫০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া ১ থেকে ৮ মার্চ এসেছে ৫১ কোটি ২৯ লাখ ১০ হাজার ডলার।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে এসেছে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা চলতি অর্থবছরে সর্বোচ্চ।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪