শেরপুরের শ্রীবরদীর ভায়াডাঙ্গা বাজারের শারদীয় দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে ১ সেপ্টেম্বর রোববার সকাল ১১ টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা অনধিকারভাবে মন্দিরে প্রবেশ করে দুর্গাপূজা উপলক্ষে নব নির্মিত প্রতিমাগুলো ভাংচুর ও অবমাননা করেছে।
এব্যাপারে ওই মন্দিরের সভাপতি শ্রী সাজু বাসকর বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভায়াডাঙা বাজারের বারোয়ারী শারদীয় দূর্গা মন্দিরের লোকজন জানান, আসছে দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিমা কারিগড়রা মন্দিরের কাজ করে চলে যায়। রোববার সকাল ১১ টার দিকে প্রতিমা দেথতে যান মন্দিরের পরিচর্যাকারী কয়েকজন। তারা দেখেন
প্রতিমা গুলো ভাঙচুর ও অবমাননা অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও কেরোসিন ও পেট্রোল ছিটানো।
এঘটনায় ওই মন্দিরের সভাপতি সাজু বাসকর বলেন, রাতের আধারে কে বা কারা এসব ভাংচুর করেছে তা আমরা জানিনা। ওই মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক
দিরগুন রবিদাস ও পূজা আয়োজক কমিটির সদস্য সুমন রবি দাস জানান, মন্দির সংলগ্ন ভূমি অফিসের লোকজনের সাথে প্রথমে দুর্গা পূজার প্রতিমা তৈরি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। পরে কিছু বলেনি। তবে প্রতি বছর ভূমি অফিস ও স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্গা পূজায় আর্থিকসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছেন।
এদিকে খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি শ্রীবরদী অবস্থানরত সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া জেলা জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারী নুরুজ্জামান বাদল। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানান।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, মন্দিরটি শিকলে তালাবদ্ধ ছিলো। কে বা কারা শিকল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে প্রতিমার ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সাজু বাসকর বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন,
তাদের নিজেদের মধ্যে পারিবারিকভাবে বিরোধ আছে। হয়তো এরই জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে উভয় পক্ষের সাথে কথা বললে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে।