আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের সম্ভাব্য একাদশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ নভেম্বর 20২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ নভেম্বর 20২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে হেরে হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ দল। এমন আশঙ্কার মধ্যেই বাংলাদেশ দলে দুঃসংবাদ যে, এ ম্যাচে দেশসেরা পেসার মোস্তাফিজুর রহমানের সার্ভিস নাও পেতে পারে দল।

অবশ্য সেটি শনিবারের ম্যাচে এক দশর্কের অপ্রত্যাশিত কাণ্ডের জন্যে নয়। পেশীটে টান লেগেছে কাটার মাস্টারের। শেষ ম্যাচে অনিশ্চিত তিনি।

এ বিষয়ে বিসিবি জানিয়েছে, দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ের সময় শরীরের একপাশে টান লাগে মোস্তাফিজের। পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে। আজ তার অবস্থা দেখার পর বোঝা যাবে মোস্তাফিজ আগামীকাল শেষ ম্যাচে খেলার জন্য ফিট কি না।

এদিকে টপ অর্ডারের ব্যর্থতার জন্য শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ডাক পেয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমন ও দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি।

শনিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে বিসিবি। নাঈম শেখ ও সাইফ আহমেদের জায়গায় তাদের দেখা যেতে পারে একাদশে।

শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ দলের সম্ভাব্য একাদশ:

নাঈম শেখ, পারভেজ হোসেন ইমন, কামরুল ইসলাম রাব্বি, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান (উইকেকিপার), শেখ মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের ভয়াবহ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার (৪ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট। একইসঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীও এ কাজে যোগ দেয়। 

মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাত ১০টা ৩০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুনে আমদানিকৃত এক লাখ টন চিনি তৈরির কাঁচামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে বলে জানান কারখানার কর্মকর্তারা। তবে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে কারখানার ভেতর একটি ভবনে হঠাৎ আগুন জ্বলে ওঠে। এ সময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক জানান, বিকেল ৪টার দিকে কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন মিলের তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। তবে আগুন লাগার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


আরও খবর



ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযানে ডিসিদের সহায়তা চাইলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে অভিযান চলমান রয়েছে তাতে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের এক অধিবেশনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

এ সময় নবনিযুক্ত স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, সচিব জাহাঙ্গীর আলম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খুরশীদ আবুল বাসার উপস্থিত ছিলেন।

সামন্ত লাল সেন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযানে যাতে কোনো অনিয়ম-প্রতারণা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বলেছি।

চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু নিয়ে কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে এ বিষয়ে কিছু বলিনি। তবে এ নিয়ে বলব তাদের।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪ উদ্বোধন করেন। এবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে ২৫টি কার্য অধিবেশনসহ মোট ৩০টি অধিবেশন হওয়ার কথা রয়েছে।

এবারের সম্মেলনে আলোচনার জন্য ৩৫৬টি প্রস্তাব দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিরা। এর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ২২টি প্রস্তাব এসেছে। এসব বিষয়ে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা।


আরও খবর



পিটার হাসের সঙ্গে জিএম কাদেরের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে হঠাৎ বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।

বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বারিধারাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে যান জি এম কাদের। পরে বিকেল ৪টায় দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

এসময় জিএম কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মাশরুর মওলা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

মাশরুর মওলা বলেন, নির্বাচনের পর সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়েও কিছু আলোচনা হয়েছে।

দলের অন্তর্কোন্দলে দুটি অংশে বিভক্ত জাতীয় পার্টি। একটি অংশে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই জি এম কাদের। যারা বিরোধী দল হিসেবে সংসদে বসেছেন। আরেকটি অংশে রয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী ও সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন রওশন।

এ অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর পিটার হাসের সঙ্গে প্রথম দেখা করলেন জি এম কাদের। তবে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি।


আরও খবর



আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের এইদিন শেষে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। এদিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী বাঙালি জাতির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা মুছে দেয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। তারপর নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ব্যাপক গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী যে সশস্ত্র অভিযান পরিচালনা করে, তারই নাম অপারেশন সার্চলাইট।

এই অভিযানের নির্দেশ নামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনও লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়।

অনেক পরে, ২০১২ সালে, মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি নামে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস প্রকাশিত সেই আত্মজীবনীতে প্রথমবারের মতো অপারেশন সার্চলাইট সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশিত হয়।

অপারেশন সার্চলাইট কিভাবে পরিকল্পিত হয়, ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতিচারণ করে রাজা লিখেছেন, ১৭ মার্চ, সকাল প্রায় ১০টা বাজে। টিক্কা খান আমাকে ও মেজর জেনারেল ফরমানকে কমান্ড হাউসে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে খবর পাঠান। খবর পেয়ে আমরা দুজন টিক্কা খানের সঙ্গে দেখা করি। গিয়ে দেখি, সেখানে জেনারেল আবদুল হামিদ খানও রয়েছেন। টিক্কা খান আমাদের বলেন, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ মুজিবের সমঝোতা আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট চান আমরা যেন সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি গ্রহন করি এবং সে অনুযায়ী একটা পরিকল্পনা তৈরি করি। এ ছাড়া আর কোনো মৌখিক বা লিখিত নির্দেশনা আমরা পাইনি। আমাদের বলা হয়, পরদিন ১৮ মার্চ বিকেলে আমরা দুজন যেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ওই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করি। পরদিন সকালেই খাদিম হোসেন রাজা তাঁর কার্যালয়ে রাও ফরমান আলীকে নিয়ে বসেন। তারাই গণহত্যার এ অভিযানের নাম দেন অপারেশন সার্চলাইট।

মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন ২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে লিখেছেন, সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেপ্তার করা হলো আরও ৩০০০ লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। এরপর সমস্ত পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে সৈন্যরা বাড়িয়ে চললো মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন তাদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠলো শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।

পাইকারি এই গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ হয়েছিল।

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানি জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল সচেতন নাগরিককে নির্বিচারে হত্যা করা। এদিন দুপুরের পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকেই সেনা কর্মকর্তাদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মত। হেলিকপ্টারযোগে তারা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাস পরিদর্শন করে বিকেলের মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসে ফিরে আসে।

ঢাকার ইপিআর সদর দফতর পিলখানাতে অবস্থানরত ২২তম বালুচ রেজিমেন্টকে পিলখানার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়। মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এএকে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের উইটনেস টু সারেন্ডার গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।

পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সকল পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যান। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।

যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ রাত ১১ থেকে ১১টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে প্রতীকী ব্ল্যাক আউট পালন করা হবে। তবে কেপিআই এবং জরুরি স্থাপনা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দেবেন। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণহত্যা দিবসের ওপর আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে।

সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গীতিনাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা হবে। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এদিন বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময় দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে একই কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



সুলভ মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয় কেন্দ্র খুললেন পাটমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানকের উদ্যোগে রমজান মাস উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী সুলভ মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামলী মাঠের সামনে অস্থায়ী এই বিক্রয় কেন্দ্রে চলছে বেচাবিক্রি।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর শ্যামলী মাঠের পাশে পাটমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। সেখানে সাধারণ মানুষকে সুলভ মূল্যে সবজি ও নিত্যপণ্য ক্রয় করতে দেখা যায়।

সুলভ মূল্যে সবজি কিনতে আসা রবিউল হোসেন বলেন, বাজার থেকে একটি লাউ কিনতে ৬০/৭০ টাকা লাগত কিন্তু এখানে ৪০ টাকায় পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য বড় সুযোগ।

বিক্রয় কেন্দ্রে যা যা পাওয়া যাচ্ছে : বেগুন ৪০টাকা, উস্তা ৭৫ কেজি, শিম ৫০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, লাউ ৪০ টাকা পিস, কচুর লতি ৭৫ টাকা কেজি, গাজর ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, পুঁইশাক ১৫টাকা, ফুলকপি ২৫ টাকা, লালশাক ১০ টাকা আঁটি, বইতা শাক ১৫ টাকা আঁটি, পালংশাক ১০ টাকা আঁটি, ধনেপাতা ৮০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা কেজি, টমেটো ৩৫ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা পিচ, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা।

এছাড়া পাওয়া যাচ্ছে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটার ৭৬৫ টাকা, ২ লিটার ৩১২ টাকা, ডিম ডজন ১২০ টাকা, আদা ১৯০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, খেসারী ডাল ১১২ টাকা, মুগ ডাল ৮৫ টাকা, মুসুরি ডাল ১০৭ টাকা, ছোলা বুট ১০০ টাকা, চিনি ১৪০ টাকা, ভেসন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে শাক সবজির পাশাপাশি ফল ফলাদিও বিক্রি করা হচ্ছে।


আরও খবর