আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

শেষ ওয়ানডেতেও জিততে চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
টাইগাররা এরই মধ্যে এই সিরিজে দুটি জয় থেকে ২০ পয়েন্ট অর্জন করেছে যা তাদের অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পরে তিন নম্বরে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে

আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে আরো ভালো অবস্থান নিশ্চিত করতে, আরো পয়েন্টের দিকে নজর দিয়ে আজ সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।

এরই মধ্যে তিন ম্যাচের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০-তে জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

এদিকে দুই বছরের বেশি সময় পরে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের অক্টোবরে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচটিতে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে অংশ নেয়। ওই ম্যাচের পর স্টেডিয়ামটিতে দুটি টেস্ট এবং টি টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

আরেকটি ওয়ানডে ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানান, তাঁরা এই ম্যাচটি জিতে আরো বেশি পয়েন্ট অর্জনের দিকে নজর রাখছেন, যাতে তাঁরা আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে আরো ভালো জায়গা নিশ্চিত করতে পারেন। টাইগাররা এরই মধ্যে এই সিরিজে দুটি জয় থেকে ২০ পয়েন্ট অর্জন করেছে যা তাদের অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পরে তিন নম্বরে জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। স্বাগতিক ভারতের পাশাপাশি আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের মোট সেরা আটটি দল ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।

ওয়ানডে সিরিজের পর দুই দল চট্টগ্রামে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে এবং শেষ টেস্টটি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় শুরু হবে।


আরও খবর



দাম নির্ধারণ করলেও বাস্তবায়নের পূর্ণ ক্ষমতা নেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে থাকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সে  ক্ষমতাবলে সম্প্রতি মাছ-মাংস, খেজুর, বিভিন্ন সবজিসহ মোট ২৯টি নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকারের এ সংস্থা। যদিও কেউ তা না মানলে কোনো ধরনের শাস্তি দেয়ার ক্ষমতা নেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের। কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, তদারকির মাধ্যমে তারা কেবল অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। তখন দ্বারস্থ হতে হয় প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের। সংস্থাটি থেকে তাই বিভিন্ন সময় কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন হতে দেখা যায় না।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে বিভিন্ন সময় দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও বাস্তবায়নকারী বা তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে তা আর বাস্তবায়ন হয় না। এক সংস্থা আরেক সংস্থার ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে বাজারসংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে একই ছাতার নিচে এনে তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া জরুরি বলে মনে করছেন তারা।

কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আমাদের দেশে বাজার তদারকির ক্ষেত্রে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরেকটি প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান সমন্বয় নেই। যদিও মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসন সমন্বয় করার কথা ছিল। কিন্তু তা আমরা দেখছি না। সমন্বয় না থাকলে কোনো কাজেই ফল আসে না। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে। এতে কাউকে জরিমানা করলে তার ফলোআপ কেউ করছে না। আইনের প্রয়োগও যথাযথ হচ্ছে না। কারণ আইনে বলা হয়েছে, একই ব্যক্তি একাধিকবার অপরাধ করলে তার শাস্তিও বেশি হবে। সমন্বয়হীনতা এখন বাজার ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর গত শুক্রবার ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচ, উৎপাদক পর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম, পাইকারি বাজারে ও ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা দাম কত হবে তা নির্ধারণ করে দেয়। যদিও নির্ধারিত এ দামে বাজারে পণ্য পাচ্ছেন না ক্রেতারা। অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেই বড় ধরনের অসামঞ্জস্য। সংস্থাটির হিসাবে প্রতি কেজি ব্রয়লারের উৎপাদন খরচ ধরা হয়েছে ১৪৬ টাকা। সে অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হয় ১৭৫ টাকা। যদিও রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৬৪, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৩ ও সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা দাম বেঁধে দেয়া হয়। যদিও রাজধানীর খুচরা বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা, ছাগল বা খাসি ১০০০-১১০০ ও সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস ডিমের দাম সাড়ে ১০ টাকা ধরা হলেও বিক্রেতারা রাখছেন সাড়ে ১১ টাকা করে।

পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে তার প্রতিফলন না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বলেন, আমরা যে আইনের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি বাজারে তার ব্যত্যয় ঘটলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। কেননা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর শাস্তি দিতে পারে না। আমরা শুধু অভিযোগ দিতে পারি। তার প্রমাণাদির ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট শাস্তি দেন। মোবাইল কোর্টে মামলা করার যে পদ্ধতি তার মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত আকারে অভিযোগ দেয়া হয় এবং তারপর দুই পক্ষের কথা শুনে বিচার করা হয়।

কৃষি বিপণন আইন ২০১৮-এর ৪ (ঝ) ধারায় বলা হয়েছে, সংস্থাটি কৃষিপণ্যের সর্বনিম্ন ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন করতে পারবে। এ আইন বাস্তবায়নে বাধা দূর করতে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। যদিও আইন অনুযায়ী কাউকে শাস্তি দিতে হলে প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে আইনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাই থাকুক, কোনো প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ আইনের অধীন দণ্ড আরোপ করতে পারবেন।

নিজেদের বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে উল্লেখ করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা জনবল সংকট। সারা দেশে সব মিলিয়ে ৫০০-এর মতো জনবল রয়েছে। এর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারেন প্রতি জেলায় এমন আছেন কেবল দুই-তিনজন করে। আইনি সীমাবদ্ধতা তো রয়েছেই। তাই আমাদের অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রিয়াল ক্ষমতা নেই। আমরা এর আগে এ বিষয়ে আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু জনবল কাঠামো অনুসারে তা দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ আমাদের কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা আছেন হাতে গোনা কয়েকজন।

দাম নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে ২৯টি পণ্যের উৎপাদন খরচ ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মীরা নির্ধারিত ফর্মুলা অনুযায়ী এ তথ্য সংগ্রহ করেন। এক্ষেত্রে অন্যান্য সরকারি সংস্থারও সহায়তা নেয়া হয়েছে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আগে আমরা ব্যবসায়ীদের কাছে মোটিভেশনাল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। সদ্যই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব এজেন্সিরই দায়িত্ব রয়েছে। আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আমাদের অংশের বিষয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন রয়েছি। এ মূল্য বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগতে পারে। কারণ মাত্রই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়ার পর গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর সরকার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা অভিযান চালিয়েও ওই দাম কার্যকর করতে পারেনি। রোজার আগে ভোজ্যতেল, চিনিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেঁধে দেয় সরকার। এরপর দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজার, পরিশোধন কিংবা মোড়কজাতকারী মিলগুলোয় অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকারসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। আমদানি মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি কিংবা মজুদ বেশি রাখায় জরিমানাও করা হয়। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে এলে বাজারে এর প্রভাব কমে আসে। রোজা শুরুর পর থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে ভোগ্যপণ্যের দাম।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে চাহিদার সঙ্গে জোগানের অসামঞ্জস্য, উৎসমুখ থেকে বাড়তি দামে পণ্য কেনার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। তাদের দাবি, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিসহ মুদ্রাস্ফীতির কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। মোকাম থেকে বাড়তি মূল্যে কেনার কারণে চাইলেও সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করা যাচ্ছে না।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পণ্যের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, আমদানি, উৎপাদন খরচ কিংবা চাহিদা অনুপাতে জোগানের ওপর দাম নির্ভর করে। সবকিছু বাড়তি মূল্যের এ সময়ে সরকারিভাবে যে দাম নির্ধারণ করা হচ্ছে সেখানে অপ্রকাশিত খরচগুলো যুক্ত করা হয় না। ফলে বিভিন্ন সময়ে দাম নির্ধারণ সত্ত্বেও বাজারে এর প্রভাব পড়ছে না। 

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, বাজার তার নিজস্ব গতিতে চলে। এটা ঠিক, কিছু কিছু ব্যবসায়ী খুচরা পর্যায়ে বাড়তি মূল্যে পণ্য বিক্রির চেষ্টা করে। কিন্তু একটা দেশে সার্বিকভাবে যদি পণ্যের দাম বেড়ে যায় তবে বুঝতে হবে উৎপাদন, আমদানি কিংবা সরবরাহ চ্যানেলে কোনো সংকট রয়েছে। প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরও অনেকগুলো পণ্যের দাম নির্ধারণ করেছে। কিন্তু সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি, ডলার ও এলসি সংকটে আমদানি প্রক্রিয়ায় সংকটের কারণে বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতাকে নিম্নমুখী করা সম্ভব হচ্ছে না।

সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে বাজারে নির্ধারিত দামে পণ্য পাওয়া যায় না বলে মনে করেন সাবেক খাদ্য সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দাম নির্ধারণ করে দেয়া অবশ্যই ভালো উদ্যোগ। কিন্তু আগের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এসব বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। সরকারের তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে সমন্বয়হীনতা। এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। ফলে এসব উদ্যোগ ভালো হলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায় না। আগে তদারকি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করে তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে বড় বড় উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হবে না।

সরকারের ১১টি সংস্থা মূলত পণ্যের বাজার মনিটরিং করে। সেগুলো হলো ভোক্তা অধিদপ্তর, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), সিটি করপোরেশন, প্রতিযোগিতা কমিশন, ট্যারিফ কমিশন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে কিংবা রোজার সময় সংস্থাগুলো যে যার মতো উদ্যোগ নেয়। তবে বিচ্ছিন্ন এ কাজে বাজারে তেমন প্রভাব পড়ে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, তার বাস্তবায়নও কিন্তু তাদের ওপরই বর্তায়। এখন এ মূল্য বাস্তবায়নে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তা চাইছে কিনা সেটা দেখার বিষয়।

বাজার তদারকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুবই নগণ্য একটি অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের কাজের অনেক ব্যাপকতা রয়েছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রচুর কার্যক্রম রয়েছে। এর বাইরে ভোক্তার বহু অভিযোগ থাকে, তার বিচারপ্রক্রিয়া পরিচালনা করি। এছাড়া বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য, নকল পণ্য এসবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। সঙ্গে নিয়মিত বাজার তদারকিও চলছে।


আরও খবর



পতাকার আদলে ধানক্ষেত, প্রশংসায় ভাসছেন স্কুলশিক্ষক

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকার আদলে ধান ক্ষেত সাজিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মোঃ আবু জাফর (৩৫) নামের এক স্কুল শিক্ষক।

ওই স্কুল শিক্ষক উলিপুর পৌর এলাকার নাওডাঙা বাকরের হাট গ্রামের মোঃ আবু বক্করের ছেলে। তিনি উলিপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলে জানা গেছে। স্বাধীনতার মাসে ধান ক্ষেতের মাঝে চারা গাছ দিয়ে ফুটে উঠা জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি দেখতে উৎসুক জনতা ভীড় করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আবু জাফরের এক একর ৩০ শতক জমিতে ধান চাষ করেছেন। এর মধ্যে ক্ষেতের এক শতক জমি জুড়ে ফুটে উঠেছে সবুজ রঙের চারা দিয়ে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি জমির আইলের পাশ দিয়ে বেগুনি ধান গাছের চারা রোপন করে ফুটিয়ে তুলেছেন পতাকার খুঁটি। বিরি-১০৪ জাতের ধানের সবুজ চারাকে পতাকার জমিন ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ বেগুনি ধানের চারাকে বৃত্ত ও পতাকার খুঁটি স্বরুপ সারিবদ্ধ ভাবে রোপন করেছেন তিনি। প্রথমের দিকে ধান গাছের পাতায় সমৃদ্ধ রঙ না আসায় স্পষ্ট চিত্র বুঝা না গেলেও বর্তমানে ধান গাছের পরিপক্বতার কারণে দৃশ্যমান হয়েছে ক্ষেতটি। এমন ব্যতিক্রমি পতাকার আদলে ধান ক্ষেত দেখতে প্রতিদিন লোকজন ছুটে আসছেন সেখানে।

আবু জাফর বলেন,আমি শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি চাষাবাদ করে থাকি। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ব প্রকাশে মানুষজন বিভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়। তেমনি আমিও চেষ্টা করছিলাম মাত্র। স্বাধীনতার মাসে জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি দৃশ্যমান হওয়ায় মানুষজনের দেখার আগ্রহ বেড়েছে।

ধান ক্ষেত দেখতে আসা লিটন মিয়া বলেন, মানুষজন দেশের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধ থেকেই মুলত ব্যতিক্রমী কাজ করে থাকে। আবু জাফর ভাইয়ের জাতীয় পতাকার আদলে করা ধানক্ষেতটি সত্যি প্রশংসনীয়। এমন দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। এটি দেখে অনেকের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থী মোঃ রাজু মিয়া বলেন, আমি বিভিন্ন কারুকার্য যেমন বইয়ের পাতা ও কাপড়ের তৈরি, পাথরের তৈরি সাজানো পতাকা দেখেছি। তবে ধানের চারা লাগিয়ে যে জাতীয় পতাকার প্রতিচ্ছবি বানানো যায় তা প্রথম দেখলাম সত্যি ভালো লাগলো।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, একজন কৃষক দেশের প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে জমিতে জাতীয় পতাকার আদলে যে শস্যচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতায়

কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে থাকবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




উত্তপ্ত বান্দরবান: থানচি বাজারে গোলাগুলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচি বাজারে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে থানচির বাজার সংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়।

থানচির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, থানচি বাজার এলাকায় গোলাগুলি চলছে। বাজারে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে কাদের গোলাগুলি চলছে সেটা নিশ্চিত করা যায়নি। বাজারের পাশে অন্য আরেকটি জায়গাসহ মোট দুটি জায়গায় গোলাগুলি চলছে।

রাত ৯টা ৩০ মিনিটে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানচি বাজার ও এর আশপাশের এলাকায় গোলাগুলি চলছিল।

থানচি বাজারের ২০০ থেকে ৩০০ গজের ভেতরেই রয়েছে থানচি থানা, একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং থানচি বাজারের শেষ মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চেকপোস্ট।

এর আগে, গতকাল বুধবার দুপুরে থানচি বাজারে গুলি চালিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে থানচি বাজার ঘিরে ফেলে ডাকাতরা। তারা ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় অস্ত্রের মুখে সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর তারা ব্যাংক দুটির ভেতরে ঢুকে পড়ে।


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




রাজধানীতে বাসায় ২৫ দিন শেকলে বেঁধে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বাসায় এক তরুণীকে ২৫ দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে তিন যুবক। ধর্ষণের পর তাকে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে ফ্ল্যাটে বন্দি রাখা হতো। এভাবে পাশবিক যৌন নির্যাতনের পর তার ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। এই অপকর্মে তিন যুবককে সহায়তা করে এক নারীও। জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এ খবর পেয়ে গত শনিবার মেয়েটিকে উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

অভিযুক্তরা হলো– ভুক্তভোগী ওই তরুণীর কথিত প্রেমিক সান (২৬), তার বন্ধু হিমেল (২৭) ও রকি (২৯) এবং তাদের সহায়তাকারী সালমা ওরফে ঝুমুর। তরুণীকে উদ্ধারের পরপরই তারা পালিয়ে যায়। তবে গতকাল রাতে অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন ছাত্র। আজ আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মেয়েটির পরিবার ও পুলিশ জানায়, ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তার মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর মেজো বোনের ঢাকার বাসায় থাকতেন তরুণী। মেজো বোনের স্বামীর মাধ্যমে মাসুদ নামে এক ব্যারিস্টারের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। এক পর্যায়ে মাসুদ ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কে জড়ান। ব্যারিস্টার তাকে সালমা ও অনি নামে দু’জনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তাদের সঙ্গে মেয়েটি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বাস করেন। ব্যারিস্টার মাসুদের পরামর্শে মাস ছয়েক আগে মোহাম্মদপুর থানার নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাড়ির চারতলায় ভাড়া নেন সালমা। বাসার খরচসহ সবকিছুর ব্যবস্থা করতেন মাসুদ। তবে কিছু দিন পার হওয়ার পর ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মাসুদ।

পরে সান নামে এক যুবকের সঙ্গে তরুণীর পরিচয় করিয়ে দেয় সালমা। পরিচয়ের সূত্র ধরে সান মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সালমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ’ হওয়ার চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলেও গত ৩ ফেব্রুয়ারি তরুণীকে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি সালমা জানত। এরপর আরও কয়েকদিন একই ফ্ল্যাটে ধর্ষণের শিকার হন তরুণী। ২৭ ফেব্রুয়ারি একইভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর বিয়ের জন্য চাপ দিলে সান তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দেয়। তবে বিয়ে না করলে থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বললে সান যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

গত ৫ মার্চ দুপুরে দুই বন্ধু হিমেল ও রকিকে নিয়ে ওই বাসায় যায় সান। তাকে সারপ্রাইজ’ দেবে বলে চোখ বন্ধ করতে বলা হয়। এ সময় সালমা খাবার আনার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সানের কথায় চোখ বন্ধ করলে তারা তিনজন মিলে তরুণীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে ফেলে এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেয়। হিমেলকে সেখানে রেখে অন্যরা শিকল আনতে দোকানে যায়। এ সময় মেয়েটিকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে হিমেল। ওইদিন থেকে মেয়েটিকে শিকল দিয়ে ঘরে বেঁধে রাখে তারা। এভাবে আটকে রেখে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ২৫ দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। খাবার এবং বাথরুমে যাওয়ার সময় বাসায় থাকা সালমা শুধু পায়ের শিকল খুলে দিত। মোবাইল ফোনে ভিডিও করত সালমা।

পুলিশ জানায়, তরুণীকে যৌন নির্যাতন চালিয়ে পর্নো ভিডিও তৈরি করতে থাকে এই চক্র। এ ছাড়া বিভিন্ন পর্নো ভিডিও তাকে দেখানো হতো। শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় মেয়েটি শিকলে বাঁধা অবস্থায় বাসায় একা ছিলেন। এ সুযোগে তিনি বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার করেন। আশপাশের লোকজন চিৎকার শুনে ৯৯৯-এ ফোন করে জানান, একজন মেয়ে বাসায় আটকা আছে। উদ্ধারের জন্য চিৎকার করছেন। এরপরই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ওই বাসায় যায়। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। একই সময় ওই বাসা থেকে একাধিক ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশের মোহাম্মদপুর বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মৃত্যুঞ্জয় দে সজল জানান, উদ্ধার করার পর ওই তরুণী পাশবিক নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা ভয়াবহ। এর অনেক কিছু ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তরুণীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে মেয়েটি। এ ঘটনায় তিন যুবক ও এক নারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তরুণী। সবাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



ইফতার পার্টি না করে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনীতিতে আসে চরম ধাক্কা। যার কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমরা এই সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বলেছি। আমাদের সরকারি কর্মকর্তা এবং দলীয় নেতাদের বলেছি, ইফতার পার্টি না করে নিম্নআয়ের মানুষকে সহযোগিতা করতে। ইফতার পার্টি করে খাওয়া বড় কথা না, মানুষকে দেওয়াই বড় কথা। আমরা সেটাই করছি।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা স্বউদ্যোগে মানুষের কল্যাণ করে যাচ্ছেন, তাদের পুরস্কৃত করাই সব থেকে বড় কথা। এই পুরস্কার শুধু পুরস্কার নয়, আরও অনেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহী হবে, সেটাই বড় কথা। যারা পুরস্কার পেয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা দেশের বিভিন্ন স্তরে মানুষের কল্যাণে কাজ করা এমন আরও লোকদের বের করে পুরস্কৃত করতে চাই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য স্থির করে আমরা আগাচ্ছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। স্বাধীণতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। স্বাধীনতার মাসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, গণহত্যায় জড়িতদের প্রতি ঘৃণা জানাই। আর যেনো এরকম না হয়। এখনও ফিলিস্তিতে গণহত্যা চলছে, আমরা এটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমরা চাই এই গণহত্যা বন্ধ হোক। আমরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা কেমন আমরা জানি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি করায় অনেক কষ্ট করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। একটাই লক্ষ্য ছিল, বাবার কাছ থেকে তার স্বপ্ন জনতাম বলে সে আলোকে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা। আমরা বাংলাদেশের সে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, বাংলাদেশে ভাগ্য পরিবর্তনে। এখানে কেউ ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না। সবাই খাদ্য, চিকিৎসা পাবে, সেই ব্যবস্থা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশে এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে, আমরা বিজয়ের কথা বলতে পারিনি। মু্ক্তিযোদ্ধা নিজের পরিচয় দিতে পারেনি। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। একদিকে খুনি, আরেকদিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজত্ব ছিল। জাতির পিতা চেয়েছিলেন, একটি স্বাধীন জাতি। যে জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধ ভুখণ্ড পাবে। তিনি এজন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি অল্প সময় পেয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। এটা এত সহজ ছিল না। কিন্তু জাতির পিতা শেখ মুজিবের মতো নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। তিনি মাত্র তিন বছরের মধ্যেই দেশকে স্বল্পোন্নোত দেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘুনে ধরা সমাজ তিনি ঢেলে সাজাবেন। তাই করেছেন। কিন্তু সেই সময়ই আসল আঘাত। স্বপরিবারে তাকে জীবন দিতে হলো। দুর্ভাগ্য আমাদের।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় এতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিতে পুরস্কার পাওয়া মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান প্রতিক্রিয়া জানান।

এবার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন, সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়ায় একজন এবং সমাজসেবায় তিনজনকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পদক দেওয়া হয়েছে।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজসেবা/জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন পুরস্কার পেয়েছেন।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।


আরও খবর