আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

সেতু ছুঁয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মাদারীপুর প্রতিনিধি:

আর মাত্র ১২ দিন বাকি। প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে নির্মিত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামোর অন্যতম ভিত্তি পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ২৫ জুন। বহু চ্যালেন্স আর বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মা সেতু। এই সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়। বাস্তবতায় রুপ নিয়েছে পূর্ণরুপে।

প্রতিটি পিলারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন। যে সেতু বাস্তবায়নে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পায়নসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। ভাগ্যে খুলবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির। তাই পদ্মার বুকে ভাসছে বাংলার কোটি কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা।

পদ্মা সেতুর মাধ্যমে আমূল পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। এজন্য সেতুটিকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত মহাসড়ক (এক্সপ্রেস)। গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন ব্রড গেজ রেললাইন। সেতুর সংযোগ সড়কের পাশাপাশি সার্ভিস এলাকায় তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো।

৪২টি পিয়ারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু। দ্বিতল সেতুর আপার ডেকে চার লেনের সড়ক, যার প্রস্থ ২২ মিটার। লোয়ার ডেকে থাকবে ব্রড গেজ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ। মাওয়া প্রান্তে সেতুর সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে ১ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট)। জাজিরা প্রান্তে তৈরি করা উড়ালপথের দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার। দুই পাশের ভায়াডাক্টসহ পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে নয় কিলোমিটার। সেতুতে রেলপথের জন্যও তৈরি করা হয়েছে ৫৩২ মিটার উড়ালপথ।

জাজিরা প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে সাড়ে ১০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এ সড়কের জন্য পাঁচটি সেতু, ২০টি বক্স কালভার্ট ও ১২টি আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। মাওয়া প্রান্তের মতো জাজিরা প্রান্তেও টোলপ্লাজা, পুলিশ স্টেশন, সার্ভিস এরিয়া-১, ওজন স্টেশন, জরুরি সহায়তা কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।

দ্বিতল পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলবে যানবাহন। নিচে স্প্যানের ভেতর দিয়ে চলবে ট্রেন। এজন্য ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রড গেজ রেলপথ।

পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে সার্ভিস এরিয়া-১ ও ৩। এর বাইরে শরীয়তপুরের নাওডোবা এলাকায় তৈরি করা হয়েছে সার্ভিস এরিয়া-২। এখানে অফিস, ল্যাবরেটরি, মসজিদ, মোটেল, মেস, রিসোর্ট, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, ফায়ার ডিটেকশন ও ফায়ার ফাইটিং সিস্টেমসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।

হোটেল ব্যবসায়ী মোহন শিকদার জানান, সেতু উদ্বোধনের খবরে মাওয়ায় মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন জেলা থেকে সারাদিন এবং সন্ধ্যার পর শত শত লোক এখনো আসছেন, আমাদের বেচাকেনা অনেক ভালো হচ্ছে।

শিবচরে ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের ব্যবসায়িক কাজে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন ঢাকায় যেতে হয় দোকানের মালামাল কিনতে। ঢাকায় যাওয়া-আসা এবং মালামাল কিনে ফিরে আসতে কমপক্ষে দুদিন সময় ব্যয় করতে হয়। পদ্মা সেতু চালু হলে আমরা সকালে ঢাকায় গিয়ে মালামাল কিনে নিয়ে বিকেলের মধ্যে এসে বেচাকেনা করতে পারব। এতে করে আমাদের সময় এবং খরচ কমবে। তাতে আমাদের লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতু শুধু একটি স্ট্রাকচার নয়, এটি একটি স্বপ্নের নাম। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে এই এলাকার জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন ঘটতে যাচ্ছে। এই এলাকার মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। সুফল ভোগ করতে এখন শুধু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা। সবার মধ্যে আলাদা উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু বাঙালির সক্ষমতার পদ্মা সেতু। বহু চ্যালেন্স আর বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে মাথা উচুঁ করে দাঁড়িয়ে আছে পদ্মা সেতু। এই সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়। বাস্তবতায় রুপ নিয়েছে পূর্ণরুপে। প্রতিটি পিলারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন। যে সেতু বাস্তবায়নে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শিল্পায়নসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাবে। ভাগ্যে খুলবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির। পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক সুফল ইতোমধ্যে এলাকাবাসী পেতে শুরু করেছে।


আরও খবর



মেঘনায় ভ্রমণতরি ডুবে নারীর মৃত্যু, পুলিশসহ নিখোঁজ ৮

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুভর্তি বলগেটের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভ্রমণতরি ডুবে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১২ জনকে। পুলিশ সদস্যসহ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও আট যাত্রী। শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেঘনার পাড় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন পুলিশের কন্সটেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী মৌসুমি, সাত বছরের মেয়ে মাহমুদা ও পাঁচ বছরের ছেলে রায়সুল, শহরের নিউটাউন এলাকার আরাদ্দা, বেলাল দে, নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার আনিকা আক্তার এবং অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী।

তাৎক্ষণিক উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিখোঁজের প্রতিবেশী রত্না বেগম বলেন, আমাদের পাশের বাড়ির সাতজন নৌকায় ছিল। চারজন উদ্ধার হয়েছে। তবে আরদ্দা, বেলাল মিয়া ও একজন মহিলাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

নিখোঁজ আনিকার চাচা রুবেল মিয়া বলেন, আমার ভাতিজি আনিকা ও তার বান্ধবী রুবা বিকালে ব্রিজের নিচে ঘুরতে আসে। পরে ট্রলারের ধাক্কায় ভ্রমণতরি ডুবে যায়। ভাতিজির বান্ধবী রুবা বেঁচে গেলেও আনিকাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, একটি বালুবাহী বলগেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ভ্রমণতরিটি ডুবে যায়। এতে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আর ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন। রাতে অন্ধকারে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করতে পারে না। এজন্য উদ্ধার কাজ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে। শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে ডুবুরিদল এলে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

এ বিষয়ে নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয়রা আটজনকে উদ্ধার করেছে। আনুমানিক ২০ জন ছিল শুনেছি। এতে একাধিক নৌ পুলিশটিম ও ফায়ার সার্ভিস টিম উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।


আরও খবর



ডেমরায় আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরার কাপড়ের গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীও। এদিকে, আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস।বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদরদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বলেন, ডেমরার ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় চারতলা ভবনটির তিনতলায় কাপড়ের গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে চার তলাসহ অন্যান্য ফ্লোরেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে একে একে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ  শুরু করে।

তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সর্ভিস। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, চার তলা ভবনটির তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কাছাকাছি পানি না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে।


আরও খবর



পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেক, তবুও নেই ক্রেতা

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের পাইকারি বাজার দাম ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি থাকলেও প্রশাসন কোনো অভিযানে নামেনি। এ ছাড়া আমদানিকারকরা বিকল্প উৎস থেকেও পেঁয়াজ আনেনি। এর পরও পেঁয়াজের কেজি অর্ধেকে নেমে এখন ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। তবুও ক্রেতা নেই।

এদিকে ঢাকার খুচরা বাজারেও সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) খুচরায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। পাইকারি বাজারে গতকাল এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজি।

ঢাকার পাইকারি কারওয়ান বাজারের আড়তদার জালাল বলেন, পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। আজ (মঙ্গলবার) আমরা পাইকারিতে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি।

হঠাৎ করে দাম কমার কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, রোজার আগে থেকে অনেক আড়তদার পণ্যটি মজুদ করেছিলেন বলে তথ্য দিয়েছেন ব্যবসায়ীরাই। এখন আমদানির খবর পেয়ে তারাই অতিরিক্ত লোকসানের ভয়ে কম দামে পণ্যটি ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা দাবি করেছেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এটি মজুদ করা সম্ভব নয়। এখন দেশি পেঁয়াজ ক্ষেত থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ হওয়ায় দাম কমছে।

গত ৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণার পর অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে পেঁয়াজের বাজার। রাতারাতি খাতুনগঞ্জেই কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম উঠেছিল ২০০ টাকায়। পুরোনো এলসির প্রায় পাঁচ হাজার টন পেঁয়াজ আসায় গত ২২ ডিসেম্বর খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল কেজিপ্রতি ১৭০ টাকা।

এরপর ভারত থেকে বৈধ পথে আর কোনো পেঁয়াজ দেশে আসেনি। এখন আড়তগুলোতে যেসব ভারতীয় পেঁয়াজ দেখা যাচ্ছে সবটাই চোরাইপথে আসা।

চলতি বছরের শুরুতে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছিল ১৩০ টাকা পর্যন্ত। এরপর দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে এলে ১০০ টাকার নিচে চলে আসে পেঁয়াজের কেজি। ফেব্রুয়ারির ২৯ তারিখ পর্যন্ত খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। মার্চের ১৫ তারিখ থেকে ক্রমাগত এক-দুই টাকা করে কমতে থাকে দাম। সর্বোচ্চ গত সোমবার দাম নেমে আসে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

মঙ্গলবার সকালে খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ আড়ত দেশি পেঁয়াজে ভর্তি। কিছু ভারতীয় পেঁয়াজও আছে।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলম অ্যান্ড সন্সের কর্ণধার কবির হোসেন চৌধুরী বলেন, কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজের বাজার উঠানামা করছে। গত সোমবার হঠাৎ দাম অর্ধেক হয়ে যায়। তখন দেশি পেঁয়াজ ৪০ টাকা আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। আজকে (মঙ্গলবার) আবার বেড়ে গেছে। দেশি পেঁয়াজ ৫০ আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি। এখন পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে দামও অর্ধেক কমেছে। তবে ক্রেতা নেই।

এদিকে চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি সর্বোচ্চ ৬০ টাকা। ভ্যানগাড়িতে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ভ্যানগাড়ির পেঁয়াজ বিক্রেতা আবদুর রহিম জানান, দেশি পেঁয়াজ ছোটগুলো ৫০ টাকা আর আকারে বড়গুলো ৬০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি।

দাম কমে আসার কারণ হিসেবে খাতুনগঞ্জের একাধিক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, অনেক আড়তদার আছেন; যারা কৃষকের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে মজুদ করেছিলেন। তারা যখন দেখতেছেন এপ্রিলেই দেশে ভারতীয় পেঁয়াজ চলে আসবে, তখন অতিরিক্ত লোকসান হবে। সেই ভয়ে সংগ্রহে থাকা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। ফলে চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পণ্য বাজারে থাকায় দাম কমছে।

তবে মজুদ করার বিষয়টি মানতে নারাজ খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পেঁয়াজের আড়তদার মোহাম্মদ ইদ্রিস। তিনি বলেন, এখন কৃষকরা নতুন পেঁয়াজ বিক্রির জন্য তুলতে শুরু করেছেন। ক্ষেত থেকে টন টন পেঁয়াজ আসছে আড়তে। আড়তগুলোতে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ বেশি। তাই দাম কমছে। এটি পচনশীল পণ্য। আড়তদারদের মজুদ করার সুযোগ নেই।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




বিএসএমএমইউর ১২০ শিক্ষককে সনদ প্রদান

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) টিচিং মেথডোলজি বিষয়ক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১২০ জন শিক্ষককে সনদ প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ র্মাচ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের মেডিকেল এডুকেশন ডিভিশন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের হাতে এসব সনদ তুলে দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের মেডিকেল এডুকেশন ডিভিশন বিভিন্ন সময়ে ৪টি ব্যাচে ১২০ জন কর্মরত শিক্ষককে টিচিং মেথডোলজি বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করে। এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আরও দক্ষ করে তোলা।

সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন ও পাবলিক হেলথ ইনফরমেটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. বিজয় কুমার পাল।

নিউজ ট্যাগ: বিএসএমএমইউ

আরও খবর



শব্দের চেয়ে ৮ গুণ গতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল হুতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শব্দের চেয়ে ৮ গুণ গতিসম্পন্ন ভয়ঙ্কর হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। ধারণা করা হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর ও আরব সাগরে অভিযান পরিচালনা করার জন্য ব্যবহার করতে পারে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) একটি সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরআইএ। এর আগে, ইয়েমেনের হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে এডেন উপসাগরে একটি অ্যান্টিশিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছিল। তবে ওই উৎক্ষেপণের ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষ নিয়ে গত বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এডেন উপসাগরে চলাচলকৃত বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। গাজায় ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেই এ হামলা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।

এদিকে, গত মঙ্গলবার মার্কিন যুদ্ধজাহাজে খুব কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হুতিরা। সিএনএনের খবর অনুসারে, সেদিন হুতিরা ইয়েমেন থেকে লোহিত সাগরে ইউএসএস ল্যাবুন লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।


আরও খবর