দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের
(ডিএসই) প্রধান ও বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত মূল্য সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে
বেড়েছে বাজার মূলধন। তবে কমেছে ইসলামী শরীয়াহ পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত সূচক। পাশাপাশি
কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ২৩
শতাংশ। দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছে মাত্র ১৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান। বাজার
মূলধন বেড়েছে একশ কোটি টাকার কম। আর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে এক পয়েন্টের কম।
আরও পড়ুন: ১৯ এপ্রিল থেকে পাঁচ দিন বন্ধ থাকবে শেয়ারবাজার
এদিকে, তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের
ক্রেতা সংকট ছিলো সপ্তাহজুড়েই। ফলে দুইশর বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর
প্রাইসে আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার
ও ইউনিট বিক্রি করতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা।
গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট ৩৬৯টি প্রতিষ্ঠানের
শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪৭টির
শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৪টির। আর ২৩৮টির
দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স
বেড়েছে দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৭ দশমিক
৪১ পয়েন্ট বা দশমিক ১২ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা দুই সপ্তাহ ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়লো।
প্রধান মূল্য সূচকের সঙ্গে বেড়েছে বাছাই
করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। সপ্তাহজুড়ে সূচকটি বেড়েছে ৩ দশমিক শূন্য
৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১০ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট বা দশমিক
৪৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ঈদের আগের ৩ দিন নতুন সূচিতে ব্যাংক লেনদেন
ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি
নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ সূচকও পতনের মধ্যেই রয়েছে। গত সপ্তাহে পতনের মাধ্যমে টানা পাঁচ
সপ্তাহ সূচকটি পতনের মধ্যে থাকলো। গত সপ্তাহে এই সূচকটি কমেছে দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক
শূন্য ৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ১ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ।
এদিকে, সপ্তাহের শেষ ডিএসইর বাজার মূলধন
দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৬ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৭
লাখ ৬২ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১১৫ কোটি
টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মেলিতভাবে
ওই পরিমাণ বেড়েছে।
বাজার মূলধন বাড়ার সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি
কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন
হয় ৫৭৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৩১ কোটি ৪৫
লাখ টাকা বা ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ।