আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ষড়যন্ত্র বন্ধে শাহবাগে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে হিন্দু সম্প্রদায়

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে কলঙ্কিত করতে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করেন আওয়ামী বিরোধী হিন্দু সমাজ। এ ষড়যন্ত্র বন্ধে আজ সোমবার রাজধানীর শাহবাগে শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তারা। বেলা আড়াইটায় শান্তির পথে আমরা বাংলাদেশীর ব্যানারে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। শান্তি সমাবেশে রাজধানীসহ ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেবেন।

নিপুন রায় বলেন, এই হিন্দু সম্প্রদায়কে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। আওয়ামী লীগ-ই এই হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখল, তাদেরকে নির্যাতন করে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপায়। এবার হিন্দু সমাজ আওয়ামী লীগের চক্রান্ত বুঝতে পেরেছে। পরাজিত আওয়ামী লীগ ও তাদের মদদ দাতা গোষ্ঠীর মূল হোতা পালিয়ে গেছে, দোসররা থেকে গেছে। এই গোষ্ঠীর নির্দেশে এখন ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে নস্যাৎ করতে মাঠে নেমেছে। হিন্দু সম্প্রদায় এটা হতে দেবে না।

হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন বলেন, দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করতে পূজা উদযাপন কমিটিসহ নানা ব্যানারে আওয়ামী লীগ কাজ করছে। কারা পতিত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে। এবার আমরা চিহ্নিত করে দায়িদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।


আরও খবর
হজের নিবন্ধনের শুরুতেই ভাটা

সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4




রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে সাময়িকভাবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন উপ-সচিব মো. শাহীনুর ইসলাম।

অধ্যাপক নকীব রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে ২০০৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন। গবেষণায় তার প্রধান আগ্রহের বিষয় হলো সুপার কন্ডাকটিভিটি এবং কম্পিউটেশনাল ফিজিক্স।

১৯৯৮ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পদার্থবিজ্ঞান গবেষণায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ডিনস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এ ছাড়াও ২০০৮ সালে টাওয়াস ইয়ং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১১ সালে রাজ্জাক-শামসুন ফিজিক্স রিসার্চ পুরস্কারে ভূষিত হন।


আরও খবর



জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা, নাগরিক সেবা ব্যাহত

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর চেয়ারম্যান, মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিরা লাপাত্তা হয়েছেন। এতে জনসাধারণ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সরকারী সেবা গ্রহণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখতে পান পরিষদ বন্ধ রয়েছে।

সেবাপ্রাপ্তিরা জানান, চেয়ারম্যান, মেম্বার এর কক্ষ তালাবদ্ধ। কোন উপায়ান্তর না দেখে প্রয়োজনী কাজের জন্য পরিষদে আসা বেশকিছু জনসাধারণ বিপাকে পড়েছেন।

সরেজমিনে মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর প্রায় একই চিত্র চোখে পড়ে। তবে কিছু ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তারা উপস্থিত থাকলেও চেয়ারম্যান-মেম্বার এর স্বাক্ষরের জন্য ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে সেবা প্রার্থীদের।

তবে কিছু কিছু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারা আত্নগোপনে থেকে সই স্বাক্ষর করে জনসাধারণকে সেবা দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স করতে আসা বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানায় সকাল সাড়ে ৯টা ও ১০টায় তারা এসে অপেক্ষা করছেন তবুও চেয়ারম্যান ও মেম্বার এর দেখা নেই।

এসময় স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, গত (৫ আগস্ট) সোমবার দুপুরের পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের খুজে পাওয়া যায় না। লোকজন প্রতিদিন এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে অপেক্ষা করেও সেবা পাচ্ছে না।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বার এর সাথে মুঠোফোনে কথা হয় এই প্রতিবেদকের তারা জানান, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবা প্রার্থীদের পুরোপুরি সেবা দিবেন তারা।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নওরীন হক সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।


আরও খবর
সুন্দরগঞ্জে ত্রাণের ৩ টন চাল জব্দ

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ঢাকা ছাড়ার আগে-পরে শেখ হাসিনা কোনো বিবৃতি দেননি: জয়

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শেখ হাসিনা ঢাকা ছাড়ার আগে ও ঢাকার ছাড়ার পর এ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেননি বলে জানিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

রোববার (১১ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এমনটা দাবি করেন তিনি।

রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া ওই পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেছেন, আমার মায়ের পদত্যাগের বিষয়ে একটি বিবৃতি এক সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি একটু আগে তার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি। তিনি ঢাকা ছাড়ার আগে বা ঢাকা ছাড়ার পরে এ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেননি।

এর আগে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমসে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেওয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে উপস্থিতি জোরদার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সেন্টমার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল।

এ ছাড়াও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা তার দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, পরাজয় মেনে নিয়ে তিনি দ্রুতই দেশে ফিরে আসবেন।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটে। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। সেখানেই অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আন্দোলনে হতাহতদের মূল তালিকা হয়ে গেছে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতদের মূল তালিকা হয়ে গেছে। বর্তমানে দূর-দূরান্তে যাদের লাশ নেয়া হয়েছে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলোর পূর্ণাঙ্গতা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাসপূর্তি উপলক্ষে দেয়া বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, আমাদের প্রধান দায়িত্বগুলোর মধ্যে একটি হলো বিপ্লবের সময় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হাজার হাজার মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করা। শেখ হাসিনার দুর্বৃত্তরা তাদের চোখ লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ায় অসংখ্য তরুণ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করবো তাদের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে।

তিনি বলেন, আমরা শহিদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির জন্য ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছি। মূল তালিকা হয়ে গেছে। এখন শুধু দূর-দূরান্তে যাদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলোতে পূর্ণাঙ্গতা দেয়া হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, আন্দোলনে আহত শত শত মানুষ যাদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন, তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন তৈরির শেষ পর্যায়ে আছে। যাদের শাহাদাতের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে আমরা তাদের কখনোই ভুলবো না।

১৫ বছরে গুমের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা বলপূর্বক গুম থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন সনদে স্বাক্ষর করেছি। ফলে স্বৈরাচার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত গুম সংস্কৃতির সমাপ্তি ঘটানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। আলাদাভাবে আমরা ফ্যাসিবাদী শাসনের ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্তে একটি কমিশন গঠন করছি। যেসব পরিবার তাদের নিখোঁজ পিতা, স্বামী, পুত্র এবং ভাইদের পাওয়ার জন্য বছরের পর বছর ধরে যন্ত্রণার সঙ্গে অপেক্ষা করছেন, আমরা আপনাদের বেদনায় সমব্যাথী। আয়নাঘরগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা বলপূর্বক গুমের শিকার ভাই-বোনদের কষ্ট ও যন্ত্রণা সম্পর্কে জানতে পারবো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দুঃশাসন ও স্বৈরাচার দ্বারা সৃষ্ট ক্ষত পূরণ করা। এজন্য আমাদের প্রয়োজন একতা ও সমন্বয়। আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা নিলাম শহিদদের রক্ত এবং আহত ভাই-বোনদের আত্মত্যাগকে জাতি হিসাবে আমরা কিছুতেই ব্যর্থ হতে দেবো না। যে সুযোগ তারা আমাদের তৈরি করে দিয়েছেন সে সুযোগকে আমরা কখনো হাতছাড়া হতে দেবো না। আজ তাদের স্মৃতিময় দিনে আবারও প্রতিজ্ঞা করলাম তাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ আমরা গড়বোই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজ এই স্মৃতিময় বিষাদ দিনে আমি শহিদদের প্রতিটি পরিবার এবং আহত ব্যক্তিদের প্রতি জানাই অসীম কৃতজ্ঞতা। আমি সকল শহিদ পরিবারের সদস্যদের রাজধানীতে আমন্ত্রণ জানাবো, কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের সঙ্গে দেখা করব। আমি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা কখনোই শহিদদের স্বপ্নের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবো না।


আরও খবর



‘বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না’

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ৩০ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না। আমরা তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তার জন্য একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ব্যক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর বলেন, শেখ হাসিনা যতক্ষণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে থাকবেন, ততক্ষণ আমিও তার সঙ্গে থাকবো। আমি একজন মুসলমান হিসেবে আল্লাহ ও রাসুল ছাড়া আর কাউকে পরোয়া করি না। আল্লাহ ও তার রাসুলকে ভালোবাসার পরে আমার প্রেম ও ভালোবাসা সমস্তটাই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিকশাওয়ালা হতাম, না হয় একজন রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পেয়ে আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ নয়। অনেক প্রতিঘাত সহ্য করে দেশপ্রেম অর্জন করতে হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ঝড় তুফান আসে আবার কেটেও যায়। কোনো অন্ধকারই চিরস্থায়ী নয়। আকাশ আবার পরিষ্কার হবে।

টুঙ্গিপাড়াবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আর জীবনে এখানে আসতে পারবো কিনা জানিনা। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি যে এই দুর্যোগপূর্ণ সময়েও বঙ্গবন্ধুর সমাধিকে এতো সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

ভবিষ্যতে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করবেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি খাওয়ার সময় খাই, নামাজের সময় নামাজ পড়ি। আমি আজ টুঙ্গিপাড়া এসেছি আমার রাজনৈতিক পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মার শান্তি কামনা করার জন্য। যখন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার চেয়েছি তখন সকলেই গর্তে ছিল। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল। বিনিময়ে আমি মানুষের কাছে সম্মান পেলেও যাদের কাছে সম্মান পাওয়ার কথা ছিল, তাদের কাছে পায়নি। বরং আমাদেরকে অপমান করা হয়েছে। এই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার আওয়ামীলীগ নয়। এটা মাওলানা ভাসানীর আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগ, গরিব-দুঃখীর আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগ আর এই আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি আগেও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, এখনো বঙ্গবন্ধুর আছি এবং বাকি জীবন তার আদর্শ নিয়েই বেঁচে থাকবো। 

এর আগে দুপুরে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সফরসঙ্গী হিসেবে জাতীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ এবং গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
ঢাকায় এসেছেন কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান

শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪