আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শহীদ ইশমামের নামে সড়ক ও পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়া হবে: চট্টগ্রাম ডিসি

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
মনীষা আচার্য, চট্টগ্রাম

Image

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পরলোকগত লোহাগড়ার কৃতি সন্তান শহীদ ইশমামের স্মরণে তার বাড়ির সন্নিকটে কাঁচাসড়কটি যা অনেকদিন ধরে ইশমামের পরিবারসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কারণ, সেখানে পাকা সড়ক নির্মাণ করা হবে এবং এটি শহীদ ইশমামের নামে নামকরণ করা হবে।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এ প্রতিশ্রুতি দেন।

পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ আন্দোলনের অন্যান্য প্রতিনিধিগণ।

লোহাগাড়া পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান আন্দোলনে শহীদ ইশমামের কবর জিয়ারত করেন এবং পরবর্তীতে তার বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এসময় জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে শহীদ ইশমামের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। পাশাপাশি জেলা প্রশাসক দ্রুত শহীদ ইশমামের বড় ভাইকে একটি চাকরিতে নিয়োগের আশ্বাস দেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে আরও সহায়তা আনয়নে সচেষ্ট থাকবেন বলে জানান।

পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া লোহাগাড়া থানা ও ক্ষতিগ্রস্ত লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ এবং সাতকানিয়া থানা পরিদর্শন করেন। এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, জনজীবন স্বাভাবিক করতে চাইলে থানাগুলো সচল না করার বিকল্প নেই, এবং এজন্য আমাদের শিক্ষার্থীরাই স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে এসে থানার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সাহায্য করবে বলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সাথে জেলা প্রশাসনের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমার দৃঢ বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আমার পুলিশ বাহিনীর ভীতি অনেকটা দূরীভূত হবে এবং জনমনে স্বস্তি ফিরে আসবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম  সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন,  আমাদের আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে একটি কুচক্রী গোষ্ঠী হামলা গুলো চালিয়েছে; এ কাজ শিক্ষার্থীদের হতে পারে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করব ছাত্র আন্দোলনের নামে কেউ যেন আপনাদের দিকভ্রান্ত করতে না পারে। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম জেলাকে তিনটি ভাগে উত্তর জেলা, দক্ষিণ জেলা ও মহানগরে আমাদের তিনটি প্রতিনিধি দল নিয়োজিত রয়েছে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে আমাদের এই প্রতিনিধিরা জনজীবন স্বাভাবিক করতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে এবং করবে। এসময় তিনি শহীদ ইশমামের পরিবারের জন্য এগিয়ে আসায় এবং শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয় করে এরূপ অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের জন্য জেলা প্রশাসককে সাধুবাদ জানান।

পরিদর্শনের পাশাপাশি জেলা প্রশাসক স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে আলাপচারিতায় তাদের অভয় বাণী দেন এবং দেশ গঠনে সচেষ্ট শিক্ষার্থীদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানান। দিনব্যাপী এই পরিদর্শনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একেএম গোলাম মোর্শেদ খান, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইনামুল হাছান, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন বিশ্বাস সহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও এনএসআই কর্মকর্তাগণ।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



চীনে স্কুলবাসের চাপায় শিক্ষার্থীসহ নিহত ১১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চীনের পূর্বাঞ্চলে আজ মাধ্যমিক স্কুলের একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এসময় বাসটি জনতার ভিড়ে উঠে পড়লে এতে চাপা পড়ে শিক্ষার্থীসহ ১১ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৭ মিনিটে (২৩২৭ জিএমটি) একটি স্কুল বাস শানদং প্রদেশের তাইয়ান নগরীর কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এসময় বাসটি রাস্তায় পাশে অপেক্ষামান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপা দিলে পাঁচ শিক্ষার্থী ও ছয় অভিভাবকসহ ১১ জন নিহত হন।

সিসিটিভি সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টায় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপর ১২ জনের অবস্থা স্থিতিশীল

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, একটি ধূসর বাসের পাশে রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তে ভেজা পোশাকে প্রাপ্তবয়স্কদের দেখা যাচ্ছে।

এএফপি তাৎক্ষণিকভাবে ছবিগুলোর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। কিছুক্ষণ পর ছবিগুলো মুছে ফেলা হয় বলে মনে হয়েছে। দুর্বল নিরাপত্তা এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে দেশটিতে প্রায়ই প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে।


আরও খবর



ত্রাণ নিয়ে গবাদি পশু পাশে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া দেশের দুইটি জেলার গবাদিপশুর জন্য ত্রাণ হিসেবে প্রায় ৬ টন পশুখাদ্য, চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় ঔষধের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদ ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী ও গবাদিপশুর ত্রাণ বিষয়ক অন্যতম সমন্বয়ক রাকিব রনি।

রাকিব বলেন, 'গত ২৮ আগস্ট রাতে কিছু শিক্ষার্থী ৩ টন পশুখাদ্য নিয়ে ফেনী জেলার ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া উপজেলায় এবং ৩০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আরেকটি দল আড়াই টন পশুখাদ্য নিয়ে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় গিয়েছে। বাকি আধা টন পশুখাদ্য দেশের অন্যান্য বন্যা কবলিত অঞ্চলে দেয়া হবে।

জরুরী ভিত্তিতে বন্যা কবলিত এলাকায় চারটি সেবা দিবেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। ১. অসুস্থ প্রাণিগুলোকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া, ২. যেসব প্রাণির ডায়রিয়া, ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি, পুষ্টি সমস্যা তাদের রুচিবর্ধক এবং ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লাই দেয়া ৩. পশুখাদ্য সরবরাহ করা এবং ৪. পরবর্তীতে খামারিদের কোনো সমস্যা হলে টেলিমেডিসিন সেবা দেয়া।

ত্রাণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পর্কে রনি বলেন, 'সংগৃহীত পশুখাদ্যের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা সিপি বাংলাদেশ। এছাড়া ইনোভা, মিনার এগ্রো এবং লোকাল কিছু পেট কোম্পানি পশুখাদ্য পাঠিয়েছে। এছাড়া স্কয়ার, একমি, এসিআই, এসকেএফ এবং বায়োল্যাব ঔষধের যোগান দিয়েছে।'

টেলিমেডিসিন সেবা সম্পর্কে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মাশশারাত মালিহা বলেন, 'গবাদিপশুগুলো অনেকদিন না খেয়ে থাকায় তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে। ওইসব অঞ্চলের খামারিদের ভেটেরিনারিয়ানদের নাম্বার দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে গবাদি পশুগুলো যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন হয় তবে ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে খামারিরা আমাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবে।'

ভেটেরিনারি অনুষদের মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল প্রতীক সিদ্দিক বলেন, 'আমাদের ভেটেরিনারি এবং পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন 'এ্যানিমেল স্যাভিয়ার্স অব বাউ' তাদের তত্ত্বাবধানে দুর্গত এলাকার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেরিনারি চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় তাদেরও সাহায্য দরকার। বিভিন্ন ফিড কোম্পানি ও ঔষধ কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে ছয় টন পশুখাদ্য ও ঔষধ সংগ্রহ সম্ভব হয়।'

তিনি আরো বলেন, 'আমাদের দুই অনুষদের শিক্ষার্থীরা গত ৩-৪ দিন ধরে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের ছাত্ররা টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্যও যাবে, চিকিৎসা এবং মেডিসিন দিয়েও সাপোর্ট করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে তারা সমাজের সেবা করার সুযোগ পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'

ফেনীতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ফেনীর অন্যতম তিনটি বন্যা দুর্গত এলাকা ফুলগাজী, পশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলাযর প্রায় ৯০০ খামারীদের মাঝে পশুখাদ্য, ঔষধ এবং কয়েকটি খামার পরিদর্শন ও বিভিন্ন টেকনিক্যাল পরামর্শ প্রদান করা হয়। উক্ত এলাকাগুলোর বেশিরভাগ জায়গায় মানুষের খাদ্যের অপর্যাপ্ততা না থাকলেও, পশুখাদ্যের অপর্যাপ্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপস্থিত খামারিগণ ও ফেনীর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

বাকৃবির এই টিমটির আগে কেউ এত বড় পরিসরে পশুখাদ্য দিয়ে খামারিদের সাহায্য করেনি বলেও জানান উপস্থিত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও খামারিরা।


আরও খবর
রাবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব

বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




মমতার পদত্যাগের দাবিতে রণক্ষেত্র কলকাতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের কলকাতার বহুল আলোচিত আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড ঘিরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে রাজ্য সচিবালয় ঘেরাও করেছে হাজার হাজার মানুষ। আর তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাসের সেল ও জলকামান নিক্ষেপ করেছে দাঙ্গা পুলিশ।

অন্যদিকে, বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালের দিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সচিবালয় অভিমুখে নবান্ন অভিযান শুরু করেছে শিক্ষার্থীদের অরাজনৈতিক সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় ব্যাপক বিশৃঙ্খলপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পদত্যাগের এক দফা দিবিতে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের ডাকে শত শত মানুষ সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার লক্ষ্যে দাঙ্গা পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল ও জলকামান ব্যবহার করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা ইট-পাথর নিক্ষেপ করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, প্রতিবাদ মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি দেয়া হয়নি ছাত্র-জনতাকে। এ ছাড়াও শাসক তৃণমূল কংগ্রেস গতকাল সমাবেশে সহিংসতা তৈরির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীদের যেকোনও পথ থেকে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিতে প্রায় ৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর নজর রাখতে ড্রোনও ব্যবহার করা হয়।

গত ৯ আগস্ট কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা নাড়িয়ে দেয় পুরো ভারতকে।

এরপর থেকেই বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আহ্বানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি রাজ্যের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরতে শুরু করেছেন।


আরও খবর



মরক্কোতে ভয়াবহ বন্যায় ১১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ১১ জন প্রাণ হারিয়েছে। সেইসঙ্গে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯ জন। রোববার দেশটির কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপির।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রশিদ খলফি বলেছেন, মরক্কোর ১৭টি এলাকা এবং প্রদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার আঘাতে প্রাথমিকভাবে ১১ জনের প্রাণহানির কথা জানা গেছে।

তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে মরক্কোর রাজধানী রাবাত থেকে প্রায় ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণের টাটা প্রদেশে সাতজন এবং দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় মারাকেশ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পূর্বে এররাচিডিয়ায় দুজন মারা গেছেন।

তিনি বিস্তারিত উল্লেখ না করে বলেন, নিহতদের মধ্যে একজনের বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।

খালফি বলেন, এই অঞ্চলে সাধারণত সারা বছর ধরে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে দুই দিনে রেকর্ড করা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তার প্রায় সমান ছিল।

তিনি আরও বলেন, সেখানে বন্যার কারণে ৪০টি বাড়ি ধসে পড়েছে এবং ৯৩টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগে বিদ্যুত, খাবার পানি এবং টেলিফোন নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।


আরও খবর



এস আলমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গার্মেন্টসকর্মী মো. রুবেল হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম ও তার ২ ছেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে নিহত রুবেলের পিতা রফিকুল ইসলাম এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু চন্দ্র বণিক।

এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শেখ ফজলুল করিম, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম মাসুদ (এস আলম) এবং তার দুই ছেলে- আহসানুল আলম মারুফ (৩০) ও আশরাফুল আলমসহ (২৮) মোট ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০-৫০০ জন আ.লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আসামি করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন নিহত রুবেলের পিতা রফিকুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আদাবর থানাধীন রিং রোডে এক প্রতিবাদী মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন গার্মেন্টস কর্মী মো. রুবেল। পরবর্তীতে তাকে গ্রীণ রোড সেন্ট্রাল হসপিটালে নেওয়া হয়। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অপারেশন পরবর্তী আইসিইউ স্বল্পতায় সিটি কেয়ার জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট সকাল ১০টায় মারা যান রুবেল।


আরও খবর