বিপিএলে খুলনা
টাইগার্সকে ৩১ রানে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। দশম ম্যাচে
এটি আট নম্বর জয় সিলেটের। তাদের প্লে-অফ বলতে গেলে নিশ্চিত।
এই বড় জয়ে শীর্ষস্থান
আরও পোক্ত করলো সিলেট। অন্যদিকে অষ্টম ম্যাচে খুলনার এটি ষষ্ঠ হার।
সোমবার সিলেট
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২
রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাব দিতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি
খুলনা।
শুরুতে তৌহিদ
হৃদয় ও জাকির হাসান জুটি বাধেন সিলেটের হয়ে। শেষদিকে ঝড় তুলেন রায়ান বার্ল ও থিসারা
পেরেরা। বল হাতে বাকি কাজটুকু সারেন রুবেল হোসেন-রেজাউর রহমান রাজারা। ম্যাচ শেষে অবশ্য
সিলেটের জন্য অস্বস্তি, রাজা ও অধিনায়ক মাশরাফি মাঠ ছেড়েছেন চোট নিয়ে।
টস হেরে ব্যাট
করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেট স্ট্রাইকার্সের। শেষ ম্যাচ জেতানো নাজমুল হোসেন শান্ত
১২ বলে ৬ রান করে মার্ক দেয়ালের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত যান। এরপর
দলের হাল ধরেন জাকির হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। দুজন মিলে গড়েন ১১৪ রানের বড় জুটি।
এই দুই ব্যাটার
খেলেছেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। তৌহিদ হৃদয় ইনজুরি থেকে ফেরার পর মাঝে দুই ম্যাচে রান পাননি।
কিন্তু এদিন খুলনার বিপক্ষে ৯ চারে ৪৯ বলে ৭৪ রান করে আউট হন নাহিদ রানার বলে। হাফ
সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকির হাসানও। ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৩৮ বলে ৫৩ রান করে বোল্ড হয়ে যান
নাহিদুলের বলে।
শেষদিকে ক্যামিও
ইনিংস খেলেন রায়ান বার্ল ও থিসারা পেরেরা। ১ চার ও ২ ছক্কায় ১১ বলে ২২ রান করে বার্ল
ও ২ চার ও ১ছক্কায় ৭ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন পেরেরা। খুলনার পক্ষে ৪ ওভারে ৪০
রান দিয়ে দুই উইকেট নেন দেয়াল। নাহিদুল ইসলাম ও নাহিদ রানা নেন এক উইকেট করে।
জবাব দিতে নেমে
একদমই ভালো শুরু পায়নি খুলনা। ইনিংসের কেবল তৃতীয় ওভারেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটারকে হারিয়ে
ফেলে তারা। রুবেল হোসেনের বলে তামিম ইকবাল মাশরাফির ও বালবারনি জাকির হাসানের হাতে
ক্যাচ দিয়ে আউট হন। যথাক্রমে তারা করেন ১০ বলে ১২ ও ৭ বলে ৭ রান।
পাওয়ার প্লের
ছয় ওভারে ৪০ রান তুলে খুলনা। মাঝে শাই হোপ কিছুক্ষণ চেষ্টা করেন ইনিংস মেরামতের। কিন্তু
ক্যারিবীয় এই ব্যাটারও রেজাউর রহমান রাজার বলে বার্লের হাতে ক্যাচ দেন ২২ বলে ৩৩ রান
করে। তার বিদায়ের পর খুলনার আশা জাগিয়ে তুলেন আজম খান।
পাকিস্তানি ব্যাটার
ঝড় তুলেন রীতিমতো। কিন্তু ৪ চার ও ২ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
ইমাদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হয়ে আউট হন আজম। এরপর ক্রিজে আসা মার্ক দেয়ালকে ফিরিয়ে দিনের
তৃতীয় উইকেট পান রুবেল হোসেন। অভিজ্ঞ এই পেসারের এটি বিপিএলের শততম উইকেট।
খুলনার সব আশা
শেষ হয় ইয়াসির আলি রাব্বির বিদায়ের পর। বাংলাদেশি ব্যাটার ৮ বলে ৪ রান করে রেজাউর রহমানের
বলে তার হাতেই ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত গেলে। এরপর ১৬১ রানেই থামতে হয় খুলনাকে।