আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। পাশাপাশি দশম শ্রেণির নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সই করা অফিস আদেশে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বেশ কিছু শর্তের উল্লেখ হয়েছে।

আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে পরীক্ষা হবে কেবল তিন বিষয়ে, বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত। ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হবে দেড় ঘণ্টায়।

তিনটি বিষয়ের মধ্যে বাংলা ও সাধারণ গণিতে ৩৫ নম্বর থাকবে লিখিত পরীক্ষায়, ১৫ থাকবে এমসিকিউয়ে। তবে ইংরেজিতে প্রথম পত্রে ৩০ নম্বর ও দ্বিতীয় পত্রে থাকবে ২০ নম্বর। প্রতিটি পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা।এর সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্টে ৪০ ও স্বাস্থ্যবিধিতে থাকবে আরও ১০ নম্বর।


আরও খবর



সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরলেন মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ করে ১৯ দিন পর দেশে ফিরলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

এর আগে চলতি বছরের ৪ মার্চ চিকিৎসার জন্য স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ সিঙ্গাপুর যান ৭৭ বছর বয়সী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সিঙ্গাপুরের দুটো হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন ও হেলথ চেকআপ করেছেন তিনি।

প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাবাসের পর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি জামিন মুক্তি পান মির্জা ফখরুল। পরে তিনি শ্যামলী স্পেশালাইজিড হাসপাতালে অধ্যাপক শামসুল আরেফীনকে তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নেন।

২০১৫ সালে কারাবন্দি অবস্থায় বিএনপি মহাসচিবের ঘাড়ের ইন্টারন্যাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়লে উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্তি পেয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করান। এরপর প্রতিবছরই ফলোআপ চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে যেতে হয়।

সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট সিঙ্গাপুরে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বিদ্রোহীদের দখলে এবার মিয়ানমারের মায়াবতী শহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক সপ্তাহের তুমুল লড়াই শেষে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মায়াবতী শহরের দখল নিতে চলেছে দেশটির জান্তা শাসনবিরোধী বিদ্রোহী জোট।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আদিবাসী কারেন বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনী কয়েক সপ্তাহ আগে মায়াবতী শহর আক্রমণ করে। তারা একটু একটু করে শহরের ভেতর প্রবেশ করে এবং শহরটির পাহারায় থাকা মিয়নমারের শতাধিক সেনাসদস্য শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে পরাস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে।

শুক্রবার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-কেএনইউ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, থাঙ্গানিনাং শহরে থাকা এক ব্যাটেলিয়ন সেনাসদস্য তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। শহরটি মায়াবতী থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে। আর মায়াবতীতে থেকে যাওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শেষ ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে এ সপ্তাহান্তে তাদের আলোচনা চলছে এবং খুব সম্ভবত সেনাবাহিনীর ওই ব্যাটেলিয়ন আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যে মায়াবতী শহরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুই দেশের স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির অধিকাংশই হয় এই শহর দিয়ে।

তিন বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের শাসনভার দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীনভাবে বিনা বাধায় হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যায়। সাধারণ মানুষ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে।

যে বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করে জান্তা বাহিনী। তাদের দমন নিপীড়নে বহু বিক্ষোভকারী প্রাণ হারায়। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ দমন হলেও অভ্যুত্থান বিরোধীরা মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আগে থেকেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিভিন্ন আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করে গত বছর শেষদিক থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

বিদ্রোহী জোট একের পর এক সীমান্ত এলাকা ও শহরে আক্রমণ করে সেগুলো দখল করতে শুরু করে। এ বছরের শুরু থেকে তাদের আক্রমণের তেজ বেড়ে যায়। মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ও শহর এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্য এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের অনেকটাই এখন বিদ্রোহীদের দখলে।

বিবিসি জানায়, গত তিন বছরে জান্তা বাহিনীকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আর পড়তে হয়নি। মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানো তাদের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা।

দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন আদিবাসী কারেন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সেই ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।

গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে সামরিক বাহিনী তাদের অনেকটাই পরাস্ত করে এবং ২০১৫ সালের পর তারা একটি জাতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লড়াই বন্ধ করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সবকিছু পাল্টে যায়। কেএনইউ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করায় ওই চুক্তি অকার্যকর হয়ে গেছে।

কেএনইউ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু লড়াই করছে না। বরং সারা দেশ থেকে যারা স্বোচ্ছায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসছে তাদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।

এছাড়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা দেশের অন্যান্য প্রান্তের বড় বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোকে তারা এক জোট করার চেষ্টাও করছে।


আরও খবর



চট্টগ্রাম টেস্ট: বাংলাদেশকে হতাশ করে প্রথম দিনেই ৩০০ পেরিয়ে শ্রীলংকা

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শেষ বিকেলে শ্রীলংকার দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ। এই লাইনটুকু পড়ে অবশ্য খুশি হওয়ার কিছু নেই। কেননা দিনব্যাপী স্বাগতিক বোলাররা হতাশাতেই ছিল। ফলে চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টর প্রথম দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০০ পেরিয়ে গেছে লংকানরা। নির্ধারিত ৯০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রান করেছে তারা।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান শ্রীলংকার অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। বাংলাদেশ তাদের একাদশে দুইটি পরিবর্তন এনেছে। দলে ঢুকেছেন সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ। এই ম্যাচই হাসান মাহমুদের অভিষেক টেস্ট। সিলেট টেস্ট থেকে বাদ পড়েছেন তরুণ নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলাম। শ্রীলংকা তাদের একাদশে একটি পরিবর্তনই এনেছে। সিলেট টেস্টে ৮ উইকেট পাওয়া কাসুন রাজিথা ইনজুরির কারণে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আরেক পেসার কাসুন রাজিথা।

অভিষিক্ত হাসান দলীয় ষষ্ঠ ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন তিনি। তবে তার বলে স্লিপে মাদুশকার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন মাহমুদুল হাসান জয়। অভিষেক ম্যাচে আরও দুর্ভাগ্য তাড়া করে বেরিয়েছে হাসানের। ২২তম ওভারে হাসানের বাউন্সারে ফাইন লেগে ক্যাচ তোলেন করুনারত্নে। তবে বাউন্ডারি লাইন থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকায় ক্যাচ মিস করেন সাকিব আল হাসান। তার হাতে লেগে হয় ছক্কা। উইকেটশূন্য অবস্থায়ই প্রথম সেশন শেষ করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় সেশনের প্রথমেই উইকেট পায় বাংলাদেশ। সেটি হাসান মাহমুদের কৃতিত্বে। তবে বলে নয়, ফিল্ডিংয়ে। ২৯তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ৯৬ রানের মাথায় তার দুর্দান্ত থ্রোয়ে ফেরেন মাদুশকা। তিনি ১০৫ বলে ৬টি চারে ৫৭ রান করেন।

এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন করুনারত্নে ও কুশল। বল হাতে প্রথম সাফল্য আসে সেই হাসানের হাত ধরেই। ৫৬তম ওভারের প্রথম বলে হাসান মাহমুদের বলে করুনারত্নে সরাসরি বোল্ড হলে ভাঙে লংকান ওয়াল’। করুনারত্নে ফিরেছেন ৮৬ রান করে। ১২৯ বলে ৮টি চার ও ১ ছক্কায় এই রান করেন করুনারত্নে।

তবে এই টেস্টও বাংলাদেশের বোলারদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে প্রথম দুই সেশনেই তুলে নিয়েছে রানের ডাবল সেঞ্চুরি। ওভারপ্রতি সাড়ে তিনের বেশি হারে রান তুলে করেছে ২১৪।

এরপর সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে সাকিব আল হাসানে কাঁটা পড়েন কুসল মেন্ডিস। ৭২তম ওভারের তৃতীয় বলে এই টেস্টে ফেরা সাকিবের বলে মেহেদী হাসান মিরাজকে ক্যাচ দেন মেন্ডিস। লংকান ব্যাটার ১৫০ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় ৯৩ রানে ফেরেন। ম্যাথিউস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। হাসান মাহমুদের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ৭১ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ২৩ রানে মিরাজকে ক্যাচ দেন তিনি।

দিনের বাকিটা সময় দীনেশ চান্দিমাল ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলাভা দেখেশুনে খেলে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। চান্দিমাল ৩৪ ও ডি সিলভা ১৫ রানে প্যালিভিয়নে যান।

এর আগে সিলেটে প্রথম টেস্টে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। লংকানদের বিপক্ষে ৩২৮ রানে হারের ম্যাচে বাংলাদেশ দুই ইনিংসে অলআউট হয়েছে মাত্র ১৮৮ ও ১৮২ রানে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সাত অঞ্চরের ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

রবিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, মাদারীপুর, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। ফলে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এতে করে এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



পাহাড়ে সক্রিয় ভয়ংকর বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রাণ প্রকৃতির নিসর্গ পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তির পাহাড়ে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পরপর দুই দিনে তিনটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় ঢুকে টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ে শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে অনেকগুলো ভার্চুয়াল বৈঠকের পর গত বছরের ৫ নভেম্বর শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের প্রথম সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক। এর মধ্যে পাহাড়ে বড় ধরনের কোনো সশস্ত্র তৎপরতা দেখা যায়নি। হঠাৎ করে পরপর তিনটি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফ সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের শুরুতে দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্রের গর্জন শোনা যায়। গত বছরের ৭ এপ্রিল বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় আটজন নিহত হন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির (কেএনএ) সদস্যরা সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের ওপর নির্বিচারে হামলা, লুটপাট ছাড়াও সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তদের খুন, জখম ও অপহরণের ঘটনাও ঘটায় কুকি সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় নিরীহ পাহাড়ি বাসিন্দাদেরও হুমকি-ধামকি ও নির্যাতন করে তারা। কেএনএফের এ তাণ্ডবের কারণে জীবন বাঁচাতে নিজ পাড়া বা বসতভিটা ছেড়ে উপজেলা সদরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু পাহাড়ি বাসিন্দা। স্থানীয় পর্যায়ে আতঙ্ক ছড়াতে পাহাড়ের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপরও তারা অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালায়। কিন্তু গত মঙ্গল ও বুধবার তিনটি সরকারি ব্যাংকের শাখায় ঢুকে নগদ টাকা লুটে নেওয়ার ঘটনায় নতুন বার্তা পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। টাকার অভাবে কেএনএফ লুটপাটে জড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, ব্যাংক লুটের আগে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি বাজারে গুলি ছুড়তে ছুড়তে দোকানগুলো থেকে মোবাইল সেট ও নগদ টাকা কেড়ে নেয় অস্ত্রধারীরা। পরে সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টার থেকে টাকা লুটতরাজ করে চলে যায়। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্রমাগত অভিযানের পর কথিত বিচ্ছিন্নতাবাদী কেএনএফের কুকিল্যান্ডের সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। কেএনএফের সশস্ত্র শাখা কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) পার্বত্য এলাকায় যেসব আস্তানা গেড়েছিল সেগুলোর অধিকাংশই এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ফলে সশস্ত্র তৎপরতার শক্তি ও সুযোগ হারিয়ে কুকি সন্ত্রাসীরা এখন বিচ্ছিন্নভাবে চাঁদাবাজি ও মুক্তিপণের জন্য অপহরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। বাজারে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনা তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগেও বেশকিছু অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে কেএনএফ বা কেএনএর সম্পৃক্ততা পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেএনএফ বা কেএনএ ছাড়াও পার্বত্য তিন জেলায় চাঁদাবাজির আধিপত্য নিয়ে জেএসএস, ইউপিডিএফসহ অন্য আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোও বেপরোয়া সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি তৎপরতা গত এক বছর ধরে সক্রিয় ছিল। তারই অংশ হিসেবে গত ৫ নভেম্বর প্রথম সরাসরি বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বৈঠকে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা। গত ৬ মার্চ দ্বিতীয় সরাসরি বৈঠক হয় তাদের সঙ্গে। দ্বিতীয় দফা সরাসরি আলোচনায় ৭টি বিষয় নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। এর মধ্যে কেএনএফের মামলা প্রত্যাহার, জেলে আটক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া, মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া নাগরিকদের ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসন করা, চাঁদাবাজি বন্ধ, কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে এসে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার পর গতকাল কেএনএফের সঙ্গে আলোচনা স্থগিত করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। ১৯ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনু গতকাল বিকালে বলেন, আমরা অনেকগুলো বৈঠক করে শান্তি প্রতিষ্ঠার সংলাপ ভালোই এগিয়ে নিচ্ছিলাম। এই সময়ে কোনো বড় ঘটনাও ঘটেনি। তিনি বলেন, হঠাৎ তাদের এই কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, কমান্ড পর্যায়ে কোনো পরিবর্তন এসেছে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে সশস্ত্র এই সংগঠনটি। নগদ টাকার প্রয়োজন থেকেই তারা বাজার ও ব্যাংক ডাকাতির মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নেমেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি অনেকটা পর্যুদস্ত অবস্থায় রয়েছে। তারা হয়তো মনে করছে, পৃথক কুকিল্যান্ডের স্বপ্নপূরণ সম্ভব নয়। সেজন্যই তারা শক্তির জানান দিতে চাইছে। এদিকে বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন রাসেলকে অপহরণের দুই দিন পর গতকাল সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধরতে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে পার্বত্য গণপরিষদের উদ্যোগে বান্দরবান প্রেস ক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান বলেন, পার্বত্য এলাকায় তারা (কেএনএ) এখনো তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের তাণ্ডবের কারণে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় যাতায়াত ও পর্যটকদের চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সবখানেই একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ পরিস্থিতির মধ্যেও নিরাপত্তা বাহিনীর মোটামুটি শক্ত অবস্থান রয়েছে।

তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ ও বর্তমান পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর কোনো বিকল্প নেই। পার্বত্য অঞ্চলের স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে আরও অনেক সেনা ক্যাম্প চালু করা এখন সময়ের দাবি। যেসব স্থান থেকে একসময় সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়েছিল সেগুলোও দ্রুত চালু করা প্রয়োজন। শুধু পুলিশ দিয়ে পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।


আরও খবর