আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

শিবপুরে উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে শিবপুর থানা সংলগ্ন নিজ বাড়ির গেইটে তার ওপর হামলা হয়। খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

 

এদিকে হারুনুর রশিদ খানের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ সুশীল সমাজের লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে পুরো উপজেলায় থম থমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার।

 

পুলিশ জানায়, নরসিংদীর শিবপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান শনিবার ভোর ৫টার দিকে নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে যান। সেখান থেকে তিনি নামাজ আদায় করে শিবপুর বাজারস্থ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিলেন। ওই সময় হারুনুর রশিদ খান বাড়ির গেইটে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আগত মুখ বাঁধা ৩ সন্ত্রাসী তাকে পেছন থেকে লক্ষ্য করে পর পর ৩টি গুলি করে। তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, দুর্বৃত্তরা চেয়ারম্যান সাহেবকে পেছন থেকে গুলি করেছেন। তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যার্তদের রেসকিউ করতে হেলিকপ্টার ভাড়া দিবেন ইরফান সাজ্জাদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভয়াবহ বন্যায় আটকা পড়েছে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার সহ দেশের ৯টি জেলার অসংখ্য মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে ফেনী। এই জেলার তিনটি উপজেলার সঙ্গে ইতোমধ্যেই সকল ধরণের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানে উদ্ধার কাজও ব্যহত হচ্ছে।

পানির তীব্র স্রোতের কারণে নৌকা বা স্পিডবোট নিয়েও উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় সকলে হেলিকপ্টার দিয়ে বন্যার্তদের উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছেন।

তাদের সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ জানিয়েছেন, তিনি উদ্ধারকারীদের হেলিকপ্টার ভাড়া দিতে রাজি। তবে এর জন্য প্রয়োজন দক্ষ কোনো রেসকিউ টিম। যারা বন্যার্তদের উদ্ধার করতে পারবেন সঠিকভাবে।

বুধবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই অভিনেতা লিখেছেন, দক্ষ কোন রেসকিউ টিম আছে যারা হেলিকপ্টার করে বন্যার্তদের উদ্ধার করতে পারবে? হেলিকপ্টার ভাড়া হতে শুরু করে যাবতীয় সাপোর্ট দিতে চাই।

সেই স্ট্যাটাসের মন্তব্যেঘরে দক্ষ রেসকিউ টিম খোঁজ করার কারণও জানান ইরফান সাজ্জাদ। তিনি লেখেন, হেলিকপ্টার ব্যবহার করে এমন আবহাওয়াতে উদ্ধারে যাওয়া সহজ কাজ নয়। এজন্য দক্ষ টিম প্রয়োজন।

ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে ডুবছে জনপদ। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় জেলার সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় বন্যাদুর্গত মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।


আরও খবর
কমলা হ্যারিসকে সমর্থন জানালেন টেলর সুইফট

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৮ নির্দেশনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু, মেডিকেল টিম গঠনসহ আটটি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম, সিলেট বিভাগের পরিচালক, ওই দুই বিভাগের সব সিভিল সার্জনসহ কর্মকর্তাদেরকে এই নির্দেশনা দেন অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদক্ষেপ-

১. বন্যাকবলিত এলাকার সব সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু রাখতে হবে।

২. প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মেডিকেল টিম গঠন করে দুর্যোগ মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখতে হবে।

৩. বন্যাকবলিত এলাকায় প্রতিটি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি ডায়রিয়া, সর্প দংশনসহ বন্যা সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য যথোপযুক্ত প্রস্তুতি রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন, অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে হবে।

৪. বন্যাদুর্গত এলাকার হাসপাতালে যন্ত্রপাতিগুলো যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।

৫. জরুরি ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী মজুত এবং প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীসহ অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে।

৬. বন্যাদুর্গত জেলাগুলোর সব চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না।

৭. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য বন্যাদুর্গত এলাকার সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে।

৮. বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ গঠিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় ও যোগাযোগ রাখতে হবে।

এদিকে, বন্যাকবলিত এলাকায় চিকিৎসক-নার্সসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



১১ দফা দাবি না মানলে ‘রেমিট্যান্স শাটডাউনে’র হুঁশিয়ারি প্রবাসীদের

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোনো প্রবাসীর বিদেশে মৃত্যু হলে রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে মরদেহ আনাসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন প্রবাসীরা। দাবি বাস্তবায়ন না হলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে ওমান প্রবাসী কামরুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখলেও প্রবাসীদের দাবি কখনও বাস্তবায়ন হয় না। বিদেশে দূতাবাসগুলো পাসপোর্ট ছাড়া তেমন কোনো বিষয়ে ভূমিকা রাখে না। ফলে কোনো প্রবাসী মারা গেলেও তাদের কোনো ধরনের সহায়তা দেয় না দূতাবাসগুলো। বিগত সময়ের নিয়োগ করা সব দূতাবাসের কর্মকর্তাকে সরিয়ে দিতে হবে।

আমিরাতে যারা জেলে আছেন সেটির জন্য কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেনকে দায়ী করে তিনি বলেন, তার কারণেই প্রবাসীরা জেলে আছেন। তিনি তাদের জেলে পাঠিয়েছেন। মূলত দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করায় তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অবিলম্বে সেখানে আটকদের কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় মুক্তি দিতে হবে। প্রবাসীরা এককালীন দেশে চলে এলে তাদের যুক্তিসংগত প্রবাসী অবসর ভাতা দিতে হবে।

> একজন প্রবাসী ছুটিতে দেশে এসে কিংবা প্রবাসে কোনো কারণে মারা গেলে বা কর্মক্ষেত্রে শারীরিক পঙ্গুত্ববরণ করলে এককালীন তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

>প্রত্যেক প্রবাসীর পরিবারকে বিশেষ স্মার্ট কার্ড দিতে হবে। ওই স্মার্ট কার্ড দ্বারা বাংলাদেশের সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যেকটি সেক্টরে যেমন মেডিকেল ট্রিটমেন্ট, ইউনিয়ন অফিস, থানা, সিটি কর্পোরেশন, ভূমি অফিস, পরিবহন সেক্টর থেকে শুরু করে সব নাগরিক সেবায় প্রবাসীর পরিবার যেন সুফল ভোগ করতে পারে।

>শুধু পাসপোর্ট, ভিসা কপি অথবা আকামা কপি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রবাসীকে সহজশর্তে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত বা মালিকানাধীন অন্য ব্যাংক থেকে বিনা সুদে বা সহজ শর্তে হাউজ লোন, ব্যবসায়িক লোনসহ অন্য লোন দিতে হবে।

>কোনো কারণে বাংলাদেশে কোনো প্রবাসীর নামে মামলা-মোকাদ্দমা হলে তা দ্রুত নিষ্পত্তির বিধিবিধান এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৯০-১২০ দিন হতে পারে।

>প্রবাসে কোনো সমস্যা হলে বাংলাদেশ দূতাবাস সব ধরনের সহযোগিতা করবে। প্রবাসীদের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা সৃষ্টি করতে হবে।

>অসুস্থতার কারণে কোনো প্রবাসী দেশে এলে বাংলাদেশের সব সরকারি মেডিকেলে উন্নত চিকিৎসা সেবা দিতে হবে।

>প্রতি প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে।

> প্রবাসী পরিবারের সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

>প্রবাসী পরিবারের সামাজিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র বা সরকার উপযুক্ত নীতিমালা গ্রহণ করবে।

> বিমানবন্দরে কোনো ধরনের লাগেজের ক্ষতি হলে প্রতিটা খালি লাগেজের জন্য ২০ হাজার টাকা সাতদিনের মধ্যে দিতে হবে।

>অভিবাসনের ক্ষেত্রে এবং বিদেশ যাত্রায় হয়রানি প্রতিরোধ করতে হবে এবং বিমানবন্দরে জটিলতা নিরসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে।


আরও খবর



রুল খারিজ: বাধা নেই তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দেওয়া রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে গণমাধ্যমে তার বক্তব্য প্রচারে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত, এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তারেক রহমানের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রুল জারি করে। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

ওই রুল শুনানির জন্য আট বছর পর হাইকোর্টে আবেদন জানায় রিটকারী পক্ষ। কিন্তু তারেক রহমানের ঠিকানা ভুল থাকায় নোটিশ সঠিকভাবে জারি হয়নি। এ কারণে ঠিকানা সংশোধন করে ফের আবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই নির্দেশনা মোতাবেক তারেক রহমানের ঠিকানা সংশোধন করে নোটিশ জারির নির্দেশ দেন আদালত। এরপরই নোটিশ জারি করা হয়।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর বিস্ফোরক মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ঠাকুরগাঁওয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও মারধর ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দুই সাংবাদিক যমুনা টেলিভিশনের ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি পার্থ সারথী দাস ও দেশ টেলিভিশন-আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি শাকিল আহমেদ ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অরুনাংশ দত্ত টিটো সহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১১সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থী মো: মামুন ইসলাম ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকারের আদালত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার বাদি মো: মামুন ইসলাম (১৯) সদর উপজেলার দৌলতপুর সিঙ্গিয়া গ্রামের মো: তাজেল এর ছেলে। মামলার এজাহারে ৩৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, ছাত্রলীগ নেতা রয়েল বড়ুয়া, ঠাকুরগাঁও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালার ছেলে ও জেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রাজীব পোদ্দার শশী, সজীব দত্ত, ল্যাংড়া সাদ্দাম, মুন্সিপাড়ার ফরহাদ, আতাউর রহমান, পূর্ব গোয়ালপাড়ার সিদ্দিক, যুবলীগ নেতা আমির হোসেন রুবেল, আট-গ্যালারি এলাকার জাকারিয়া প্রমানিক, আশ্রম পাড়ার খোকন চৌধুরী, টেংগাঁ বাবু, পশ্চিম মুন্সিপাড়ার এলাকার বাবুর্চি রানা, শিল্পকলার এলাকার তনু, আশ্রম পাড়ার মিরাজ ইসলাম, মুন্সিপাড়ার রায়হান ইসলাম, মামুস রানা, ডিসিবস্তি এলাকার সোহাগ ইসলাম, ভুল্লী কুমার এলাকার সরকার আসাদুজ্জামান, শাসলাপিয়ালা এলাকার তাজউদ্দীন, আশ্রমপাড়ার উৎপল গুহ ঠাকুরতা, মুন্সিপাড়ার মিন্টু, রানা ইসলাম, জমি দাস,  সুয়েল, বাপ্পি, কলেজপাড়ার  ইকবাল, বাপ্পী, দুওসুও ইউনিয়নের নোমান (অভি) শ্রী শচীন বর্মণ ও ভুল্লীর শাসলাপিয়ালা এলাকার রফিক মিয়া।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য অস্ত্র-সস্ত্র হয়ে মামলার বাদীসহ ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়ে একাধিক ছাত্র-জনতাকে গুরুতর আহত করেন। গত রোববার (৪ আগস্ট) সকাল সড়ে ১১টায় আসামিগন ছাত্র-জনতাঁর বিক্ষোভ মিছিলে লাঠি-সোটা লোহার, রড, ককটেল ও হাত বোমা নিক্ষেপ করে ছাত্র মিছিলটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

এব্যাপারে মামলার বাদী মামুন ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ জানান, ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় মামুন ইসলাম নামে একজন আদালতে একটি মামলা করেছে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত মামলার কাগজপত্র হাতে পায়নি। পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪