চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কাজে যুক্ত হয়েছে ‘ডগ স্কোয়াড’। নেদারল্যান্ডস থেকে আনা এই নয়টি কুকুরের মধ্যে পাঁচটি বিস্ফোরক এবং চারটি মাদকদ্রব্য শনাক্তে পারদর্শী। স্কোয়াডের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কে-নাইন ইউনিট’।
রোববার মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে ‘কে- নাইন ইউনিট’ এর কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। কুকুরগুলো রাখার জন্য মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন্সে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ জানায়, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার পর্যায়ের কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে কাজ করবেন। নেদারল্যান্ডস থেকে আনা এই ৯টি কুকুরের মধ্যে পাঁচটি বিস্ফোরক এবং চারটি মাদকদ্রব্য শনাক্তে পারদর্শী। এই ইউনিটের নিয়োজিত সদস্যরা নেদারল্যান্ডস এবং ঢাকায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
সিএমপি'র মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনে ডগ স্কোয়াড এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১০টি ক্যানেল সমৃদ্ধ একটি আধুনিক দ্বিতল ভবন নির্মান করা হয়। যেখানে রয়েছে ডগের পরিচর্যা কেন্দ্র, গ্রুমিং স্পেস, রান্না ঘর, গোসলের ব্যবস্থা, নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য উন্মুক্ত মাঠ ও বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কাঠামো। উক্ত ভবনে সার্বক্ষণিক সিসি টিভি মনিটরিং ব্যবস্থা রয়েছে।
ডগ স্কোয়াড ক্যানাইন পরিচালনার জন্য বর্তমানে ২৭ জন জনবল রয়েছে। যারা নেদারল্যান্ড এবং ডিএমপি, ঢাকা থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহন করেছে। প্রশিক্ষিত কুকুরগুলো নেদারল্যান্ডস থেকে আনা হয়েছিল। এগুলো এত দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যুক্ত ছিল। গত ২০ ডিসেম্বর ৯টি ককুর সিএমপিতে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে চারটি বিস্ফোরক ও পাঁচটি মাদক শনাক্তে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
নারকোটিকস ও বিস্ফোরক সহজেই শনাক্ত করে দিতে পারবে কুকুরগুলো। বোমা ডিসপোজাল ইউনিট সোয়াতের মতো কে-নাইন ইউনিট কাজ করবে। ডগ স্কোয়াড যুক্ত হওয়াতে মাদক নির্মূল ও বিস্ফোরকের বিরুদ্ধে অ্যাকশন আরো গতিশীল হবে।