আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

সিএনজি-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত-২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কের চল্লিশা এলাকায় সিএনজি ও কাভার্ডভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজি নেত্রকোনায় আসার পথে ও নেত্রকোনা থেকে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই গৌরীপুর উপজেলার শিংজানি গ্রামের তোলা মিয়া ছেলে সিএনজি চালক ওয়াসিম মিয়া (৩৫) ও বারহাট্টায় উপজেলার সুমন চৌহান (বিজিবি সদস্য) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

সুমন চৌহান রংপুরে কর্মরত ছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অপর সিএনজি যাত্রী আব্দুস সামাদের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন ও গৌরীপুরের আবুল কাশেমের ছেলে আল মামুন। তাদেরকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন হলে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।  


আরও খবর



ভারত থেকে ১৫৫ টাকা লিটার সয়াবিন তেল কিনছে সরকার

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ভারত থেকে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে প্রায় ১৫৫ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মাধ্যমে বিক্রির লক্ষ্যে এই তেল কেনা হবে।

ভারতের গ্রীণ নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভলপার্সর কাছে থেকে এই সয়াবিন তেল কিনতে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

বুধবার (২২ নভেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।

তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ভারতের গ্রীণ নেশন বিল্ডার্স অ্যান্ড ডেভলপার্সর নিকট থেকে কেনার অনুমোন দেওয়া হয়ছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৪৩ কোটি ১৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫৪ টাকা ৬০ পয়সা।

এর আগে গত ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে টিসিবির জন্য ৩৪৪ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে সয়াবিন তেল এবং মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৭৭ কোটি ১৪ লাখ ৫০ টাকার তেল এবং ২৬৭ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার টাকার মসুর ডাল ছিল।

টিসিবি কর্তৃক ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৬ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল এমএস রয় ট্রেডার্সর নিকট থেকে ৬০ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে টিসিবি কর্তৃক ২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সিটি এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ৭৭ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

এছাড়া স্থানীয় উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১১ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। ১০০ টাকা কেজি দরে এই ডাল কিনতে মোট খরচ ধরা হয় ১১০ কোটি টাকা। অপরদিকে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদ দেওয়া হয়। প্রতি কেজি ১০২ টাকা ১৩ পয়সা হারে এই মসুর ডাল কিনতে মোট খরচ ধরা হয় ৯৭ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।


আরও খবর
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ রোববার

শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩




গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদারদের অভিযানে নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। গতকাল সোমবার (২৭ নভেম্বর) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ১৫ হাজার নিহত ছাড়াও গাজায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ শিশু এবং ৪ হাজার নারী রয়েছেন। এ ছাড়াও এখনও অগণিত মরদেহ গাজার রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, গাজায় এখনও অন্তত ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭শ জনের বেশি। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ, যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই নারী ও শিশু। 

আরও পড়ুন>> মধ্যপ্রাচ্যে বিষাক্ত গ্যাসের ঝুঁকিতে লাখ লাখ মানুষ

মিডিয়া অফিস আরও জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২০৭ চিকিৎসাকর্মী, ৭০ সাংবাদিক ও ২৬ বেসামরিক প্রতিরক্ষা উদ্ধারকারী দলের সদস্য রয়েছেন।

এ ছাড়াও এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আর নষ্ট হয়ে গেছে ২ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি অবকাঠামো। আর এ পর্যন্ত ৮৮টি মসজিদ পুরাপুরি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, আর আংশিক ধ্বংস হয়েছে ১৭৪টি মসজিদ। অন্যদিকে তিনটি গির্জায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

এদিকে গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে ১২শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি কর্মকর্তারা। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এ চারদিনে হামাস ৫০ জন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে; বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২শ ট্রাকের পাশাপাশি ১ লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাসভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে।

সোমবার ছিল চার দিনের এ যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। এদিন হামাস ও ইসরায়েল সরকারের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও দুদিন বাড়ানো হয়েছে।


আরও খবর



এবার লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে হামাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিন অবরুদ্ধ গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ছাড়িয়েছে ১০ হাজারে। এ তালিকায় রয়েছে ৪ হাজারের অধিক শিশু। এদিকে পাল্টা প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসও।

এদিকে চলমান এ সংঘাতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী এবার গাজার পাশাপাশি লেবানন থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে হামাসের সশস্ত্র শাখা। তারা বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলার জবাবে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলে সিরিজ রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে হামাসের কাসাম ব্রিগেডের লেবানন শাখা বলেছে, তারা উত্তর ইসরায়েলি শহর নাহারিয়া এবং হাইফা শহরের দক্ষিণ উপকণ্ঠে ১৬টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।

অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা এক ঘণ্টার মধ্যে লেবানন থেকে প্রায় ৩০টি রকেট নিক্ষেপের ঘটনা শনাক্ত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, যে স্থান থেকে রকেট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে সেদিকে কামানের গোলাবর্ষণ করছে আইডিএফ।

কাসাম ব্রিগেডস বলেছে, গাজায় আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হিসেবে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, গত ৭ অক্টোবর থেকে নিরলস ইসরায়েলি বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। 

আরও পড়ুন>> গাজা শিশুদের কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে : জাতিসংঘ মহাসচিব

সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পর লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্তেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেখানে শক্তিশালী ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহসহ বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী প্রায় এক মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময় করে চলেছে। এ ঘটনায় লেবাননে অন্তত ৮১ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ৫৯ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। অন্যদিকে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলি ছয় সৈন্যসহ দুই বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় শহরে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার ২২ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ১০৪ জন শিশু। আর আহত মানুষের সংখ্যা অন্তত ২৫ হাজার ৪০৮ জন। তালিকায় থাকা নিহত ব্যক্তিরা ছাড়াও অন্তত ২ হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে ১ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজদের প্রায় সবাই বোমার আঘাতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ভবনগুলোর নিচে চাপা পড়ে আছে। 

আরও পড়ুন>> গাজায় যুদ্ধ-দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, শুধুমাত্র তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা অবস্থানগুলোতেই ২৭০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে তিনটি প্রধান হাসপাতালেও বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া পুরো উপত্যকাজুড়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর ৭১ শতাংশই জ্বালানি সংকটের কারণে হয় বন্ধ হয়ে গেছে। আঘাতপ্রাপ্ত অসংখ্য ব্যক্তি এবং গর্ভবতী নারীদের সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা কোনো রকম চেতনানাশক ছাড়াই অস্ত্রোপচার করছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে প্রবেশ করে এক আকস্মিক হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এতে ১ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়। এ ছাড়া আরও দুই শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এ ঘটনার পর থেকেই গাজার ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যা

১০৩ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদনের তারিখ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৩ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন না দেওয়ায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন নতুন এই তারিখ নির্ধারণ করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সাগর-রুনি হত্যা

আরও খবর
তফসিল স্থগিত চাওয়া রিটের শুনানি আজ

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩

হাইকোর্টে জিতলেন ড. ইউনূস

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




২৮ বছর ধরে বিদ্যালয় ভবনে পুলিশ ফাঁড়ি, ভীতসন্ত্রস্ত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পরৈকোড়া ইউনিয়নের পূর্বকন্যারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে চলছে পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম। ভবনের অর্ধেক পুলিশ ফাঁড়ির দখলে থাকায় একদিকে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, অন্যদিকে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে এসে পাঠদানে মনোযোগ ও খেলাধুলায় মেতে ওঠার কথা থাকলেও কোনোটাই তারা স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারছে না। কারণ তাদের বিদ্যালয়ের ভবনের অর্ধেক পুলিশ ফাঁড়ি দখলে। অন্যদিকে স্কুলে আসা শিশুরা থাকে ভয়ে। এতে কমেছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। প্রধান শিক্ষক জানান, পুলিশ ফাঁড়ি স্থানান্তরে আবেদন করা হয়েছে।

গতকাল সরেজমিনে বিদ্যালয়ে দেখা যায়, তিনতলা বিদ্যালয় ভবনটি সাইক্লোন শেল্টার হওয়ায় নিচতলা খালি, দ্বিতীয় তলার চারটি কক্ষের একটি অফিস, তিনটি শ্রেণিকক্ষ, ভবনের বারান্দায় বসে চলছে একটি শ্রেণির কার্যক্রম। তৃতীয়তলার সব কক্ষ দখল করে আছে পুলিশ ফাঁড়ি।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টিতে ১৯৯৩ সালে সৌদি সরকারের আর্থিক অনুদানে তিনতলাবিশিষ্ট বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের একটি ভবন নির্মিত হয়। ১৯৯৫ সালে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিদ্যালয়ের তৃতীয়তলা দখল করে শুরু হয় পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম। পুলিশ ফাঁড়ির কারণে বিদ্যালয়ে এসে যেখানে পাঠদানের আগে বা পরে খেলাধুলায় মেতে ওঠার কথা শিক্ষার্থীদের, সেখানে পাঠদান বা খেলাধুলার কোনোটাই তারা স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারছে না। অপরাধীদের আনা- নেওয়ার কার্যক্রম চলায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। মাঝেমধ্যে পুলিশ যখন অভিযান চালিয়ে আসামি ধরে এনে বিদ্যালয়ের বারান্দায় বা ওপরে বেঁধে রাখে, তা দেখে শিশুরা ভয় পায়।দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে এভাবে চলছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১৫৮ শিক্ষার্থী ও পাঁচ শিক্ষক রয়েছেন। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান দিতে চারটি শ্রেণিকক্ষ, শিক্ষকদের জন্য একটি কক্ষ, প্রধান শিক্ষকের জন্য একটি কক্ষ ও একটি স্টোর কক্ষ প্রয়োজন; কিন্তু বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলাটি পুলিশ ফাঁড়ির দখলে থাকায় দ্বিতীয়তলার চারটি কক্ষে সব কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

শিক্ষার্থী নিহা জানান,পুলিশ আসামি ধরে আনলে ভয় লাগে, পুলিশ দেখে ভয়ে আমার ছোট ভাই ফোরকান স্কুলে আসতে চায় না।

প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয় ভবন থেকে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের সমস্যা। ফাঁড়ির কারণে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায় না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বিদ্যালয় ভবনে পুলিশ ফাঁড়ির কারণে শিক্ষার্থীরা ভয়ে থাকে, পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার ওসি সোহেল আহমেদ বলেন,দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে,তখন কখনো সমস্যা হয় নি, এটা চোর ডাকাত যারা অপরাধ করতে পারে না,সন্ত্রাসের উপর  হামলা করতে পারে না, তারাই আতংকে আছে।পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্প সরালে সন্ত্রাসী হামলা হবে,ঐখানে ডাকাতি বাড়বে।এলাকাটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব খারাপ। বিকল্প না থাকায় বিদ্যালয়ের ভবনে পুলিশ ফাঁড়ির কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। আমরা বিকল্প ভবন পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় থেকে পুলিশ ফাঁড়ি সরিয়ে নেওয়া হবে।


আরও খবর