চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্টেফিক সোসাইটির (সিইউএসএস) উদ্যোগে তৃতীয়বারের মতো দিনব্যাপি বসুন্ধরা অয়েল এন্ড গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড এবং বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস এর পৃষ্ঠপোষকতায় ‘চিটাগাং সায়েন্স কার্ণিভাল ৩.০’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সায়েন্স কার্ণিভালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ, চবি জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ তৌহিদ হোসেন, চবি ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. রাশেদ মোস্তফা, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী এবং বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ বাসনা রানী মুহুরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিইউএসএস উপদেষ্টা চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. লায়লা খালেদা।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিইউএসএস উপদেষ্টা ও চবি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল ফোরকান, বসুন্ধরা অয়েল কোম্পানী লিমিটেডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার ফারাজ হোসেন রুমান এবং বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালসের সিনিয়র অপারেশন ম্যানেজার জান্নাতুল ফেরদৌস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিইউএসএস সভাপতি মিনহাজুর রহমান। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সিইউএসএস সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোহাইমেন জামিল ওয়াসি এবং সঞ্চালনা করেন দিবস দেব ও হুসনুম মামুরাত।
চবি উপাচার্য বলেন, দেশের স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আজকের এ বিজ্ঞান মেলা অনন্য এক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানভীতি দূর করতে এ মেলা অত্যন্ত কার্যকর এবং ফলপ্রসু ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত মেধাবী ও সম্ভাবনাময়। তাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে পারলে একদিকে যেমন ভবিষ্যতে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটবে অন্যদিকে দেশ-জাতি উপকৃত হবে। বিশ্বের নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে। এ ধরণের মেলা নিয়মিত অব্যাহত রাখতে হবে।
দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলায় চবি উপাচার্য অতিথিবৃন্দকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
দুইপর্বে অনুষ্ঠিত এ মেলার প্রথম পর্বে ছিল-উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, বিভিন্ন সেগমেন্ট প্রদর্শনী ও বিচার কার্য পরিচালনা। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ‘নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ও সম্ভাবনা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএসটিসি উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নওশাদ আমিন। এবারের বিজ্ঞান মেলায় বিভিন্ন সেগমেন্টের মধ্যে ছিল পোস্টার প্রেজেনটেশন, প্রোজেক্ট শোকেসিং, হ্যাকাথন, রোবো সকার কম্পিটিশন, ব্রেইনস্টরমিং, কুইজ প্রভৃতি। এতে সারাদেশের ৬১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি সেগমেন্টে বিজয়ীদের পৃথক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।