আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষামন্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের সোমবার এই তথ্য জানান।


তিনি বলেন, গত শনিবার থেকে জ্বর অনুভব করছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। আইইডিসিআর রবিবার তার নমুনা পরীক্ষা করিয়ে রাতেই রিপোর্ট দিয়েছে, ফল পজিটিভ এসেছে।

ঠান্ডা-জ্বর থাকলেও শিক্ষামন্ত্রীর অন্য কোনো উপসর্গ নেই জানিয়ে খায়ের বলেন, তিনি বাসায় আইসোলশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।


আরও খবর



ইউরোপে বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনে নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

অভিবাসীদের অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে দিন দিন কঠোর হচ্ছে ইউরোপ, অনেকেই যাত্রা পথে হারাচ্ছেন প্রাণ। তবুও থামছে না অবৈধ পথে বিদেশ যাত্রা। ভাগ্য ফেরানোর আশায় বাংলাদেশি ছাড়াও পাকিস্তানি, আফগানি, সিরিয়ান নাগরিকদের ইউরোপে পছন্দের গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, সাইপ্রাস ও রোমানিয়া।

স্বপ্নবাজরা বিভিন্ন পথ পাড়ি দিয়ে প্রতি বছরই ইউরোপ, আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন করেন। তবে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০২৩ সালে ইউরোপে আবেদনে নতুন রেকর্ড গড়েছেন বাংলাদেশিরা। গত বছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যেতে আবেদন করেন ১১ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ, যার মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৪০ হাজারের বেশি। বেশিরভাগই যেতে চেয়েছেন ইতালি ও ফ্রান্সে।

শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর এসাইলাম (ইইউএএ) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে নতুন এই তথ্য উঠে এসেছে।

উন্নত জীবনের আশায় প্রতিনিয়তই অবৈধ পথে ইউরোপ-আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। অনেকেই পথিমধ্যে হারাচ্ছেন প্রাণ। গত বছর ৪০ হাজার ৩৩২ জন বাংলাদেশি ইউরোপে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন।

ইইউএএ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে ইউরোপে আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনের সংখ্যা এর আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১৮ শতাংশ বেড়েছে। যা ২০১৫-১৬ সালে বিশ্বজুড়ে তৈরি হওয়া শরণার্থী সংকটের পর সর্বোচ্চ। সে বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩ লাখ মানুষ ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছিল।

ইইউএএ বলেছে, গত বছর বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদনের প্রধান গন্তব্য ছিল ইতালি। ইইউ প্লাসে আশ্রয় চেয়ে করা বাংলাদেশিদের আবেদনের ৫৮ শতাংশই ইতালিতে করেছেন। অর্থাৎ ২০২৩ সালে ২৩ হাজার ৪৪৮ জন বাংলাদেশি ইতালিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এরপরই বাংলাদেশিদের সবচেয়ে বেশি আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে ফ্রান্স ও রোমানিয়ায়। ইইউতে বাংলাদেশিদের মোট আশ্রয় আবেদনের ২৫ শতাংশই ফ্রান্সে জমা দিয়েছেন। গত বছর ১০ হাজার ২১৫ জন বাংলাদেশি ফ্রান্সে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। একই সময়ে রোমানিয়ায় আশ্রয় চেয়েছেন ২ হাজার ৮২২ জন বাংলাদেশি। এরপর অস্ট্রিয়ায় ১ হাজার ৪০৯ জন, গ্রিসে ৬৪০ জন, আয়ারল্যান্ডে ৪৪৫ জন, স্পেনে ৩৮০ জন, সাইপ্রাসে ৩১৪ জন, জার্মানিতে ১৬৪ জন, মাল্টায় ১১৮ জন ও অন্যান্য দেশে ৩৭৭ জন বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন।

ইইউএএ’র তথ্য বলছে, গত বছর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আশ্রয় প্রার্থীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল জার্মানি। আর আশ্রয়ের আবেদনে সবার শীর্ষে আছে সিরিয়ান নাগরিকরা। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আরেক দেশ আফগানিস্তান।

মূলত উন্নত জীবন, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আর নিরাপত্তার আশায় প্রতি বছরই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইউরোপে যান অসংখ্য মানুষ। অবৈধ পথে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেন অনেকে। কেউবা আবার নানা কারণ দেখিয়ে আশ্রয়ের আবেদন করেন। সিংগভাগই করেন দেশের বিরুদ্ধে নালিশ।

এদিকে, বাংলাদেশি অভিবাসীদের দারুণ সুযোগ দিয়েছে গ্রিস। ২০২৩ সালে প্রাচীন সভ্যতার এই দেশে রেসিডেন্স কার্ড পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ জন বাংলাদেশি অভিবাসী। আরও বিবেচনাধীন আছে ৫ হাজার ৯১০ জনের আবেদন। এদের অনেকেই বৈধতার জন্য আবেদন করে সকল প্রক্রিয়া শেষে বর্তমানে রেসিডেন্স পারমিট বা স্মার্ট কার্ডের অপেক্ষায় আছেন। বিভিন্ন ক্রুটির কারণে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ১৯টি আবেদন। সম্প্রতি দেশটির আশ্রয় ও অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফর করেন গ্রিক অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী নোতিস মিতারাচি। এ সময় তার মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপের দেশ গ্রিসে প্রতি বছরে ৪ হাজার করে বাংলাদেশি কর্মীকে মৌসুমী কাজের ভিসা দেওয়া হবে এবং গ্রিসে বসবাসরত ১৫ হাজার অনিয়মিত বাংলাদেশিকে ৫ বছরের জন্য অস্থায়ী বৈধতার আওতায় আনা হবে। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই বৈধতা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে গ্রিক সরকার।

২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে চালু করা হয় আবেদন করার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। ধাপে ধাপে রেসিডেন্স পারমিট দেওয়া শুরু করে দেশটি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিয়মিতকরণের জন্য গ্রিক সরকারের কাছে আবেদন করেছেন মোট ১০ হাজার ৩৩৭ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি। আবেদনকারীদের মধ্যে সকল যাচাই বাচাই সম্পন্ন ও সকল ধাপ পেড়িয়ে রেসিডেন্স কার্ড হাতে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪০৫ জন বাংলাদেশি। বাকি সবাইও পর্যায়ক্রমে বৈধতার আওতায় চলে আসবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন ক্রুটির কারণে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ১৯ জনের আবেদন। তবে বাতিলকৃত আবেদনগুলোর মধ্যে শর্তপূরণ করে আবারও আপিলের সুযোগ রয়েছে। গত বছর প্রাক-নিবন্ধনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধতার জন্য আবেদন করেছেন ১১৩ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি।


আরও খবর



যানজট কমাতে পে-পার্কিং চালু করছে চসিক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

যানজট কমাতে নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে পে-পার্কিং চালু করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে চসিক সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর উপস্থিতিতে পে-পার্কিং চালুর জন্য সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও বি-ট্র্যাক সলিউশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী।

৭ মার্চ থেকে চসিকের নির্ধারিত স্থানে পে-পার্কিং চালুর জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করবে বি-ট্র্যাক সলিউশন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে পে-পার্কিং চালু করতে পারবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

যানজট কমাতে নগরীর প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পে-পার্কিং-এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মন্তব্য করে মেয়র বলেন, দীর্ঘদিন যাবত নগরীতে যে যানজট লেগে আছে তা নিরসনের জন্য চসিক ও সিএমপি ট্র্যাফিক বিভাগকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে আপাতত আগ্রাবাদ এলাকায় পে-পার্কিং এর পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বি-ট্র্যাক সলিউশন এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এই চুক্তি সফলতার সাথে বাস্তবায়িত হলে পরবর্তীতে আরও পে-পার্কিং প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

'নগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় ফুটপাতকে অবৈধ দখল মুক্ত করে ঐখানে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে। নগরবাসী যাতে ফুটপাতে অবাধে ও নিরাপদভাবে চলতে পারে সেজন্য চসিক কঠোরভাবে নজরদারি করছে। ঠিক অনুরূপভাবে নগরীর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং বন্ধে পে-পার্কিং এর উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।'

নগরীকে নান্দনিক, যানজট মুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব সুন্দর শহরে রূপান্তর করতে মেয়র সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহীন-উল-ইসলাম চৌধুরী, মো. ফরহাদুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী মো. শাফকাত বিন আমিন এবং বি-ট্র্যাক সলিউশন এর প্রকল্প প্রধান ও বি-ট্র্যাক সলিউশন এর প্রকল্প প্রধান সাফায়েত আবদুল্লাহ, হেড অব সেলস সিরাজ উদ্দিন, ডেপুটি ম্যানেজার মো. শাহ ফারুক ও জুনিয়র এক্সিকিউটিভ সরোয়ার হোসেন চৌধুরীসহ চসিকের কর্মকর্তারা।


আরও খবর



সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারির ঘটনার জেরে বিএনপি সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় পল্টন চেম্বার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রুহুল কুদ্দুস কাজলের জুনিয়র অ্যাডভোকেট মারুফ ফাহিম বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৫মিনিটের দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজলকে তার পল্টনের চেম্বার থেকে নিয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন, কাজলকে গতকালের মামলায় শাহবাগ থানায় নেয়া হচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথীর গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়েছে ৪ জনকে এবং (৯ মার্চ) দুপুরে এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি ব্যারিস্টার উসমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট বারে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। এতে ১ নম্বর আসামি করা হয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীকে। এছাড়া ২ নম্বর আসামি করা হয় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে।

এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিষ্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, ডা. কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল, অ্যাডভোকেট সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনকে আসামিরা করা হয়েছে।


আরও খবর



নারায়ণগঞ্জে উপনির্বাচন নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরই ২ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মো. হৃদয় ভূঁইয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই যুবকের চাচাতো ভাই ফারুক ভূঁইয়া (৩৫)। নিহত হৃদয় ওই এলাকার আমির আলী ভূঁইয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ জনের নাম জানা গেছে।

তারা হলেন দুধঘাটা গ্রামের ওমর ফারুক ভূঁইয়া, মো. আপন, সাখাওয়াত, মফিজুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, মো. রাশেদ ও রিপন। তাদের মধ্যে ওমর ফারুক ভূঁইয়াকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক খবিরউদ্দিন, কনস্টেবল মঞ্জু মিয়া, জুয়েল রানা, আবদুস সালাম, কবির হোসেন, নূর মোহাম্মদ ও আল আমিন। তারা সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার এসআই পঙ্কজ সরকার জানান, নির্বাচন পরবর্তীতে ফলাফল ঘোষণা নিয়ে ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বছরের ২০ মে পিরোজপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. মুজিবুর রহমান মারা যান। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শনিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দুধঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গণনায় আবদুল আজিজ সরকার মোরগ প্রতীকে ৯২৯ ভোট এবং কায়সার আহম্মেদ তালা প্রতীকে ৮১১ ভোট পান। কিন্তু কায়সার আহম্মেদ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আবার ভোট গণনার দাবি জানান। পরে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবারও ভোট গণনা করলে তালা প্রতীকের প্রার্থী আগের ভোটের সঙ্গে আরও এক ভোট বেশি পান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এ নিয়ে কায়সারের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তিনি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে তৃতীয় দফায় ভোট গণনার দাবি জানান। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ দিকে কায়সারের সমর্থকেরা বিষয়টি জানতে পেরে লাঠিসোঁটা নিয়ে ব্যালট ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে কেন্দ্র ছাড়তে বাধা দেন। একপর্যায়ে পুলিশ ও দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই হৃদয় নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তার শরীরের সামনের অংশে বেশ কয়েকটি ছররা গুলি লেগেছে। ফারুক ভূঁইয়া নামে আরও একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে তাকে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি।


আরও খবর



আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে লিও ভারাদকার দেশটির ক্ষমতাসীন দল ফাইন গেলের নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করার কথাও জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২০ মার্চ) রাজধানী ডাবলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে আয়ারল্যান্ডের সংবিধানের পরিবার ও নারী সংক্রান্ত বিষয়ে দুটি গণভোটের আয়োজন করা হয়। উভয় ভোটেই বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় ভারাদকারের ক্ষমতাসীন জোট সরকার। ওই পরাজয়ের জন্য ভারাদকারকে দায়ী করেছিলেন সমালোচকেরা।

সংবাদ সম্মেলনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন লিও ভারাদকার। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আয়ারল্যান্ডের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেকে আর সেরা উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন না তিনি।

সাংবাদিকদের লিও বলেন, আমি আজ থেকেই ফাইন গেইলের সভাপতি ও নেতা হিসেবে পদত্যাগ করছি। একইসাথে আমার উত্তরসূরি নির্ধারণ হওয়ার সাথে সাথে আমি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকেও পদত্যাগ করব।

ভারাদকার আরও বলেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্তটি অনেকের কাছে বিস্ময় ও কারো কারো জন্য হতাশার হবে। তবে সিদ্ধান্তটি দেশের সর্বোত্তম স্বার্থের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে।

লিও ভারাদকারের পদত্যাগের ঘোষণার পর দেশটির ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন বলেছেন, ভারাদকরের পদত্যাগের ঘোষণা নজিরবিহীন একটি পদক্ষেপ। আমি খুবই অবাক হয়েছি। আমি এটা মোটেও আশা করিনি।

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন লিও ভারাদকার। সেসময় তিনি ২০২০ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে আবারও এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যখন ভারাদকার প্রথমবার নির্বাচিত হন, তখন তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন। আয়ারল্যান্ডের প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রীও তিনি। ভারাদকারের মা আইরিশ এবং বাবা হচ্ছেন ভারতীয়। তিনি আয়ারল্যান্ডের প্রথম দ্বিজাতিক প্রধানমন্ত্রী।

আগামী মাসে সংসদের অবকাশ শেষে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে। সে পর্যন্ত লিও ভারাদকার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।


আরও খবর