আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৫ ও ২৬ মার্চ পালনের নির্দেশনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনার কারণে বন্ধ থাকার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৬ মার্চ পালনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। দিবস পালনের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মাউশি থেকে পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২১ উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচির আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দফতরগুলোতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে অনুরোধ করা হলো।

২৫ মার্চ বাদ জোহর অথবা সুবিধাজনক সময়ে ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের স্মরণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসগুলোতে সংশ্লিষ্ট মসজিদ মন্দির গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসগুলোতে থেকে ৯টা থেকে ৯টা এক মিনিট পর্যন্ত প্রতীকী ব্লাকআউট পালন। এ দিবসে কোনো ধরনের আলোকসজ্জা করা যাবে না।

২৫ মার্চ সুবিধাজনক সময়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি অথবা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণে অনলাইনে ২৫ মার্চ গণহত্যা স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন। গণহত্যা দিবসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুনের মাধ্যমে গণহত্যার চিত্র তুলে ধরা।

আদেশে আরো বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ পত্র জারি করা হলো।

এদিকে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণহত্যা ও স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে। এজন্য নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) মাদরাসা বোর্ডের রেজিস্ট্রার মো. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগ হতে নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হবে। এ দুই বিশেষ দিন পালনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে সকল মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- স্কুল/কলেজ/মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি/বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা করতে হবে। সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। দেশের সকল বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে সকালে কুচকাওয়াজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সমাবেশ, জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সকল আবেদন বাস্তবায়নে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আরও খবর



শরিয়তপুরে অসহায় ৩’শ পরিবার পেল ঈদ উপহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদের আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও অসহায় ও নিম্ন আয়ের তিনশত পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে শরীয়তপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন

গতকাল রবিবার (৭ এপ্রিল) শরিয়তপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় হতদরিদ্র এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ৩০০ পরিবারের মাঝে শরীয়তপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়া হয়।

স্বপ্নযাত্রার ঈদ উপহারে রয়েছে, পোলাউয়ের চাল ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, লাচ্ছা সেমাই ১ প্যাকেট, সাধারণ সেমাই ১ প্যাকেট, নুডুলস ফ্যামিলি ১ প্যাকেট, গুড়ো দুধ ১০০ গ্রাম, কিসমিস ৫০ গ্রাম, গরম মসলা।

সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন শরীয়তপুর জেলার একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। সামাজিক কর্মকাণ্ড ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় সংগঠনের একের পর এক ব্যতিক্রমী কার্যক্রম। এই সংগঠন যাত্রা শুরুর পরে হতেই ব্যতিক্রমী সব কার্যক্রমে জয় করছে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা।

এ ছাড়াও সংগঠনটি, স্বেচ্ছায় রক্তদান, রক্ত দানে  তরুণদের কে উৎসাহিত করা, বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরন করা, মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন, অনলাইন ভিত্তিক কোরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় শরীয়তপুর জেলায়।

সংগঠনটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উদ্যোমী তরুণদের সহযোগিতায় মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এবার নিয়ে আমরা ৫ম বার ঈদ উপহার বিতরন করছি, আমাদের এই মহৎ উদ্যোগে যেসকল স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইয়েরা দেশ ও প্রবাস থেকে আর্থিকভাবে,শারিরীকভাবে ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সিয়াম বলেন, সংগঠনটি গড়ে তোলা হয়েছে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য,অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোই এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য, আগামীতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যকরী সদস্য মাহফুজ ঢালী বলেন, শরীয়তপুর জেলায় শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি করে মাদকমুক্ত সৃজনশীল তারুণ্য তৈরির মাধ্যমে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। একইসাথে অসুস্থ,দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে শরীয়তপুরের স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন

তিনি আরও বলেন, সংগঠনের যাত্রালগ্ন থেকে রমাদান উপহার প্রজেক্ট ও ঈদ উপহার প্রজেক্টসহ সকল উদ্যোগে প্রবাসী ভাই ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্থিক ও পরামর্শমুলক সহযোগিতার ফলেই আমরা শরীয়তপুর জেলা ভিত্তিক সবচেয়ে  সুপরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা আশাবাদী সবার যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করতে সক্ষম হবো।

এ সময় বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, উদ্যমী তরুণ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় শুরু মহা-সাংগ্রাই উৎসব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বর্ষবরণকে ঘিরে এখন বর্ণিল সাজে পাহাড়ি জনপদ বান্দরবান। পাহাড়ে তিন সম্প্রদায়ের বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই। জেলায় বসবাসরত ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের প্রায় প্রতিটি ঘরে এখন উৎসবমূখর পরিবেশ। এর মধ্যে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে আজ।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের ঐহিত্যবাহী রাজারমাঠ এলাকা থেকে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গলশোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলোর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে শোভাযাত্রায় অংশ নেন মারমা, চাকমা, ম্রো, ত্রিপুরাসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্টি সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষসহ বাঙালিরাও। শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন সাবেক পার্বত্য মন্ত্রী ও ৩০০ নং আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসি।

এ সময় তিনি সকলকে বাংলা নববর্ষ ও সাংগ্রাই উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বান্দরবানে সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব সব কিছুই আছে। তাই পরিবেশ এর প্রশ্ন তোলার কোনো প্রয়োজন নেই।

শান্তি সম্প্রীতির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বান্দরবানবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-নেতৃত্বের কারণেই আজকে পার্বত্য অঞ্চলে সুখ, সমৃদ্ধি, শান্তি বজায় রয়েছে। আগামীতে সকল দল মতের মানুষ শান্তিতে এগিয়ে যাবে।

পরে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বয়স্ক পূজার মধ্য দিয়ে সমাজের প্রবীণ ব্যক্তিদের সন্মান জানানো হয়।

আগামীকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে সাঙ্গু নদীর তীরে বৌদ্ধমূর্তি স্নান এবং সোম ও মঙ্গলবার স্থানীয় রাজার মাঠে সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি খেলা উৎসবে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটবে। পারস্পরিক মৈত্রীর বন্ধন অটুট রাখা এবং পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে ফেলাই হচ্ছে এ জলকেলির মূল উদ্দেশ্য।

নানা আয়োজনে চলবে মারমা সম্প্রদায়ের এই সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন। ১৬ এপিল সন্ধ্যায় বিহারে বিহারে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ৪ দিনের এই সাংগ্রাই উৎসবের।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী, বান্দরবান পৌর মেয়র মো. শামসুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ প্রমূখ।


আরও খবর



উখিয়া ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারে উখিয়া উপজেলার ক্যাম্প থেকে দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালিয় তাদের আটক করা হয়। ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলো উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের, একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ, সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল, সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ এবং এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, আটকরা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

এডিআইজি ইকবাল বলেন, রবিবার ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসতঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসতঘরটি ঘিরে ফেললে ১০/১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে পাঁচজনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আটকদের শরীর এবং বসতঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২টি বন্দুক ও ১৮টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



সংসদ এলাকায় ড্রোন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবন ইত্যাদি রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকা। এসব এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গত ১৫ এপ্রিল সেই আইন ভেঙে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে ওই এলাকায় ড্রোন উড়ান সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ। সেই অপরাধে তাকে আটকও করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এই এমপিপুত্র।

এ প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আল্পনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ।

নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রেড জোনে ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আরও খবর