আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

শিক্ষার্থী হামলার প্রতিবাদে নগ্নপায়ে শিক্ষকের অবস্থান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর স্থানীয় এবং পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে ক্লাস নেয়া থেকে বিরত এবং আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাতে নগ্নপদে দাঁড়িয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খাঁন।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্ত্বরে তিনি এ কর্মসূচি পালন করেন। এসময় তার সাথে একাত্মতা পোষণ করেন বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী।

অবস্থানরত শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর এই পৈশাচিক হামলায় একজন অভিভাবক হিসেবে আমি শঙ্কিত, ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। আমার ছাত্রের রক্তের দাগ এখনো মুছেনি, শরীরের ব্যথা এখনো মরেনি, মাথা চোখ শরীরের ব্যান্ডেজ এখনো খুলেনি, সেলায় এখনো কাটেনি, হাসপাতাল থেকে এখনো ছাড়েনি। এই অবস্থায় আমি তার ক্লাস আমি নিতে পারিনা।

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছে। অনেককে আবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমার শিক্ষার্থীরা হসপিটালে আছে। তাই আমি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও তাদের উপর হামলার প্রতিবাদস্বরূপ এখানে নগ্নপায়ে দাঁড়িয়েছি। আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর অন্যায় অবিচার করা হয়েছে। প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কিন্তু তাতে আজও কোন কাজ হবে কিনা আমার জানা নেই। তাই আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষন করে আজ এখানে দাড়িয়েছি।

কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী  মো. হাবিব রেজা বলেন, আমরা এখানে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে দাঁড়িয়েছি। আমাদের উপর অন্যায় করা হয়েছে। আমাদের ভাইদের উপর স্থানীয়রা যে আক্রমণ করেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাদের ইন্ধনে এত বড় সংঘর্ষ হয়েছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না করলে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাব।

এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়ে অর্থনীতি বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আল-আমিন ও আব্দুল মোকাররম বলেন, স্থানীয়রা আমাদের সাথে আগে থেকেই খারাপ ব্যবহার করে আসছে। এই সংঘর্ষের জন্য তারাই দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী হাসপাতালে আছে। তাদের দায়ভার কে নিবে? আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আজ দাঁড়িয়েছি।

উল্লেখ্য, বগুড়া থেকে মোহাম্মাদ নামের একটি বাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন এক ছাত্র। যাত্রাপথে ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে ২ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।


আরও খবর



জাপায় দ্বন্দ্ব তৈরি সরকারের ইন্ধনে: জি এম কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পার্টিতে (জাপা) দ্বন্দ্ব তৈরিতে সরকার ইন্ধন দেয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর বনানীতে আজ মঙ্গলবার জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জি এম কাদের বলেন, স্বাধীনতার চেতনা নিয়ে বর্তমান সরকার ব্যবসা করছে। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের দলীয়করণ করেছে। বর্তমানে লুণ্ঠন হচ্ছে। দেশের ব্যাংক খালি হয়ে যাচ্ছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আইনের চোখে জনগণ সমান হবে, কিন্তু তা আজও হয়নি। সরকারের বিরুদ্ধে বলতে গেলে মামলা হয়। আইন করে বৈধভাবে দাবিয়ে রাখা হয়েছে।

জি এম কাদের অভিযোগ করে বলেন, যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে স্বাধীনতা হয়েছিল, সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি এবং আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। দেশের বেশির ভাগ মানুষ অনিশ্চতায় দিন কাটাচ্ছে।

যেভাবে দেশে রাজনীতি চলছে, তাতে কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও রাজনৈতিক দল হিসেবে দূরে সরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যেতে পারে।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




ঈদে ঘুরতে যাচ্ছেন? খরচ বাঁচানোর উপায় জেনে নিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

রহমতের মাস মাহে রমজানের পর কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ ও খুশির জোয়ার। সবাই চায় এই সময়টাতে পরিবার পরিজনের সাথে খুশির সময়টা ভাগাভাগি করতে। আর তাই ঈদকে সামনে রেখে সবাই নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরা শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। আবার অনেকে ঈদের এই ছুটিতে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশে বা দেশের বাহিরে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে যাবে ঘুরতে। এই ঘোরাঘুরিতে খরচ তো থাকবেই। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারলে বাজেটের মধ্যে ঘোরাঘুরি সারা সম্ভব। চলুন জেনে নেই কয়েকটি বিষয়।

যাতায়াতে মিতব্যয়ী হোন : ভ্রমণে প্রথমধাপে যেই খরচটা হয় তা হচ্ছে যাতায়াতের খরচ। তাই যাতায়াতে মিতব্যয়ী হতে হবে। কোনো কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি তুলনামূলক কম ব্যস্ত বিমানবন্দর বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন, আর সেখান থেকে আপনার গন্তব্য শহরটিতে যাওয়ার জন্য মানসম্মত গণপরিবহনও পাওয়া যেতে পারে। কম ব্যস্ত বা কম জনপ্রিয় বিমানবন্দরে যেতে খরচটা একটু কম পড়বে। আর গণপরিবহনের খরচ তো কমই। তাই কোথাও যাওয়ার আগে সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা এবং খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। বেঁচে যাবে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ। দেশে বেড়ানোর ক্ষেত্রেও ভাড়া গাড়ির চেয়ে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করুন।

বুঝেশুনে প্যাকেজ অফার নিন : কাঙ্ক্ষিত স্থানে যাওয়ার পর থাকা খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হয়। এর জন্য রিসোর্টে থাকা এবং খাওয়াদাওয়ার সুবিধা নিয়ে থাকলেও কিন্তু আপনি শেষমেশ বাড়তি খরচের চাপে পড়তে পারেন। যেমন খাবার খরচসহ থাকার জায়গা বুকিং দিয়েছেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে স্থানীয়দের অন্য ধাঁচের কোনো মজাদার খাবার দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। খরচ করে খেয়ে নিলেন সেই খাবার। ওদিকে রিসোর্টে ওই বেলার খাবার খরচটাও কিন্তু আপনাকে ঠিকই দিতে হচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র থাকার জন্য রিসোর্ট বুকিং দিয়ে খাবারের খরচটা বাহিরে করলে হোটেলের বিল কম আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া কম খরচের হোটলেরুম বা রিসোর্টে উঠতে পারেন।

সাথে শুকনো খাবার রাখুন : ভ্রমণের সময় লাগেজে কিছু শুকনা খাবার রাখুন। বিদেশে গেলে ভিনদেশি মুদ্রায় এসব কিনতে যে বাড়তি খরচটা হতো তা অবশ্যই বেঁচে যাবে। আর হুটহাট ক্ষুধা পেলেও সঙ্গে থাকা খাবার খাওয়া যাবে। দেশেও অপ্রচলিত স্থানে গেলে সহজে খাবারটাও পেয়ে যাবেন।

উপহারে অপচয় নয় : অনেকেই ভ্রমণে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের জন্য উপহার কিনে থাকেন। এতে অনেক খরচ হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দামি কিছু উপহার না দিয়ে বা মার্কেট থেকে না কিনে স্থানীয় বাজার থেকে কিছু কিনুন। এতে কম খরছে ভালো কিছু কেনা যাবে। তাছাড়া স্থানীয় মানুষের তৈরি হস্তশিল্পসামগ্রী সরাসরি তাদের কাছ থেকে কেনার সুযোগ পেলে সেটাও কাজে লাগাতে পারেন। উপহার হিসেবে এগুলো দারুণ।


আরও খবর



উপজেলা ভোটের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ)। আগামী মে মাসে চার ধাপে এ নির্বাচন হবে বলে আগেই তারিখ ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হবে। এর আগে জামানতের অংক বাড়ানোসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০২৪ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ১ লাখ টাকা জামানত দিতে হবে, আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত দিতে হবে ৭৫ হাজার টাকা। আগে উভয় পদে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা করে।

এদিকে নতুন বিধিমালায় নির্বাচনী সময়-এর সংজ্ঞাও সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধিত নির্বাচনী সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলের গেজেট প্রকাশের পর ১৫ দিন পর্যন্ত সময়কে বোঝানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিধিমালায় অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

সংশোধিত বিধিমালায় নির্বাচনী ব্যয়ে পরিবর্তন এসেছে। আগের আইনে ১ লাখ ভোটারের জন্য প্রার্থী ব্যক্তিগত ও নির্বাচনী ব্যয় করতে পারেন সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ১ লাখ থেকে ২ লাখ ভোটারের জন্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং ২ লাখের বেশি ভোটারসংবলিত উপজেলার জন্য ১১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারেন।

নতুন উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং মহিলা সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয় বাবদ অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

নতুন নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক জমা দিতে হবে এবং উল্লেখ করতে হবে টিআইএন নম্বর। আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালায় এটি সংশোধন করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

আগে ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহ আগে থেকে প্রার্থীরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারতেন। এবার তা সংশোধন করে প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকে প্রচার শুরুর কথা বলা হয়েছে। প্রচারের আওতায় এবার ডিজিটাল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও সন্নিবেশ করা হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধানও শিথিল করেছে ইসি। এতদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক সই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো। এটি এখন একেবারেই তুলে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ভোটারদের সমর্থনসূচক সই লাগবে না।

নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া নির্বাচনের ফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী মে মাসে চার ধাপে ৪৮১ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ২৫ মে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

তফসিল আজ: উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় এই পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এর তফসিল ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (আজ) কমিশনসভা রয়েছে। ভোটের তারিখ তো আগেই জানানো হয়েছে। প্রথম ধাপের পূর্ণাঙ্গ তফসিল কাল হতে পারে।

অশোক কুমার সংশোধিত নির্বাচন বিধি ও আচরণবিধির বিষয়ে জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ভোটারের স্বাক্ষর অনেক সময় দিতে চায় না। তাই অনেকে জাল স্বাক্ষর নেয়। এ কারণে কমিশন এটি তুলে দিতে চেয়েছে। আগের মতো দলীয় প্রার্থী দিতে পারবে, নাও দিতে পারবে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন লাগে। এটা পরিবর্তন করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য তো সময় দরকার। আর এটা ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে করতে হবে। এটার জন্য সময় আছে।


আরও খবর



নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন উপাচার্যকে বরণ করে নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাচ-গানে মেতে ওঠেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিএসএমএমইউয়ে কার্যালয়ে গিয়ে  দেখা গেছে, ব্যান্ডপার্টি দলের বাজনার সাথে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাচ-গানে মেতে উঠেছেন। প্রায় অনেকটা সময় ধরে তারা এ আনন্দ উৎসব করেন। এ সময় সেখানে হাসপাতালের দায়িত্বরত অনেকে উপস্থিত হন। আবার  তারা হাততালি দিয়ে সবাই উৎসাহিত করেন।  

এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) দেয়া এক প্রজ্ঞাপন বলা হয় বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক ১২তম উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ এর ১২ ধারা অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হককে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের মেয়াদ হবে চার বছর। তিনি উপাচার্য পদে অবসর অব্যহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। এছাড়া বিধি অনুযায়ী উপাচার্যের পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলীম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এ চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়।

বিএসএমএমইউয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের তিন বছর মেয়াদ আগামী ২৯ মার্চ শেষ হবে। ২০২১ সালের ২৯ মার্চ তিনি উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।


আরও খবর
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪




গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘আসন্ন’: হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলি অবরোধের কারণে ত্রাণবাহিনী ট্রাকের প্রবেশে বাধা ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলে আরও সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। দক্ষিণ ও মধ্য গাজায় দুর্ভিক্ষের চরম ঝুঁকি রয়েছে। উত্তর গাজায় এর ঝুঁকি ও উপস্থিতি উভয়ই রয়েছে। সম্ভবত অন্তত কিছু অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ রয়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। যদিও গাজায় দুর্ভিক্ষ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছে ইউএসএআইডি। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়ের গাজায় দুর্ভিক্ষের বিষয়ে মার্কিন মূল্যায়নের ওপর ব্রিফিং করেছেন। এর আগে ইউএসএআইডি প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে বলে মূল্যায়ন করাটা বিশ্বাসযোগ্য

জ্যঁ-পিয়েরে পাওয়ারের মন্তব্য সরাসরি সম্বোধন করেননি। কিন্তু তিনি বারবার বলেছেন, গাজার কিছু অংশে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি আসন্ন। তার এই বক্তব্য পাওয়ারের মূল্যায়নকে লঘু করে দিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে বলেন, আমরা গাজায় মানবিক সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গাজায় সাহায্য বহনকারী ট্রাকের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।

তিনি বলেছেন, আমরা জানি গাজার পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ, তাই আমরা অবশ্যই এই ধরনের প্রতিবেদনগুলো নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গাজায় সেই সাহায্য আরও বেশি বেশি করে পাঠাতে আমরা চব্বিশ ঘণ্টা, চব্বিশ ঘণ্টাই কাজ করে যাচ্ছি। গাজায় সাহায্যের প্রবাহ আরও বৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকবে

এদিকে গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৩ জন নিহত ও ৪৫ জন আহত হয়েছে। ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি নিহত হয়েছেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়া বুধবার (১০ এপ্রিল) আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।


আরও খবর