আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ডিভাইস কোনটি

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিক্ষাজীবনে কম্পিউটার এখন অন্যতম অনুষঙ্গ। তবে ব্যক্তিগত কম্পিউটার বহন করার সুযোগ না থাকায় অনেকে ল্যাপটপ কিনে থাকে। এখানেও দুটি ধরন রয়েছে। তাই ল্যাপটপ না ক্রোমবুক কোনটি কেনা ভালো হবে তা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন জাগে। ক্রোমবুক মাত্র এক দশক ধরে ব্যবহূত হচ্ছে। ফলে অনেক অভিভাবকই ক্রোমবুক সম্পর্কে খুব একটা জ্ঞাত নন। এমনকি ক্রোমবুককে অনেকে ল্যাপটপের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলেন। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য ল্যাপটপ নাকি থিন ও লাইট ল্যাপটপ বা ক্রোমবুক কোনটা সেরা তা নির্ধারণের জন্য প্রথমে দুটি ডিভাইসের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরাডার বহু বছর ধরে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ক্রোমবুকসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য পর্যালোচনা করে আসছে। ক্রোমবুক ও উইন্ডোজ ল্যাপটপের মধ্যে পার্থক্য বোঝার জন্য টেকরাডারের নির্দেশনাগুলো সহায়ক হবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বিশারদরাও। এগুলো জানা থাকলে সহজেই সেরা ডিভাইসটি বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে। ল্যাপটপ সম্পর্কে সবারই জানা। সুতরাং শুরুতেই জানতে হবে ক্রোমবুক কী। ল্যাপটপ থেকে এটি কীভাবে আলাদা।

ক্রোমবুক মূলত ল্যাপটপের ছোট ভার্সন। তবে এর অপারেটিং সিস্টেম মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ বা ম্যাকওএসের মতো নয়। এটি লিনাক্সভিত্তিক ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমে চলে। তবে কিছু মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপ্লিকেশন গুগল প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল করা যাবে। সেক্ষেত্রে উইন্ডোজ বা ম্যাকবুক ল্যাপটপের মতো অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে না। ডিভাইসটি প্রাথমিকভাবে গুগল ক্রোম ব্যবহার করে নানা ধরনের কাজ করে, যেখানে অধিকাংশ অ্যাপ ও ডাটা ডিভাইসে নয়, ক্লাউডে জমা থাকে। এটি সাধারণত ১০ থেকে ১৪ ইঞ্চির মধ্যে হয়। সবচেয়ে বড় ক্রোমবুকও ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চির ল্যাপটপের চেয়ে ছোট।

ক্রোমবুকে একটি লাইটওয়েট অপারেটিং সিস্টেম থাকে, যা মূলত ক্রোম ব্রাউজারনির্ভর। অর্থাৎ ক্রোম ব্রাউজার দিয়ে ল্যাপটপে যেসব সেবা পাওয়া যায় ক্রোমবুকেও সেসব সুবিধা রয়েছে। তার মানে এই নয়, ক্রোমবুক ব্যবহার করতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতেই হবে। অপারেটিং সিস্টেমটি ক্রোম ওয়েব স্টোর বা গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ্লিকেশন চালানোর জন্য উপযোগী করে ডিজাইন করা হয়েছে, যেখানে ওয়ার্ড প্রসেসর ও স্প্রেডশিট থেকে দ্রুত ফটো এডিটিং এবং হালকা গেমিং পর্যন্ত সব বেসিক কাজ করা যায়। এসব অ্যাপের মধ্যে অনেকগুলোই ক্রোমবুক ইন্টারনেটে যুক্ত না থাকলেও কাজ করে।

ল্যাপটপের সঙ্গে ক্রোমবুকের পার্থক্য: ক্রোমবুক ও ল্যাপটপের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত, ক্রোমবুকে র‍্যাম অনেক কম হয়। বেশির ভাগ ক্রোমবুকে সর্বোচ্চ ৮ জিবি র‍্যাম দেয়া হয়। অন্যদিকে একটি ভালো ল্যাপটপে ১৬ জিবি পর্যন্ত র‍্যাম দেয়া হয়। ল্যাপটপের তুলনায় ক্রোমবুকের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি অনেক কম থাকে। ৬৪ জিবি পর্যন্ত ম্যাক্সিমাম স্টোরেজ ক্যাপাসিটি পাওয়া যায়। অটোমেটিক্যালি যেকোনো ফাইল গুগল ড্রাইভে সেভ হয়। লিমিটেড স্টোরেজ অপশন থাকে। এছাড়া এর প্রসেসর অনেক দুর্বল হয়। ফুল এইচডি ডিসপ্লে পাওয়া গেলেও ল্যাপটপের তুলনায় কোয়ালিটি তেমন ভালো হয় না। কি-বোর্ডের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

বাহ্যিক দৃষ্টিতে ক্রোমবুক ও ল্যাপটপ দেখতে একই রকম। প্রযুক্তিগতভাবে ক্রোমবুকও একটি ল্যাপটপের মতোই। শুধু অপারেটিং সিস্টেমের কারণেই ভিন্ন। উভয় ডিভাইসেই একটি কি-বোর্ড, একটি ক্যামেরা, একটি বিল্ট-ইন স্ক্রিন ও ট্র্যাকপ্যাড আছে। ল্যাপটপের মতো ক্রোমবুকও ফোল্ডেবল। ক্রোমবুক ও ল্যাপটপের মূল পার্থক্য অভ্যন্তরীণভাবে। ল্যাপটপে ইন্টেল বা এএমডি কোম্পানির শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ল্যাপটপে থাকে ইন্টিগ্রেটেড বা ডিস্ক্রিট গ্রাফিকস কার্ড। ক্রোমবুক থেকে আলাদা করার জন্য এটি অন্যতম ফিচার। অন্যদিকে, ক্রোমবুকে সাধারণত নিম্নমানের চিপ ও গ্রাফিকস কার্ড ব্যবহার করা হয়। যদিও কয়েকটি প্রিমিয়াম ক্রোমবুক ইন্টেল কোর চিপ ব্যবহার শুরু করেছে। তবে ক্রোমবুকের অপারেটিং সিস্টেম লাইট-ওয়েট হওয়ায় এটি চালানোর জন্য শক্তিশালী চিপের দরকার হয় না। এছাড়া কম ক্ষমতাসম্পন্ন চিপ ব্যবহার করায় ক্রোমবুকের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

ল্যাপটপ অনেক বেশি শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ১১, ম্যাকওএস ও ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্সের সাহায্যে পরিচালিত হয়। সেরা উইন্ডোজ ল্যাপটপ, ম্যাকবুক ও ম্যাক ল্যাপটপের জন্য সাধারণত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিপিইউ, জিপিইউ ও ফার্স্ট মেমোরির প্রয়োজন হয়। এর ফলে এ ডিভাইসগুলোর উৎপাদন খরচ ও বিক্রয় মূল্য বেশি হয়। এ ডিভাইসের সুবিধা হলো শিক্ষার্থীরা একই কম্পিউটার ব্যবহার করে একটি টার্ম পেপার লিখতে পারে এবং কাজ শেষে যখন বিরতির প্রয়োজন হয় তখন গেমও খেলতে পারে। উইন্ডোজ ল্যাপটপে কমপক্ষে ১২৮ গিগাবাইট থেকে শুরু করে ১/২ টেরাবাইট লোকাল স্টোরেজ থাকে। ল্যাপটপের অ্যাপ্লিকেশন ও ফাইলগুলো এসব স্টোরেজে জমা হয়। আর ক্রোমবুকে তুলনামূলক অত্যন্ত কম স্টোরেজ থাকে। ক্রোমবুকে কখনো ৩২ গিগাবাইট স্টোরেজও দেখা যায়। কেননা ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমে চালিত অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ডাটা ক্লাউডে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা রয়েছে।

ক্রোমবুক নাকি ল্যাপটপ; স্কুল ওয়ার্কের জন্য কোনটা ভালো: স্কুলের কাজের জন্য ক্রোমবুককে এগিয়ে রাখতে হবে। কেননা অনলাইন ক্লাস, ব্রাউজিং, সোশ্যাল মিডিয়া সার্ফিং, ওয়েব মিটিং, ওয়ার্ড প্রসেসিং, ভিডিও ও অডিও স্ট্রিমিংয়ের জন্য ক্রোমবুক একটি আদর্শ ডিভাইস। স্টোরেজ কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো গুগল ড্রাইভে সংরক্ষণ করা যায়। এছাড়া বাড়তি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রাখার জন্য এসডি কার্ড কিংবা ইউএসবি ড্রাইভও ব্যবহার করা সম্ভব। শিক্ষার্থীরা গুগল ডকুমেন্টস ফিচার ব্যবহার করে তাদের হোমওয়ার্ক করতে পারে, যা সরাসরি তাদের শিক্ষক বা অভিভাবকদের কাছে শেয়ার করা যায়। হোমওয়ার্ক প্রিন্ট করার প্রয়োজন হয় না। মাইক্রোসফট অফিস সুটটি অনলাইনেও পাওয়া যায়। সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই ওয়ার্ড ডকুমেন্ট তৈরি করতে পারে। এছাড়া ক্রোমবুক কিছুটা মজবুত বডির হয়, যা খুব সহজে ভাঙে না। ভাইরাসযুক্ত প্রোগ্রাম ইনস্টল হয়ে থাকলে সহজেই মুছে ফেলে পুনরায় সেট করা যায়।

আরেকটি বিষয় হলো এ ডিভাইসগুলোর দাম। ক্রোমবুকের দাম শুরু হয় ১০-১২ হাজার টাকা থেকে, যেখানে ভালো মানের ল্যাপটপ কিনতে গেলে ৪০-৫০ হাজার টাকা গুনতে হয়। ক্রোমবুকের ফ্লেক্সিবিলিটি অনেক বেশি, প্লাস্টিকের কেসিং হওয়ায় ওজনও কম হয়। অধিকাংশ ক্রোমবুকের ওজন এক কেজিরও কম, এমনকি ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। তবে কেউ যদি প্রোগ্রামিং, কোডিং, হাই লেভেল ফটো এডিটিং করতে চায় সেক্ষেত্রে ক্রোমবুক ভালো ডিভাইস নয়। যেহেতু এর প্রসেসর নিম্নমানের এবং স্টোরেজ ক্যাপাসিটিও অনেক কম।

কীভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন: সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো পরীক্ষামূলকভাবে একটি ক্রোমবুক ব্যবহার করে দেখা। কয়েকদিনের জন্য ডেস্কটপ কম্পিউটারে শুধু গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করে দেখা যায়। একজন শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় সব ফিচার যথাযথভাবে পাওয়া যাচ্ছে কিনা, সেটা বিবেচনা করতে হবে। শুধু ক্রোম এক্সটেনশন ও গুগল ডক্সের মতো অনলাইন অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে।: যদিও উইন্ডোজ ল্যাপটপে পরিপূর্ণ কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়, তবে ক্রোমবুকের ক্রয়মূল্য কম। একজন শিক্ষার্থীর শ্রেণীকক্ষে যা প্রয়োজন ঠিক তা ক্রোমবুকে পাওয়া যায়। সুতরাং প্রয়োজন ও আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে মিলিয়ে কোন ডিভাইসটি কিনলে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করা যাবে সেটি ব্যবহারকারীকেই নির্ধারণ করতে হবে।


আরও খবর



বিকেলে দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি আজ রোববার সকালে পারস্য উপসাগরের কাসাব উপকূল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রাফিক এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, দুবাই পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।

মেরিন ট্রাফিকের তথ্য বলছে, এমভি আবদুল্লাহ গতকাল রাতে ওমান সাগর পারি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। জাহাজটি ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতিতে দুবাইয়ের দিকে আগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজটির অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৪টার মধ্যে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুইজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়েছিল। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।


আরও খবর



সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে রোববার (৫ মে) স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন জেলায় বন্ধ থাকলেও তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ায় রোববার থেকে সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

শনিবার (৪ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সর্বশেষ আজ শনিবারও দেশের ২৫ জেলার মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তবে তাপমাত্রা কমায় আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গত ২৫ এপ্রিলে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপন নং ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০৪.০০২.০২ (অংশ)-২১৪ এর শর্তাদি পালন সাপেক্ষে আগামীকাল রোববার থেকে দেশের সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

এদিকে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে বলে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



বরিশাল মেডিকেলের প্রিজন সেলে আসামিকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বরিশাল প্রতিনিধি

Image

বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে হত্যা মামলার আসামি পিটিয়ে অপর এক আসামিকে হত্যা করেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে ওই বৃদ্ধ আসামিকে পেটানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর একটার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক জানিয়েছেন।

নিহত মো. মোতাহার (৬০) বরগুনার বেতাগী উপজেলার কাউনিয়া গ্রামের রফিজউদ্দিনের ছেলে। পিটুনিতে আহত অপর আসামি অজিত মন্ডল হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অজিত একটি চুরি মামলার আসামি।

হামলাকারী তরিকুল ইসলামের (২৫) গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামে। সে পটুয়াখালীর একটি হত্যা মামলার আসামি।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন মানসিক রোগী তরিকুল অপর দুই আসামিকে স্যালাইনের স্টিলের ট্যান্ড দিয়ে পিটিয়েছে। এতে দুইজন গুরুতর আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডেপুটি জেলার নুর ই আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রিজন সেলে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এ বিষয়ে আজ কিছু বলতে পারব না।

নাম প্রকাশ করার না শর্তে হাসপাতালের একজন জানিয়েছে, প্রিজন সেলের দায়িত্বে এক নায়েক ও দুই কনস্টেবল ছিলেন। মানসিক রোগীসহ তিনজন প্রিজন সেলের একটি কক্ষে ছিলেন। সকালে আকস্মিকভাবে ওই ব্যক্তি অপর দুই আসামিকে স্ট্যান্ড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। এতে মোতাহার মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত পায়। অজিত আঘাত পেলেও গুরেুতর আহত হয়নি। ঘটনার সময় সেলের তালার চাবি নিয়ে একজন বাইরে নাস্তা করতে গিয়েছিল। তাই দায়িত্বরতরা দ্রুত সময়ে প্রিজন সেলে ঢুকতে পারেনি। স্যালাইনের স্ট্যান্ড দিয়ে মানসিক রোগী দুইজনকে এলোপাতারিভাবে পিটিয়েছে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার রত্মা রায় বলেন, কি ঘটনা ঘটেছে তদন্ত না করে বলা যাবে না। আমরা ঘটনা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ করে বলতে পারবো।

দায়িত্বরতদের অবহেলার বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ জেল সুপার।


আরও খবর



স্বরূপকাঠিতে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেফতার ১

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বাক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী (৩৫) এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক যগদীশ সুতারকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

যগদীশ উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের ইদিলকাঠি গ্রামের যাদব সুতারের ছেলে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ধর্ষণের শিকার যুবতীর মা বাদী হয়ে যগদীশকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

শনিবার সকালে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে এবং আসামীকে পিরোজপুর আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা একজন চা দোকানী গত বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে মেয়েটির মা দোকানে থাকা অবস্থায় ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রতিবেশি যগদীশ প্রতিবন্ধি ওই যুবতীর ঘরে যায় এবং যুবতীকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে এবং আসামীকে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর