মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, একটি জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে, সুযোগ্য জাতির ভবিষ্যৎ গড়তে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। অন্ধকার আকাশের মত শিক্ষা বিহীন জীবন। সেই শিক্ষা বিহীন জীবনে যাতে কেউ না থাকে এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র পুথিগত শিক্ষা দিয়ে আদর্শ মানুষে পরিণত করা যায় না।
শিক্ষার পাশাপাশি তাদের ক্রীড়া, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য আমাদের সমস্ত বর্ণাঢ্য অধ্যায়কে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে, শিখাতে হবে। যে ছাত্র শুধু বই পড়ে সনদ অর্জন করে আমার বিশ্বাস সে আদর্শ মানুষে পরিণত হয় না। এই জায়গায় আমার মনে হয় সংস্কৃতি চর্চা অনিবার্য হয়ে দাড়িয়েছে। যেখানে ক্রীড়া চর্চা সংস্কৃতি চর্চা হয় সেখানে মাদকের ছোবল থাকে না। অনৈতিকতায় তারা ধাবিত হয় না। যে সুন্দর করে গান গাইতে পারে সে মানুষ খুন করতে পারে না। যে চমৎকার ক্রীড়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকে মাদক তাকে আকৃষ্ট করতে পারে না। আর সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্তরা আদপ কায়দা শিষ্টাচার ভদ্রতা সভ্যতা এ বিষয় গুলোয় অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। সে কারনেই ক্রীড়া চর্চার প্রয়োজন।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায়
পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন ও ৬৪ তম বার্ষিক
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,
বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনে যে সাফল্য পেয়েছে এই সাফল্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আসার পূর্বে কখনও আসেনি। কারণ তিনি ক্রীড়ামোদী,
তিনি ক্রীড়ার পৃষ্টপোষক, ক্রীড়াবান্ধর সরকার প্রধান। তার সময়ে বিশ্ব পরিমন্ডলে আমাদের
মেয়েদের ফলাফল, আমাদের ক্রিকেটের ফলাফল আমাদের অন্যান্য ইভেন্টস এ অসাধারণ সাফল্য
এসেছে। তাছাড়া ক্রীড়ার ক্ষেত্রে যারা ভালো করছেন তাদেরকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারি
প্লট দেয়া, প্লাট দেয়া, নগদ টাকা দেয়া, প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠিয়েছে। কোথায় নাই শেখ হাসিনার পৃষ্টপোষকতা। এমন একজন মমতাময়ী
সংস্কৃতি প্রেমি, সংস্কৃতি বান্ধব সরকার প্রধান আমাদের জন্য আল্লাহর আশির্বাদ হিসেবে
আমাদের কাছে তিনি এসেছেন। শিক্ষা ব্যাবস্থায় সর্বচ্চো বরাদ্ধ দেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, মার্চ মাস বাঙালি জাতীয় ইতিহাসের একটি
গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ
টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নিয়েছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে মহাকাল জয়ী স্বাধীন বাংলাদেশের
স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭১ এর ৭ মার্চ আমাদের মহান নেতা বিশ্বের
বিশ্বয়কর বক্তব্য দিয়ে গোটা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার প্রস্তুত করেছিলেন। এই মাসেরই ২৫ তারিখ অতর্কিত ভাবে নিরস্ত্র বাঙালির
উপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঝাপিয়ে পড়েছিলো। এই মসেরই ২৬ তারিখ আনুষ্ঠানিক ভাবে
আমাদের মহান নেতা স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সোহরাওয়ার্দী
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সৈয়দ আলী আজমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ হাওলাদার
প্রমূখ।