আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

শিক্ষাসহায়তায় বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে সরকারের নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর। এ ক্ষেত্রে বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসবেন। আমাদের শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সহায়তা করবেন বা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা করবেন। নিজে যে প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন, সেটার উন্নয়নে ও সেখানকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসলেই তো হয়।

আজ রবিবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, এক কোটি ৬৩ লাখ ৮০০ শিক্ষার্থীর মাঝে ৮৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার শিক্ষা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষণা করছি। ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৩৬৬ কোটি বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। করোনার মধ্যে এ বছরও এটি বন্ধ হয়নি। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানাই।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট চায়নি এদেশের মানুষ শিক্ষিত হোক। ৯৬-এ আমাদের নেয়া উদ্যোগগুলো তারা বন্ধ করে দেয়।

গণভবন প্রান্ত থেকে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।


আরও খবর



গোপনে বিয়ে সারলেন তাপসী পান্নু

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দিন আগেই রটেছিল চলতি বছর বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পান্নু। সপ্তাহ না পেরোতেই গুঞ্জন- চুপিসারে দীর্ঘদিনের প্রেমিক ম্যাথিয়াস বোয়েকে বিয়ে করেছেন তিনি! তাদের বিয়ের আসর রাজস্থানের উদয়পুরে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গেল শনিবার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে তাপসীর। এর আগে বুধবার থেকেই শুরু হয় প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠান। বিয়েতে এই যুগলের পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। শিখ পরিবারের মেয়ে তাপসী। অন্যদিকে তার স্বামী ক্যাথলিক। তাই শিখ ও খ্রিস্টান দুই রীতিতেই হয়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান।

তবে সাত পাক বাঁধা পরার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও বিয়ের খবরে মুখ খুলেননি তাপসী। সামনে আসেনি নবদম্পতির বিয়ের ছবিও!

প্রসঙ্গত, ম্যাথিয়াস বোয়ে ডেনমার্কের বাসিন্দা। ডেনমার্কের হয়ে অজস্র নজির গড়েছেন তিনি। ২০১২ সালের অলিম্পিকে মেনস সিঙ্গলসে রূপা জিতেছিলেন তাপসীর স্বামী। থমাস কাপ বিজয়ী ডেনমার্ক দলের সদস্যও তিনি। তবে ২০২০ সালে পেশাদার ব্যাডমিন্টনকে বিদায় জানান ম্যাথিয়াস। পরে ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দলের ডবলস কোচ হিসেবে যোগ দেন।

নিউজ ট্যাগ: তাপসী পান্নু

আরও খবর



বাউফলে এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে মেঘলা (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মেঘলা আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আতষখালী গ্রামের জাকির সিকদারের মেয়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মেঘলা এ বছর আতষখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

বুধবার নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফিরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে মেঘলা। বিকাল সোয়া ৫টায় তাকে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পৌনে ৬টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক শাহরিয়ার শুভ বলেন, এক ব্যক্তি অসুস্থ মেঘলাকে নিয়ে এসে বলেন সে কীটনাশক পান করেছে। এরপর তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

তবে ঠিক কি কারণে মেঘলা কীটনাশক পান করেছে বা কেন মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মেঘলার লাশের পাশে কোনো স্বজনকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

মেঘলার গ্রামে খবর নিয়ে জানা গেছে, তার বাবা জাকির সিকদার ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। মেঘলা ছাড়া তার পরিবারে মা ও দুই ভাই রয়েছেন।

বাউফল থানার ওসি শোনিক কুমার গায়েন বলেন, ওই বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে সঠিক কারণ বের করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: পটুয়াখালী

আরও খবর



মশা নিধনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মশা নিধন কারো একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশা নিধনে সবচেয়ে কার্যকর পন্থা হচ্ছে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা যাতে মশার উৎপাদন না হয়। সেজন্য জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।

বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার উত্তরায় ১২নং সেক্টর খালপাড়ে সিটি করপোরেশনের মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরগন উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ধরনের মশা যেমন কিউলেক্স মশা, অ্যানোফিলিস মশা ও এডিস মশার প্রজননস্থল ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় আমাদেরকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাতে হবে। অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়া রোগ, কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া এবং এডিস মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের জন্য দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসই হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম পন্থা।

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন খালে বাসাবাড়ির সুয়ারেজ বর্জ্যের কারণে পানি দূষিত হচ্ছে এবং কচুরিপানার ফলে প্রচুর মশা উৎপাদন হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকাকে পাঁচটি ক্যাচমেন্ট এরিয়াতে ভাগ করে বর্জ্য নিষ্পত্তি করার জন্য সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট স্থাপন করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে দাসেরকান্দিতে একটি প্লান্ট উদ্বোধন করেছেন এবং উত্তরাতেও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী উত্তরা ১২ নং সেক্টরে লেক পরিষ্কার করার যে উদ্যোগ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নিয়েছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করার জন্য এই ধরনের খাল বা লেক যেখানে কচুরিপানা এবং দূষিত পানির কারণে মশার উৎপাদন বেশি হয় তা সবাইকে মিলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের এই লেক ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে এবং সিটি করপোরেশনগুলোর সক্ষমতা পর্যালোচনা করে যেখানে যতটুকু দরকার মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতা করা হয়েছে। মন্ত্রী আবারও এডিস মশা নির্মূলে জনপ্রতিনিধি এবং জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, নিজ বসতবাড়ি এবং নিজ এলাকা পরিষ্কার করার দায়িত্ব আমাদের সবার তাহলেই প্রাণঘাতী ডেঙ্গু জ্বর থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো।


আরও খবর



‘গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী ও মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে প্রস্তুত সরকার’

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী ও মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে প্রেসক্লাবের ২০২৪ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্য প্রদানকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও টিভি টুডে-এর প্রধান সম্পাদক মনজুরুল আহসান বুলবুল, চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওচমান গণি পাটোয়ারী, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদ, দৈনিক যুগান্তরের যুগ্ম সম্পাদক ও ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুলকে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যম এখন শিল্প। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিকাশ ছাড়া গণতন্ত্র পূর্ণতা পাবে না। এরকম বাস্তবতায় সরকার গণমাধ্যমকে পূর্ণাঙ্গভাবে সকল সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে। গণমাধ্যমকে আরও শক্তিশালী অবস্থায় মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার প্রস্তুত। সে ক্ষেত্রে সরকার সাংবাদিকদের কাছ থেকে একই ধরণের সহযোগিতা চায়।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম ও সরকারের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যম শিল্পকে আরও শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর জন্য আমরা চেষ্টা করতে পারি। গণমাধ্যম কীভাবে সরকার বা কর্তৃপক্ষের জন্য সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে জবাবদিহি আনতে পারে, এমনকি সমালোচনা করতে পারে, সে কাজগুলোও আমরা করতে পারি।

তিনি এ সময় আরও জানান, পেশাদার সাংবাদিকদের মধ্যে সাংবাদিকতায় শৃঙ্খলা আনার একটি দাবি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সাংবাদিকতাকে এভাবে উন্মুক্ত ও অবারিত করেছেন, এমনভাবে স্বাধীনতা দিয়েছেন সেটা নিয়ন্ত্রণের কথা এখন সাংবাদিকরাই বলছেন। সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে চায় না। তবে যে কোনো পেশায় কিছু অপেশাদার মানুষ চলে আসে। সেসব ক্ষেত্রে নিশ্চয়ই কিছু না কিছু শৃঙ্খলা আনার প্রয়োজন আছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এই শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করে। গণমাধ্যম সেক্টরে সরকার যা কিছু করবে তা এর সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে করবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গণমাধ্যমের সামাজিক দায়বদ্ধতার পাশাপাশি বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক দিক আছে। বাণিজ্যিক দিক থেকে লাভবান করা না গেলে গণমাধ্যম অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। এজন্য কোন গণমাধ্যমকে আমরা যদি সরকারি বিজ্ঞাপন বা ক্রোড়পত্রের উপর নির্ভরশীল করতে চাই, তাহলে সেটি দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকা মুশকিল হবে। এক্ষেত্রে সংবাদপত্রকে আরও উদ্ভাবনী হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, সৃজনশীলতা আনতে হবে কীভাবে পাঠকের কাছে পৌঁছানো যায়, কিভাবে সফল হওয়া যায়।

এ সময় তিনি আরও যোগ করেন সাংবাদিকদের সাথে নিয়েই সরকার গুজব ও অপতথ্যকে মোকাবিলা করতে চায়। গণতন্ত্রকে সফল করার জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা জরুরি। তবে অপতথ্য ও গুজবের বিস্তার গণতন্ত্রকে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করবে, তেমনি গণমাধ্যম ও পেশাদার সাংবাদিকতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।


আরও খবর



পিটার হাসের সঙ্গে জিএম কাদেরের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে হঠাৎ বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।

বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বারিধারাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে যান জি এম কাদের। পরে বিকেল ৪টায় দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

এসময় জিএম কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মাশরুর মওলা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

মাশরুর মওলা বলেন, নির্বাচনের পর সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়েও কিছু আলোচনা হয়েছে।

দলের অন্তর্কোন্দলে দুটি অংশে বিভক্ত জাতীয় পার্টি। একটি অংশে রয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাই জি এম কাদের। যারা বিরোধী দল হিসেবে সংসদে বসেছেন। আরেকটি অংশে রয়েছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী ও সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ। এরই মধ্যে জাতীয় পার্টির সম্মেলনের ডাক দিয়েছেন রওশন।

এ অবস্থায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর পিটার হাসের সঙ্গে প্রথম দেখা করলেন জি এম কাদের। তবে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি।


আরও খবর