ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও যুবলীগের
প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, সারাদেশের বিদ্যালয়গুলোতে ম্যানেজিং
কমিটির নির্বাচন ব্যাপক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তারা যেভাবে নির্বাচন করেন, সেভাবে
এমপি-চেয়ারম্যানরাও করেন না। নির্বাচনে তারা ব্যাপক অর্থ খরচ করেন। আবার নির্বাচিত হয়েই রাজনীতি, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি,
নিয়োগ বাণিজ্য শুরু করেন।
আজ বুধবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের কবি জসীম
উদ্দীন হলে জেলা পরিষদ আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘কোথাও কোথাও শুনলাম
একজন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন গভর্নিং বডি। এসব বন্ধ
হওয়া উচিত। আমরা যতই ভবন করি, ফলক উন্মোচন করি, শিক্ষক নিয়োগে যদি দুর্নীতি হয়, তাহলে
কখনোই এই খাতে প্রকৃত উন্নয়ন আসবে না।’
নিক্সন চৌধুরী বলেন, সারাদেশের প্রতিটি
বিদ্যালয়ে চারতলা করে ভবন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সরকারের আমলে শিক্ষা
খাতে যত উন্নয়ন হয়েছে, তা বিগত দিনের কোনো সরকারের আমলেই হয়নি। শিক্ষাখাতে প্রধানমন্ত্রীর
এই অভাবনীয় উন্নয়নের উদ্দেশ্য হচ্ছে, একটি সুশিক্ষিত জাতি গড়ে তোলা। শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য
বন্ধ করা না গেলে প্রধানমন্ত্রীর সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করবে।
নিজ নির্বাচনী এলাকার কথা উল্লেখ করে নিক্সন
চৌধুরী বলেন, ‘২০১৪ সালে যখন আমি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলাম,
সকালে উঠেই দেখতাম বিদ্যালয়ের ভবন আর বিদ্যুৎ সংযোগের সুপারিশ নিয়ে অনেকে অপেক্ষা করছে।
আমার এলাকার বেশিরভাগ বিদ্যালয়গুলোতেই ভবন ছিল না। শেখ হাসিনার হাত দিয়ে সবগুলো বিদ্যালয়েই
ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ভবন দেওয়ার মতো বিদ্যালয় নেই, বিদ্যুৎ সংযোগ কোথাও
বাকি নেই, সুপারিশ নিয়ে কেউ অপেক্ষায় নেই।’
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান
শাহাদাৎ হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম হাবিবুর রহমান, সদরপুরের কাজী
শফিকুর রহমান, চরভদ্রাসনের মো. কাউসার, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ অসীম কুমার
সাহা, সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা।
পরে নিক্সন চৌধুরী এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের
৩২১ জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষাবৃত্তির অর্থ তুলে দেন। এ সময়ে ফরিদপুরের প্রবীণ
সাংবাদিক তমিজউদ্দিন তাজকে ক্রেস্ট, সম্মাননা স্মারক ও নগদ অর্থ-পুরস্কার তুলে দেন
তিনি।